এবার সেনাও চলবে হিন্দুত্বের আদর্শে! সৈনিক স্কুল নিয়ে কী করতে চাইছে বিজেপি?

Sainik School BJP: যে দেশপ্রেমের আখ্যান স্কুলগুলোতে প্রচার করা হবে তা আসলে সংঘ প্রকল্পিত সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের মোড়কে হিন্দুরাষ্ট্রের আখ্যান।

এই অমৃতকালে বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে ক্রমবর্ধমান রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ ও গৈরিকীকরণের অভিযোগের আবহে আরেকটি খবর বিতর্কের নতুন কেন্দ্র সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি হলো প্রস্তাবিত নতুন সৈনিক স্কুলগুলো রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অনুগত বিভিন্ন সমিতি ও বিজেপির বিভিন্ন দলীয় নেতার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। রিপোটার্স কালেক্টিভের এক তদন্তমূলক প্রতিবেদন অনুসারে, প্রস্তাবিত নতুন চল্লিশটি স্কুলের মধ্যে ৬২% স্কুল বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে গেছে। ইতিহাস সাক্ষী, যদিও ব্রিটিশরা জাত ও অঞ্চলভেদে রেজিমেন্ট তৈরি করেছিল,এখনও পর্যন্ত দু-একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে ভারতীয় সেনা মূলত অরাজনৈতিক ও ধর্মনিরপেক্ষ। কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো, বহুত্ববাদী ভারতের চরিত্র নষ্ট করে যত এককেন্দ্রিক, স্বৈরাচারী ভারত তৈরির চেষ্টা গতি পাচ্ছে ততই দিল্লির শাসকদের এই ধরনের প্রয়াসের সংখ্যা বাড়ছে। সৈনিক স্কুলের বেসরকারিকরণ ও তাদের বিভিন্ন ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এই প্রয়াসেরই অংশ।

সৈনিক স্কুল : ইতিহাসের আলোকে 

ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মিলিটারি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস অতি প্রাচীন। ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের সেনাদলে যাতে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও কুশলী সেনার কমতি না হয় তাই সরবরাহ লাইন তৈরির উদ্যোগ। ঔপনিবেশিক ভারতে ১৯২২ সালে দেরাদুনে স্থাপিত হয় রয়াল ইন্ডিয়ান মিলিটারি কলেজ এবং অব্যবহিত পরেই পাঁচটি রয়াল ইন্ডিয়ান মিলিটারি স্কুল। স্বাধীন ভারতে পুরনো মিলিটারি স্কুলগুলোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৬১ সালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সৈনিক স্কুল তৈরি হয়। ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন আকাডেমিতে (ন্যাশানাল ডিফেন্স আকাডেমি/ ইন্ডিয়ান নেভাল আকাডেমি ইত্যাদি) ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা। আশা করা হয়েছিল, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সৈনিক স্কুল থাকার ফলে সেনাবাহিনীর অফিসার ক্যাডারে আঞ্চলিক বৈষম্য দূর হবে।সবাই হয়তো সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে না কিন্তু সৈনিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা এক সাহসী,পরিশ্রমী ও শৃঙ্খলাবদ্ধ নাগরিক হিসাবে সমাজে অংশ নিতে পারবে।এই মুহূর্তে দেশে সৈনিক স্কুলের সংখ্যা ৩৩ টি। এর মধ্যে ১৭ টি তৈরি হয়েছিল ১৯৬১-৭৮ সময়পর্বে এবং ১৬ টি ২০০৩-২০ সালে।

আরও পড়ুন- আরএসএস, বিজেপি নেতা, হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর হাতে ৬২% সৈনিক স্কুল তুলে দিল বিজেপি!

সৈনিক স্কুল সোসাইটির মাধ্যমে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক স্কুলগুলো পরিচালনা করে ও পদাধিকার বলে প্রতিরক্ষা সচিব এই সমিতির প্রধান। কাঠামোগতভাবে দেখলে, এই স্কুলগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে চলে, তবে রাজ্য সরকার জোগায় জমি সহ আনুষঙ্গিক পরিকাঠামো। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক শিক্ষাখাতে সমস্ত ব্যয় বরাদ্দটাই দেয়। স্কুলগুলোর বিভিন্ন পরিচালক পদে (প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল, অ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ অফিসার) থাকেন সেনার বিভিন্ন অফিসার। এই লোকেরাই কিন্তু এতদিন সৈনিক স্কুল চালানোর কৃৎকৌশল ও দর্শনকে নির্ধারণ করে এসেছেন। আমরা যদি সৈনিক স্কুল সংক্রান্ত সরকারি রিপোর্ট কার্ড বিশ্লেষণ করি তবে দেখব, অন্তত সেনার সরবরাহ লাইন রূপে তারা সফল। ২০১৩-১৪ সালে পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, সৈনিক স্কুলের ২০% শিক্ষার্থী প্রতিবছর এনডিএ পরীক্ষা দেয়। রাজ্যসভায় দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ছয় বছরে ১১% সৈনিক স্কুলের ক্যাডেট সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এক সাক্ষাৎকারে সৈনিক স্কুলের প্রশংসা করে বলেছেন, ৭,০০০ সেনাবাহিনীর অফিসার সৈনিক স্কুল থেকে এসেছেন।

একশ নতুন সৈনিক স্কুলের গল্প 

২০২১-২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ নতুন একশটি সৈনিক স্কুল খোলার প্রস্তাব রাখেন। এতদিন পর্যন্ত কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতায় সৈনিক স্কুল তৈরি হলেও এবারের গল্পটা ছিল তার থেকে আলাদা। বলা হলো, সৈনিক স্কুলের মতাদর্শ, মূল্যবোধ ও পাঠ্যক্রম মেনে, 'সিবিএসই প্লাস' মডেল মেনে এই নতুন ধরনের সৈনিক স্কুল তৈরি হবে। এই স্কুল তৈরির জন্য সরকারি/ বেসরকারি/ অসরকারি (এনজিও) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানানো হলো। এক কথায় বলা যায় নতুন স্কুলগুলো পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মডেলে তৈরি হবে। যেহেতু এগুলো সিবিএসই মডেলে তৈরি হবে তাই রাজ্য সরকারগুলি এতে উৎসাহী হবে না। এই প্রস্তাব আসলে বিভিন্ন বেসরকারি ও এনজিও সোসাইটিকে আগ্রহী করে তোলার প্রস্তাব হয়ে থাকল। এই প্রস্তাবে যেহেতু পরিকাঠামো ছাড়া আর কোনও নির্দিষ্ট শর্ত বা মানদণ্ড থাকল না তাই ধর্মনিরপেক্ষ, বহুত্ববাদী সংস্কৃতির বিপ্রতীপে থাকা কোনও প্রতিষ্ঠানেরও সৈনিক স্কুল চালাবার ক্ষমতা পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকল। সরকারি নির্দেশিকাতে বলা হলো, কেন্দ্রীয় সরকার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয় এমন নতুন সৈনিক স্কুলের ক্ষেত্রে বছরে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা আংশিক অনুদান হিসাবে দেবে। এছাড়া বিভিন্ন প্রশিক্ষণের জন্য বছরে ১০ লাখ টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ করা হবে।

নতুন সৈনিক স্কুলের রিপোর্ট কার্ড 

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস রিলিজ ও তথ্যের অধিকার আইনে করা আবেদন থেকে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত সৈনিক স্কুল সোসাইটির সঙ্গে ৪০টা স্কুলের মউ (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং) স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে ৬২% স্কুল সরাসরি বিজেপির রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিভিন্ন শাখা সংগঠন এবং আরও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন দ্বারা পরিচালিত। ২০২২ সালের ৫ মে থেকে ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বাক্ষরিত হওয়া মউগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে ১১ টি বিজেপির রাজনীতিবিদদের, ৮ টা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রভাবিত সংগঠনের এবং ৬ টি অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে। অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খান্ডুদের পারিবারিক ট্রাস্টের হাতে আছে তাওয়াং-এর সৈনিক স্কুল। গুজরাতের মেহসানাতে রয়েছে মোতিভাই আর চৌধুরী সাগর সৈনিক স্কুল (বিজেপি নেতা বংশভাই চৌধুরী), বানাস সৈনিক স্কুল, পরিচালনায় নানজিভাই প্যাটেল চ্যারিটেবল ট্রাস্ট (গুজরাত বিধানসভার স্পিকার শঙ্কর চৌধুরী), উত্তরপ্রদেশের এটোয়ায় আছে শকুন্তলম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (বিজেপি বিধায়ক সরিতা ভাদুরিয়া), হরিয়ানায় শ্রীবাবা মস্তনাথ রেসিডেন্সিয়াল পাবলিক স্কুল (বিজেপি বিধায়ক মহন্ত বালকনাথ যোগী) ইত্যাদি। আবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা সংগঠন দুর্গা বাহিনীর অন্যতম নেত্রী এবং সাম্প্রদায়িক ঘৃণ্য ভাষণের জন্য একাধিকবার অভিযুক্ত সাধ্বী ঋতাম্ভরার দুটো স্কুল এখন সৈনিক স্কুলে উন্নীত হয়েছে। প্রথমটি বৃন্দাবন সমবিধ গুরুকুলম গার্লস সৈনিক স্কুল এবং দ্বিতীয়টি হিমাচলপ্রদেশের সোলানের রাজলক্ষ্মী সমবিধ গুরুকুলম গার্লস সৈনিক স্কুল।

আরও পড়ুন- জিতেছিলেন বাবা-মা দু’জনেই! স্মৃতির থেকে আমেঠি ছিনিয়ে আনতে পারবেন রাহুল গান্ধি?

সৈনিক স্কুলের মান্যতা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের ভিখে পাতিল স্কুল (একদা কংগ্রেসি, বর্তমানে বিজেপি নেতা রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাতিল), রাজস্থানের সিকারে ভারতীয় পাবলিক স্কুল (বিজেপি জেলা সভাপতি হরিরাম রানওয়া), মধ্যপ্রদেশের সাইনি ইন্টারন্যাশানাল স্কুল (বিজেপি বিধায়ক সঞ্জয় পাঠকের স্ত্রী নিধি পাঠক চেয়ারপার্সন) ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে, এগুলো সব পুরনো স্কুল যা বর্তমানে নৈতিক মূল্যবোধ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিষয়ক কয়েকটি পাঠ চালু করে সৈনিক স্কুলের মর্যাদা পেতে চলেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সরাসরি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দ্বারা পরিচালিত বিদ্যা ভারতী অখিল ভারতীয় শিক্ষা সংস্থানের অধীন সাতটি স্কুল (বিহারে তিনটি, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, কেরল এবং দাদরা নগর হাভেলিতে একটি করে) সৈনিক স্কুল হিসাবে নথিভুক্ত হতে চলেছে। ১৯৭৮ সালে হিন্দুত্বের আদর্শ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আরএসএস এই সমিতি তৈরি করে। ইতিহাস বিকৃতি, মুসলমান বিরোধী প্রচার, সাংবিধানিক আদর্শের বিপ্রতীপে হিন্দুরাষ্ট্রের পক্ষে বারংবার সওয়াল করার জন্য কুখ্যাত বিদ্যা ভারতী কোনওরকম লুকোছাপা না করে তাদের ওয়েবসাইটে লিখে রেখেছে যে, তাদের উদ্দেশ্য হলো কিশোর ও যুবদের মধ্যে হিন্দুত্ব ও দেশপ্রেমের উচ্ছাস জাগানো। এই ধরনের নতুন সৈনিক স্কুলগুলোর পরিচালকবর্গ যেহেতু স্বাধীন তাই কেন্দ্রের শাসকদলের সঙ্গে যোগসাজসে তারা এক সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনের আখ্যান তৈরি করবে যা সংবিধান উল্লিখিত ভারতের আদর্শের বিপরীত। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার দোহাই দিয়ে যে দেশপ্রেমের আখ্যান স্কুলগুলোতে প্রচার করা হবে তা আসলে সংঘ প্রকল্পিত সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের মোড়কে হিন্দুরাষ্ট্রের আখ্যান। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যেহেতু প্রতিরক্ষা দপ্তরের ট্যাগ থাকবে তাই ভবিষ্যতে সেনার উচ্চপদে আসীন হওয়ার আশা স্কুলগুলোকে জনপ্রিয় করবে। কেন্দ্রীয় সরকার অর্ধেকের বেশি ব্যয় বহন করলেও দেখা যাচ্ছে স্কুলগুলোতে পড়ার খরচ নানা ধরনের। কালেক্টিভের রিপোর্ট মোতাবেক ১৩,৮০০ থেকে ২,৪৭,০০ পর্যন্ত এক্ষেত্রে আর্থিক অস্বচ্ছতার প্রশ্নও উঠছে।

বৃহত্তর বিপদের শঙ্কা 

২০১৪ সালের পর থেকে সেনাবাহিনীতে রাজনীতির প্রভাব অস্বস্তিকরভাবে বাড়ছে এবং এমন সমস্ত ঘটনা ঘটছে যা আগে কখনও ঘটেনি। সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত সিনিয়রটির প্রথা ভেঙে সরকারের পছন্দের অফিসারদের পদোন্নতি ঘটছে। বিগত লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেছে, নরেন্দ্র মোদি বক্তৃতা করছেন, পেছনে পুলওয়ামায় মৃত জওয়ানদের ছবি। পুলওয়ামার ঘটনা ও তার রাজনৈতিক তাৎপর্য নিয়ে তৎকালীন জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল ও বিজেপি নেতা সতপাল মালিক পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে যা বলেছেন তা নিয়ে জনমানসে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। বালাকোট বিমান হানা ও উরির ঘটনাকে বিজেপি যেভাবে লোকসভা ও উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দু জাগরণের নামে ব্যবহার করেছে তা সেনা ও রাজনীতির মধ্যেকার সীমারেখাকে লুপ্ত করেছে বলে মত প্রকাশ করেছেন বহু বিশিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক। লাদাখে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর শস্ত্র পুজো, প্যারিসে রাফাল বিমান পুজো, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে অমরনাথ দর্শন, প্রধানমন্ত্রীর জওয়ানদের প্রতি সিন্ধুপুজোর আহ্বান সর্বোচ্চ সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সেনার পোশাকে অগ্নিবর্ষী ভাষণ সেনাকে একটি বিশেষ ধর্মের প্রতি দায়বদ্ধ দেখানোর কুশলী চেষ্টা। এর ফলে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের ধারণার উপর আক্রমণ আরও তীব্র হবে। এমতাবস্থায় ক্যাচ দেম ইয়ং-এর নীতি মেনে সৈনিক স্কুলের দায়িত্বভার হিন্দুত্ববাদী শক্তির হাতে তুলে দেওয়ার এই প্রকল্প বহুত্ববাদী ভারতের মৃতদেহের উপর এককেন্দ্রিক, স্বৈরাচারী নতুন ভারতের আহ্বান।

More Articles