মাটির নীচে লুকিয়ে একখণ্ড বৌদ্ধ ইতিহাস! নানা কাহিনিতে মোড়া এই বাংলার 'মোগলমাড়ি'

Moghalmari Archeological Site: যদি কেউ একদিন দু’দিনের জন্য এই দমবন্ধ পরিবেশ থেকে বেরোতে চান তাহলে বৌদ্ধ ইতিহাসের সাক্ষী এই অঞ্চলে আপনাকে আসতেই হবে।

‘বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি’

সম্পদের এই বিশাল ভাণ্ডার ভারতে ভৌগলিক, ভাষাগত ও ধর্মীয় বৈচিত্র যে লক্ষণীয় তা বলাবাহুল্য। হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের পথচলা শুরু এই ভারতবর্ষেই। বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তার বিভিন্ন সময়ে হয়েছে, সুসময়-দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে গেছে তার সফর। বৌদ্ধধর্মের ওঠা পড়ার এক নীরব সাক্ষী পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের মোগলমাড়ি বৌদ্ধ বিহার। ‘বৌদ্ধবিহার’– শব্দটি শুনলেই অবধারিতভাবে মনে আসে নালন্দার কথা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গেই যে এক বিশাল বৌদ্ধবিহার রয়েছে তা অনেকেরই অজানা। প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো, ষষ্ঠ শতাব্দীর মোগলমাড়ি বৌদ্ধ মহাবিহার পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিকতম প্রত্ন আবিষ্কার, যার গুরুত্ব অসীম। যে কোনও প্রত্নস্থল আবিষ্কার এবং তার অনুসন্ধান অনেকটা গোয়েন্দা তল্লাশির মতোই। মোগলমাড়ির খোঁজ আর তার খননেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

মোগলমাড়ি নামকরণের ইতিহাস

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন-১ ব্লকের অন্তর্গত মোগলমাড়ি গ্রাম। অখ্যাত নিভৃতে থাকা এই গ্রাম এখন বৌদ্ধ ইতিহাস চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। এক কালে বেশ প্রসিদ্ধই ছিল এই জায়গাটি। সপ্তদশ শতাব্দীতে মির্জা নাথানের লেখা ‘বাহারিস্তান-ই-ঘাইবি’ বই অনুযায়ী, ১৫৭৫ সালে মেদিনীপুর আর জলেশ্বরের (ওড়িশা) মাঝামাঝি তুকারুই নামে এক স্থানে মোগল ও পাঠানের যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধে মোগলদের বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেই থেকেই হয়তো ‘মোগলমাড়ি’ নামের উৎপত্তি। আবার অন্যদের মতে স্থানীয় ‘মাড়’ শব্দের অর্থ ‘সড়ক’ বা ‘পথ’। কিংবদন্তি অনুসারে মোগলরা এই পথ মাড়িয়ে গিয়েছিল বলে ক্রমে কথ্য ভাষায় ‘মাড়ি’ শব্দে রূপান্তর হয়েছে। কালের বিবর্তনে মোগলমারি, মোগলমাড়ি নামেই পরিচিত হয়েছে।

আবার, ঐতিহাসিকরা মনে করেন দাঁতনের পুরনো নাম ছিল দণ্ডভুক্তি। সপ্তম শতাব্দীতে রাজা শশাঙ্কের রাজত্বকালে এই দণ্ডভুক্তিতেই তাঁর ভূমিদানের দলিল পাওয়া যায়। এক কালে সুবর্ণরেখা নদী বয়ে যেত এই গ্রামের কাছ দিয়েই। প্রাচীন বাংলায় বিশেষত দক্ষিণবঙ্গে বাণিজ্যক্ষেত্র প্রসারে দু’টি জনপদ প্রধান হয়ে উঠেছিল, একটি তাম্রলিপ্ত ও অন্যটি দণ্ডভুক্তি (দাঁতন)। এদের মধ্য দিয়ে একটি বাণিজ্য সড়কও প্রসারিত ছিল। তাম্রলিপ্ত থেকে বাণিজ্য পথটি মেদিনীপুর শহর, নারায়ণগড় হয়ে দণ্ডভুক্তির মধ্যে দিয়ে বালেশ্বর ছুঁয়ে কটক পর্যন্ত গিয়েছিল। এই পথের উল্লেখ আছে ‘আইন-ই-আকবরি’-তে। পঞ্চদশ শতাব্দীতে রাস্তাটি ‘জগন্নাথ সড়ক’ নামে পরিচিত ছিল। কারণ, শ্রীচৈতন্যদেব এই পথেই সুবর্ণরেখাকে ছুঁয়ে নীলাচলে গিয়েছিলেন। বৃন্দাবন দাসের ‘শ্রীচৈতন্যভাগবত’-এ তার উল্লেখ পাওয়া যায়। তীর্থযাত্রীরাও এই পথ ধরেই পুরীতে যেতেন। আবার ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, গ্রামটির প্রাচীন নাম ‘অমরাবতী’। এই অঞ্চলের ক্ষুদ্র সামন্ত রাজা ছিলেন বিক্রম কেশরী। তাঁর বিদূষী কন্যা সখীসেনার এক সময়ের অধ্যয়নের কেন্দ্র ছিল বলে জনশ্রুতি আছে। সখীসেনার সঙ্গে মন্ত্রীপুত্র অহিমাণিকের প্রণয় কাহিনির লোকগাথা আছে। কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া এই কেন্দ্র ‘সখীসেনা ঢিবি’ নামে পরিচিত।

আরও পড়ুন- বৌদ্ধ ধর্মেই লুকিয়ে পরিবেশ বাঁচানোর মূল মন্ত্র? কী বলছে গবেষণা

চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ভারত ভ্রমণের সময় ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলার বিভিন্ন বৌদ্ধবিহার পরিদর্শন করেন। তিনি তাঁর ‘সি-ইউ-কি’ গ্রন্থে বঙ্গদেশের চার রাজ্যের বিশেষ বর্ণনা করেছিলেন- পুণ্ড্রবর্ধন, সমতটী, কর্ণসুবর্ণ এবং তাম্রলিপ্ত। এই তাম্রলিপ্ত রাজ্যে ১০টি বৌদ্ধবিহার ও একহাজার বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর উপস্থিতির কথা তাঁর গ্রন্থে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু এ যাবৎকাল তাম্রলিপ্ত সন্নিহিত অঞ্চলে মোগলমাড়ি ছাড়া আর কোনও বৌদ্ধবিহার আবিষ্কৃত হয়নি।

খননের সময়কাল ও পর্যায়

এত কিছু ঐতিহাসিক তথ্য ও লোকগাথা সত্ত্বেও মোগলমাড়ি এতদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে গিয়েছিল। ১৯৯৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক অশোক দত্ত এই অঞ্চলে এসেছিলেন সুবর্ণরেখা নদীর ওপর প্রাচীন নৌ বাণিজ্য সংক্রান্ত অনুসন্ধানের কাজে। তখনই তিনি অনুভব করেছিলেন মোগলমাড়ির এই অঞ্চল পুরোটাই এক বিশাল প্রত্নক্ষেত্র। এক গ্রামবাসীর কাছে রক্ষিত একটি গোলাকার ফলক তিনি দেখতে পান, যেখানে খ্রিস্টিয় ষষ্ঠ শতকের ব্রাহ্মী লিপিতে এবং মিশ্র সংস্কৃত ভাষায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রাচীন বাণী লেখা আছে। এই নিদর্শন দেখে অধ্যাপকের মনে হয় এই গ্রামের মাটির নীচে লুকিয়ে আছে বিস্ময়।

এরপর তিনি আরও কয়েকবার এই গ্রামে এসেছেন এবং সমীক্ষা চালিয়েছেন। অবশেষে ২০০৩ সাল থেকে এখানে পাকাপাকি ভাবে খননের কাজ শুরু হয়। জনপ্রিয় এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই খনন কাজ ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোটামুটি নয়টি পর্যায়ে চলেছিল। এক এক পর্যায়ে উঠে এসেছে প্রত্নতাত্ত্বিক বৌদ্ধ নিদর্শন।

আরও পড়ুন- গণেশের কাটা মাথা লুকিয়ে রয়েছে এখানেই! চমক আর রহস্যে মোড়া পাতাল ভুবনেশ্বর গুহা

১ম পর্যায় (২০০৩-০৪) - সখীসেনা ঢিবির উত্তর পশ্চিম এবং দক্ষিণ অংশে প্রথম খনন কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে উঠে আসে নকশাযুক্ত ইট, বৌদ্ধ ভিক্ষু বা সন্ন্যাসীদের বাসস্থানের কুঠুরি। পাওয়া যায় ত্রিরথ কাঠামো যুক্ত নকশা, যা দেখে গবেষকদের প্রাথমিক অনুমান স্থানটিতে মন্দির বা গর্ভগৃহ ছিল। গ্রামের অভ্যন্তরে খনন চালিয়ে বেশ কয়েকটি বৌদ্ধস্তূপ ও এক বিশেষ ধরনের মৃৎপাত্র পাওয়া যায়, যাকে কৃষ্ণ-লোহিত মৃৎপাত্র বলা হয়।

২য় পর্যায় (২০০৬-০৭) - এই পর্যায়ের খনন ঢিবির পূর্ব ও পশ্চিম দিকে পরিচালিত হয়। পাওয়া যায় নকশাযুক্ত ইট দ্বারা সুসজ্জিত দেওয়াল, স্টাকো পলেস্তারা যুক্ত দেওয়াল, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের থাকার কুঠুরি। উদ্ধার হয় খণ্ড বিখণ্ড বুদ্ধের মূর্তি, আদি মধ্যযুগ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের পুরাবস্তু, লোহার সামগ্রী এবং ষষ্ঠ শতাব্দীর সিদ্ধমাতৃকা লিপিতে উৎকীর্ণ পোড়ামাটির সিল।

৩য় পর্যায় (২০০৭-০৮) - খননকার্য হয় ঢিবির উত্তর, পূর্ব ও মধ্যভাগে। খননে স্টাকোর পদ্মের পাপড়ির ন্যায় পলেস্তারার নকশাযুক্ত সুসজ্জিত দেওয়াল, প্রদক্ষিণ পথ, বৌদ্ধস্তূপ, স্টাকো নির্মিত মুখাবয়ব, পাথরের মূর্তি, তামার মুদ্রা ও প্রচুর মৃৎপাত্র পাওয়া যায়।

৪র্থ পর্যায় (২০০৯-১০) - এই পর্যায়ের উৎখনন ঢিবির উত্তর দিকে পরিচালিত হয়। আবিষ্কৃত হয় বৌদ্ধ বিহারের মূল প্রবেশদ্বার, প্রবেশদ্বারের উভয় দিকে দু’টি সমায়তনের বৃহৎ কক্ষ, ইটের কারুকার্যমণ্ডিত স্তম্ভযুক্ত কুলুঙ্গি, চুনের পলেস্তারা যুক্ত মেঝে এবং পোড়ামাটির প্রদীপ।

৫ম পর্যায় (২০১০-১১) - খননকার্য ঢিবির মধ্য ও দক্ষিণাংশে হয়। দক্ষিণ দিকে পাওয়া যায় সমগ্র সীমানাপ্রাচীর যা স্টাকোর নির্মিত বিভিন্ন ধরনের নকশা দ্বারা অলঙ্কৃত ছিল। সীমানাপ্রাচীরের বাইরে চুনের পলেস্তারা যুক্ত ইট বিছানো প্রদক্ষিণ পথ ও এই প্রদক্ষিণ পথের উপর একটি গোলাকার স্তূপের ভিত্তি উন্মোচিত হয়। এছাড়াও সিদ্ধমাতৃকা লিপিতে উৎকীর্ণ পোড়ামাটির সিল, উৎসর্গ ফলক, প্রদীপ, আতরদান, কারুকার্যমণ্ডিত ছিদ্রযুক্ত নল ও গুপ্তোত্তর যুগের নকশাযুক্ত মৃৎপাত্র পাওয়া যায়।

৬ষ্ঠ পর্যায় (২০১১-১২) - এই পর্যায়ের খননকার্য হয় ঢিবির দক্ষিণ, মধ্য ও দক্ষিণ পশ্চিম দিকে। ঢিবির মধ্যভাগে পশ্চিমমুখী দেওয়ালে ১৩টি স্টাকোর মূর্তি উন্মোচিত হয়, যার মধ্যে কুবের জাঙ্গুলী, অবলোকিতেশ্বর, লোকেশ্বর, গন্ধর্ব, নৃত্যরত মানব মানবী ও গণমূর্তি প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও সিদ্ধমাতৃকা হরফে উৎকীর্ণ বুদ্ধের বাণী সম্বলিত সিল, প্রদীপ, লোহার কাঁটা, আতরদান, নকশাযুক্ত ইট, নিত্য ব্যবহার্য মৃৎপাত্র ইত্যাদি পাওয়া যায়।

৭ম পর্যায় (২০১৩-১৪) - খননকার্য হয় ঢিবির উত্তর, পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে। পশ্চিম দিকে উন্মোচিত হয় সীমানা প্রাচীর, গর্ভগৃহ, প্রদক্ষিণপথ, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের থাকার কুঠুরি। পাওয়া যায় বেশ কয়েকটি স্টাকো মূর্তি, যার মধ্যে মঞ্জুশ্রীর মূর্তিটি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও পাওয়া যায় মস্তকহীন বুদ্ধমূর্তি, রাজা সমাচার দেবের মিশ্রধাতুর মুদ্রা এবং সোনার লকেট। এই পর্যায়ের খননের শেষের দিকে উৎখনন চালিয়ে বিহারের নামফলক বা নামমুদ্রা উদ্ধার হয়। ফলকটিতে “শ্রীবন্দক মহাবিহারে আর্যভিক্ষু সংঘ” লেখা রয়েছে বলে গবেষকগণ প্রাথমিক পাঠোদ্ধার করেন।

৮ম পর্যায় (২০১৪-১৫) - এই পর্যায়ে খনন হয় ঢিবির উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যভাগ জুড়ে। উন্মোচিত হয় বিশালাকার স্থাপত্যের ধ্বংসাবশেষ, বৌদ্ধ স্তূপ, উৎসর্গ ফলক, মূর্তির ভাঙা অংশ, লোহার কাঁটা, তামার বালা ও আংটি, পোড়ামাটির প্রদীপ, হাতির দাঁতের জপমালা, নকশাযুক্ত ইট ইত্যাদি।

৯ম পর্যায় (২০১৫-২০১৬) - এই পর্যায়ে ঢিবির দক্ষিণ, পূর্ব ও মধ্যভাগ জুড়ে খননকার্য করা হয়। খননে ঢিবির কেন্দ্রস্থল থেকে উদ্ধার হয় ৯৫টি ব্রোঞ্জের মূর্তি, যার মধ্যে ২৫-৩০টি বুদ্ধমূর্তি ছাড়াও অবলোকিতেশ্বর, হারীতী, তারা, সরস্বতী প্রভৃতি মূর্তিও পাওয়া যায়। উদ্ধার হয় স্বর্ণ মুকুটের একটি অংশ। এছাড়াও পাওয়া যায় ধাতুর ধুনুচি, জল ছিটানোর কমন্ডলু, ধাতব স্তূপ, খেলনা গাড়ির চাকা, নিত্য ব্যবহার্য মৃৎপাত্র, পোড়ামাটির অলঙ্কার, পাথরের মূর্তির ভাঙা অংশ ও ভাস্কর্য ইত্যাদি।

সমগ্র প্রত্নক্ষেত্রটি পরীক্ষা করে বলা যায় যে, আয়তনে মহাবিহারটি ৬০*৬০ মিটার যা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বৃহত্তম। সময়গত এবং গঠনগত দিক থেকে এই মহাবিহারটি নালন্দা, বিক্রমশীলা বিহারের সঙ্গে সদৃশ। দৃঢ়ভাবে বলা যায়, সুদূর অতীতে এই অঞ্চলে বৌদ্ধ সংস্কৃতি নির্ভর একটি জনপদ গড়ে উঠেছিল। শুধুমাত্র বৌদ্ধ মহাবিহার নয় সমগ্র গ্রাম জুড়েই ছড়িয়ে আছে বৌদ্ধ স্থাপত্যের এক অনবদ্য নিদর্শন। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ এবং সারা পৃথিবী থেকে বৌদ্ধরা এখানে তীর্থ করতে আসেন। এ এক চিরন্তন অনুভূতি লাভের পরম আশ্রয়স্থল। যদি কেউ একদিন দু’দিনের জন্য এই দমবন্ধ পরিবেশ থেকে বেরোতে চান তাহলে বৌদ্ধ ইতিহাসের সাক্ষী এই অঞ্চলে আপনাকে আসতেই হবে।

কীভাবে যাবেন – হাওড়া রেলস্টেশন থেকে দক্ষিণ পূর্ব শাখার ট্রেন ধরে খড়গপুর পৌঁছবেন। সেখান থেকে ভুবনেশ্বর রুটের লোকাল ট্রেন ধরে দাঁতনের আগে নিকুরসিনি স্টেশনে নামতে হবে। স্টেশন থেকে টোটো করে যেতে হবে মোগলমাড়ি।

More Articles