বিনা পোশাকেই থাকেন নারীরা, ভারতেও আছে ন্যুডিস্ট কলোনি, অবাক করবে এই গ্রামের রহস্য

Himachal Pradesh Nude Women Village : রোজই সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলামেলা পোশাক পরিহিত হয়ে অনেকেই ছবি শেয়ার করেন। হল আমলে এমন ছবিকে ‘সাহসী’ বলেও দাগিয়ে দেওয়া হয়। অথচ ভারতেরই এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে খোলামেলা পোশাক...

‘লজ্জাই নারীর ভূষণ’ এই কথাটাকে যেন নিমেষে অস্বীকার করেছেন তাঁরা। সমাজের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে বেছে নিয়েছে স্বাধীনতাকে। ভারতেই রয়েছে এমন একটি জায়গা যেখানকার নারীরা কোনও পোশাক পরেন না। এমনকী দম্পতিরা একে অপরের সঙ্গে নাকি কথাও বলেন না। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আমাদের দেশে এমন অনেক আজব প্রথা, অবাক করা নিয়ম রয়েছে, যা শুনলে রীতিমতো অবাক হতে হয়।

একটা সময় ছিল যখন আদিম গুহাবাসী মানুষ পোশাক পরতেন না। ক্রমে বিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোভাবে জড়িয়ে পড়ে লজ্জা বিষয়টি। প্রথমদিকে গাছের ছাল জড়িয়ে অনাবৃত দেহকে ঢাকতে শুরু করেন তাঁরা। পরবর্তীতে পাতার পোশাক হয়ে হাল আমলের সুতোর পোশাকের চল। যদিও আধুনিকতায় পাল্লা দিতে আজকাল খোলামেলা পোশাক পরার দিকে ঝুঁকছে প্রজন্ম। রোজই সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলামেলা পোশাক পরিহিতা হয়ে অনেকেই ছবি শেয়ার করেন। হাল আমলে এমন ছবিকে ‘সাহসী’ বলেও দাগিয়ে দেওয়া হয়। অথচ ভারতেরই এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে খোলামেলা পোশাক নয়, একেবারেই খোলামেলা ভাবে থাকেন নারীরা। জানেন কোথায়?

আরও পড়ুন - সারা গ্রাম জুড়ে বেজে ওঠে গিটার! বাংলার এই ‘গিটার গ্রাম’-এর হদিশ জানেন না অনেকেই

বিশ্বের আরও কিছু দেশে অবশ্য রয়েছে ন্যুডিস্ট কলোনি তবে ভারতে এমন জায়গায় সন্ধান সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না। হিমাচল প্রদেশের মণিকর্ণ উপত্যকার পিনি নামে একটি গ্রাম রয়েছে। এখানকার নারীরা পোশাক পরেন না। শুধু তাই নয়, পোশাক না পরা নিয়ে ওই গ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে রয়েছে কিছু সংস্কারও। সারা বছর নয়, বছরের পাঁচটি দিন এই গ্রামের নারীরা দেহ অনাবৃত রাখেন। এই নিয়ে রয়েছে গভীর লোকবিশ্বাস, যে নারী এই প্রথা পালন করবেন না, তিনি নাকি স্বল্পকালের মধ্যেই কোনও দুঃসংবাদ পাবেন। তাই এই বিশ্বাস মেনে এমন প্রথার চল। শোনা যায়, বছরের ওই পাঁচটি দিন নাকি পিনি গ্রামে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ।

কিন্তু এমন একটা প্রথার চল হল কীভাবে? সেই রহস্য উদঘাটন করেন এক হিমাচলি লোককথা। বলা হয় যে, একসময় এই গ্রামে নাকি ছিল ভয়ানক অসুরের উপদ্রব। সুন্দরী সুসজ্জিতা নারীদের প্রতিই ছিল তাদের নজর। সুযোগ পেলেই নারীদের হরণ করে নিয়ে যেত অসুরের দল। ঠিক এরকম সময়ে গ্রামে আবির্ভূত হন দেবতা লাহুয়া ঘোঁদ, অসুরকে বধ করে তিনি গ্রামজীবনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেন। কথিত আছে, তিনিই নাকি নারীদের পোশাক না পস এবং সুন্দর সাজে না সাজার বিধান দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন - ভারতের বুকেই এক টুকরো কাতার, যে গ্রামের গল্প চমকে দেবে আপনাকেও

লোকবিশ্বাসের জোর যে অনেকটা তা অবশ্য প্রমাণ করে এই গ্রামের নারীরা। আজও দেবতার দেওয়া সেই বিধান শিরোধার্য করে শ্রাবণ মাসের পাঁচটি দিন নিজেকে বিনা সাজে, বিনা পোশাকে রাখেন পিনি গ্রামের নারীরা। এই কয়েকদিন ঘর থেকে বেরোন না তাঁরা, এমনকী স্বামীর সঙ্গে সহবাস এবং বাক্যালাপ পর্যন্ত করেন না এই সময়ে। যাতে কোনও ভাবেই পরস্পর লিঙ্গের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি না হয় তাই এই কদিন এভাবে পালন করা হয়। এখানেই শেষ নয়, নারীদের পাশাপাশি এই পাঁচদিন গ্রামের পুরুষেরাও মদ এবং মাংস স্পর্শ করেন না।

More Articles