গুজরাটে চার হাজার কোটি টাকা বিলি রাজনৈতিক দলগুলিকে! দাতা-গ্রহীতা কারা?

Gujarat Politics: প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই দলগুলি নির্বাচনী খরচ হিসেবে মাত্র ৩৯.০২ লক্ষ টাকা দেখিয়েছে, কিন্তু তাদের অডিট রিপোর্টে খরচ দেখানো হয়েছে ৩৫০০ কোটি টাকা।

গুজরাটের দশটি অজানা রাজনৈতিক দল পাঁচ বছরে ৪,৩০০ কোটি টাকা অর্থ সংগ্রহ করেছে, এবার সামনে আসছে এমনই অভিযোগ। এই দলগুলি নির্বাচনে সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। সম্প্রতি সামনে আসা এই খবরের ভিত্তিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বুধবার নির্বাচন কমিশনকে তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছেন।

হিন্দি সংবাদমামধ্যম দৈনিক ভাস্কর মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে অভিযোগ করছে, এই দশটি দল ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই বিপুল অর্থ সংগ্রহ করেছে। এই সময়কালে গুজরাটে ২০১৯ এবং ২০২৪-এর দু’টি লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু এই দলগুলি মোট ৪৩ জন প্রার্থীকে মাঠে নামিয়েছে, যাঁরা সব মিলিয়ে মাত্র ৫৪,০৬৯ ভোট পেয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই দলগুলি নির্বাচনী খরচ হিসেবে মাত্র ৩৯.০২ লক্ষ টাকা দেখিয়েছে, কিন্তু তাদের অডিট রিপোর্টে খরচ দেখানো হয়েছে ৩৫০০ কোটি টাকা। এই দলগুলির নাম হল: লোকশাহি সত্তা পার্টি, ভারতীয় ন্যাশনাল জনতা দল, স্বতন্ত্র অভিব্যক্তি পার্টি, নিউ ইন্ডিয়া ইউনাইটেড পার্টি, সত্যবাদী রক্ষক পার্টি, ভারতীয় জনপরিষদ, সৌরাষ্ট্র জনতা পক্ষ, জন মন পার্টি, মানবাধিকার ন্যাশনাল পার্টি এবং গরিব কল্যাণ পার্টি।

আরও পড়ুন-  অনৈতিক মন্ত্রীদের সরাতে বিল! বিজেপির এই নেতারা নৈতিকতার পথে হেঁটেছেন?

বুধবার রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এই দলগুলি কীভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করল এবং সেই টাকা কোথায় গেল?” তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “নির্বাচন কমিশন কি তদন্ত করবে, না এখানেও হলফনামা চাইবে? নাকি আইন বদলে এই তথ্যও লুকিয়ে ফেলবে?”

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন তাঁর কাছে হলফনামা চেয়েছে। কংগ্রেস নেতা ব্যাঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা কেন্দ্রের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, ছয় মাস ধরে ভোটার তালিকা পরীক্ষা করে ১,০০,২৫০ নামে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনাকে তিনি নির্বাচন কমিশন এবং ভারতীয় জনতা পার্টির যোগসাজশের প্রমাণ বলে অভিহিত করেছেন। রাহুল প্রশ্ন তোলেন, কেন বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কমিশন ভোটগ্রহণের ভিডিও জনসমক্ষে আনেনি। একই সঙ্গে রায়বরেলির কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্ন, কী ভাবে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ভোটার তালিকায় নাম বেড়ে গেল!

এই অভিযোগের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেছেন, রাহুলকে হয় হলফনামায় অভিযোগ তুলতে হবে, নয়তো দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

More Articles