জমি কেড়ে নেওয়া, পরের পর যুদ্ধ! পৃথিবী শাসন করা আমেরিকার ইতিহাস তাক লাগাবে
United States: ভিত্তিপ্রস্তর তো আগেই স্থাপন করা হয়ে গিয়েছিল, বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তাতে শুধু ইমারত বানানো হয়। কীভাবে এত শক্তিশালী হয়ে উঠল আমেরিকা?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে গোটা বিশ্বে দু'টি শক্তিকেন্দ্র তৈরি হয়, একটি তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া, আরেকটি আমেরিকা। এই সময় থেকেই বিশ্বজুড়ে বাড়বাড়ন্ত শুরু হয় আমেরিকার। তবে এরও বহু আগে শক্তিশালী হওয়ার পথে এগিয়েছিল আমেরিকা। ভিত্তিপ্রস্তর তো আগেই স্থাপন করা হয়ে গিয়েছিল, বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তাতে শুধু ইমারত বানানো হয়। কীভাবে এত শক্তিশালী হয়ে উঠল আমেরিকা?
যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর আমেরিকা
বলার অবকাশ রাখে না, ক্ষেত্রফলের দিক দিয়ে বিশ্বের অন্যতম বড় দেশ আমেরিকা। প্রাকৃতিক সম্পদ এবং হিউম্যান রিসোর্স প্রচুর থাকার কারণে আজ বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ তারা। তবে এই সমৃদ্ধির আরেকটি কারণ হলো, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কোনও বিপদ না থাকা। ষোড়শ শতাব্দীতে উত্তর আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে ক্ষমতা ছিল ফ্রেঞ্চ এবং স্প্যানিশ সাম্রাজ্যের। এই সময়ের নিজেদের সাম্রাজ্য বৃদ্ধি করছিল ব্রিটিশ এম্পায়ার। উত্তর আমেরিকায় ফ্রেঞ্চ এবং স্প্যানিশ সাম্রাজ্যের সঙ্গে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাত বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে ফরাসি এবং স্পেনীয় সাম্রাজ্য- উভয়কেই শেষ করে দেয় ব্রিটিশরা। সেই সময় ক্ষমতা দখল করলেও পরবর্তী শতাব্দীতে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে তারা। এই সময়ই ব্রিটিশরা রাজপাট গোটাতে শুরু করে, এবং ইংল্যান্ড থেকে একটি অংশ এসে থাকতে শুরু করে আমেরিকার উত্তর অংশে। অবশেষে স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে নতুন দেশ নির্মাণ।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আমেরিকায় লাল সূর্যোদয়? ব্রাজিলে বামপন্থী প্রেসিডেন্টের নির্বাচন যে প্রশ্ন তুলে দিল
রেড ইন্ডিয়ানদের নরসংহার এবং ভূমি দখল
অষ্টাদশ শতকের আটের দশকে আজকের আমেরিকার ৭৫ শতাংশ অংশজুড়ে ছিল রেড ইন্ডিয়ান বা নেটিভ আমেরিকানদের বাস। ১৭৯৪ সালে স্প্যানিশ সাম্রাজ্যের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি চুক্তি সই করে, স্যান লোরেঞ্জ চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে তারা বর্তমান আমেরিকা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কীভাবে শাসন করবে তা নির্ধারণ করা হয়। মূলত কোন অঞ্চল কার অধীনে থাকবে, সেই নিয়েই ছিল এই চুক্তি। তবে এই চুক্তির পরে রেড ইন্ডিয়ানদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। আমেরিকার পুরোপুরি দখল নিতে সেই সময় মার্কিন সরকার নির্বিচারে রেড ইন্ডিয়ানদের থেকে জমি দখল করে নিতে শুরু করে এবং শুরু হয় নির্বিচারে নরসংহার। এর প্রায় ১০০ বছর পর, ১৮৮৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি আইন পাশ (Dawes Act, 1887) করে জানিয়ে দেয় রেড ইন্ডিয়ানরা নিজেদের স্বায়ত্বশাসনের অধিকার খুইয়েছে এবং তাদের সরকারের কথামতোই চলতে হবে। এভাবে আমেরিকা থেকে রেড ইন্ডিয়ানদের প্রভাব কার্যত শেষ হয়ে যায়।
মেক্সিকোর এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ছিনিয়ে নেওয়া
১৮২১ সালে স্বাধীনতা পায় মেক্সিকো। সেই সময় ক্যালিফোর্নিয়া এবং টেক্সাস স্প্যানিশ সাম্রাজ্যের অধীনে থাকলেও সেখানে স্প্যানিশ সাম্রাজ্যের বাড়বাড়ন্ত ছিল। ১৮৩০ সাল নাগাদ সেই অঞ্চলগুলিতে মেক্সিকানদের থেকে আমেরিকান বাসিন্দাদের সংখ্যা বেশি হয়ে যায়। তারা ক্রমশ বিদ্রোহ করতে থাকে টেক্সাস এবং ক্যালিফোর্নিয়াকে মেক্সিকো থেকে আলাদা করে আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়ার জন্য। এই বিদ্রোহের কারণেই ১৮৩৫ সালে যুদ্ধ শুরু হয় মেক্সিকো এবং আমেরিকার মধ্যে। ১৮৪৫ সালে টেক্সাসকে যুক্ত করিয়ে দেওয়া হয় আমেরিকার সঙ্গে। তবে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেমস পোল্ক এতে মোটেও খুশি ছিলেন না। ১৮৪৬ সালের ফের শুরু হয় যুদ্ধ। এবার মেক্সিকোর এক তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ ক্যালিফোর্নিয়া, ইউটা, অ্যারিজোনা, নেভাদা দখল করে নেয় আমেরিকা।
আমেরিকা থেকে ‘ইম্পেরিয়াল’ আমেরিকা হয়ে ওঠা
এই প্রসঙ্গে আলোচনা করার আগে 'ইম্পেরিয়াল' শব্দটির অর্থ জেনে নেওয়া প্রয়োজন। 'ইম্পেরিয়াল' শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল ‘সাম্রাজ্য বিস্তারকারী’। দেনায় জর্জরিত স্প্যানিশ সাম্রাজ্য শেষ হয়ে গেলে আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তিধর দেশ হিসেবে উঠে আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের প্রথম নীতিই ছিল ইম্পেরিয়ালিজমে জোর দেওয়া বা সাম্রাজ্য বিস্তার করা। এই সময় তাদের প্রথম নজর পড়ে কিউবার দিকে। আগে স্পেনের একটি কলোনি হলেও স্প্যানিশ সাম্রাজ্যের পতনের পর স্বাধীন হয়ে যায় কিউবা। ১৮৯৮ সালে কিউবার এই স্বাধীনতার যুদ্ধে তাদের সাহায্য করেছিল আমেরিকা। কিন্তু কিউবা স্বাধীন হয়ে যাওয়ার পর আমেরিকার কূটনৈতিক স্তরে দু'টি ভাগ হয়ে যায়। একদল দাবি করে কিউবাকে আমেরিকার অধীনস্থ করার, আরেক দল এই সিদ্ধান্তের ক্রমাগত বিরোধিতা করতে থাকে। কিউবা দখল করতে না পারলেও কিউবার রাজনৈতিক এবং সামাজিক ব্যবস্থায় আমেরিকা নিজেদের ছাপ রেখেছিল। তবে কিউবার স্বাধীনতার যুদ্ধের ফলে পুয়েরতো রিকো, গুয়াম, ফিলিপাইন্স-সহ প্রশান্ত মহাসাগরের বহু দ্বীপপুঞ্জ দখল করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
হাওয়াই দখল
আগেই আপনাদের বলেছিলাম যে, প্রশান্ত মহাসাগরের বহু দ্বীপপুঞ্জে নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট। এরকমই স্বাধীন একটি দ্বীপরাষ্ট্র ছিল হাওয়াই। ১৮৯৩ সালে একদল মার্কিন ব্যবসায়ী অর্থের জোরে হাওয়াইয়ের স্বাধীন সরকার ফেলে দেয়। তারা আমেরিকাকে আবেদন করে অন্যান্য দ্বীপগুলির মতো হাওয়াই দখল করে নিতে। কিন্তু তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিভল্যান্ড তা করতে অস্বীকার করেন। তাই ব্যবসায়ীদের বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি, কয়েকদিনের মধ্যেই আমেরিকায় ক্ষমতা পরিবর্তন হয়, নতুন প্রেসিডেন্ট হন উইলিয়াম ম্যাকিনলে। প্রেসিডেন্ট হয়েই তিনি নির্দেশ দেন হাওয়াই দখল করার। ফলে, হাওয়াই-ও আমেরিকার একটি কলোনিরূপে পরিণত হয়। তবে এবার এই সাম্রাজ্য বিস্তারের দৌড়ে শামিল হয় জাপান। ১৯৩৯ সালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগে হাওয়াই দখল করে নেয় তারা। বছরদুয়েক পরে বিশ্বযুদ্ধে পরস্পরের মুখোমুখি হয় জাপান এবং আমেরিকা। তারপর সেই পার্ল হারবারের ঘটনা এবং হিরোশিমা-নাগাসাকি কারও অজানা নয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউরোপ
বিশ্বে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গ্লোবাল পাওয়ারের উদ্ভব হয়েছে। কিন্তু একটা দেশ নিজেই যে গ্লোবাল পাওয়ার হবে, বিশ্বের অন্যতম শক্তিকেন্দ্র হবে, এমনটা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে কল্পনাও করা যেত না। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্বের প্রথম সাতটি শক্তি- আমেরিকা, ইউকে, রাশিয়া, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, অটোমান সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থার দিকে তাকালে আমরা একটি চমকপ্রদ জিনিস দেখতে পাব। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর অটোমান সাম্রাজ্য কার্যত পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে যায়। রাশিয়া, জার্মানি, অস্ট্রিয়া এবং ফ্রান্সের জিডিপি হু হু করে কমতে থাকে ১৯১৩-'১৯ এই সময়কালের মধ্যে। ইউকে-র জিডিপি কমতে-বাড়তে থাকে। খুব একটা স্টেবল হয় না, তবে বাকি দেশগুলির থেকে ভালো অবস্থায় থাকে। তবে এত ডামাডোলের মধ্যেও একমাত্র আমেরিকার জিডিপি ক্রমশ এই সময় বাড়ে। এর থেকেই আভাস মেলে, পরবর্তী সময়ে কেন এত শক্তিশালী হয়ে উঠল আমেরিকা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ততটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি আমেরিকা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কতটা ছিল, তার সঠিক পরিসংখ্যান দেওয়া মুশকিল। তবে কাগজে-কলমেও যে ক্ষতির পরিমাণ বলা হয়েছিল তা নেহাত কম নয়। এই যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল জার্মানি, জাপান, সোভিয়েত রাশিয়া-সহ পূর্ব ইউরোপ এবং পূর্ব এশিয়ার নানা দেশ। যুদ্ধ পরবর্তী সময় ইউরোপ এবং এশিয়া, দুই মহাদেশেই খরা, মহামারী, মূল্যবৃদ্ধির মতো সমস্যা দেখা যায়। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ওই জায়গাগুলিতে। তবে এই সমস্ত দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণও আদায় করেছিল তারা। ফলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময় বিশ্বের অন্যতম শক্তিকেন্দ্র হিসেবে আমেরিকার উত্থান ঘটে।
কোল্ড ওয়ার
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে জোর ধাক্কা খেয়েছিল ইউরোপের কলোনিয়ালিজম বা উপনিবেশবাদ। এই সময় বিশ্বের দু'টি শক্তিকেন্দ্র হিসেবে উঠে এসেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকা। দু'টি দেশই বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশকে নিজেদের দিকে আনার চেষ্টা করতে থাকে। আশঙ্কা তৈরি হয় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধর, আমেরিকা বনাম সোভিয়েত ইউনিয়ন সংঘর্ষের। মহাযুদ্ধ হতে পারে, এই আশঙ্কায় উভয়পক্ষই কূটনৈতিক চালের মাধ্যমে অন্যান্য দেশকে নিজেদের আনতে শুরু করে। এভাবেই শুরু হয় কোল্ড ওয়ার। তবে ১৯৭১ আসতে আসতে নিজ নিজ অনুগামীদের নিয়ে আলাদা দু'টি শক্তিকেন্দ্র গড়ে তোলে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকা। এরপর ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তান আক্রমণ করে দেয় সোভিয়েত। ১৯৮০ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হন রোনাল্ড রেগান। নির্বাচনী প্রচারে তিনি কথা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট হলেই সবার আগে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নকে সরাবেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রেগান কিছু করার আগেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ায় বিশ্বের একমাত্র শক্তিকেন্দ্র হিসেবে উদ্ভূত হয় আমেরিকা। যদিও তা সাময়িক, কয়েক বছরের মধ্যে শক্তিকেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সোভিয়েত রাশিয়া।
মিলিটারি এবং ডিফেন্সের বিপুল বাজেট
আমেরিকার সুপারপাওয়ার হয়ে ওঠার পিছনে অন্যতম অবদান আছে তাদের মিলিটারি পাওয়ারের। আমেরিকার মিলিটারি বাজেট বিশ্বে সবচেয়ে বেশি, এই তালিকায় পরবর্তী বারোটি দেশের সম্মিলিত ডিফেন্স বাজেটের থেকেও বেশি। কোল্ড ওয়ার এবং কোল্ড ওয়ার-পরবর্তী সময়ে নিজেদের সামরিক বাহিনীকে আরও উন্নত করেছে আমেরিকা। ১৯৭৯ থেকে গাল্ফ দেশগুলো থেকে আসা তেলবাহী জাহাজগুলিকে অঘোষিতভাবে সুরক্ষা প্রদান করে আমেরিকা। তবে সামরিক ক্ষেত্রে আমেরিকার এই আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে ক্রমশ নিজেদের সেনাবাহিনীকে আরও উন্নত করছে রাশিয়া এবং চিন।
ন্যাটোর অঘোষিত নেতা
১৯৪৯ সালে ওয়েস্টার্ন ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলি আমেরিকা এবং কানাডার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার নাম নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা ন্যাটো (NATO)। এই সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য ছিল, সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসন থেকে বিশ্বকে রক্ষা করা। কোল্ড ওয়ারের সময় ইউরোপের আরও অনেক দেশ যুক্ত হয় ন্যাটোর সঙ্গে। কয়েক বছর আগে পশ্চিম ইউরোপের যে দেশগুলি আমেরিকার বিরুদ্ধে জোট পাকাচ্ছিল, তারাই এখন আমেরিকার নেতৃত্বে সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরেও ন্যাটো কিন্তু ভাঙেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও দেশগুলিকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করেছে তারা। ইউরোপের পাশাপাশি কোরিয়া এবং জাপানও এসে যোগ দিয়েছে ন্যাটোতে। সাম্প্রতিককালে ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করায় তার ওপর আক্রমণ করে দেয় রাশিয়া। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ভূরাজনৈতিক সমীকরণ যাই-ই হোক না কেন, আপাতত ন্যাটোর অঘোষিত নেতা আমেরিকাই।