এত বড় পরাজয় আগে একবারই দেখেছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব

RJD Faces Its Second Worst Defeat: এনডিএ-র বিশাল জয় নীতীশকে ক্ষমতায় আনে, সেবার আরজেডি মাত্র ৫৫টি আসন ধরে রাখতে পেরেছিল। সে সময় তেজস্বী যাদবের মা রাবড়ী দেবী মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আরজেডির যাদব ভোটে কার্যত ধস নামে।

বিহারে ভোটগণনা শুরু হতেই বোঝা গিয়েছিল হাওয়া কোনদিকে। বেলা যত গড়াচ্ছে প্রধান বিরোধী দল আরজেডি-কে ক্রমেই ধরাশায়ী দেখাচ্ছে।

তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি এবার ১৪৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। বেলা একটার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩২টি আসনে তারা এগিয়ে রয়েছে। খুব বড় পরিবর্তন আর সম্ভব নয়, কাজেই এই ফল আরজেডির জন্য এক বড় ধাক্কা হতে চলেছে। কে বলবে এই দলটিই ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে একক সর্ববৃহৎ দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিল।

ইতিহাস বলছে ২০২৫ নির্বাচনের ফলাফল বিহারে আরজেডি-র দ্বিতীয় সর্বনিম্ন পারফরম্যান্স হতে চলেছে।
২০০৫ সালে নীতীশ কুমার বিহারে ক্ষমতায় আসেন। এনডিএ-র বিশাল জয় নীতীশকে ক্ষমতায় আনে, সেবার আরজেডি মাত্র ৫৫টি আসন ধরে রাখতে পেরেছিল। সে সময় তেজস্বী যাদবের মা রাবড়ী দেবী মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আরজেডির যাদব ভোটে কার্যত ধস নামে।

আরও পড়ুন

দাগ কাটতে পারল প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ?

সুযোগ বুঝে নীতীশ কুমার বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে বিশাল জয় লাভ করেন। আরজেডির আরও খারাপ পারফরম্যান্স হয়েছিল পরবর্তী নির্বাচনে, ২০১০ সালে, যখন তারা মাত্র ২২টি আসন পেয়েছিল। নীতীশকে সে সময় সুশাসনবাবু বলে চিনত বিহার।

কুড়ি বছর কেটে গিয়েছে। বহু ঘাটের জল খাওয়া নীতীশ আজ পল্টুরাম। প্রশ্ন উঠছে ,তাঁর শারীরিক মানসিক স্থিতি নিয়ে। কিন্তু জয়ের অভ্যেসে এখনও তিনি অবিচল।

অন্যদিকে, ৩৬ বছর বয়সে তেজস্বী যাদব দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। লালুপ্রসাদ যাদব ১৯৯৭ সালে আরজেডি প্রতিষ্ঠা করেন, আরজেডি বিহারের প্রধান দল হয়ে ওঠে। সেই দল কী ভাবে জমি হারাল, তা সত্যিই গবেষণার বিষয়। এসআইআর-এ বাদ পড়েছে বহু মহিলা ভোটারের নাম। অনেকে সেদিকটাও চিহ্নিত করছে।

More Articles