দাগ কাটতে পারল প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ?

Prashant Kishor Bihar election: জন সুরজকে এই নির্বাচনে ‘এক্স ফ্যাক্টর’ হিসেবে দেখা হচ্ছিল কারণ চাণক্যের আসনে ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। বড় বড় নির্বাচন জয়ের ঈর্ষণীয় রেকর্ড রয়েছে।

ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ অভিষেকেই ব্যর্থ হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল এক্সিট পোলগুলি৷ শুক্রবার সকালে বিহার নির্বাচনের ভোট গণনা বলছে পুরোপুরি ব্যর্থ নন পিকে, তবে যে ঢক্কানিনাদ তিনি প্রাক-নির্বাচন পর্বে তিনি শুরু করেছিলেন তা আজ অনেকটাই ম্লান। প্রাথমিক লিডে জন সুরজ মাত্র দু'টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। জন সুরজ বিহারের ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২৩৮টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

ইতোমধ্যেই শাসক জোট— ভারতীয় জনতা পার্টি এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের নেতৃত্বাধীন, এবং চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টির মতো ছোট জোটসঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথম থেকেই এগিয়ে গিয়েছে, মিলেছে এক্সিট ভবিষ্যদ্বাণী।

আসলে সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে, গণনা শুরুর এক ঘণ্টারও কিছু বেশি সময়ের মধ্যে বিজেপি-জেডিইউ জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতার ১২২ আসনের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে এবং ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ ১৫০ আসনের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে।

এবার এক্সিট পোলগুলো কিশোরের জন সুরজকে নাকচ করে দিয়েছিল। এনডিটিভির এক্সিট পোলে পিকের দল মাত্র একটি আসন পেতে পারে বলা হয়েছিল।

যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, জেতা হারা আসন দখল পেরিয়েও প্রশান্ত কিশোরের অনিবার্য ভূমিকা থাকবে এইব নির্বাচনে। দেখতে হবে তারা কত শতাংশ ভোট পেলেন এবং কাদের ঘরে সিঁদ কাটলেন। বিশেষ করে যদি বিরোধী মহাগঠবন্ধনের ভোটে থাবা বসায় পিকে, তা নতুন মূল্যায়নের পথ খুলে দেবেন। 

আরও পড়ুন

বিহারে নীতীশ: কংগ্রেসই ‘মহাগঠবন্ধন’কে টেনে নামাচ্ছে?

একটি এক্সিট পোল, পিপলস পালস, ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল জন সুরজ প্রায় ১০ শতাংশ ভোট তুলে নিতে পারে। এই অঙ্ক কিন্তু কংগ্রেসের চেয়েও বেশি— এবং নির্বাচনী অভিষেকে যাওয়া কোনো দলের জন্য স্বস্তিজনক ফল বলা চলে। যদিও পিকের দল যে দাবি করেছিল তার তুলনায় কিছুই নয়। পিপলস পালস এনডিএ-কে ৪৬.২ শতাংশ এবং বিরোধীদের ৩৭.৯ শতাংশ ভোটের পূর্বাভাস দিয়েছিল।

জন সুরজকে এই নির্বাচনে ‘এক্স ফ্যাক্টর’ হিসেবে দেখা হচ্ছিল কারণ প্রশান্ত কিশোরের অন্তত তিনবার বড় বড় নির্বাচনী জয়ের ঈর্ষণীয় রেকর্ড রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মোদি এমনকী নীতিশেরও জয়ের নেপথ্য কারিগর তিনি।

২০১৫-এ বিহারে নীতীশ কুমারের জন্য, ২০১৯-এ অন্ধ্রপ্রদেশে জগন মোহন রেড্ডি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের জন্য, এবং ২০২১-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য ময়দানে নেমে অভাবনীয় সাফল্য এনে দিয়েছিলেন পিকে।

পিকের দাবি ছিল, তাঁর দল বিহারে হয় অভাবনীয় জয় পাবে অথবা ধস নামবে।

বিহারে দু’দফায় ভোট হয়েছে ৬ ও ১১ নভেম্বর। আর ১৪ নভেম্বর ফল ঘোষণা হচ্ছে।

More Articles