আনসার-পড়ুয়া সংঘর্ষে ফের অশান্ত বাংলাদেশ! আনসার বাহিনী কারা? কী-ই বা দাবি তাদের?
Bangladesh Unrest: চাকরি স্থায়ী করার দাবি নিয়েই এবার রাজপথে নেমেছে সাধারণ ও অঙ্গীভূত আনসারের সদস্যরা। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ১৩ দিন পর গত ২১ আগস্ট তারা বিক্ষোভ শুরু করে।
সদ্য সরকার বদল হয়েছে বাংলাদেশে। পড়ুয়াদের সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন দিয়ে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তা শেষপর্যন্ত দেশের সরকারকে নড়িয়ে ছেড়েছে। দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে ক্ষমতায় এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যার নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। তবে এত কিছুর পরেও শান্তি ফিরল না বাংলাদেশে। একে বন্যায় জেরবার বাংলাদেশের বিরাট অংশ। তার মধ্যেই ফের ছাত্রদের সঙ্গে আনসার বাহিনীর সংঘর্ষে রবিবার নতুন করে উত্তপ্ত হল রাজধানী ঢাকা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো' জানাচ্ছে, রবিবার পড়ুয়াদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হওয়ার খবর মেলে। তাদের প্রত্যেককেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় রবিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ। একে অপরের দিকে তেড়ে যায় দুই পক্ষই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হস্টেল থেকে বেরিয়ে আসেন পড়ুয়ারা। তার পর তাঁরা সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হন। বেশ কিছু ক্ষণ দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে পুলিশ। পরে সেনাবাহিনীও নামানো হয়। স্থানীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ আনসারের সদস্যেরা পিছু হটতে শুরু করলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে সংঘর্ষে দু’পক্ষের অনেকেই আহত হন। কারও ফেটেছে মাথা, তো কারও চোট লেগেছে হাতে-পায়ে।
সরকারি চাকরি থেকে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সংরক্ষণ সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে দিন কয়েক আগেই রাস্তায় নেমেছিল বাংলাদেশ। সেই আন্দোলন তীব্রতর হয়ে উঠতে সময় লাগেনি। এবার চাকরি সরকারি করার দাবিতে গত দু'দিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছে সে দেশের আনসার বাহিনী। কারা এই আনসার বাহিনী? ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠা হয় এই আনসার বাহিনী। ওই বছরই জুন মাসে তৎকালীন পূর্ববাংলার আইন পরিষদে আনসার অ্যাক্ট অনুমোদন পায়। তখন থেকেই ঢাকার শাহবাগে এই বাহিনীর প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাক যুদ্ধ লাগলে দেশের সীমান্তের ফাঁড়িগুলিতে প্রকিরক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই আনসার বাহিনীকে। এই আনসারবাহিনীর প্রথম প্রধান ছিলেন ব্রিটিশ কর্মকর্তা জেমস বুকানন। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান আটকানোর কাজে, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোখার মতো বিষয়গুলি নজর রাখতে মোতায়েন করা হত আনসার বাহিনীকে। তার পর থেকে খুব দ্রুত বাড়তে থাকে এই আনসারবাহিনীর সদস্য সংখ্যা। ১৯৪৯ সালের প্রথম দিকে ১ লক্ষ ১৮ হাজার মতো আনসার ছিল। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় এই আনসার বাহিনী ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষে। এমনকী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের একাধিক সীমান্ত এলাকায় মোতায়েনও করা হয়েছিল এদের।
আরও পড়ুন: নতুন বাংলাদেশ চলুক ছাত্রদের চেতনাতেই, দেশে ফিরে বার্তা নোবেলজয়ী ইউনূসের
বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্দের সময় ৪০ হাজার আনসার বাংলাদেশ বহিনীকে যোগদান করেন। এমনকী সেদেশে প্রথম অস্থায়ী সরকার এর শপথ গ্রহণ করার পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনারও দিয়েছিল আনসার বাহিনীর সদস্যেরা। যার ফলস্বরূপ আনসারদের ভেঙে দেয় পাকিস্তান সরকার। প্রায় ৪০ হাজার রাইফেল নিয়ে আনসার সদস্যরা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। যুদ্ধে আনসার বাহিনীর ৯ জন কর্মকর্তা, ৪ জন কর্মী ও ৬৫৭ জন আনসার-সহ প্রায় ৬৭০ জন মারা যান। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ঢাকার অদূরে সাভারে আনসার বাহিনীর প্রশিক্ষণ চলত। ১৯৭৬ সালে গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (ভিডিপি) ও ১৯৮০ সালে শহর প্রতিরক্ষা দলের (টিডিপি) জন্ম হয়েছিল। পরবর্কালে সময়ে এই দু'টি বাহিনীকেই আনসার বাহিনীতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালে গাজীপুর জেলার সফিপুরে তৈরি হয় আনসার বাহিনীর জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ১৯৮৩ সালে এর নামকরণ হয় আনসার ট্রেনিং স্কুল। যা আবার ১৯৮৬ সালে আনসার অ্য়াকাডেমি হিসেবে পরিচিক হতে থাকে। ১৯৯৫ সালে ফের বদলালো নামে। এবার ওই প্রতিষ্ঠানের নাম রাখা হল আনসার-ভিডিপি অ্যাকাডেমি। ১৯৯৫ সালের আনসার বাহিনী আইন এবং ১৯৯৫ সালের ব্যাটালিয়ন আনসার আইন অনুসারেই এই আনসার বাহিনী এখনও বাংলাদেশে কাজ করে চলেছে এবং সেই আইন অনুযায়ী, আনসার বাহিনী বাংলাদেশের একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীও বটে।
আনসার বাহিনীতে মূলত দুই ধরনের আনসার থাকে- ১. সাধারণ আনসার, ২. অঙ্গীভূত আনসার। সাধারণ আনসার স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে থাকে। জাতীয় দুর্যোগ বা সংকট মুহূর্তে তারা দায়িত্ব পালন করে থাকে। অঙ্গীভূত আনসার কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের অনুরোধে সেখানে নিরাপত্তামূলক ও আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করে। আনসার বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হয়। তবে প্রশিক্ষণ নিলেই যে চাকরি হবে, সেই নিশ্চয়তা নেই। মূলত স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে বাহিনীর পক্ষ থেকে একটা কার্ড দেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদার ভিত্তিতে সেই কার্ডধারীদের কাজে পাঠানো হয়। তারা তখন দৈনিক চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কেপিআই বা গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় অঙ্গীভূত হয়ে সেসব স্থানের নিরাপত্তা পালনের দায়িত্ব পালনের এই মেয়াদ হয় একটানা ৩ বছর। দৈনিক ৫৪০ টাকা চুক্তিতে কাজ করে তারা। আর বাহিনীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মাধ্যমে তাদের জন্য রেশন দেওয়া হয়। সাধারণ ও অঙ্গীভূত আনসারদের মধ্য থেকে ব্যাটালিয়ন আনসারে নিয়োগ হয়। ব্যাটালিয়ন আনসারদের জন্য রয়েছে আলাদা আইন। তাদের চাকরির নিয়োগ স্থায়ী হয়। যেখানে অন্য আনসারদের চাকরি অস্থায়ী।
চাকরি স্থায়ী করার দাবি নিয়েই এবার রাজপথে নেমেছে সাধারণ ও অঙ্গীভূত আনসারের সদস্যরা। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ১৩ দিন পর গত ২১ আগস্ট তারা বিক্ষোভ শুরু করে। রবিবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আনসার সদস্যরা এসে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। তারা সড়ক আটকে দেয়। বিক্ষুব্ধদের দাবি, দৈনিক ভাতার ভিত্তিতে তারা আর কাজ করতে চায় না। ‘রেস্টে’ না রেখে তাদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে। দেশে আনসার বাহিনীর সদস্য প্রায় ৭০ হাজার। এরমধ্যে ৫৪ হাজার ৬৫১ জন অঙ্গীভূত সদস্য হিসাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা দিচ্ছে। বাকি ১৪ হাজারে বেশি থাকছে ‘রেস্ট’ এ। ‘রেস্টে’ থাকার অর্থ হলো তার কাজ নেই। কোনও প্রতিষ্ঠানের নতুন চাহিদা পেলে কিংবা আগে দায়িত্বরতদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ‘রেস্টে’ থাকা আনসার সদস্যদের কাজের সুযোগ হয়।এই অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পেতেই চাকরি স্থায়ী করার দাবি, বলছেন বিক্ষোভে নামা আনসার সদস্যরা। তাদের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, আশ্বাস দেওয়ার পরেও দাবি মানা হয়নি।
রবিবার দুপুর থেকে আনসার সদস্যেরা সচিবালয়ের বিভিন্ন গেটের বাইরে বিক্ষোভ-অবস্থান শুরু করেন। চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে শনিবার থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করছিল আনসার সদস্যরা। রবিবার দুপুরে তারা সচিবালয়ের বিভিন্ন ফটকে অবস্থান নেয়। কয়েক হাজার আনসার সদস্যের অবস্থানের কারণে সচিবালয়ে কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারছিল না। পরে বেলা ৩টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে কথা বলে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে যায়। ওই বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আনসার বাহিনীতে ‘রেস্ট প্রথা’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের অন্যসব দাবি পর্যালোচনা করতে একটি কমিটিও হবে। তবে বিক্ষোভরত আনসার সদস্যরা আশ্বাসে আশ্বস্ত না হয়ে এবিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির দাবি তুলে সচিবালয় অবরোধ করে রাখে।
এই অবস্থায় রাত পৌনে ৮টার দিকে সচিবালয়ে পাঁচজন উপদেষ্টার সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আনসার বাহিনীর কয়েকজন প্রতিনিধিও সেখানে যোগ দেয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এই বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, তথ্য, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যুব, ক্রীড়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়াও সেখানে ছিলেন। নাহিদ ও সজীব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক থেকে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের অবস্থানের ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সচিবালয়ের কাজ থমকে যায়। সচিবালয়ের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেন না অনেকেই। যাঁরা ভিতরে ছিলেন তাঁরা আটকে পড়েন। রাত যত বাড়তে থাকে, উত্তেজনা ততই ছড়াতে থাকে। একটা সময় খবর ছড়ায়, সচিবালয়ের মধ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাদিম ইসলাম আটকে রয়েছেন। তিনি ছাড়াও আরও কয়েক জন সমন্বয়কও সচিবালয়ে আটকে পড়েন। সেই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই পড়ুয়ারা দলে দলে বেরিয়ে আসেন। জড়ো হন সচিবালয়ের সামনে। তার পরই আনসার সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্ভয়ে থাকুন, মানববন্ধনে যে বার্তা দিলেন আন্দোলনকারীরা
রাত দশটা পর্যন্ত দু-পক্ষের সংঘর্ষের পর সেনা বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। উপদেষ্টাদের নিরাপদে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা হয়। সংঘর্ষে আহত উপদেষ্টা হাসনাত আবদুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর এক সংবাদদাতাও জখম হন বলে খবর। এদিকে, রবিবারের ওই হামলায় আনসার বাহিনীর অন্তত ৬ সদস্য জখম হন বলে খবর। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। রবিবার দিনভর সচিবালয় ঘেরাও ও শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনার পর বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ে বড় রদবদল করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। বাহিনীর উপমহাপরিচালক (ডিডিজি) পদমর্যাদার ৯ জন এবং পরিচালক পদমর্যাদার ১০ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিচার করে বাংলাদেশ সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের আশেপাশে মিছিল-মিটিং ও জমায়েত নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন (যমুনা)-র আশেপাশের এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এখনও পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে ওই এলাকায়। এরই মধ্যে আবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কিছুটা সময় লাগবে। এজন্য তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান। সরকারের মেয়াদ জনগণের হাতে বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচন কবে হবে সে বিষয়েও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রবিবার যে বিক্ষোভের ছবি ফের দেখেছে বাংলাদেশ, তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।