পাক ক্রিকেটারের হারিয়ে যাওয়া ভাইকে খুঁজে দিয়েছিল বিশ্বকাপই
World Cup Cricket Nostalgia : ১৯৯৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। অভিশপ্ত সেই দিনে মেহরাব হোসেনের ব্যাট থেকে ছিটকে আসা বল রমন লাম্বার জীবনদীপ নিভিয়ে দিয়েছিল।
বিশ্বকাপ কি কেবল বিরাট কোহলি, সচিন তেণ্ডুলকরদেরই পরীক্ষা নেয়? তারকাদেরই কেবল নিংড়ে নেয় এই মেগাইভেন্ট? ক্রিকেটের বিশ্বযুদ্ধে উপস্থিত থেকে উপলব্ধি করেছি, একজন সাংবাদিককেও অগ্নিপরীক্ষায় বসতে হয়। এমন সব বাউন্সার-বিমার ধেয়ে আসে, যা খেলা রীতিমতো কঠিন হয়ে পড়ে।
বিশ্বকাপ নামের মহাযজ্ঞের পুরোহিত সাংবাদিকরাই। ব্যাট ও বলের এই মহাদ্বৈরথ মহাতারকা বানিয়ে দিতে পারে একজন সাংবাদিককেও। অভিজ্ঞতার অমৃতকুম্ভে পূণ্যস্নান করে আরও পরিণত হয়ে ওঠেন তিনি। বিশ্বকাপের অলিগলিতে যে লুকিয়ে আছে কত গুপ্তধন, তার ইয়ত্তা নেই। তা থেকে আহরণ করা মণিমানিক্য একজন কলমচির জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে। সেই সম্পদ একজন সাংবাদিকের সারাজীবনের সঞ্চয়।
বিশ্বকাপ আসলে মহোৎসব। চার বছর বাদে আসে একবার। সেই কারণেই এই উৎসব নিয়ে পাগলপারা এক অনুভূতি কাজ করে। প্রতিটি উৎসবের মতোই বিশ্বকাপ রেখে যায় অনেক স্মৃতি, তর্পণের যাবতীয় উপকরণ। থেকে যায় বিষাদ। কিছু মনখারাপ। মাঠের মধ্যে মহাতারকারা অপার্থিব সব মুহূর্তের জন্ম দেন, তেমনই প্রতি মিনিটে উত্তুঙ্গ চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে সাংবাদিকদের জন্য। তাঁদের কিবোর্ডের ঠকঠকানি যেন রাজসূয় যজ্ঞের নিঃশব্দ মন্ত্রোচ্চারণ।
ম্যাচ যত ক্লাইম্যাক্সের দিকে এগোয়, রান আর বল সংখ্যার হিসেব যখন সেকেন্ডে সেকেন্ডে বদলাতে শুরু করে, প্রেস বক্সে তখন দ্রিমি দ্রিমি বুক নিয়ে অপেক্ষা করেন সাংবাদিকরা। সময়ের মধ্যে ম্যাচ-কপি ধরানো, এক্সক্লুসিভ খবরের পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হয় কলমচির দলকে।
মহাতারকা ক্রিকেটাররা যখন মাঠের খেলা শেষ করেন, ঠিক সেই সময়েই আসল 'ম্যাচ' শুরু হয়ে যায় অন্যত্র। ডেডলাইন, একান্ত নিজস্ব সংবাদ, বাইলাইন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সাংবাদিকরা। খেলোয়াড়, দর্শক, সাংবাদিক মিলে বৃহত্তর জগতের যে রোমাঞ্চ তৈরি হয়, তাকে উপেক্ষা করে কার সাধ্যি!
বিশ্বকাপ দারুণ এক মিলনমেলাও বটে। মিলনান্তক দৃশ্যের জন্ম দিয়ে যায় এই মেগা ইভেন্টে। চলতি বিশ্বকাপের পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ চলাকালীনই পাকিস্তান থেকে ফোন করলেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার বাসিত আলি। জিজ্ঞাসা করলেন, ''রশিদ লতিফের ভাই কি ইডেন গার্ডেন্সে এসেছেন? এলে আমাকে জানাবেন?''
আরও পড়ুন- বল পড়ে, টাকা ওড়ে || বেটিং অ্যাপ যেভাবে বদলে দিল ক্রিকেট-দর্শন
পাকিস্তানের প্রাক্তন উইকেট কিপার রশিদ লতিফের ভাই ইডেনে আসেননি। তিনি এখন কোথায় থাকেন, সেই খবর আমার জানা নেই। তবে এরকমই এক বিশ্বকাপে রশিদ লতিফ ও তাঁর ভাই শাহিদের সাক্ষাৎ হয়েছিল। দুই ভাইকে জড়িয়ে রেখেছে মনকেমনের এক গল্প।
রশিদ লতিফ একসময়ে পাক-দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে তাঁর ছবি পাওয়া যায়। কিন্তু তাঁর সৎ ভাই শাহিদের ছবি পাওয়া যায় না গুগলে। থাকলেও চেনা সম্ভব নয়। ইংরেজি দৈনিক স্টেটসম্যানের এক প্রাক্তন কর্মী একবার বলেছিলেন, শাহিদ উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে চলে এসেছিলেন কলকাতায়। পরে স্টেটসম্যানে কাজ নেন। থাকতেন এই শহরেই।
কিন্তু কীভাবে তিনি উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে কলকাতা এলেন, রশিদ লতিফের সঙ্গে ছেলেবেলায় খেলাধুলো করেছেন কিনা, তা অজ্ঞাতই রয়ে গিয়েছে। এই ধূসর এলাকায় আলো ফেলতে পারতেন রশিদ লতিফ স্বয়ং এবং তাঁর ভাই। কিন্তু দু'জনের কারওর সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারিনি।
'প্রত্নতাত্বিক গবেষণা' করে মর্মস্পর্শী এক স্টোরি লেখার অনন্ত ইচ্ছায় পাক-মুলুকের এক নামী ক্রিকেট সাংবাদিকের কাছে আবদার করে বসেছিলাম। সেই সাংবাদিকের সঙ্গে রশিদ লতিফের সম্পর্ক বেশ ভাল। একাধিকবার অনুরোধের পরও বরফ গলেনি। সেই সাংবাদিক রশিদ লতিফের কাছে প্রসঙ্গ উত্থাপনও করেছিলেন। কিন্তু প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার সেসব শুনেই পত্রপাঠ নাকচ করে দেন।
জনশ্রুতি বলে, সংবাদকর্মী ছিলেন না শাহিদ। প্রিন্টিং বা এরকমই কিছু একটা বিভাগের সামান্য এক কর্মী ছিলেন। কর্মস্থলে তিনি নাকি প্রায়ই রশিদ লতিফের কথা বলতেন। শাহিদের সতীর্থরা প্রথমটায় বিশ্বাস করেননি।
১৯৯৬ বিশ্বকাপের সময়ে কলকাতা বিমানবন্দরে রশিদ লতিফ তাঁর হারিয়ে যাওয়া ভাইকে দেখে জড়িয়ে ধরেছিলেন। স্টেটসম্যান হাউজে রশিদ লতিফকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। প্রাক্তন পাক তারকা সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে স্টেটসম্যানের দপ্তরে গিয়েছিলেন। কাঁটাতারের বেড়া একসময়ে দুই ভাইকে আলাদা করে রেখেছিল। বিশ্বকাপ মিলিয়ে দিয়েছিল দুই ভাইকে।
চার বছর আগের এক বিশ্বকাপ চলাকালীন মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প বলেছিলেন বাসিত। তিনি বলছিলেন, ''অনেকেই জানেন না, কপিল পাজির বাবা আর আমার বাবা আগে হরিয়ানায় এক মহল্লায় থাকতেন। পড়তেন একই স্কুলে। দু’জনে একসঙ্গে কত ভলিবল খেলেছেন! দেশভাগের ফলে দুই বন্ধুর দেশ বদলে যায়। কিন্তু দু’জনের ভালবাসায় চিড় ধরেনি।''
এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে কিছুক্ষণের জন্য থামেন বাসিত। তারপরে পুরনো দিনে ফিরে গিয়ে বলতে শুরু করেন, ''পাকিস্তান সফরে এসে কপিল পাজি আমাদের করাচির বাড়িতে এসেছিলেন। তখন আমি খুব ছোট। আমার বাবার জন্য হাতে করে কোলাপুরি জুতো আর কুর্তা এনেছিলেন কপিল পাজি। ওঁর বাবাই জিনিসগুলো পাঠিয়েছিলেন আমার বাবার জন্য।'' সেই কুর্তা পরে প্রতি শুক্রবার নমাজ পড়তে যেতেন বাসিতের বাবা।
আরও পড়ুন- বাইশ গজে শোয়েব আখতারও ভয় পেতেন তাঁকে, আজও ভারতীয় ক্রিকেটের ভরসার ‘দেওয়াল’ রাহুল দ্রাবিড়
বিশ্বকাপ খুঁজে দেয় হারিয়ে যাওয়া কোনও প্রতিভাকেও। এক যুগ আগে বিশ্বকাপ কভার করতে বাংলাদেশে গিয়ে জানতে পেরেছিলাম এক প্রতিশ্রুতিমান তারকার হারিয়ে যাওয়ার গল্প। তিনি রোদ্দুর হতে চেয়েছিলেন। রেকর্ড বইয়ের পাতায় তিনি রয়ে গিয়েছেন এভাবে- ‘সদাগোপান রমেশ বোল্ড রঞ্জন দাস ৫৮।’
এই পরিসংখ্যানটুকু বাদ দিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁকে চেনার, জানার আর কোনও উপায় নেই। কী করেই বা থাকবে! সেই ২০০০ সালের ১০ নভেম্বরের ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট ম্যাচটাই যে তাঁর জীবনের প্রথম এবং শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তিনি বিকাশরঞ্জন দাস। বিকাশ নামের অস্তিত্ব এখন আর নেই। সে দিনের বিকাশরঞ্জন দাস ব্যক্তিগত বিশ্বাসে বদলে ফেলেছেন ধর্ম। হয়ে গিয়েছেন মাহমুদুল হাসান। ক্রিকেটারের পরিবর্তে এখন তিনি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার।
দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে এসেছিলেন রঞ্জন। ১৮ বছর বয়সে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে। সেটা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক ঐতিহাসিক দিন। নাবালকত্ব ছেড়ে সাবালকত্বের পথে পা বাড়িয়েছিল পদ্মাপাড়ের ক্রিকেট। অনেকেই তখন বলেছিলেন, লম্বা দৌড়ের মশলা রয়েছে বিকাশের মধ্যে। ঠিকঠাক রাস্তা ধরে এগোলে বাঁ হাতি পেসার সৌরভ ছড়াতেই পারতেন সে দেশের ক্রিকেটে। কিন্তু যা ভাবা হয়, তা সব সময় মেলে না। ফুল হয়ে ফোটার আগেই ঝরে যেতে হয় বিকাশকে।
বিশ্বকাপ জন্ম দেয় ছোট ছোট দৃশ্যের। সেগুলো দিয়েই মালা গাঁথা যায়। মীরপুর স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখেছিলাম 'ক্যারিবিয়ান দৈত্য' ক্রিস গেইল খালি গায়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করছেন। সামনে থেকে ওরকম উচ্চনাদ শুনে প্রথমটায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। বিশ্বকাপ কভার করতে আসা এক বর্ষীয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ''ভয় ধরানো ওরকম চিৎকার করে গেইল নিজেকে উত্তেজিত করে।''
২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইডেন গার্ডেন্সের ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ চলে গিয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকে দেখেছিলাম জাভাগল শ্রীনাথ, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, রাহুল দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলেরা হন্তদন্ত হয়ে এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করছেন। সুষ্ঠুভাবে ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পড়েছে তাঁদের উপর। ভালো স্টোরির খোঁজে আমি এবং কলকাতার আর এক তরুণ সাংবাদিক শ্রীনাথের শরণাপন্ন হলাম। অনেকক্ষণ ধরে শ্রীনাথকে বোঝানোর পরে ভারতের একসময়ের তারকা বোলার শর্ত দিলেন, তিনি আমাদের সাহায্য করবেন। কিন্তু আমাদের একটি শব্দও খরচ করা চলবে না। যা হবে তা নীরব দর্শক হিসেবেই দেখতে হবে। শ্রীনাথ বললেন, ''আমার পিছন পিছন এসো তোমরা।''
আমরাও শ্রীনাথকে অন্ধভাবে অনুসরণ করলাম। একটা ঘরের ভিতরে ঢুকে শ্রীনাথ আমাদের ইশারা করলেন ভিতরে আসার জন্য। আমি আর সেই বন্ধু সাংবাদিক শ্রীনাথের কথামতো সেই ঘরে ঢুকেই অবাক হয়ে যাই। সামনে বসে রয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। এদিকে শ্রীনাথ ও দ্রাবিড় নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছেন। শ্রীনাথ হঠাৎ 'মিস্টার ডিপেন্ডেবল'-কে অবাক করে ২০০৭ বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ টানলেন। দ্রাবিড়ও প্রথমটায় অবাক হয়ে যান। তারপর স্মৃতির পাতা উল্টে দু-চার কথা বলেও ফেললেন। দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারের কথোপকথনের সাক্ষী ছিল কলকাতার দুই তরুণ সাংবাদিক।
আরও পড়ুন- রঙিলা আইপিএল এবং ভারতীয় ক্রিকেটের বৃষোৎসর্গ শ্রাদ্ধ
বিশ্বকাপ আবার মনকেমনের ডায়রির পাতাও ওল্টায়। চোখে জল আনে। বাংলাদেশের প্রাক্তন উইকেট কিপার খালেদ মাসুদ চোখের জলে রমন লাম্বার স্মৃতিতর্পণ করেছিলেন এই প্রতিবেদকের কাছেই। খালেদ মাসুদ ফিরে গিয়েছিলেন ১৯৯৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারিতে। অভিশপ্ত সেই দিনে মেহরাব হোসেনের ব্যাট থেকে ছিটকে আসা বল রমন লাম্বার জীবনদীপ নিভিয়ে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচ বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক খালেদ মাসুদের বুকে ঝড় তোলে, চোখের কোল করে তোলে ভারী। লাম্বার দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। খালেদ বলেছিলেন, ‘‘আমাদের কথা শুনে হেলমেট পরলে দাদাকে (রমন লাম্বা) এভাবে চলে যেতে হতো না।’’
কী হয়েছিল সেদিন? ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ঘরোয়া লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী ক্রীড়াচক্র ও ঢাকা মহামেডান স্পোর্টিং। গ্যালারিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। স্মৃতির পাতা উল্টে খালেদ মাসুদ বলছিলেন, ‘‘খেলার মাঠে আবাহনী ও মহামেডানের লড়াইয়ের কথা সবারই জানা। সেই ম্যাচটা ছিল লো স্কোরিং। তাই টেনশনও ছিল।’’
মহামেডানকে চাপে ফেলতে ফিল্ডারদের ক্লোজে ডেকে এনেছিলেন খালেদ। রমন লাম্বা দাঁড়িয়ে পড়েন ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে। গড়গড় করে সেই ম্যাচের বিবরণী দিয়ে খালেদ মাসুদ বলে চলেন, ‘‘আমাদের ক্যাপ্টেন আকরামভাই (আকরাম খান) চোটের জন্য মাঠে ছিলেন না। আমি দলটাকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলাম। খুব কম রান করেছিলাম আমরা। ওই রানের পুঁজি নিয়ে জিততে হলে আমাদের অ্যাটাকিং ফিল্ডিং করতে হতো। সবাইকে ক্লোজে ডেকে নিয়েছিলাম। রমন লাম্বা হেলমেট ছাড়াই দাঁড়িয়ে গেলেন ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে। আমি দাদাকে বললাম, তুমি হেলমেট নিয়ে নাও। দাদা পাল্টা বলেন, দু’একটা বলের জন্য দরকার নেই হেলমেটের।” তখন কী আর লাম্বা জানতেন, হেলমেট না পরার জন্য তাঁকে মাঠেই জীবন দিতে হবে!
তারকা-মহাতারকা ক্রিকেটারদের আবেগ-অনুভূতি, সুখ-দুঃখ, হর্ষ-বিষাদ বলে দিয়ে যায় তাঁরাও আমার-আপনার মতোই রক্তমাংসের মানুষ। বিশ্বযজ্ঞে উপস্থিত থেকে উপলব্ধি করেছি জীবনের কথাই আসলে বলে যায় বিশ্বকাপ।