‘ডানা’-র প্রভাব কোন জেলায় কতখানি? রাত জেগে নবান্নে কড়া পাহারা মুখ্যমন্ত্রীর
Cyclone Dana: বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাতে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে থাকব। নাইটটা টোটাল আমি ওয়াচ করছি। নবান্নে হেল্পলাইন নং খোলা থাকবে।"
ইতিমধ্যেই তাণ্ডব দেখাতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। বুধবার মধ্যরাতেই সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। গত কয়েক ঘণ্টায় উপকূলের দিকে আরও এগিয়েছে ‘ডানা’। বৃহস্পতিবার রাত কিংবা শুক্রবার সকালের দিকে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়টি। ‘ল্যান্ডফল’-এর সময় ‘ডানা’র গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতি সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে। যা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের লক্ষণও বটে। ব্ঙ্গোপসাগেরর উপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার শক্তি বাড়িয়েছে, যা ক্রমে পরিণত হয়েছে অতি-প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে।
গোড়া থেকেই ডানা-র দাপটের কথা চিন্তা করে ভ্রূ-কুঞ্চিত হয়েছে প্রশাসনের। কালীপুজোর আগে আগে বিপদ এড়াতে আগেভাগে সতর্ক হয়েছে প্রশাসন। বিভিন্ন দফতর গত দু-একদিন ধরে লাগাতার বৈঠক সেরেছেন। এমনকী রাতে জেগে নবান্নে বসে গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাতে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে থাকব। নাইটটা টোটাল আমি ওয়াচ করছি। নবান্নে হেল্পলাইন নং খোলা থাকবে। নম্বর – ০৩৩-২২১২৩৫২৬, ১০১৭০।” জনতার প্রতি তাঁর বার্তা, ”অযথা ভয় পাবেন না। গুজবে কান দেবেন না। কুৎসা বা প্ররোচনায় কান দেওয়ার দরকার নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে সকলকে। আর ঝড়বৃষ্টি না থামলে সমুদ্রে যাওয়া বা বাড়ি থেকে বেরনো বারণ। এর পর আবার চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ থাকবে।” এদিন রাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবান্নে রাত জেগে পরিস্থিতি নজরে রাখবেন স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীও।
ঘূর্ণিঝড় ডানা-র দাপটে ইতিমধ্যেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে জেলা জুড়ে। আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ডানা-র প্রভাবে বুধবার থেকে শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে। দু'এক জায়গায় প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনাতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলা এবং উত্তরবঙ্গেরয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। দু'এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। উপকূলের জেলাগুলিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার উপর দিয়ে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই দুর্যোগ আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছিল আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র দাপটে বন্ধ ট্রেন, উড়ান, ফেরি! বিপদে পড়লে কোথায় ফোন?
ডানা-র ভয়ে প্রথম থেকেই কোমর বেঁধেছে প্রশাসন। শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপরে অবস্থান করছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়। যে জায়গাটা ওড়িশার পারাদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে ২৮০ কিলোমিটার, ওড়িশার ধামারার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৩১০ কিলোমিটার এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এবার প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'ডানা' উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। আর পুরী এবং সাগরদ্বীপের মধ্যে দিয়ে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূল পার করে যাবে। ল্যান্ডফলের জায়গাটা ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার কাছে হবে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত এবং শুক্রবার সকালের মধ্যে দিয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে যখন উপকূল পার করবে ‘ডানা, তখন ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব চলবে। দমকা হাওয়ার বেগ ১২০ কিমি ছুঁয়ে ফেলবে।
বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার একাধিক জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যে জেলাগুলিতে লাল সতর্কতা থাকছে, সেখানকার কয়েকটি অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ২০০ মিলিমিটার) হবে। একটি বা দুটি অংশে অত্যধিক ভারী বৃষ্টি (২০০ মিমির বেশি) হতে পারে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার ওই তিনটি জেলার পাশাপাশি লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে ঝাড়গ্রামেও। সাইক্লোনের প্রভাবে আবহাওয়ার চরম সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও। দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেও। আবার যে জেলাগুলির একটি বা দুটি অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে, সেখানে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পাঁচটি জেলার (কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রাম) একটি বা দুটি অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। আর শুক্রবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার একটি বা দুটি অংশে ভারী বৃষ্টি (৭০ মিমি থেকে ১১০ মিমি) হবে। ওই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার একটি বা দুটি অংশে ভারী বৃষ্টি হবে। ওই পাঁচটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে শুক্রবার পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঝোড়ো হাওয়ার তীব্রতা বাড়ছে। সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়ার বেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিমির কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সাগরদ্বীপ, সুন্দরবন (দক্ষিণ ২৪ পরগনা), ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ থাকতে পারে ১০০ কিমি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যান্য জায়গায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হুগলি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা এবং বাঁকুড়ায় আবার ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ ৯০ কিমি ছুঁয়ে ফেলার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ডানার দাপট আটকাতে জেলায় জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে এলাকাবাসীকে সতর্ক করার কাজ। প্রশাসনের তরফে শুরু হয় মাইকিংও। ঘূর্ণিঝড় ডানা আতঙ্কে কাঁপছে সুন্দরবনবাসী। উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনদের নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ইতিমধ্যে সরিয়ে দিয়েছে ব্লক প্রশাসন। গঙ্গাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি সার্ভিস। ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগর-সহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকায় বিভিন্ন ভাঙন কবলিত এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মোট ৭৬টি ভাঙন কবলিত এলাকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্ত প্রস্তুতি সারা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের ছুটি বাতিল হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। ইতিমধ্যে ত্রাণ শিবিরগুলিও খুলে রাখা হয়েছে। ঘোড়ামারা-সহ নামখানার বেশ কিছু নীচু এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন। উত্তর ২৪ পরগনা, সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জ সহ মোট সুন্দরবন লাগোয়া ব্লক গুলি থেকে মোট ৫,৩২৬ জনকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি সুন্দরবনের দুর্বল নদীবাঁধগুলির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে প্রশাসন। নদী ও সমুদ্রবাঁধ ভেঙে বা উপচে জনবসতি এলাকায় জল ঢুকলে জলবন্দি বাসিন্দাদের তৎক্ষণাৎ উদ্ধারে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে সেচদপ্তরকে। নামখানার বকখালি ও মৌসুনি, সাগরের ঘোড়ামারা ও পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুরে বাসিন্দাদের উঁচু স্কুলবাড়ী অথবা ফ্লাডশেল্টার সরানো হয়েছে। বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ ও গঙ্গাসাগরে বুধবার থেকে পর্যটক ও পূন্যার্থীদের সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সমুদ্রসৈকতগুলিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়েছে পাহারায়।
এই মুহূর্তে 'ডানা'র প্রভাবে সমুদ্রের উপর ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইছে। এই সময়ে সবরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। ওড়িশায় 'ল্যান্ডফল' হলেও কলকাতা-সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে তীব্র প্রভাবের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের তরফেও একাধিক হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের হেল্পলাইন নম্বর ০৩২২৮-২৬২৭৮, পশ্চিম মেদিনীপুরের হেল্পলাইন নম্বর ৬২৯৬০৬০৬৯৯, হুগলি জেলায় কন্ট্রোল রুম নম্বর ৭০০৩১৯০৫০৭ এবং ০৩৩-২৬৮১-২৬৫২।
আরও পড়ুন: আয়লা, আমফান, ফণির পর ডানা! গত দু’দশকে কেন একের পর এক ঘূর্ণিঝড় বাংলায়?
বিপদ এড়াতে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় (দিঘা, শংকরপুর, তাজপুর, মন্দারমনি) এলাকায় ২৩-২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন করে হোটেলে বুকিং নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসন। সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে। তিন কোম্পানি এনডিআরএফ পৌঁছে গিয়েছে জেলায়। পাঁচটি ব্লকে ৬০টি ত্রাণশিবির প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। প্রাথমিক স্কুল ও হাই স্কুলগুলিতেও ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। পাঁচটি মাল্টি পারপাস রেসকিউ শেল্টার (এমপিআরএস) তৈরির কাজ শেষের পথে। তার মধ্যে চারটির কাজ সম্পূর্ণ। এছাড়াও ১৭টি স্থায়ী ফ্লাড শেল্টার রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ডানার দাপটে কোতুলপুরে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। যার ফলে ধানচাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছেন চাষীরা। এখনও ধান ঘরে তোলার সময় হয়নি এই পরিস্থিতিতে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে ধান নষ্ট হবে এবং আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন অসংখ্য চাষী। সব মিলিয়ে কালীপুজোর আগে আগে ঘূর্ণিঝড় ডানা-র যে বড়সড় প্রভাব পড়তে চলেছে বাংলা এবং ওড়িশায়, তা কার্যত পরিষ্কার। এখন প্রশ্ন, প্রশাসনের তৎপরতায় কি আদৌ রুখে দেওয়া যাবে ডানার ঝাপট, নাকি আয়লা-আমফানের মতোই পরিণতি হতে চলেছে রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলির! আতঙ্কে বাংলা।