আপাতত দিল্লিতে বাজিমাত কেজরির! রাজধানীতে আটকানো যাবে 'পদ্ম ফোটাও অভিযান'?

মধ্যপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড থেকে দিল্লি, সর্বত্রই চলেছে এই ‘পদ্ম ফোটাও অভিযান’।

সভা ভরাতে তখনও খুঁজেপেতে লোক জড়ো করতে হতো। তার মধ্যেও আশার বাণী শুনিয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। একরকম কাব্য করেই বলেছিলেন, ‘আঁধার ঘুচিবে, হইবে সূর্যোদয়, ফুটিবে কমল’। চার দশক পর ‘ভীষ্ম পিতামহ’ বাজপেয়ীর সেই বাণী পাথেয় করেই এগোচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর দোসর অমিত শাহ। তবে ফারাক একটাই, প্রতিপক্ষের মন জয় করে পদ্মবনের বিস্তার ঘটাতে চেয়েছিলেন বাজপেয়ী। তাঁর উত্তরসূরির ভরসা অর্থ ও পেশিবল। সংখ্যা জোটাতে না পেরে ১৬ দিনের প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার আগে দু’বার ভাবেননি বাজপেয়ী। কিন্তু ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জনমতের মুখাপেক্ষী নন মোদি। বরং তাঁর আমলে পরাজয়ের পরই আসল শুরু হয় আসল খেলা। মন্ত্রবলে (মতান্তরে অর্থবলে) গোটা দেশকে পদ্মবনে পরিণত করাই লক্ষ্য তাঁর। মধ্যপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড থেকে দিল্লি, সর্বত্রই চলেছে এই ‘পদ্ম ফোটাও অভিযান’।

কেন্দ্র হোক বা রাজ্য, গণতান্ত্রিক দেশে, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয়, জনমতই শেষ কথা। ভোট দিয়ে শাসকের ভাগ্য নির্ধারণ করেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে জনমতকে ছাপিয়ে গিয়েছে চাতুর্য, অর্থ এবং পেশিবল। ফলে নির্বাচনে গো-হারা হারলেও, ক্ষমতায় আসীন হওয়া আটকায়নি মোদি-শাহ নেতৃত্বাধীন বিজেপি-র। তাদের এই চতুরতাই ‘অপারেশন লোটাস’ বা ‘পদ্ম ফোটাও অভিযান’ হিসেবে পরিচিত। নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে, প্রতিপক্ষর বিধায়ক ভাঙিয়ে, নির্দলদের সমর্থন বাগিয়ে, যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় আসীন হয়ে একাধিক রাজ্যে বিজেপি-র এই 'পদ্ম ফোটাও অভিযান’ সফল। বিরোধীরা সেই নিয়ে কটাক্ষ করলেও, ২০০৮ সালে কর্নাটকের বিজেপি নেতা জি জনার্দন রেড্ডিই প্রথম ‘পদ্ম ফোটাও অভিযান’ শব্দবন্ধর প্রবর্তন করেন।

২০১৪ সালে মোদি-শাহ নেতৃত্বাধীন বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঘন ঘন এর প্রয়োগ চোখে পড়েছে। তার ফলে ভারতীয় রাজনীতির অভিধানে পাকা জায়গা করে নিয়েছে ‘পদ্ম ফোটাও অভিযান’ শব্দবন্ধটি। মাঝে কয়েক বার গোঁত্তা খেলেও, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মোদি-শাহের ‘পদ্ম ফোটাও অভিযান’ সফল হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশ থেকে হালফিলে রাজধানী দিল্লি, উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম, দেশের সব প্রান্তেই চালানো হয়েছে এই অভিযান। রাজস্থানে শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি সামলে নেয় কংগ্রেস। নইলে সচিন পাইলট বিজেপি অভিমুখে রাস্তা ধরেছিলেন বলে শোনা যায়। পরে এই নিয়ে বিধানসভায় সরাসরি বিজেপি-কে আক্রমণ করেন রাজ্যের মুখ‍্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।

আরও পড়ুন: বিজেপিই রক্ষাকবচ, শুভেন্দুর গায়ে আঁচ না লাগা প্রমাণ করছে সেকথাই?

দিল্লি (২০২২)
আবগারি-নীতি দুর্নীতির অভিযোগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-এর। এরপর বিজেপি-র বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকারের। বিজেপি-তে যোগ দিতে আপ নেতাদের মাথাপিছু ২০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দেলর সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। যাঁদের প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে নিয়েই সাংবাদিক বৈঠক করেন। জানান, একা এলে ২০ কোটি, সঙ্গে কাউকে আনতে পারলে ২৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলে আপ বিধায়কদের প্রস্তাব দেয় বিজেপি।  দিল্লিতে ‘পদ্ম ফোটাও অভিযান’ চালাতে বিজেপি ৮০০ কোটি টাকা নিয়ে নেমেছে বলে দাবি করেন মণীশ। বিজেপি-তে গেলে অভিযোগ তুলে নেওয়া হবে, এমন মেসেজও পেয়েছেন বলে জানান।

ঝাড়খণ্ড (২০২২)
জুলাই মাসে হাওড়ায় ঝাড়খণ্ড-অভিমুখী একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের তিন বিধায়ক-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সিআইডি সূত্রে জানা যায়, ওই টাকা দিয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক কিনে হেমন্ত সোরেনের সরকার ফেলার পরিকল্পনা ছিল বিজেপি-র। তদন্তে গেলে দিল্লিতে বাধা দেওয়া হয় বাংলার সিআইডি-কে। এরপর অগাস্টের শেষে হেমন্তর বিরুদ্ধে স্বার্থ-সংঘাতের তত্ত্ব বিজেপি-র। মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে পাথর খাদানের ইজারাও তাঁর নামে রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে তারা। জনপ্রতিনিধির এহেন লাভজনক পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকা অনুচিত বলে হেমন্তর বিধায়ক পদ বাতিলের আর্জি করে। তাতে সায় দেয় নির্বাচন কমিশনের। রাজ্যপাল রমেশ বাইস চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

মহারাষ্ট্র (২০১৯-২০২২)
আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রিত্ব বাঁটোয়ারার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচনে লড়ে বিজেপি। কিন্তু ফলাফল বেরনোর পর দেবেন্দ্র ফড়নবিসকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি। তাতে বিজেপি-র সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির হাত ধরে সরকার গড়েন উদ্ধব। কিন্তু আড়াই বছর পেরোতে না পেরোতেই শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে এবং তাঁর অনুগামীরা উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। একনাথ এবং বিদ্রোহীদের প্রথমে গুজরাত এবং পরে অসমের রিসর্টে রাখা হয়। তার পর বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে, নিজেদের ‘আসল শিবসেনা’ বলে দাবি করে মহারাষ্ট্রে জোট সরকার গড়েন একনাথ। তবে তিনি নামমাত্র মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রয়েছেন। সবকিছু পরিচালনা করছেন দেবেন্দ্রই।

মধ্যপ্রদেশ (২০২০)
২০২০-র মার্চে ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক কমলনাথ নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার থেকে ইস্তফা দেন। বিদ্রোহী বিধায়কদের নেতৃত্ব দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ইস্তফা দিয়ে সটান নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ-র সঙ্গে দেখা করতে যা তিনি। তারপর কংগ্রেস ছেড়েও বেরিয়ে আসেন। এরপর বিজেপি-র তরফে আস্থাভোটের আবেদন জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। আস্থা ভোটের আগেই যদিও পদত‍্যাগ করেন কমলনাথ। এরপর জ্যোতিরাদিত্য-সহ ২২ জন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপি-তে যোগ দেন। সে-বছর ২৩ মার্চ শিবরাজ সিংহ চৌহান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

কর্নাটক (২০১৮-২০১৯)
নির্বাচনের পর বিএস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে কোনওরকমে সরকার গঠন করে বিজেপি। শপথগ্রহণও হয়ে যায়। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাাণ করতে না পেরে তিন দিন পর পড়ে যায় সরকার। এর পর জনতা দল (সেক্যুলার)-এর সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠনের দাবি জানায় কংগ্রেস। কংগ্রেস সেবার ৭৮টি আসন পেয়েছিল। জেডিএস পেয়েছিল ৩৪টি আসন। মুখ্যমন্ত্রী হন এইচডি কুমারস্বামী। কিন্তু এক বছরের মাথায় দুই দলের ১৭ জন বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তাঁদের বিজেপি-তে যোগদান নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। দলত্যাগ আইনে বিধায়ক পদ বাতিলের দাবি ওঠে। তাতে ভোটাভুটিতে ওই ১৭ জনকে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়। ফলে বিধানসভার আসনসংখ্যা ২২৪ থেকে কমে ২০৭ হয়। ১০৬ আসনে জয়ী বিজেপি হাসতে হাসতে সরকার গঠন করে। এরপর ওই ১৭ জনের মধ্যে ১২ জন বিজেপি-র টিকিটে ভোটে লড়ে ইয়েদুরাপ্পার হাত ধরেন।

মেঘালয় (২০১৮)
মেঘালয়ে মাত্র দু’টি আসন জিতেছিল বিজেপি। তার পরেও ২১ আসন পেয়ে বিজয়ী কংগ্রেসের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয় তারা। ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় স্থানীয় ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ১৯টি আসন জেতে। কিরেণ রিজিজু, হিমন্ত বিশ্বশর্মা তাদের সঙ্গে রফা শুরু করেন। কংগ্রেস কিছু করে ওঠার আগেই সমঝোতা হয়ে যায় দু’পক্ষের। মোট ৩৪ বিধায়কের সমর্থনে জোট সরকার গঠিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী হন কনরাড সাংমা।

গোয়া (২০১৭)
বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসে কংগ্রেস। ৪০ আসনের বিধানসভায় ১৭টি আসন পায় তারা। আর চারজন বিধায়ক পেলেই সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারত। সেই নিয়ে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতির মধ্যেই ১৩ আসন পাওয়া বিজেপি নীতিন গডকড়ি এবং প্রয়াত মনোহর পরিকরকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্ত্র পার্টি এবং গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে সমঝোতা করে গোয়ায় সরকার গডে় বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরে যান পরিকর। কংগ্রেসের ঢিলেমির জন্যই বিজেপি আগে ছোট দলগুলির সঙ্গে রফা করে ফেলে বলে পরে মুখ খোলেন তৎকালীন গোয়ায় কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক দিগ্বিজয় সিংহ।

মণিপুর (২০১৭)
বিধানসভা নির্বাচনে ৬০ আসনের বিধানসভায় ২১টি আসন পায় বিজেপি। কংগ্রেস পায় ২৮টি আসন। সঙ্গে সঙ্গে হিমন্ত বিশ্বশর্মা, পীযূষ গোয়েল এবং প্রকাশ জাভড়েকরকে মণিপুর পাঠানো হয়। ছোট দলগুলিকে পাশে পেতে শুরু হয় দরাদরি। এরপর কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে এসে ওঠা এন বীরেন সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি। এর পর স্থানীয় ছোট ছোট দল থেকে ন’জন এবং কংগ্রেস থেকে এক বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানানো হয়। বীরেনের হাত ধরে মণিপুরে সে-বারই প্রথম বিজেপি-র সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিহার (২০১৭)
লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং কংগ্রেসের সঙ্গে গঠিত ‘মহাজোট’ ছেড়ে আচমকাই বেরিয়ে আসেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সংযুক্ত জনতা দলের বিধায়কদের নিয়ে রাতারাতি হাত ধরেন পুরনো শরিক বিজেপি-র। ২০২২-এর অগাস্ট মাসের শুরুতে ফের বিজেপি-র সঙ্গ ত্যাগ করে যদিও লালুর কাছে ফিরে গিয়েছেন নীতীশ।

উত্তরাখণ্ড (২০১৬)
সরকারে ছিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন হরিশ রাওয়াত। আচমকা দলের অন্দরে বিদ্রোহ। পদত্যাগের দাবি। চরম সংকট দেখা দেয় উত্তরাখণ্ডের রাজনীতিতে। দু’মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় সেখানে। বিজেপি দলের অন্দরে বিদ্রোহের আগুনে হাওয়া দিয়েছিল বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস। নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সরাসরি মোদি-শাহকে দায়ী করা হয়।

অরুণাচল প্রদেশ (২০১৪-২০১৬)
২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অরুণাচলে সরকার গঠন করে কংগ্রেস। বিধানসভার ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৪টি দখল করে তারা। কিন্তু সেই সরকার স্থায়ী হয় মাত্র দু’বছর। বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যান পেমা খান্ডু। নয়া দল পিপলস পার্টি অফ অরুণাচল প্রদেশ গঠন করেন তিনি। তারপর বিজেপি-র হাত ধরেন। কিছুদিন পর যদিও বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে কংগ্রেসে ফেরেন তিনি। নবম টুকিকে সরিয়ে ২০১৬-র জুলাই মাসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদ দখল করেন। কিন্তু দু’মাসের মধ্যে ৪৩ জন বিধায়ককে নিয়ে ফের নিজের গড়া দলে ফেরেন। তার একমাস পর ৩৩ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে সরকার গড়েন। ২০১৯-এর বিধানসভা নির্বাচনে খান্ডুর নেতৃত্বে অরুণাচলে ৪১টি আসনে বিজয়ী হয় বিজেপি। কংগ্রেস মাত্র চারটি আসন পায়।

বর্তমানে দেশের ১২টি রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী রয়েছে বিজেপি-র। সেই অর্থে ভারতীয় ভূখণ্ডের অর্ধেক অংশ তাদের শাসনে। এর মধ্যে ব্যতিক্রম দক্ষিণের কিছু রাজ্য। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, কেরল এবং কর্নাটক থেকে ১২৯ জন সাংসদ রয়েছেন লোকসভায়। তাই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে আগে দক্ষিণেও বিজেপি ‘পদ্ম ফোটাও অভিযান’ চালালে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। এর মধ্যে কর্নাটকে বিজেপি সরকার রয়েছে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কেরল, অন্ধ্র, তেলঙ্গানা এবং তামিলনাড়ু এখনও তাদের পথের কাঁটা হয়ে রয়েছে। এর মধ্যে তেলেঙ্গানায় ঘন ঘন যাতায়াত শুরু হয়েছে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদের।

More Articles