সায়নীর বদলে কে? ছাত্র-যুব, জেলা সংগঠনে কী কী বড় রদবদল করতে চলেছে তৃণমূল?
TMC-TMCP: একুশের মঞ্চেও সেভাবে গুরুত্ব পাননি সায়নী। এখন প্রশ্ন, কে হবেন আগামী যুব সভাপতি? তিনটি নাম আপাতত ঘুরছে।
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অঞ্চল-ব্লক হোক বা জেলাস্তর কোন কোন নেতা দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর জন্য পরিশ্রম করেননি, তার বিস্তারিত রিপোর্ট তিনি নেবেন। সেই মোতাবেক, তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের কাছেও পৌঁছে গেছিল নির্দেশ। কোন নেতা লোকসভা নির্বাচনে গা এলিয়ে ছিলেন, কোন নেতার ব্লকে পিছিয়ে আছে দল তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট ইতিমধ্যেই নাকি পৌঁছে গেছে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে। সেই রিপোর্টই কাটাছেঁড়া করবে ভোটকুশলী সংস্থার পেশাদাররা, সঙ্গে থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব 'টিম'-এর সদস্যরা৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিকে যারা কাছ থেকে দেখেন তেমনই এক প্রবীণ রাজনীতিকের থেকে শোনা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিতে এক আলাদা 'সিস্টেম' চালু করছেন। তাঁর এই কর্পোরেট সিস্টেমে দল চালনা নিয়ে প্রবীণদের অনেকেরই প্রবল আপত্তি কিন্তু গত দু'টি বড় নির্বাচনে (২১-এর বিধানসভা এবং ২৪-এর লোকসভা) তাঁর এই সিস্টেমে চলেই সাফল্যের মুখ দেখেছে দল। ফলে ক্যামাক স্ট্রিটের এই 'সিস্টেম'-কে একেবারে হেলায় উড়িয়েও দিতে পারছেন না কেউই। এহেন পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক স্তরে বিপুল রদবদলের পথে হাঁটতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্তত তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে কান পাতলে তেমন কথাই শোনা যাচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি যে দু'টি সংগঠনে পরিবর্তনের কথা শোনা যাচ্ছে তা হলো যুব ও ছাত্র সংগঠন। এছাড়াও বেশ কিছু সাংগঠনিক জেলা সভাপতির পদেও ব্যপক রদবদল হতে চলেছে। বিশেষত, যে জেলাগুলিতে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এই তালিকার একেবারে প্রথমদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বিরক্ত তৃণমূল নেতৃত্ব। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদহে দলের ফল নিয়ে যে স্বয়ং দলনেত্রীই চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট, তা তিনি একুশে জুলাইয়ের সভাতেও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। ২৬-এর নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই মালদহ ও দুই দিনাজপুরে নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করতে কোমর বেঁধে নামতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। দলের অন্দরের রিপোর্ট, এই জেলাগুলিতে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই তৃণমূলের শোচনীয় ফলাফলের অন্যতম কারণ। ২০২৬-এর বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহের আম এবং আমসত্ত্ব দুটোই চান। তাই উত্তরের এই জেলাগুলিতে সাংগঠনিক স্তরে ব্যপক রদবদল সময়ের অপেক্ষা বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন- দুর্নীতি, গণপিটুনি! মমতা বিরোধী হলে কী করতেন? বিজেপি-সিপিএম সব কোথায় গেল?
একইভাবে নদিয়ার ফলাফলও তৃণমূলের জন্য অস্বস্তির। কৃষ্ণনগর লোকসভায় জিতলেও, রানাঘাট লোকসভা গত ২০১৯ থেকেই বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার অন্তর্ভুক্ত কল্যাণী এবং হরিণঘাটা বিধানসভা দু'টি আবার বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত৷ বনগাঁ এবং রানাঘাট, পাশাপাশি দু'টি লোকসভাতেই এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূলকে হারতে হয়েছে। নদিয়া দক্ষিণে যে কুখ্যাত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, তা এই লোকসভা নির্বাচনেও সামনে এসেছে। দলের একটি অংশ দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনে নামেইনি বলে অভিযোগ, ঠিক যে কথা একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন। কিছু নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, কোনও কোনও কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েত সদস্যরা নিজেদের স্থানীয় নির্বাচন, পঞ্চায়েত বা পৌরসভার সময়ে ভোট 'করিয়ে নিচ্ছেন'। অথচ লোকসভা বা বিধানসভার সময় এই নেতা নেত্রী এবং তাদের অনুগামীরা অদ্ভুতভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন। তৃণমূলের রিপোর্ট অনুযায়ী, নদিয়াতে এরকম নেতা নেত্রীর সংখ্যা প্রচুর! স্বাভাবিকভাবেই নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলায় ব্যপক রদবদলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া কলকাতা উত্তর এবং ব্যারাকপুর-দমদম এই দু'টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কে হবেন, তা নিয়েও জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। কারণ, রাজনৈতিক দিক থেকে এই দু'টি সাংগঠনিক জেলাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতা উত্তর এবং দমদম-ব্যারাকপুর মিলিয়ে মোট ৩টি লোকসভার ৩টিই তৃণমূলের দখলে, ২১টি বিধানসভার ২০টি-তেই রয়েছেন তৃণমূল বিধায়করা। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতির গুরুত্ব দলে যথেষ্ট। কলকাতা উত্তরের ক্ষেত্রে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ই জেলার সভাপতি, জেলার চেয়ারম্যান আবার তিনিই সাংসদ। উত্তর কলকাতা তৃণমূলের অন্দরে জোর কানাঘুষো, এবার জেলা সভাপতির পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হতে পারে সুদীপকে৷ লোকসভায় তাঁর টিকিট পাওয়া নিয়েও দলের অন্দরে অনেক টানাপড়েন হয়। কিন্তু দিনের শেষে, স্বয়ং দলনেত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেই শিলমোহর দেন। এমনকী এবারেও তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা হন সুদীপ, তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশেই। এবার, উত্তর কলকাতায় তৃণমূলের সুদীপ-বিরোধী গোষ্ঠী চাইছে অন্তত জেলা সভাপতির পদে অন্য কেউ আসুক। এক্ষেত্রে দু'টি নাম ভাসছে। একজন উত্তর কলকাতারই একটি বিধানসভার বিধায়ক এবং কলকাতা কর্পোরেশনেও উঁচু পদে আসীন। আরেকজন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ এবং সাংবাদিক। দ্বিতীয়জনের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। ইদানিং উত্তর কলকাতায় তৃণমূলের 'ক্রাইসিস ম্যানেজার' হিসেবে বারবার সামনে আসছেন এই বাগ্মী তৃণমূল মুখপাত্র।
দমদম-ব্যারাকপুরের ক্ষেত্রে যদিও পরিস্থিতি এতটা জটিল নয়। এই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ছিলেন তাপস রায়। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে তাপস রায় দলত্যাগ করে বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই এই পদটি শূন্য। যদিও উত্তর ২৪ পরগনার রাজনীতির হালহকিকত যারা জানেন, তাঁরা খুব ভালো করে জানেন এই মুহূর্তে গোটা উত্তর ২৪ পরগনাতেই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজনই। তিনি ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর, পার্থ ভৌমিকই নেত্রীর সবচেয়ে আস্থাভাজন। উত্তর ২৪ পরগনাকে তৃণমূলের দুর্গ বললেও অত্যুক্তি করা হয় না। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রথীন ঘোষ, ব্রাত্য বসু, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসু সহ রাজ্যের আরও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রী উত্তর ২৪ পরগনার কোনও না কোনও আসন থেকে জয়ী হন। কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায়দের মতো প্রবীণ সাংসদরাও এই জেলা থেকেই নির্বাচিত। তারপরেও নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা এবং কার্যক্ষমতার জোরেই পার্থ ভৌমিক আজ নেত্রীর এতটা 'গুডবুকে'। লোকসভা নির্বাচনের আগে আগেই সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন তোলপাড়, তখন পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসুকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠান সন্দেশখালিতে৷ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ক্ষমা চান, দখল হওয়া জমি প্রশাসনিকভাবে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন দুই মন্ত্রী। এর ক'দিনের মধ্যেই ব্যারাকপুরের বাহুবলী অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন পার্থ এবং বিপুল ভোটে জেতেন। এই দু'টি ঘটনাই নেত্রীর মার্কশিটে পার্থর নম্বর আরও বাড়িয়ে দেয়। সব কিছু ঠিক থাকলে, ব্যারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে ফের বসতে পারেন এই নাট্যাভিনেতা-সাংসদই!
আরও পড়ুন- মমতাই শাসক, মমতাই বিরোধী! রাজ্যে শুভেন্দু-সেলিমদের ভূমিকা কতটুকু আর?
সাংগঠনিক জেলাগুলি বাদ দিলে, ছাত্র ও যুব শাখার শীর্ষ পদে বদল নিয়ে জোর চর্চা তৃণমূলের অন্দরে। সায়নী ঘোষ সাংসদ হয়ে যাওয়ার পর একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল যে, এবারে যুব সংগঠনের শীর্ষ পদে পরিবর্তন হতে পারে৷ একুশে জুলাইয়ের বক্তার তালিকা থেকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রীর নাম বাদ দেখে সেই জল্পনায় শিলমোহর পড়ে৷ অথচ, তৃণমূলের বাৎসরিক এই শহিদ তর্পণের অনুষ্ঠানটিই হয় যুব তৃণমূলের ব্যানারে। একুশের মঞ্চেও সেভাবে গুরুত্ব পাননি সায়নী। এখন প্রশ্ন, কে হবেন আগামী যুব সভাপতি? তিনটি নাম আপাতত ঘুরছে। দেবরাজ চক্রবর্তী, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এবং জয়া দত্ত।
এদের মধ্যে দেবরাজ চক্রবর্তীর সম্ভাবনা সবচেয়ে উজ্বল। বিধাননগর পৌর নিগমের কাউন্সিলর দেবরাজ গায়িকা তথা রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভার বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী। এছাড়াও গত ২০২০ থেকে তিনি প্রথমে অবিভক্ত উত্তর ২৪ পরগনার, পরে শুধু ব্যারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি। অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার দেবরাজের সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ নেই কারও৷ অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজ চক্রবর্তীর নাম আপাতত তৃণমূলের যুব শাখার সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে। একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয়েও অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় সামলেছেন দেবরাজ চক্রবর্তী। যদিও দেবরাজ চক্রবর্তী নিজে কি চান সভাপতি হতে? এই একটি বিষয়েই ধাঁধায় রয়েছেন অনেকেই।
দ্বিতীয় নাম তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবে সাফল্যের সঙ্গেই সংগঠন চালাচ্ছেন। তিনিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। সম্প্রতি একটি বিধানসভার উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হবেন বলে আওয়াজ উঠেছিল। সেই আওয়াজ পুরোপুরি উবে না গেলেও যুব সভাপতি হিসেবেও তাঁর নাম আপাতত হাওয়ায় ভাসছে। যদিও তৃণাঙ্কুর আপাতত ব্যস্ত আগামী ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রস্তুতি নিয়ে। কলকাতার মেয়ো রোডে এই সভা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতির কাছে কার্যত অ্যাসিড টেস্ট। তৃতীয় সম্ভাব্য নাম আরেক প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভানেত্রী জয়া দত্তর। কলকাতার বিভিন্ন সভায় এখনও মঞ্চে নেত্রীর পাশে স্লোগান দিতে দেখা যায় জয়াকে। নেত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহভাজন জয়া।
আরও পড়ুন- ৪৬টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে! শহর কলকাতায় কেন কাজ করল না মমতা-ম্যাজিক?
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য যদি দলের যুব শাখায় চলে যান, তাহলে পরবর্তী ছাত্র সভাপতি কে? তৃণমূল সূত্রে আপাতত দু'টি নাম শোনা যাচ্ছে। রাজন্যা হালদার এবং সুদীপ রাহা। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্ব দেওয়া রাজন্যার রকেট গতিতে উত্থান হয়েছিল গত ২০২৩-এর একুশে জুলাই তিনি বক্তা হিসেবে সুযোগ পাওয়ার পর! তারপর থেকে বিভিন্ন সভায় বক্তা হিসেবে সমাদৃত হয়েছেন। তেমনই একাধিক বির্তকেও জড়িয়েছেন। তারপরেও পরবর্তী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী হিসেবে রাজন্যার নামই সবচেয়ে জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। আরেকজন সুদীপ রাহা। প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী সুদীপ দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি এবং দলীয় মুখপাত্র। অত্যন্ত সুবক্তা হিসেবে পরিচিত সুদীপ ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে গিয়ে মার খেয়ে প্রচারের আলোয় আসেন। তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান স্বয়ং দলনেত্রীও। রাজন্যা নাকি সুদীপ? নাকি শেষ অবধি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যই থেকে যাবেন ছাত্র সংগঠনের দায়িত্বে তার উত্তর পাওয়া যেতে পারে কয়েকদিনের মধ্যেই।
যদিও এসবই রাজনৈতিক মহলের সম্ভাবনার অঙ্ক। যেহেতু দলটির নাম তৃণমূল কংগ্রেস এবং দলনেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই রাজনৈতিক মহলের এরকম বহু সম্ভাবনা, জল্পনা-কল্পনা শেষ অবধি ভুল বলেই প্রমাণিত হয়। এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের সবচেয়ে বেশি 'আনপ্রেডিক্টেবল' রাজনীতিক যদি কেউ থেকে থাকেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নইলে কেই বা ভাবতে পেরেছিল, গুজরাতের বরোদার ইউসূফ পাঠান রাতারাতি বহরমপুর লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হবেন, জিতবেনও?