হনুমান চর্চা : বেবী সাউ
Bengali Short Story: এই সামান্য শব্দেই বোঝা গেল, আজকের সভার সভাপতি জেঠিমা। জেঠু তাঁর চোখ বন্ধই রাখলেন। খোলার প্রয়োজন বোধ করলেন না, এবং হালকা হালকা নাকডাকার শব্দ দ্বারা আমাদের বুঝিয়ে দিলেন তিনি সভায় উপস্থিত আছেন।
ভাবা যায়?
গত কয়েকদিন ধরেই মায়ের কড়া হুকুম, ফলের গাছগুলো গোল্লায় যাক! যা অবস্থা হয় হোক! তা-ও যেন 'তাহাদের' তাড়ানো না হয়।
যুগ পাল্টেছে। সঙ্গে সংস্কৃতি। ঐতিহ্যও। আমাদের এই বামপন্থী বাড়িতে ঢুকে পড়েছেন কট্টর ডানপন্থী। তা-ও ঠিক ছিল কিন্তু আবার ফুল, চন্দন, কমলা রঙের সিঁদুর এবং কলা সহযোগে। অবশ্য লাড্ডুও। আগে আমরা লাড্ডুকে মিঠাই বলতাম। মিঠাই কখন যে 'ভেসন কা লাড্ডু' বন গ্য়ায়া পতা হি নেহি চলা...
এসব নিয়ে আমরা মনে-মুখে যতই হম্বিতম্বি করি না কেন, আমাদের বাড়ি নারীশাসিত। পিতা যেখানে জবুথুবু হয়ে থাকেন, যেখানে আমাদের মতো চুনোপুঁটিদের পাত্তা পাওয়ার কোনও চান্সই নেই। বাড়িতে, পাড়ায় এবং আত্মীয়-পরিজনদের ভেতর আমারই বেশ খানিকটা বদনাম আছে, বেয়াদবির জন্য! মেয়ে হয়ে এসব-ওসব করা কোনও মতেই উচিত নয় কিংবা শোভা পায় না— এটা প্রায়শই শুনতে হয় আমাকে। কিন্তু কী আর করা যায় 'স্বভাব যায় না ম'লে'। মহান মহান সাধুব্যক্তিগণ যখন এসব বলে গেছেন, সেখানে আমার তো কোনও দোষ নেই! কিন্তু 'দোষ নেই' বলাটুকুও দোষের। আজকাল সর্বত্র 'বলা' নিয়েই সমস্যা। কে, কাকে, কখন কী বলে ফেলল, সেসব নিয়েও নাকি বিরাট একটা টিম আছে। তার নামও জবরদস্ত— আইটি সেল। আমাদের মতো চুনোপুঁটিদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক আইডি খুলেও কথা বলার অধিকার নেই, তা আবার বাড়িতে! জীবন নিয়ে কার আবার ভয় ডর নেই? আমারও আছে। তা-ও ওই যে স্বভাব! আমার ঠোঁট কাটা স্বভাবটাই দেওয়া যে অদৃশ্য পুরুষ কিংবা মহিলার, সেই দোষেই আমি মিন মিন করে বলে ফেললাম,
— কিন্তু কাঁঠালি কলার কাঁদিটা? সেটাও তো খাবে!
অমনি বাড়িতে বিস্ফোট। আপনারা নিশ্চয়ই ধনতেরাসে বাজি পটকার শব্দ শুনেছেন? নিশ্চয়ই রাবণ পোড়ানোর সময় সরকারি টাকায় হাজার হাজার চকলেট বোমার আওয়াজও শুনেছেন? নিশ্চয়ই টিভিতে ইরান, ইরাকের যুদ্ধ দেখেছেন এবং কল্পনা করেছেন বিরাট বিরাট বিল্ডিংগুলোর ধ্বসে যাওয়ার শব্দ? তার চেয়েও কয়েক লক্ষ গুণ শব্দ হল বাড়িতে। ঝনঝন শব্দে দরজা, জানলা, ল্যাকমির স্নো কৌটো থেকে গ্রিন টি-র পাউচ পর্যন্ত বিপ্লবের ধ্বনি শুনল। শুধু রান্নাঘরের হবিষ্যান্নের হাঁড়িটা মিচকে হেসে গ্যাঁট হয়ে বসে থাকল!
আরও পড়ুন: বুবি ও তেঁতুলভূতের গল্প : অমৃতা ভট্টাচার্য
আমিও ঠিট। ঠায় দাঁড়িয়ে কলার কাঁদির কথা ভাবতে লাগলাম। যা হবে হোক, বিনাশ তো একদিন হতেই হবে তা বলে 'মরার আগে মরবো না ভাই'। কলার লোভ ছাড়া যাবে না কিছুতেই। প্রলয় হুঙ্কার বাজিছে গোপনে। যাইহোক, আমি আমার পাগুলোকে স্থির থাকতে বললাম। তারপর বডিটাকে শূন্যে ছেড়ে দিয়ে মনে মনে শঙখ ঘোষ আউড়াতে লাগলাম।
লাভের লাভ হল কলা শুধু আমার পছন্দ না, জেঠিমারও। কম বেশি বাড়ির প্রত্যেকেরই পছন্দ। তাছাড়া গাছ পাকা কলা পাওয়া যায় কোথায় আজকাল! সবেতেই ভেজাল। ভেজাল থেকে মুক্ত নয় কলাও। কাঁচকলাকে পাকা কলা করে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আর যেখানে গরুর গু থেকে উটের মুত সব বিক্রি হয়ে যায় ধর্মের নামে, যেখানে কলা তো মামুলি মাত্র!
যাই হোক, কতদিন ধরে এই কলার কাঁদিটাকে আগলে রাখা হয়েছে। জেঠিমারও খুব ইচ্ছে এই কলা কাঁদিটা পাকলেই অবতার বিষ্ণুর পুজো দেওয়া হবে। সেখানে মাঝে যদি ভক্ত এসে ভাগ বসায় কী করে হবে! যদিও ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি ভগবানের চেয়ে ভক্ত বড় এবং ভক্তকে সন্তুষ্ট করা মানেই মোক্ষ! সব কিছু মানছি কিন্তু! লিচু, আম, কাঁঠাল, জাম, বেল সব ঠিক ছিল। তাছাড়া আজকাল আমার ঠাকুমার সাধের বাগানের যা অবস্থা করেছেন তিনি, দেখলেই মনে হয় রেমাল ঠিক এখান দিয়েই বাংলাদেশে গেছে। যাচ্ছেতাই!
কিন্তু কলার ক্ষেত্রে নো কম্প্রোমাইজ। তাঁর ভক্তের আবার কলাটাই প্রিয়; ফলত সমস্যা সমাধানের জন্য ধুম দুপুরবেলা জরুরি মিটিং 'বুলায়া গ্যায়া'।
স্বাভাবিকভাবেই দিবানিদ্রা গায়েব। জেঠু খিটখিটে মেজাজ আর মিটমিটে চোখ নিয়ে চেয়ারে এসে বসলেন এবং ঝিমোতে লাগলেন। জেঠিমার চোখ-ইশারার অগ্নিবর্ষণ কিছুই কাজে লাগল না। কাকু অন্য একটা চেয়ারে বসে শেয়ার মার্কেট চেক করতে লাগলেন। আর একটা চেয়ারে বোন। যেহেতু আজ সক্কাল সক্কাল প্রেমিকের সঙ্গে এক প্রস্থ হয়েই গেছে ফলে বিরহ এবং পরাজয়ের সংমিশ্রণ কাজ করছে তার চোখে মুখে। হাম ভি কম নেহি! কলা-কাঁদির জন্য পারলে জান দিতে পারি। ওই যে কথায় আছে না, 'নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী' — ওইরকম হাবভাব। বাকি রইলেন মা; কলা-কাঁদির সবল, সশক্ত অ্যান্টি-পার্টি। যাই হোক, জল কোনদিকে গড়ায় ভেবে বাবাকে একটা ফোন করা হল— কোথায় এবং কতদূরে? বাবাও তেমন। যোগবলে ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে বলে দিলেন 'দেরি হবে'। সুতরাং, নিরুপায় আমরা মিটিংকে বললাম— লেটস গো...
জেঠিমার মাথার ওপর জেঠু থাকলেও এবং তিনি আমাদের পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ হলেও আমরা সবাই জেঠিমাকে বাড়ির বড় ভাবতাম। জেঠিমা তাঁর নিজ যোগ্যতাবলে এই জায়গা অর্জন করেছেন। কথা তিনি শুরু করবেন। আমাদের সবার চোখ জেঠিমার দিকে গেল। কাকুও তাঁর শেয়ার মার্কেট থেকে চোখ সরিয়ে সম্ভ্রমের সঙ্গে বললেন,
— বৌদি...
এই সামান্য শব্দেই বোঝা গেল, আজকের সভার সভাপতি জেঠিমা। জেঠু তাঁর চোখ বন্ধই রাখলেন। খোলার প্রয়োজন বোধ করলেন না, এবং হালকা হালকা নাকডাকার শব্দ দ্বারা আমাদের বুঝিয়ে দিলেন তিনি সভায় উপস্থিত আছেন। আমার ঠোঁট কাটা মুখ কথা বলার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে জয় পরাজয় সমান মাত্রায় কাজ করছিল বলে, আমি প্রথমে অবস্থা বুঝে নিতে চাইলাম। তারপর ব্যবস্থার কথা ভাববো, ভাবলাম।
—মেজো, কলা-কাঁদিটা পাকলে সত্যপীরের পুজো দেব বলে আমি মনে মনে মানত করেছিলাম। তাছাড়া বাচ্চা-কাচ্চাদের ঘর আমাদের। কলা খেতে ভালোবাসে। সেক্ষেত্রে কলাটা বাঁচানো উচিত। বাগানে তো ফল-মূল আছেই... তেনাদের যা ইচ্ছা খান... খেয়ে যান... রাম রাজত্বে সবাই সমান মানি... আমরাও তো মানুষ... সেখানে শুধু তেনাদের আধিপত্য মানা যায় না...
জেঠিমা আবার হনুমান শব্দটা মুখে উচ্চারণ করেন না। কেননা, জেঠুর নাম হিমেন্দ্র। হিমেন্দ্র আর হনুমান কাছাকাছি বলেই তিনি 'তেনাদের' বললেন।
আমার মা সেদিক থেকে আধুনিকা এবং শিক্ষিতা। তিনি এসব কু-সংস্কারের ধার ধারেন না। আমার বাবার নাম বিশ্বেন্দ্র। তা-ও মা দিনে দশবার বিশ্ব বিশ্ব করছেন। বিশ্বে ভারতের তরতর এগিয়ে যাওয়া। বিশ্বে জনসংখ্যায় প্রথম (প্রথম শব্দের প্রতি মায়ের একটা দুর্বলতা কাজ করে)। গোমূত্র খেলে বিশ্বায়নের যুগেও কতদিন টেকা যায়? ইত্যাদি ইত্যাদি। আড়ালে এসব নিয়ে কত রকম কথা হয়! কিন্তু মা নির্লিপ্ত। বিশ্বেন্দ্রও কিছু বলেন না, ভয়ে!
কাকিমা আবার মধ্যপন্থী। কাকু শিবেন্দ্রকে তিনি মহাদেব বলে ডাকেন।
যাই হোক, জেঠিমার কথাটায় যুক্তি আছে। যদিও বাচ্চাকাচ্চাদের দল বলতে কাকে বোঝানো হল আমি ঠিক বুঝলাম না। কেননা, আমার সাতাশ এবং বোনের ছাব্বিশ। তাছাড়া ভাই দাদা সবাই বাইরে। তারা নিশ্চয়ই এই কলা-কাঁদির জন্য সতেরো হাজার ফ্লাইট খরচ করে আসবে না। কিন্তু জিততে হলে মৌন থাকা খুব জরুরি। আমি, বোন, জেঠিমা, কাকিমা সবাই মায়ের মুখের দিকে ঘুরে গেলাম। কাকু মন দিয়ে আবার ল্যাপটপে ঢুকে পড়েছে। জেঠুর নাক ডাকার শব্দ একটু বেড়েছে।
— কিন্তু বজরংবলী বাবারও তো কলা প্রিয়! সেদিকটাও তো ভাবতে হবে, দিদি!
মা কিছুদিন আগেই দল চেঞ্জ করেছেন। আগে ছিলেন মা কালীর শিষ্যা। এবং প্রতি মঙ্গলবার তিনি নিরামিষ ভোজন করতেন। কালো শাড়ি পরতেন না। লালজবা ফুল স্বর্গে ফুটলেও সেখান থেকে আমাদের এনে দিতে হত। কিন্তু যেদিন ভাইয়ের রেজাল্ট বেরোল নিটের এবং দেখা গেল যা র্যাঙ্ক তাতে কানপুর হলেও কিছুতেই ক্যালকাটা মেডিকেল হবে না, সেদিনই অনেক অনেক কান্নাকাটির পর বজরংবলীর দলে জয়েন করেছেন তিনি। ভাইও ততদিনে সাবালকত্ব লাভ করেছে। তার মাথায় ভূত নড়ে উঠল এবং সে ডাক্তারির বদলে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ দিকে ধাবিত হল। কাটাছেঁড়ার জন্য, ছুরি-কাঁচি চালানোর জন্য মা কালীর দরকার ছিল। সে যখন হলই না দলে থেকে লাভ নাই। তাছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং মানে তোপ-তোড়ফোড়ের কাজ। সুতরাং বজরংবলী সহায়। যাই হোক, মায়ের মুখে বজরংবলী নাম শুনে জেঠিমাও খুশি হয়ে গেলেন। আমার শিক্ষিতা মা যে হিমেন্দ্র জেঠুর সামনে, তিনি যতই ঘুমন্ত অবস্থায় থাকুন না কেন, হনুমান বলে ফেলেনি, এটাই তো বজরংবলীর কৃপা!
এবার কাকিমার পালা। তারপর আমার চান্স। কাকিমা চুপচাপ বসে ছিলেন এতক্ষণ, এবং কাকুর উল্লাসের অপেক্ষা করছিলেন। উল্লাসধ্বনির উপরে তাঁর বক্তব্য নির্ভর করছে। তিনি কাউকে চটাতে চান না। শেয়ার মার্কেটে জিতে গেলে তা-ও না হয় কলা নিয়ে লড়া যায় কিন্তু সামান্য কলার জন্য ঠাকুর দেবতাকে রাগিয়ে তো লাভ নাই। তিনি টিভিতে দেখছেন, হনুমান কেমন শক্তিমান! সুতরাং তিনি কিছু না বলে আমাকে বলার জন্য চান্স দিয়ে দিলেন।
আগেই বলেছি, আমি ঠোঁট কাটা। গাড়ি চালাচ্ছিলাম আমি। পেছন দিকে ধাক্কা দিয়েছিল এক বাইকবালা। নিজের হেলমেট না পরার ফি বাঁচাতে গিয়ে মারবি তো মার আমাকেই? স্টিয়ারিং-এ মুখ থুবড়ে পড়লাম আমি। ঝরঝর রুধির শোণিত ধারা। সেই ফাঁকে বাইকবালা গায়েব। পুলিশ আমাকে নিয়ে ব্যস্ত। সামনে দিয়ে যাচ্ছিল এক আইসক্রিমওয়ালা। আমাকে একটা আইসক্রিম খাইয়ে দিয়ে পুলিশ তাদের কর্তব্য খতম করে ফেললো। আর আমি চিরজীবনের জন্য কাটা ঠোঁট নিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম। সেদিন থেকেই ঠোঁট কাটা। সমাজ যা দিয়েছে, নিয়েছি। দোষ আমার নয়!
আরও পড়ুন:লুকিয়ে থাকা রুটম্যাপ: সুমিত বন্দ্যোপাধ্যায়
যাই হোক, আমি বেশ দৃঢ় স্বরে, ছাপান্ন ইঞ্চি কল্পনা করে বললাম,
— কে কী খাচ্ছে, খাবে, আমার দেখার দরকার নেই, কলা গাছ লাগানো হয়েছিল আমাদের কলা খাওয়ার কথা ভেবেই। হনুমানের কাছ থেকে কলা রক্ষা করতে হিমেন্দ্রবাবু মশারি জড়িয়ে রেখেছেন এতদিন। তাঁরও তো একটা সম্মান আছে। মান-মর্যাদা আছে! সুতরাং, আমরা কলা গাছেরই কলা খাব!
আমার কন্ঠস্বর শুনে জেঠুর নাক ডাকা থেমে গেলেও চোখ যেমন বন্ধ ছিল, তেমনই থাকলো। কাকু ল্যাপটপটা একটু সরিয়ে রাখলেন। জেঠিমা ঘাড় নেড়ে এবং একটা আঙুল তুলে কিছু বলতে চাইছিলেন কিন্তু ঠিকঠাক ভাষা না খুঁজে পাওয়ায় চুপ থেকে গেলেন। বোনের মুখ থেকে জাস্ট,
— ভাল্লাগে না...ধুস!
এবং বেরিয়ে গেলো।
মা আমার দিকে কটমট চোখে তাকালেন। মনে-মনে মনে করার চেষ্টা করলেন ভস্ম করার কিছু টিপস । কিন্তু আমিও তার বেটি! ডরনেওয়ালি নহি। তাছাড়া দল ভারী তো আমারই। যতই হেরে যাই না কেন! জোট তো জোট-ই। জেঠু, কাকুকে বাগে আনতে দু'মিনিট সময় লাগবে না আমার। জেঠুর সিগারেটের প্যাকেটের খবর আর কাকুর অফিস থেকে দেরিতে ফেরার কারণ দু'টোই আমার করায়ত্ত! ফলে আর কী!
বাকি বাবা! কিন্তু তাতে তো আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া যায় না!
আমার কথার পরে, ঘরে এখুনি একটা প্রলয় উত্থাপন হবে ভেবে সবাই শ্বাসরুদ্ধ করে বসে আছেন।
এমন সময় ঝরঝর শ্রাবণের ধারার মতো কাকিমা একবার কাকুর ল্যাপটপ স্ক্রিনের অনিশ্চিত অবস্থার দিকে, একবার বাদবাকি সদস্যদের দিকে তাকিয়ে মিনমিনে গলায় বললেন,
— উপরের দিকের কিছু কলা কেটে আনা হোক, কয়েকটি ফলা ছেড়ে দেওয়া হোক। তাতে বাড়িরও হলো... বজরংয়েরও হল...
'বলী' শব্দটা তিনি ইচ্ছে করেই ছেড়ে গেলেন কী না, বোঝা গেল না।