খুনোখুনি, সংঘর্ষ! বিশ্বকাপের মরশুমে যেভাবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা শিবিরে দু'ভাগ বাংলাদেশ
World Cup 2022: বাংলাদেশে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার ভক্তদের উন্মাদনা গোটা বিশ্বের কাছে বিস্ময়।
আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের চিরন্তন ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশিরা উগ্রভাবে কোনও একটি পক্ষকে সমর্থন করে আসছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। এ নিয়ে তারা শুধু তর্কই করে না, রীতিমতো ইট-পাটকেল নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে মারপিটও করে– আর চলমান কাতার বিশ্বকাপের সময় সে-ছবি দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের নানা প্রান্তে।
যখন ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়, তখন বাংলাদেশে সেটি আসলে একটি খেলার চেয়েও অনেক বেশি। কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপ শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে ধরেই ১৬ কোটি মানুষের এই দেশটিতে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের পতাকার তরঙ্গ দেখা যায়। বিশ্বকাপ বাংলাদেশে জাগিয়ে তোলে উচ্ছ্বাসের আবেগ। এই আবেগ দেখা যায় বিভিন্ন মানুষের মধ্যে, যারা নিজ নিজ বাড়িঘর রং দিয়ে জাগিয়ে তোলে নিজের পছন্দের ফুটবল দলের পতাকার রঙে। মিছিলে বের হয় বিশাল ব্রাজিলিয়ান বা আর্জেন্টাইন পতাকার সঙ্গে।
“বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক দিয়ে একটি বড় দেশ, এবং এটি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ফ্যানের দিক দিয়ে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে”, এমনটাই বললেন নোফেল ওয়াহিদ, যিনি ঢাকায় ফিনান্সের কাজ করেন এবং আর্জেন্টিনার ভক্ত। তিনি আরও বললেন, “এটা মজার ব্যাপার। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এত দূরে এশিয়ার মাঝামাঝি এই দেশটি কেন এই ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে মগ্ন? এইটা ব্যাখ্যা করা কঠিন।”
আরও পড়ুন: ভক্তের ক্যাচে আউট গুরু বিরাট! বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যেভাবে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন লিটন দাস
“অনেকেই জানেন না যে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা দেশগুলি আসলে কোথায়। কোনও রক্ত বা ভাষার সংযোগ নেই তবুও তাদের জন্য পাগল”, এমনটা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক নেহাল করিম।
আসলে গত শতকের আটের দশকে লাতিন আমেরিকার প্রতি বাংলাদেশের এই আবেগটা গড়ে উঠেছিল। যখন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়, মানুষ তার কয়েক বছর পর থেকে রঙিন টিভি কিনতে পারে। এরপর দেখা শুরু হয় বিশ্বকাপ। টিভির স্ক্রিনগুলিতে ভেসে ওঠে ব্রাজিলের শার্টের উজ্জ্বল সবুজ এবং হলুদ আর আর্জেন্টিনার উজ্জ্বল হালকা নীল এবং সাদা।
সেই উন্মাদনা পরবর্তী চার দশকে এতটাই তুঙ্গে উঠেছে যে, এই বছর ফিফা তাঁর অরিজিনাল সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকার শিক্ষার্থীরা ফুটবল ম্যাচ দেখতে ব্যাপক জমায়েত করেছে। আর্জেন্টিনার গোলের পর স্ক্রিনের দিকে পাগলের মতো ছুটে যাচ্ছে শত শত যুবক!
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক ইফতি মাহমুদ বলেন, “ব্রাজিলের প্রতি সমর্থনর মূলে রয়েছে বাংলাদেশের দারিদ্র্য। ওই দলের খেলোয়াড়রাও আমাদের মতোই দেখতে। শুধু পেলে, রোমারিও এবং নেইমারকে দেখুন, তারাও কালো চামড়ার, আমরাও তাই, ব্রাজিল দরিদ্র, আমরাও তাই।”
তিনি আরও বলছেন, “আর যেহেতু মারাদোনা ‘হ্যান্ড অফ গড’ দিয়েই হোক আর যেভাবেই হোক, ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের প্রতিভূ ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিলেন– তাই বাংলাদেশে তার মর্যাদা যুদ্ধজয়ী বীরের!”
“বেকহ্যাম এইখানে জনপ্রিয় নয়। এদিকে মারাদোনা এক পাগল, আর বাংলাদেশিরা পাগলদের ভালোবাসে!”, এমনটাই আবার বললেন আবু আহসান, বিআরএসি-র একজন গবেষক।
যখন মাঠে খেলে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল, তখন বাইরে তাদের খেলাকে কেন্দ্র করে তাদের সমর্থকেরা নিজেদের মধ্যে বিতন্ডায় মাতে। প্রায়ই সংবাদ প্রতিবেদন আসে যে, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল ফুটবল দলের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে মানুষ আহত হয়েছে। আবার অনেকে আত্মহত্যাও করেছে। অনেকের মৃত্যু হয়েছে ছাদে উঠে তাদের প্রিয় দলের পতাকা লাগাতে গিয়ে।
আরও শুনতে পাওয়া যায় যে, লিওনেল মেসি এবং নেইমারের প্রতিদ্বন্দ্বী অনুগামীরা ছুরি দিয়ে মারামারি করে আহত করেছে মানুষদের। এরকমই একটা ঘটনা দেখা গিয়েছে, যেখানে মাহমুদ হাসান নামের একজন ব্রাজিল-ভক্ত বরিশাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ডাইনিং রুমে বসে স্লোগান দিতে লাগলেন যে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার তারকা খেলোয়াড় ডিয়েগো মারাদোনার কুখ্যাত ১৯৮৬ সালের 'হ্যান্ড অফ গড' গোলটি 'অবৈধ' ছিল। কাছাকাছি বসে থাকা আর্জেন্টিনা সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং পরবর্তী সংঘর্ষে আহত হয় ১১ জন।
আরেকটি ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক মাসুদ রানা এএফপি-কে বলেছেন, রাজধানী ঢাকার বাইরে একটি ক্রিকেট মাঠে ভক্তরা পরস্পরের দিকে ঢিল ও ইট নিক্ষেপ করতে থাকে। ৩০০ জনেরও বেশি লোক এই সংঘর্ষে জড়িত ছিল। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দুই পক্ষের শক্তি নিয়ে তর্কের পর শুরু হয় এই সংঘর্ষ।
আবার আরেকটি ঘটনায় বাংলাদেশের সুদূর উত্তরের হাতিবান্দা শহরে, যেখানে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের সমর্থকদের প্রতিদ্বন্দ্বী দল থেকে পরস্পরের দিকে পাথর ছুড়তে শুরু করে যার মাঝে মিলন হোসেন নামে এক ১৮ বছর বয়সি রেস্তোরাঁ কর্মী নিহত হন।
আবার ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক তারে আর্জেন্টিনার পতাকা লাগাতে গিয়ে অন্তত তিনজনের মারা যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। পরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে তাদের 'বিশ্বকাপ শহিদ' হিসেবে অভিহিত করা হয়। রাস্তার পাশে একটি খুঁটিতে ব্রাজিলের পতাকা রাখার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১২ বছর বয়সি একটি ছেলেও মারা যায়।
এমনও ঘটনা রয়েছে, যেখানে মানুষের হত্যা পর্যন্ত হয়েছে তাঁর নিজের বন্ধুর দ্বারা, কারণ তিনি অন্য দলের নিন্দা করছিলেন। যদিও বাংলাদেশ কখনও বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি এবং ভবিষ্যতে তা করার সম্ভাবনা কম, দেশটি কিন্তু প্রতি চার বছরে একবার এই টুর্নামেন্টের জন্য পাগল হয়ে যায়। পাগল হয়, কারণ সেই টুর্নামেন্টে খেলে তাদের প্রিয় দল, কারও ব্রাজিল, কারও আর্জেন্টিনা।
পাগলামো এতটা যে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও দুই দলের ভক্তরা পরস্পরেরর দলকে ট্রোল করে চলেছে। অনেকেই আবার এই ট্রোলিংকে দিছে ধার্মিক রূপ। ২২ নভেম্বর কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে সৌদি আরব ২-১ গোলে আর্জেন্টিনাকে হারায়। তারপর শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রোলের পরম্পরা। ম্যাচ যদিও ছিল সৌদি আরব আর আর্জেন্টিনার মধ্যে, কিন্তু ব্রাজিলের সমর্থকরা শুরু করে দেয় আর্জেন্টিনা এবং তাদের সমর্থকদের ট্রোল করা। স্ট্যাটাস এবং কমেন্টের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু করে লড়াই-ঝগড়া।
শুধু তাই নয় কিছু বেনামি মুসলিম সোশ্যাল মিডিয়া আকাউন্ট নিজেদের সৌদি আরবের সমর্থক বলে তাদের ইসলাম ধর্মের তরফ থেকে ধন্যবাদ জানাতে থাকেন। এরা বলতে থাকেন যে, সৌদির জয় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মুসলিম উম্মাহ-র বিজয়। ('উম্মাহ' হল 'সম্প্রদায়'-এর আরবি ভাষান্তর, যা একটি সাধারণত একক ধর্মীয় বিশ্বাস ভাগ করে নেওয়া জনগোষ্ঠীকে বোঝায়।)
‘বাইজুস’ যে মেসিকে কোম্পানির 'সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট আর্ম এডুকেশন ফর অল'-এর প্রথম গ্লোবাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে স্বাক্ষর করিয়েছে, মানুষ আবার সৌদির বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে বাইজুস-কে দায়ী করে ট্রোল করছে। আবার আর্জেন্টিনা দলের সমর্থকরাও ব্রাজিল দল এবং তাদের সমর্থকদের ট্রোল করে যাচ্ছে। একজন আইনজীবী তো বিশ্বকাপের দেশগুলোর পতাকা ওড়ানো আটকাতে আদালতের আদেশ পাওয়ারও চেষ্টা করেন।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ হাজার শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে বিদেশি দেশগুলোর রং ওড়াতে নিষেধ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান এসএম ইমামুল হক বলেন, “সরকারের উচিত বাংলাদেশে যে-কোনও বিদেশি পতাকা ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা।”
সিএফ জামান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকার ও ব্র্যান্ড ডেভেলপার বলেন, “লাতিন আমেরিকা থেকে এত দূরে অবস্থিত এমন একটা দেশ, যে দেশে ক্রিকেট হচ্ছে জনপ্রিয়তম খেলা, সেখানে ফুটবল নিয়ে প্রত্যেক বিশ্বকাপে এই উন্মাদনাটা আসলে একটু অন্যরকম, বিষয় যেটা লজিকালি বুঝিয়ে বলার মতো কিছু না।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে আসলে ব্রাজিলকে সমর্থন করা শুরু হয় সাতের দশক থেকে, যখন পেলে ব্রাজিলের হয়ে খেলতেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্রাজিলকে সমর্থন করি। আমাদের এইখানে একটা প্রচলিত মিথ হচ্ছে যে, যারা বনেদি, তারা ব্রাজিল সমর্থক। আর আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করা শুরু করা হয় ১৯৮৬-র বিশ্বকাপে মারাদোনাকে দেখে।"
"একটা সময় ছিল, যখন ক্রিকেট বাংলাদেশের জনপ্রিয়ও খেলা ছিল না, ছিল ফুটবল। যেহেতু সেই সময় আকাশ-সংস্কৃতি বা স্যাটেলাইট চ্যানেল ছিল না, মানুষ বিশ্বকাপের স্বাদ পায়নি। সেই সময় ঘরোয়া লিগটাই ছিল বাংলাদেশের মানুষদের জন্য মুখ্য ক্রীড়া-বিনোদন। তো সেই সময় থেকেই বাংলাদেশের দুই দল আবাহনী এবং মহামেডান- এই দুই শিবিরে সমর্থকরা বিভক্ত থাকত। এমন অনেক সময় দেখা যেত, যারা আবাহনী সমর্থক, তারাই ব্রাজিল সমর্থক এবং যারা মহামেডোন সমর্থক, তারাই আর্জেন্টিনা সমর্থক। এইভাবেই দুই শ্রেণিতে ভাগ হওয়া সমর্থনের প্রক্রিয়া চলে আসছে”, জানান তিনি।
ঢাকার ব্যাঙ্কার মিতন আবার বলেন, “আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে আসলে কেন দু'টি অংশে ভাগ হয়ে গেল বাংলাদেশ? এইটার উত্তর দিতে যেতে হবে একটু শুরুর দিকে। আসলে এই মহাদেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে এই দু'টি দলই। ব্রাজিল নিজের নামে করে রেখেছে ৫টি বিশ্বকাপ। আর এইটা যে-কোনও ন্যাশনাল টিমের জন্য বিশাল গর্বের কথা। আর সেই সময় ব্রাজিলে খেলতেন পেলে, যিনি ব্রাজিলের জনপ্রিয়তাকে বুস্ট-আপ করেছেন। পরে মারাদোনার মতো একটা স্টার আর্জেন্টিনায় এসে ওয়ান ম্যান আর্মির মতো খেলে জিতে নেয় ১৯৮৬-র বিশ্বকাপ। আবার পরে আর্জেন্টিনায় আসেন মেসির মতো একজন স্টার। আর ব্রাজিলে দেখেছি নেইমারের মতো স্টার। আমি কিন্তু আবার ব্যাক্তিগতভাবে আর্জেন্টিনার সমর্থক। আমি নিজে কোনও দিন মারাদোনার খেলা দেখিনি, কিন্তু মেসির খেলা দেখেছি। আর আমি নিজে আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করা শুরু করেছি আমার নিজের বড় ভাইদের দেখে। পরে যখন মেসির খেলা দেখতাম, তখন ভালো লাগত।”
ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অমিত ইসলামের কথায়, “আর্জেন্টিনার যারা জেনুইন সমর্থক, তারা আর্জেন্টিনার কাছে কত বিশ্বকাপ আছে বা নেই, সেটা দেখে না। আর্জেন্টিনা কোন ম্যাচ ভালো না খেললেও আমরা তাদের সমর্থন করি। কিন্তু বেশিরভাগ ব্রাজিল সমর্থক ব্রাজিলকে সমর্থন করে, কারণ তারা ৫টি বিশ্বকাপ নিজের নামে করে রেখেছে। আমরা মেসিকে ভালবাসি । আর্জেন্টিনাকে ভালবাসি। তাই সমর্থন করি।”
মুক্তাদির, যিনি বাংলাদেশের একটি ফাইভ স্টার হোটেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, তিনি আবার বললেন, “ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা দু'টিই হচ্ছে ফুটবলের পরাশক্তি। আমরা ব্রাজিলের সুপারস্টার হিসেবে জানি পেলেকে এবং আর্জেন্টিনার সুপারস্টার হিসেবে জানি মারাদোনাকে। আমি ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা কোনও দলের সমর্থক না। তারপরও আমি বলতে চাই যে, বাংলাদেশে এই দুই দলকে নিয়ে চরম উন্মাদনা আছে। বেশিরভাগ, যারা মুরুব্বি জন রয়েছে, তারা ব্রাজিলের সমর্থক। কারণ তারা নিজের কিশোরকালে দেখেছে পেলের খেলা। দেখেছে রিভাল্ডো, রোনাল্ডোর খেলা।”
বাংলাদেশে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার ভক্তদের বেশিরভাগই হয়তো গুছিয়ে বলতে পারবেন না, কেন তারা ওই বিশেষ দলটির জন্য সারা জীবন গলা ফাটিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এদের জন্যই প্রতিবার ফিফা বিশ্বকাপ এলে, বাংলাদেশও নতুন করে জেগে ওঠে।