বারবার জেগেছে বাংলাদেশ! অবাক করবে সে দেশের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস
Bangladesh coups: এমনই এক অগস্টে সেনার হাতে খুন হয়েছিলেন সপরিবার শেখ মুজিবর। আর তার কন্যা শেখ হাসিনাকেও কুর্সি ছাড়তে হল গণঅভ্যুত্থানের জেরে। বাংলাদেশের মাটিতে বারবার জনগণ জেগেছে।
সংরক্ষণবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণবিদ্রোহের আকার নিতে দেরি হল না বাংলাদেশে। আরও একটি গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী রইল ওপার বাংলা। সোমবার ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক অগস্টে সেনার হাতে খুন হয়েছিলেন সপরিবার শেখ মুজিবর। আর তার কন্যা শেখ হাসিনাকেও কুর্সি ছাড়তে হল গণঅভ্যুত্থানের জেরে। বাংলাদেশের মাটিতে বারবার জনগণ জেগেছে। কুর্সি থেকে সরিয়ে দিয়েছে শাসককে।
আর এক দু'বার নয়। এই ঘটনা বারবার ঘটেছে অতীতে। এক গণঅভ্যুত্থানের হাত ধরে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। সেটা ১৯৬৯ সাল। সেই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করার মতো। প্রায় সব স্তরের মানুষ যোগ দিয়েছিলেন সেই আন্দোলনে। তারপর ১৯৭১ সাল নাগাদ স্বাধীন হল বাংলাদেশ। অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের অধীরে ওই বছর এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে হল প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। সেই ভোটে জিতে ওই বছর মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন শেখ মুজিবর রহমান। যিনি কিনা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু নামে পরিচিত। কিন্তু বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারলেন না সেই বঙ্গবন্ধুও। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট তারিখে গণঅভ্যুত্থানের মুখোমুখি হল বাংলাদেশ, যার নেতৃত্ব দিয়েছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কয়েকজন নিম্নপদস্থ কর্তা। মেজর শরীফুল হক (ডালিম) বীর উত্তম, মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান এবং মেজর রশিদের মতো সেনাকর্তার নেতৃত্বে সিংহাসনচ্যুত করা হল মুজিবরকে। শুধু সিংহাসন নয়, সপরিবারে প্রাণটাও খোয়ান তিনি। বেঁচে যান শুধু তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। কপালজোরে তাঁরা তখন জার্মানিতে। মৃত্যু হয় তৎকালীন বাংলাদেশের কয়েক জন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারও।
আরও পড়ুন: “পরবর্তী পাকিস্তান হবে বাংলাদেশ”, কেন বলছেন শেখ হাসিনার পুত্র জয়?
মুজিব-হত্যার পরে বাংলাদেশে সরকার গড়লেন মেজর ফারুক, মেজর রশিদ এবং খন্দকার মোশতাক আহমেদ। তবে তার আয়ুও খুব বেশি দীর্ঘ হল না। ওই বছরেরই নভেম্বর মাসে আরও একটি গণঅভ্যুত্থানের মুখোমুখি হল দেশ। সেই ক্যু-তে নেতৃত্ব দিলেন খালেদ মোশারফ বীর উত্তম। কার্যত রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থান বাংলাদেশকে দেখাতে চেয়েছিলেন খালেদ মোশারফ। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে তাঁর নিজ বাসভবনে বন্দি করে রাখা হল। জিয়াউর-ঘনিষ্ঠ কর্নেল আবু তাহের সেসময় ছিলেন চট্টগ্রামে। বৈষম্যবিরোধী নীতির জন্য সেনাবাহিনীতে ভালোই জনপ্রিয় ছিলেন তাহের। ৩ নভেম্বর বাংলাদেশে যা হল, তা জানতে পেরে তিনি চট্টগ্রাম থেকে রওনা হলেন ঢাকার উদ্দেশে। তবে একা এলেন না। সঙ্গে এল হাজার হাজার জাসদ কর্মী। একই সঙ্গে তাঁর অনুগত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিপাহীদের তিনি নির্দেশ দিলেন বিদ্রোহের । কর্ণেল তাহেরের নেতৃত্বে আরও একটি গণঅভ্যুত্থান হল ওই বছরেরই ৭ নভেম্বর। জিয়াউর ররমানকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে মুক্ত করে নিয়ে এলেন কর্ণেল তাহের। এরই মধ্যে পাল্টা অভ্যুত্থানে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনা হত্যা করল খালেদ মোশারফকে।
ফের ক্ষমতায় এলেন জিয়াউর। চিফ অফ আর্মি স্টাফ এবং উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম। তবে সেই শাসনকালও স্থিতবস্থা আনতে পারল না দেশে। জিয়াউরের শাসনকালে অন্তত একুশটি অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। একের পর এক। এরই মধ্যে ১৯৭৭ সালের একুশে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট সায়েমকে সরিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি হলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। এর এক বছর পর দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আয়োজন করলেন জেনারেল রহমান, এবং ১৯৭৮ সালের ৩ জুন তিনি ফের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন। ওই বছরই ১ সেপ্টেম্বরে নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠন করেন জিয়াউর রহমান, যার নামকরণ হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি। একুশটি গণবিদ্রোহে নিজেকে বাঁচাতে পারলেও ২২তম গণঅভ্যুত্থানটাই কাল হল জিয়াউরের জন্য। একই নিয়মে খুন হলেন জিয়াউর। এই আন্দোলন যারা পরিচালনা করেছিলেন, তার শীর্ষে ছিল মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল। যারা জিয়ার ইসলামিক ভাবাপন্ন দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কোনও মতেই মেনে নিতে পারেনি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে গণঅভ্যুত্থানে খুন করা হল জিয়াউরকে। আর তাতে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়ার প্রধান সেনাপতি এরশাদ নিজেই। এদিকে দোষ চাপানো হল মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল মঞ্জুরের উপর। প্রমাণ লোপাট করতে সেনানিবাসে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হল মঞ্জুরকে।
এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে অভিষিক্ত হলেন বিএনপি নেতা আব্দুস সাত্তার। তবে তার মেয়াদও ছিল মাত্র একবছর। ১৯৮২ সালে ফের গণঅভ্যুত্থান দেখল বাংলাদেশ। ওই বছরেরই ২৫ মার্চ দেশে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করলেন জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। নিজেকে দেশের প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ঘোষণা করলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন বিচারপতি আবুল ফজল মোহাম্মদ আহ্সান উদ্দীন চৌধুরী। ওই বছর ২৭ মার্চ ক্ষমতায় বসলেও ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বরই কুর্সি ছাড়লেন তিনি। ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতি ভোট আয়োজন করে ফের রাষ্ট্রপতি পদে বসলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তবে তার রাজত্বকালের আয়ুও অপেক্ষা করছিল আরও একটি গণঅভ্যুত্থানের। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে হল তাঁকেও।
১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসেন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি। ১৯৯৪ সাল নাগাদ দেশে ফের দানা বাঁধতে শুরু করল অসন্তোষ। বিশেষত আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার, রেশন-বেতন বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবি উঠতে শুরু করল দেশের মধ্যেই। ওই বছর ৩০ নভেম্বর দেশ জুড়ে বিদ্রোহ জেগে উঠল। তখন প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বেগম খালেদা জিয়া। আনসার সদস্যরা ৪০ জন সেনাকর্তা ও তাদের পরিবারকে বন্দি করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন। আনসার বাহিনীকে দমন করতে উঠে-পড়ে লাগলেন খালেদা। সেনাবাহিনী, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) ও পুলিশ দমনপীড়নে লেগে পড়ে। সেই যৌথ অভিযানে চার জন বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়, জখম হন অন্তত ১৫০। খালেদাবাহিনী শেষমেশ আনসারদের বিদ্রোহ দমন করে ফেলে। শাস্তি হিসেবে ২ হাজার ৪৯৬ জন আনসার সদস্যকে গ্রেফতার ও চাকরিচ্যুত করা হয়। কোনও মতে গণঅভ্যুত্থান আটকে ফেলতে সফল হন খালেদা। ১৯৯৬ সালে ফের গণঅভ্য়ুত্থানের চেষ্টা হল বাংলাদেশে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এ. এস. এম. নাসিমের নির্দেশে। তবে জেনারেল ইমামুজ্জামান বীর বিক্রমের প্রতিরক্ষার সামনে ব্যর্থ হলেন সেই চেষ্টাও। তখন রাষ্ট্রপতির চেয়ারে আবদুর রহমান বিশ্বাস।
তবে খালেদা জিয়ার সরকারের শেষ দিকে বিরোধী দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে। ওই আন্দোলনের মধ্যেই ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচন হলেও তা বর্জন করে আওয়ামী লীগসহ তখন অধিকাংশ বিরোধী দল। ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিরোধ আরও জটিল হয়ে ওঠে। নির্বাচনে জিতলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য সংবিধান সংশোধনের পর বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেননি তিনি। ৩০ মার্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেন খালেদা জিয়া। বিচারপতি হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তার শাসনামলে আব্দুর রহমান বিশ্বাসের মেয়াদের পর রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ। পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি।
রহমানের অধীনে ২০০১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তার এই মেয়াদের শেষ দিকে এসে সংবিধানের একটি সংশোধনীকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলো আবারো আন্দোলন গড়ে তোলে। এ মেয়াদে নতুন রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন অধ্যাপক ড: ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। শেষ পর্যন্ত তীব্র আন্দোলনের মুখেও পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ করে মিস্টার আহম্মেদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাপক সহিংসতা রূপ নিলে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, যার নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ। সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে প্রায় দু বছর সরকার প্রধান ক্ষমতায় ছিলেন তিনি, যদিও তার পদবী ছিলো প্রধান উপদেষ্টা। তার সরকারের সময়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়ে আবারও ক্ষমতায় আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তার হাতেই ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তর করেন মিস্টার আহমদ।
আরও পড়ুন: বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি! বাংলাদেশ আবার মৌলবাদীদের হাতেই?
শেখ হাসিনাই দেশের দীর্ঘতম মেয়াদ কাটানো প্রধানমন্ত্রী। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় বার, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি তৃতীয়বার এবং ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চতুর্থ বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হলেও এর পরের নির্বাচনগুলো শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই হয়েছে। শেষ ভোটে শেখ হাসিনার তেমন কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। প্রায় বিনা লড়েই চেয়ারের দায়িত্ব সামলে ফেলেন শেখ হাসিনা। সেই পনেরো বছরের শাসনকালের খুঁটিকে খুঁতো করে দিল শেষমেশ সংরক্ষণবিরোধী আন্দোলন। যে আন্দোলন ক্রমে বড় হতে হতে আকার নিল গণঅভ্যুত্থানের। যার ফলে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হলেন শেখ হাসিনা। তাঁর বাবা মুজিবরকে যে পথে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল, হাসিনার বেলায় তার খুব একটা অন্যথা হতে দেখা গেল না। আর তা হল তেমনই এক অগস্টে। শুধু মুজিবর পালিয়ে প্রাণ বাঁচানোর সুযোগ পাননি। পেয়েছেন হাসিনা। আপাতত দেশ সামলাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তার পর কে? ফের মৌলবাদের সমর্থক বিএনপি নাকি জামাত, নাকি সম্পূর্ণ অন্য কেউ? কার হাতে যেতে চলেছে এবার বাংলাদেশের রাশ? সেদিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশের পরিবর্তনকামী মানুষ।
২০১১ সালে ফের চেষ্টা হল বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের। তবে সেই চেষ্টাকে থামিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানকারীদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে ইসলামিক আইন প্রতিষ্ঠা করা। এর ফলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা-সহ বেশ কয়েকজন সামরিক কর্তা গ্রেপ্তার হন সেসময়ে।