সঙ্গীকে খুন করে বিছানার বাক্সে ঢুকিয়ে রাখল প্রেমিক! লিভ ইন সম্পর্কে আদৌ নিরাপদ মহিলারা?

Maharashtra Murder: মেঘাকে খুন করার পর হার্দিক ঘরের কিছু জিনিসপত্র বিক্রি করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকর এবং আফতাব পুনাওয়ালার ঘটনার রেশ এখনও দগদগে। প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করে দিল্লি শহরে ছড়িয়ে দিয়েছিল প্রেমিক। প্রেম দিবসে দিল্লিতে ফের এক লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করে দেহ ফ্রিজে রেখে দেওয়ার ঘটনা জানা গিয়েছে। আর আরেক মহানগর মুম্বইতেও একইভাবে লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে! নিজের দীর্ঘদিনের সঙ্গিনীকে খুন করে দেহ বিছানার বাক্সের মধ্যে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে লিভ-ইন-পার্টনারের বিরুদ্ধে। ৩৭ বছর বয়সী ওই মহিলাকে তার লিভ-ইন সঙ্গী খুন করে মুম্বইয়ে তাদেরই ভাড়া বাড়ির বিছানার বাক্সের মধ্যে এলাকায় লুকিয়ে রেখেছিল প্রেমিক, জানিয়েছে পুলিশ।

অভিযুক্তের নাম হার্দিক শাহ। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলা থেকে পালানোর চেষ্টা করলেও রেল পুলিশ অবশেষে তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, হার্দিক বেকার। মেঘা অর্থাৎ হার্দিকের প্রেমিকা ও সঙ্গিনী পেশায় একজন নার্স ছিলেন। তাদের সংসারের খরচা বহন করতেন মেঘাই। আর এই বিষয়টি নিয়েই তাদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া লেগে থাকত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, এই আর্থিক বনিবনা না থাকার কারণেই হত্যা করা হয় মেঘাকে।

আরও পড়ুন- প্রেমের এমন পরিণতি! প্রেমিকাকে খুন করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে তড়িঘড়ি অন্য মহিলাকে বিয়ে…

পুলিশ জানিয়েছে, মেঘাকে খুন করার পর হার্দিক ঘরের কিছু জিনিসপত্র বিক্রি করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ট্রেনে করে পালিয়ে যাওয়ার তথ্য পায় পুলিশ। তারপর হার্দিকের অবস্থান নজরে রেখে রেল পুলিশ তাকে মধ্যপ্রদেশের নাগদা থেকে গ্রেফতার করে। মুম্বই থেকে মধ্যপ্রদেশে গিয়ে অপরাধ শাখার একটি দল অভিযুক্ত হার্দিককে হেফাজতে নেবে।

গত তিন বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন হার্দিক ও মেঘা। শেষ ছয় মাস ধরে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন তারা। এক মাস আগেই তারা এই ভাড়া বাড়িতে উঠে আসেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, দু'জনের মধ্যে ঝগড়ার ঘটনা হামেশাই ঘটেছে। কিন্তু বারেবারে কেন লিভ ইন সঙ্গীকে হত্যার এমন ঘটনা ঘটছে? বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে বা বিয়ের সম্পর্কে যাওয়ার আগে অনেকেই একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। অনেকে বিয়ের পর বিষয়টিকে সহজ করতে আগে থেকেই একসঙ্গে থাকার অভ্যাস করতে চান। লিভ-ইন সম্পর্কে থেকে অনেকে বিয়ের প্রস্তুতি নেন, সেই প্রস্তুতি নিতে গিয়েই শ্রদ্ধার ঘটনা ঘটেছে।
দিল্লিতেই সাহিল ও নিকির ঘটনাও বিয়ের জটিলতাকে ঘিরেই। সাহিল নিকির সঙ্গে থেকেও অন্যত্র বিয়ের সমস্ত পরিকল্পনা সেরে রেখেছিল। আর এইক্ষেত্রে হার্দিকের চাকরিহীন জীবন আর সংসার টানতে মেঘার উপর নির্ভরতা কোথাও বিষিয়ে দিয়েছিল কি প্রেমকে? সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসার পথে না গিয়ে কেন হত্যার বীভৎস পথে যাচ্ছেন প্রেমিকরা? ভালোবাসার সম্পর্কে কেন নিরাপদ নন মহিলারা আজও? আইনি তদন্তের পাশাপাশি এই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজতেই হবে দেশকে।

More Articles