এবার ঝুলিতে 'হাইড্রোজেন বোমা', রাহুলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের ফলাফল কী হবে?

Voter Adhikar Yatra: এই দিন রাহুল গান্ধী দাবি করেন, ফের ভোটার জালিয়াতির প্রমাণ সামনে আনবেন তাঁরা। তাঁর দল শীঘ্রই "হাইড্রোজেন বোমা" ফাটাবেন বলেও জানান তিনি।

'ভোট চোর, গদি ছোড়' স্লোগান তুলে বিহারের ভোটাধিকার যাত্রা শুরু করেছিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। যাত্রার শেষ দিন পাটনায় বিজেপিকে "হাইড্রোজেন বোম" ফাটানোর হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। আর কী কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

বিহারের ২৫ টি জেলায় ১৬ দিন ধরে মোট ১,৩০০ কিলোমিটার অতিক্রম করে ১ সেপ্টেম্বর পাটনার গান্ধী ময়দানে শেষ হল রাহুলের 'ভোটার অধিকার যাত্রা।' কেন্দ্রীয় সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিহারের ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের প্রতিবাদে এই যাত্রা করেন তিনি। যাত্রার শেষ দিনে উপস্থিত হন তৃণমূল, শিবসেনা, এনসিপি-র মতো ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলের প্রতিনিধিরাও।

এই দিন রাহুল গান্ধী দাবি করেন, ফের ভোটার জালিয়াতির প্রমাণ সামনে আনবেন তাঁরা। তাঁর দল শীঘ্রই "হাইড্রোজেন বোমা" ফাটাবেন বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, "এই তথ্য সামনে আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশকে তাঁর মুখ দেখাতে পারবেন না"।

আরও পড়ুন- রাহুল গান্ধী, ক্রমেই ভরসাযোগ্য হয়ে উঠছেন যেভাবে

ভোটার অধিকার যাত্রা'র শেষে রাহুল গান্ধী বলেন, 'আমরা তাদেরকে (বিজেপি) সংবিধান হত্যা করতে দেব না। সেই কারণেই আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম এবং জনগণের অসাধারণ সাড়া পেয়েছি। বিপুল সংখ্যক মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে 'ভোট চোর, গদি ছোড়' স্লোগান দিয়েছে।' এরপরেই প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে কংগ্রেস নেতা বলেন, 'এমনকি চিনেও মানুষ ভোট চোর, গদি ছোড় স্লোগান তুলেছেন।'

তাঁর কথায়, 'বিজেপির লোকেরা কান খুলে শুনে রাখুন, এর আগে ভোট চুরি করে আপনারা অ্যাটম বোম দেখেছেন, এবার হাইড্রোজেন বোমা দেখবেন। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি। হাইড্রোজেন বোমার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর মুখ দেখাতে পারবেন না।'

এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, 'যারা মহত্মা গান্ধীর হত্যা করেছে, এখন সেই শক্তিই দেশের সংবিধানের হত্যা করতে মরিয়া। যাই হয়ে যাক না কেন, আমরা সংবিধানের হত্যা করতে দেব না। বিহার বিপ্লবের রাজ্য। সমগ্র দেশের কাছে বিহার বার্তা দিয়ে দিয়েছে যে আমরা কোনোভাবেই ভোট চুরি হতে দেব না।'

এর আগে প্রধান রাহুল গান্ধী দু-দিন আগে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ এনে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর কথা বলে, ৭ অগাস্টই একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সেই ইঙ্গিত মিলিয়ে দিয়েছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল অভিযোগ তুলেছিলেন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক সম্মেলনটির শিরোনাম ছিল - 'ভোট চোরি কা অ্যাটম বোমা সবুত'।

আরও পড়ুন- মোদিকে সিংহাসনে রাখতেই জাল ভোটার তালিকা?

তখন বলেছিলেন, লোকসভার নির্বাচনে কমিশন জাল ভোটার এবং নকল ভোটারদের ভোটদানের সুযোগ করে দিয়েছে। আরও দাবি করেছিলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-কে সুবিধা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন আর বিজেপি সেই সুযোগে ভোটে কারচুপি করেছে।

ওই দিন রাহুল গান্ধী বারবার বলেছেন মহাদেবপুরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছিল তারপরও কংগ্রেস নির্বাচনে হারল। হরিয়ানাতেও লোকসভা ভোটে ভাল ফল করে বিধানসভা ভোটে হারল। মহারাষ্ট্রেও লোকসভা ভোটে ভাল ফল করে বিধানসভা ভোটে হেরে গেল কংগ্রেস। প্রশ্ন উঠেছিল, বিরোধী দলের ক্ষমতা থাকা রাজ্যেও যদি এই হারে ভোট কারচুপি হয় তাহলে বিজেপি শাসিত রাজ্যে কী হচ্ছে?

একদম শেষে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, "যদি তারা (বিজেপি) আরও ২৫টি আসন (লোকসভা ভোটে) হেরে যেত" তাহলে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতা হারাত। তাঁর দাবি, এই কারণেই বিজেপি এই ঘটনাগুলি সাজিয়েছিল। এখন দেখার আবার কী তথ্য সামনে আনবেন রাহুল?

More Articles