ক্রিকেট বিশ্বকাপের স্বপ্নভঙ্গ থেকে সাক্ষীর কুস্তি ত্যাগ, ফিরে দেখা ২০২৩-এর খেলার দুনিয়া

Year ender Sports 2023 : আর কি আদৌ মেয়েদের কুস্তিতে পাঠানো নিরাপদ করবে পরিবারের লোকেরা? আরো অনেক কিছুর মতো এই প্রশ্নটা ভাবাবে নতুন বছরে।

হাজারো স্মৃতি আর হাসি-কান্নার রঙিন আবির মেখে বিদায় নিতে চলেছে ২০২৩ সাল। অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে শুরু হবে নতুন বছরের পথচলা। শেষবেলায় শুধু পড়ে থাকে সালতামামির চুলচেরা বিশ্লেষণ। জীবনের প্রতিটি প্রান্তের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির অঙ্কের জটিলতায় কীভাবে বাদ রাখা যায় খেলাপাগল মনকে? ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, দাবা— অসংখ্য স্বপ্নপূরণ আর স্বপ্নভঙ্গের কাহিনি জড়িয়ে আছে ২০২৩-এর সঙ্গে। একবার পিছন ফিরে দেখে নেওয়া যাক এবছরের ক্রীড়াবিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলির হালহকিকত।

আবার বছর কুড়ি পরে...

২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ‘টিম ইন্ডিয়া’র হার এখনও চিনচিনে ব্যথা দিয়ে যায় ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। এবার সুযোগ এসে গেছিল সেই সমস্ত যন্ত্রণা ভোলার। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল এগিয়ে যাচ্ছিল অপ্রতিরোধ্য গতিতে। গ্রুপ পর্বে জিতেছে সব ম্যাচ। সেমিফাইনালে উড়িয়ে দিয়েছে বরাবরের গাঁট নিউজিল্যান্ডকে। কুড়ি বছর বাদে ফের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া। সমাজমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ‘প্রতিশোধ’, ‘বদলা’-র মতো শব্দ। কিন্তু না। স্বপ্নপূরণ হলো না। প্যাট কামিন্সের বলে বিরাট কোহলির আউটের পর যেভাবে স্টেডিয়ামের লক্ষাধিক দর্শক স্তব্ধ হয়ে গেছিল, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই নীরবতা গ্রাস করল গোটা ভারতবর্ষকে। মাত্র একটা ম্যাচের ফলাফল দীর্ঘ করে দিল বিশ্বকাপ জয়ের প্রতীক্ষা। সমালোচনা হয়েছে, বিতর্ক হয়েছে। তবু কুর্নিশ জানাতে হয় টুনার্মেন্ট জুড়ে ভারতের ক্রিকেটীয় শাসনকে। চিরপরিচিত মেজাজে ফিরল বিরাট কোহলির ব্যাট। গত কয়েক বছরের লাগাতার অপমানের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল মহম্মদ শামির আগুনে স্পেল। কাপ জেতা না হোক, দেশের মন জয় করেছে ‘টিম ইন্ডিয়া’।

আরও কিছু ক্রিকেট

২০২৩-কে এক অর্থে অস্ট্রেলিয়ার বছর বললে বোধহয় বাড়িয়ে বলা হয় না। পুরুষদের একদিনের বিশ্বকাপ তো বটেই, সারা বছরই দাপট ছিল তাদের। ইংল্যান্ডের মাটিতে ২-২ ড্র করে অ্যাসেজ নিজেদের কাছে রেখে দিল ব্যাগি গ্রিনরা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পর্যুদস্ত করল ভারতকে। এমনকী মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও নিজেদের দেশে নিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। তাহলে কি ভারতের ঝুলিতে কিছুই নেই এবছর? নিশ্চয়ই আছে। এশিয়া কাপের ফাইনালে মহম্মদ সিরাজের বিধ্বংসী বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৫০ রানে অল আউট করে দেওয়া আছে। অনুর্ধ্ব-১৯ মহিলাদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী ভারত। ফাইনালে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন বাংলার তিতাস সাধু। আর এবারই প্রথম চালু হল মহিলাদের আইপিএল। যা নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক ঘটনা।

আরও পড়ুন- ইউক্রেন থেকে গাজা, এক্স থেকে নোবেল: বিশ্বদর্শনে ২০২৩

এশিয়ানে একশো!

অবিশ্বাস্য বললেও হয়তো কম বলা হয়। কে ভেবেছিল, এশিয়ান গেমসে পদকপ্রাপ্তির সেঞ্চুরি করবেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা? অক্টোবর মাসে চিনের হ্যাংঝোতে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১০৭টি পদক এসেছে ভারতের ঝুলিতে। যা গত ৬০ বছরের এশিয়ান গেমসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য। ২৮টি সোনা, ৩৮টি রুপো, ৪১টি ব্রোঞ্জ নিয়ে চতুর্থ স্থানে শেষ করেছে ভারত। সবচেয়ে বেশি স্বর্ণপদক এসেছে শ্যুটিংয়ে ব্যক্তিগত ও দলগত ইভেন্টে। কম যাননি ভারতীয় তিরন্দাজরাও। প্রথমবার অংশগ্রহণ করে মহিলা ক্রিকেট দল পেয়েছে সোনার সম্মান। পুরুষদের ক্রিকেট দলও আছে সোনার তালিকায়। সোনা এনেছে পুরুষ ও মহিলা কাবাডি দল। এছাড়া জ্যাভলিনে নীরজ চোপড়ার স্বর্ণপদক প্রাপ্তি তো ছিল যেন সময়ের অপেক্ষা। সে প্রত্যাশাও পূরণ হয়েছে খুব স্বাভাবিকভাবেই। তার কিছুদিন পরেই ছিল প্যারা এশিয়ান গেমস। সেখানেও একশো পার। ২৯টি সোনা, ৩১টি রুপো এবং ৫১টি ব্রোঞ্জ-সহ মোট ১১১টি পদক এসেছে তাঁদের হাত ধরে।

ফুটবলে মহানিষ্ক্রমণ

শুরুটা হয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে দিয়ে। গত বছরের শেষেই ইওরোপিয় ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে সই করেন তিনি। তখনও বোঝা যায়নি, এই ঘটনা ছিল ঝড়ের পূর্বাভাস। এরপর নেইমার, করিম বেঞ্জেমা, এনগোলো কন্তে, সাদিও মানে, রবার্তো ফিরমিনো-সহ একঝাঁক বিখ্যাত ফুটবলার পাড়ি জমান সৌদি আরবের পথে। মূল কারণটা অবশ্যই বিরাট অঙ্কের আর্থিক চুক্তি। তার সঙ্গে রয়েছে ফুটবলবিশ্বে নিজের জায়গা পাকাপাকি করার জন্য সৌদি আরবের নিজস্ব পরিকল্পনা। যার সূত্রপাত কিন্তু ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। ২০৩৪-এর ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে তারা। অন্যদিকে বিশ্বকাপ জয়ের পর লিওনেল মেসির নতুন ক্রীড়াক্ষেত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘মেজর লিগ সকার’। একটা সময় গুজব উঠেছিল, হয়তো পুরনো ক্লাব বার্সেলোনাতেই ফিরবেন তিনি। কিন্তু তার বদলে এককালের সতীর্থ সার্জিও বুস্কেটস আর জর্দি আলবাও পৌঁছে গেলেন প্রাক্তন ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে।

‘GOAT’ বিতর্কের পরিসমাপ্তি?

মেসির কথা যখন উঠলই, তখন স্বাভাবিকভাবেই উঠবে কাতার বিশ্বকাপের কথা। ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে বিশ্বজয়ী হয়েছিল আর্জেন্টিনা দল। তখন থেকে আবার মাথাচাড়া দিচ্ছিল সেই পুরনো বিতর্ক। এবছর মেসির অষ্টম ব্যালন ডি’ওর জয়ের পর অনেকেই বলতে শুরু করেছেন ফুটবলে ‘GOAT’ বা ‘Greatest of All Time’ বিতর্কের সমাপ্তি ঘটল। ব্যক্তিগত ও দলীয়, এত সম্মান মেসি ছাড়া আর কার ঝুলিতে রয়েছে? অবশ্য ভিন্নমতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। সারা বছর এই নিয়ে চলেছে হাজারও বাকবিতণ্ডা। ফুটবল জীবনের পড়ন্তবেলাতেও কিন্তু আরও একবার পাদপ্রদীপের আলো কেড়ে নিলেন লিওনেল মেসি। শিষ্যের পাশাপাশি গুরুর জন্য এবছর অপেক্ষা করেছিল ঐতিহাসিক সাফল্য। পেপ গুয়ার্দিওলার প্রশিক্ষণে ম্যানচেস্টার সিটি প্রথমবার স্বাদ পেল চ্যাম্পিয়নস লিগের। একই সঙ্গে টানা তিনবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিতল তারা। বার্সেলোনার পর সিটিকেও ‘ট্রেবল’-এর সম্মান এনে দেওয়া পেপ কি কোচেদের ‘গোট’ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন?

বিশ্বকাপের লক্ষ্যে

২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ হবে ৪৮টি দলের। সেই লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছে ভারতের পুরুষদের ফুটবল দল। কাতারের কাছে হারলেও, কুয়েতকে ঘরের মাঠে গিয়ে হারিয়ে আসা কিন্তু পরের রাউন্ডের জন্য অনেকটাই এগিয়ে রাখছে ভারতকে। এবছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও তাদের হারিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রীরা। ফলে আকাশকুসুম হলেও, হাল ছাড়তে নারাজ ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীরা।

নীরজ-প্রজ্ঞানন্দের দাপট

শুধু এশিয়ান গেমস নয়। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপেও সোনা এনেছেন নীরজ চোপড়া। এর আগে কোনও ভারতীয় ক্রীড়াবিদ এই কৃতিত্বের দাবিদার হতে পারেননি। অলিম্পিক্সে তিনি সোনা জিতেছিলেন ৮৮.৫৮ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়ে। আর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে অতিক্রম করলেন ৮৮.১৭ মিটার দূরত্ব। নীরজের পেশিশক্তির দাপটের পাশাপাশি উঠে এল আরেক ভারতীয়ের মগজাস্ত্রের কেরামতি। যাঁর বয়স মাত্র ১৮। নাম রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। দাবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু ম্যাগনাস কার্লসেনের কাছে পরাজিত হলেও সারা বিশ্ব সাক্ষী থেকেছে এক নতুন প্রতিভার উদয়ের। ষোলো বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া প্রজ্ঞানন্দ যে চৌষট্টি খোপের যুদ্ধে ভারতের ভবিষ্যৎ, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। প্রসঙ্গত, তাঁর দিদি বৈশালী রমেশবাবুও এবার অর্জন করেছেন গ্র্যান্ডমাস্টার শিরোপা। দিদি-ভাইয়ের এই কৃতিত্ব বিশ্বে সর্বপ্রথম।

আরও পড়ুন- ‘ওয়াও’ থেকে ‘জামালকুদু’! ২০২৩ জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপাল কোন কোন ভাইরাল?

মেরা নাম ‘জোকার’

গতবছর সঙ্গী ছিল একরাশ বিতর্ক। কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার তথ্য প্রকাশ করতে না চাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নামার অনুমতি পাননি নোভাক জকোভিচ। টেনিস দুনিয়ায় যিনি পরিচিত ‘জোকার’ নামে। কিন্তু এবছর সুদে-আসলে পুষিয়ে নিলেন সব কিছু। জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে ছুঁয়েছিলেন রাফায়েল নাদালের ২২টি গ্র্যান্ড স্লামের রেকর্ড। এরপর ফ্রেঞ্চ ওপেন ও ইউএস ওপেন জিতে এখন তিনি পুরুষদের টেনিসে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম বিজেতা। আদৌ কি আর কেউ পারবে তাঁর রেকর্ড ভাঙতে?

বিদায় পরিচিতা

খেলার মাঠের গল্প অনেকটা জীবনের মতোই। চিরকাল মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকা সম্ভব হয় না। বিদায় একদিন নিতেই হয়। ২০২৩ সালেও ক্রীড়াজগৎ থেকে অবসর নিলেন একঝাঁক তারকা। ক্রিকেটের বাইশ গজ থেকে সরে গেলেন হাশিম আমলা, স্টুয়ার্ট ব্রড, অ্যারন ফিঞ্চ। অন্যদিকে চিরকালের জন্য ফুটবলের বুটজোড়া তুলে রাখলেন জিয়নলুইজি বুঁফো, জ্‌লাটান ইব্রাহিমোভিচ, গ্যারেথ বেল, মেসুট ওজিল, এডেন হ্যাজার্ড। টেনিসের জগতে ভারতের সবচেয়ে বড় ধাক্কা অবশ্যই ডেভিস কাপ থেকে রোহন বোপান্নার অবসর। শৈশব-কৈশোরের নায়কদের অবসর বোধহয় জানিয়ে দিচ্ছে, সময় কারও জন্য থেমে থাকে না।

শেষ নাহি যে...

মানুষ অমর নয়, তবু স্মৃতিতে থেকে যায় তার কর্মের রেশ। যতদিন খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত, ততদিন চর্চায় থাকে তাঁর নাম। অবসরের পর হয়তো অপেক্ষা থাকে আরও বড় একটা অবসরের। জীবনের ক্রীড়ামঞ্চ থেকে এবার বিদায়ের পালা। ২০২৩-এ আমরা হারিয়েছি বেশ কয়েকজন কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদকে। কে ভুলতে পারে ভারতীয় ফুটবলের ‘বড়ে মিঞা’ মহম্মদ হাবিবকে? পারকিনসনে আক্রান্ত হয়ে ৭৪ বছর বয়সে বিদায় নিলেন তিনি। অনেক বঞ্চনা আর অবহেলার শেষে চিরঘুমে আশ্রয় নিলেন তুলসীদাস বলরাম। জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ের নেপথ্য কারিগর ছিলেন তিনি। চুনী গোস্বামী, পি. কে. বন্দ্যোপাধ্যায় ও তুলসীদাস ছিলেন যেন ভারতীয় ফুটবলের ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। আন্তর্জাতিক ফুটবল বিশ্বে এবছর প্রয়াণ ঘটেছে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি খেলোয়াড় ববি চার্লটনের। ক্রিকেটজগতের অবিস্মরণীয় নাম বিষেন সিং বেদীও ৭৭ বছর বয়সে চিরবিদায় নিলেন।

দুশ্চিন্তার ‘দঙ্গল’-এ

কথায় বলে শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। বছরের শেষটা কি সত্যিই শুভ সংবাদ নিয়ে এল ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য? সাংবাদিক বৈঠক করে বুট জোড়া তুলে রাখলেন অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগির সাক্ষী মালিক। আর প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে পদ্মশ্রী পুরস্কার রেখে এলেন আরেক অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগির বজরং পুনিয়া। মাস কয়েক আগের সেই বীভৎস দৃশ্য ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় কোনওদিন। দিল্লির প্রকাশ্য রাস্তায় হেনস্তা করা হয়েছিল ভারতীয় কুস্তিগিরদের। কেন? কারণ তারা যৌননির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রধান ও কেন্দ্রের শাসক দলের সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে তারই ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিংহ নির্বাচিত হলেন জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রধান হিসেবে। তারপরেই অবসরের ঘোষণা করেন সাক্ষী। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, আর কি আদৌ মেয়েদের কুস্তিতে পাঠানো নিরাপদ করবে পরিবারের লোকেরা? আরো অনেক কিছুর মতো এই প্রশ্নটাও কিন্তু ভাবাবে নতুন বছরে।

More Articles