মমতার নীল-সাদা টিমে প্রথম একাদশে কারা? রিজার্ভ বেঞ্চে ঠাঁই যাঁদের

TMC inner conflict: রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে প্রাধান্য দিয়ে তৃণমূলের দুই দশকে মুখ, চরিত্রের (রাজনৈতিক) পরিবর্তন হয়েছে বারবার।

বন্ধু বিদায়! কাছের মানুষ দূরের হলেন নিমেষেই! চিরতরে বিদায়ের কথা বলছি না। এ বিদায় যেন আসা-যাওয়ার খেলার বিদায়। আমাদের জীবনের পরতে পরতে যা চলতে থাকে নিরন্তর। প্রতিমুহূর্তে কেউ হয় আপন, কেউ হন পর! আবার পরকে আপন বানাতে হয় কখনও আপনকে পর!

এত গেল ব্যক্তিগত জীবনের কথা। সংসারের কথা। কিন্তু তা যদি হয় 'অন্য' সংসারে? যেখানে বিচ্ছেদ আর মিলনের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বারবার। যেখানে আমার আর তোমার এই শব্দবন্ধের স্থায়িত্ব প্রায় নেই বললেই চলে! সেই রাজনৈতিক সংসারে এই কাছের মানুষের বিবতর্ন কিন্তু চমকপ্রদ। দিনের পর দিন আলোচনার খোরাক তৈরি করে এই সূত্রই।

মহারাষ্ট্রের বালাসাহেব থেকে উদ্ধব-একনাথ শিন্ডে। তামিলনাড়ুর করুনানিধি থেকে জয়ললিতা। আবার গুজরাতের বিজয় রুপানি থেকে রাজস্থানের বসুন্ধরা রাজে। পঞ্জাবের ক্যাপ্টেন অমরিন্দর অথবা নভজ্যত সিং সিধু। কাশ্মীরের গুলাম নবি, মেহবুবা মুফতি! কাছের আর দূরের বৃত্তে নাম নেই এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন! আর ঠিক এই অবস্থানে দাঁড়িয়ে মমতা আবার বাদ যাবেন কেন!

আরও পড়ুন: তাঁর রক্তেই কামব্যাক! এবার রাজনীতির ময়দানে মহারাজ?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮০-র দশকের সেই মমতা আজও অভিনবত্বে সেরা! লড়াই থেকে বিক্ষোভ, দুর্নীতি থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, অভিযোগে বিদ্ধ হওয়া; মমতা থেকেছেন প্রথম সারিতেই। জাতীয় রাজনীতিতে মমতা ছাড়া ভাবা যায়নি অনেক কিছুই! কিন্তু রাজ্য রাজনীতিতে এই মমতার নীল-সাদা বৃত্ত (পড়ুন সবুজ) নিয়েও তো আলোচনা কম হয়নি। কেউ কেউ তো বলেই ফেলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা-বিরোধী নেত্রী মমতা-কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মমতা; সত্তার ভিন্নতা বারবার ঘটলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ-বৃত্তের, তাঁর রাজনৈতিক-সঙ্গের দলীয় ভিন্নতাও কম নয়!

ঘনিষ্ঠ-বৃত্তে দুই তাপস
মমতার উত্থান থেকে তৃণমূলের সৃষ্টি, রাজ্যের ক্ষমতা দখল। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নানা কাহিনি বিরচিত হয়েছে ঘনিষ্ঠ-বৃত্তের। যা বিতর্ক বাড়িয়েছে তৃণমূলের দুই তাপসের সাম্প্রতিক মন্তব্যে। যেখানে রাজারহাট গোপালপুরের বিধায়ক ডাক পাননি বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে। ক্ষোভ উগড়ে তিনিই ফের তুলে এনেছেন, তৃণমূলে বাবু সংস্কৃতির কথা। অর্থাৎ সকলে যে কাছের নয়, একথাও বলেছেন তিনি। আবার তৃণমূলের বিধানসভার মুখ্য সচেতক তাপস রায়। তিনিও বারবার দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পরোক্ষে। জল্পনা বাড়িয়েছেন দলে গুরুত্ব না পাওয়া ইস্যুতে।

শ্রেণি-বিতর্ক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যেক্ষমতায় আসার আগে এবং পরে, কে তাঁর অর্থাৎ তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের নীতি নির্ধারণে এগিয়ে থাকবেন ঠিক তার সঙ্গেই উঠে আসে মমতার আসল টিমের সদস্য কারা! অর্থাৎ দলীয় রাজনীতিতে দলের কোর কমিটির গুরুত্ব সর্বাধিক, সব দলে হলেও তৃণমূল কংগ্রেসে বারবার এই দলীয় ভারসাম্যের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়েছে মুখ। কেউ একদা শেষ থেকে উঠেছেন শীর্ষে। আবার কেউ অচিরেই শীর্ষ থেকে পতনে। আবার একরাত আগেও এ সারিতে থাকা বিখ্যাত রাজনৈতিক খেলোয়াড়, বসে গিয়েছেন অপেক্ষমান হিসেবে। রাম গিয়েছেন কোর্টের বাইরে। আবার শ্যাম এসেছেন কেন্দ্রে। যদুর নিষ্ক্রিয়তায় মধুর বাড়বাড়ন্ত হয়েছে হঠাৎ।

কেমনভাবে ঘটেছে এই ঘনিষ্ঠ বৃত্তের বিবর্তন
জ্যোতি বসুর সরকার। বাম আমলে সবেমাত্র কলেজ রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তীব্র লড়াকু নেত্রী। কলকাতার ছোড়দা সোমেন মিত্রের ছায়াসঙ্গী তখন মমতা। সঙ্গে সোমেনের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ কলকাতার সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ক্রমে ক্রমে সেই সোমেন মিত্রের সঙ্গেই বিরোধ। তৈরি হল মতানৈক্য। যুব নেত্রীর বিক্ষোভ, ২১ জুলাই। মমতার রাজনৈতিক ভিত্তি শক্ত করল আরও। নতুন দল গড়লেন নেত্রী। ঘনিষ্ঠ বৃত্তের পরিবর্তনে উঠে এলেন মুকুল রায়। সৌগত রায়, সুব্রত বক্সি, শোভনদেবরা।

তখন কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায়। এনডিএ জোট হয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করলেন মমতা। বঙ্গের বিজেপির কাছাকাছি এল তৃণমূল। মমতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে প্রবেশ করলেন অন্য দলের তপন সিকদার, তথাগত রায়েরা। ফের সময়ের পরিবর্তনে উঠে এলেন বিরোধী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সোমেন মিত্রও ২০১১ এর সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে মমতার এ টিম ধরলেন অচিরেই।

২০০৬ সাল। মমতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে, তাঁর রাজনৈতিক এ দলে জায়গা পেলেন শিশির সূত্রে শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা। খানিকটা সরে বি টিমে প্রবেশ ঘটল মুকুলের। ২০১১ সাল আসতেই বাড়বাড়ন্ত ঘটল মুকুল রায়ের মতো নেতাদের। ফের দলে ভূমিকা পরিবর্তিত হল একাধিকের। সাংগঠনিক পরিবর্তন নয়, নেত্রীর পছন্দের বৃত্তে মুখ বদলে গেল নিমেষে। তাতে ভূমিকা পালন করল নির্দিষ্ট নেতাদের ভূমিকা, কাজ! সাম্প্রতিক সময়ে যে প্রশ্ন তুলেছে দুই তাপসের মন্তব্য। এক, তাপস রায়, আর এক জন তাপস চট্টোপাধ্যায়।

যে মন্তব্যের পরেই ফের আলোচনার কেন্দ্রে তৃনমূলের ঘনিষ্ঠ-বৃত্ত। দাবি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই নেত্রীর ইচ্ছায়, চেষ্টায় কেউ স্ট্রাইকার থেকে হয়ে গিয়েছেন মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করা নেতা। আবার কেউ চোট সারিয়ে ফিরে এসেছেন গোল কিপার হয়ে। কাউকে গতরাতে ডিফেন্ড সামলাতে দেখার পরেও পরের দিনই দেখা গিয়েছে গৃহবন্দি থাকতে। ২০১১ থেকে ২০২২ এর এই দশ বছরে এমনই সব ঘটনা ঘটেছে নিরন্তর। ঠিক সেই সূত্রেই যদি, ব্যাখ্যা করা হয়, তাহলে যা দাঁড়ায়।

কাছের আবার দূরের মানুষ
মদন মিত্র: বর্তমানের কালারফুল বয়, একদা ছিলেন মমতা ঘনিষ্ঠ। তৃণমূলের এ দলের অন্যতম সদস্য। বিধায়ক, মন্ত্রী। খেলা, ক্রীড়া, পরিবহন নড়েনি যাঁর অনুমতি ছাড়া। সেই মদনের জীবনে এল সারদা অভিশাপ। যা জেলবন্দী করল মদন মিত্র কে। ক্ষমতা হারালেন তিনি। অবশেষে বিধায়ক হলেন ঠিকই, কিন্তু অনেকেই বলেন, সেই মদন আর ফিরলেন কই! সোশ্যাল ছাড়া দলে তো তিনি শূন্য! সরাসরি, দলে আমি ব্রাত্য একথা মদন না বললেও হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন বারবার। কয়েকদিন আগেই মদনের 'দলীয় বঞ্চনা' নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুকুল রায়: তৃণমূলের চমকদার নেতা বলা হয় তাঁকে। এই মুকুলকে ঘিরে কী ঘটেনি! দলের প্রথম দিনের সদস্য, বক্সি-চট্টোপাধ্যায়-অধিকারর দাপটে খানিকটা কোণঠাসা হলেও এই নেতাই একটা সময় ফের হয়ে উঠলেন মমতার দলের সর্বেসর্বা। দিল্লি থেকে কলকাতা। তৃণমূলের অবাধ বিচরণে তিনিই যেন কার্যকারি অধিনায়ক! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে রাজ্যের নির্বাচন। সব ক্ষেত্রেই দলের প্রথম সারিতে তিনিই।

হঠাৎ করেই খেই হারাল সবটা। অভিষেক-বিরোধ, মমতার 'এ' টিম থেকে 'বি' টিমের দিকে এগিয়ে যাওয়া আঁচ করতেই মুকুল হলেন নিষ্ক্রিয়। চাণক্যসম শক্তির জল্পনা সত্যি করে ছাড়লেন তৃণমূল। 'ক' কমিটির নেতা মুহূর্তেই ফ্রেমহীন হলেন।

যদিও ফের  তৃণমূলে ফিরেছেন। কিন্তু আর 'এ' দলে আর ফেরা হয়নি তাঁর। মূল দলের সঙ্গে থাকা অতিরিক্ত সদস্য হয়ে এখনও থেকে গিয়েছেন মুকুল রায়!

শুভেন্দু অধিকারী: ২০০৬ সালের পর থেকে যাঁর সামগ্রিক উত্থান। একদা মেদিনীপুরের সেরা নেতা বলা যত যাঁকে, সেই তিনিই তৃণমূলের 'এ' টিমের অন্যতম হয়ে উঠলেন ক্রমশ। অনেককেই সরিয়ে, দল মানেই শুভেন্দুর অনেক প্রভাব, এই আবহেই এগলো সবটা। কিন্তু সেই মুকুল-আবহে অভিষেক-বিরোধে দলের প্রথম সারি থেকে দ্বিতীয় হওয়ার দিকে এগোতেই বিদায় নিলেন তিনি! একদা মমতার সেই কাছের মানুষই আজ হয়েছেন সর্বোচ্চ রাজনৈতিক শত্রু।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়: মমতার দলে নেত্রীর পরে, অর্থাৎ অধিনায়কের পরে যিনি সহ-অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন, তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মমতার ঘনিষ্ঠ-বৃত্তের প্রধান সদস্য পার্থ, শুভেন্দু-মুকুলহীন দলে জাঁকিয়ে বসেছিলেন আরও। কিন্তু আজ পরিস্থিতি ভিন্ন। সরতে সরতে আজ পার্থ জেলে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূলের 'এ' দল যদি কিছু থাকত, তাহলে তার কার্যকারি অধিনায়ক হতেন তিনিই। মুকুল-পার্থ-শুভেন্দু-ফিরহাদ বৃত্তে নেত্রীর পরে এখন যেন শেষকথা হয়ে উঠেছেন তিনি! অর্থাৎ অচিরেই বহুদূর নানা কারণে দলীয় কেন্দ্রে প্রবেশ ঘটেছে তাঁর।

কুণাল ঘোষ: একদা দিদির কাছের মানুষ কুণাল। সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে জড়িয়ে প্রথম শ্রেণীর আসন হারিয়ে, দল থেকে বাদ গিয়েছিলেন মুহূর্তেই। 'স্নেহের দিদি'র বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন তিনি। জেলে গিয়েছেন। কিন্তু 'বন্দির ডায়েরি'-র লেখক ফের গড়েছেন নিজের জায়গা। আবার মাঠের বাইরে থেকে রকেটের মতো উঠে এসেছেন তৃণমূল-ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর কামরায়। একদিকে মদন-শোভনের দৃষ্টান্ত। বিপরীতে কুণাল ঘোষের দলযাপন, দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে ফের।

শঙ্কুদেব পন্ডা: কেউ কেউ দাবি করেন, একদা তৃণমূলের ছাত্র রাজনীতির মসিহা শঙ্কুও নিষ্ক্রিয় হয়েছিলেন তৃণমূলে! দিদির কাছের নেতা থেকে হয়ে উঠছিলেন দূরের। প্রথম দল থেকে সরতেই তিনিও বদলে নেন দল।

শোভন চট্টোপাধ্যায়: অনেককে কাটিয়ে মমতার প্রিয় কাননে জায়গা করে নিলেন বেহালার শোভন।কলকাতার মেয়রপদ থেকে শুরু করে একাধিক দফতরের মন্ত্রীত্ব। দলের নেতা থাকতে যতটা গুরুত্ব তিনি পাননি, দল সরকারে আসার পর ধূমকেতুর গতিতে উত্থান হল তাঁর। মমতার দলের ক-শ্রেণীর এই নেতাই হলেন আলাদা! তবে, ২০১৮ সাল থেকে নিষ্ক্রিয় হলেন শোভন। তৃণমূলের 'এ' দল থেকে 'বি', 'সি'। যতদূরে থাকা যায়, ঠিক ততটাই যেতে হয় তাঁকে। সম্প্রতি, বৈশাখী-আবহেই পুরনো রাজনৈতিক ঘরে ফিরতে পারেন আবার। দিদির কাছের লোক হতে পারেন ফের, এই জল্পনাও তৈরি হয়েছে।

ইন্দ্রনীল সেন: একদা বাম-ঘনিষ্ঠ এই শিল্পীর রাজনৈতিক উত্থান চোখে পড়ার মতো। প্রতিমন্ত্রী থেকে দিদির কাছের মানুষ হতে সময় লাগেনি তাঁর।

আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন। একে একে পরিবর্তিত হয়েছে ইতিহাস। দলীয়-বৃত্তে সাড়া জাগিয়েছে ভিন্নতা। যে দোলা সেনকে মমতার সঙ্গে দেখা যেত রোজ, তিনিই থেকে গিয়েছেন শুধুই সাংসদ হিসেবে। মমতার কাছ থেকে দূরে দূরে থেকেছেন মহুয়া মৈত্র, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়রা।

যেখানে দিদির প্রিয় ফিরহাদ ববি হাকিম, অরূপ রায়দের এখন ঠিক দলীয় অভ্যন্তরে কোন শ্রেণীতে বর্তমান অবস্থান, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ঢের! সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা ঠিক কত দূরে, তা-ও প্রশ্ন তুলেছে আবার। যেখানে অমিত মিত্রের বর্তমান অবস্থান প্রসঙ্গ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুরে ফিরে আসে একদা মমতা-বিরোধীদের অন্যতম মণীশ গুপ্তর তৃণমূলের প্রথম সারিতে প্রবেশ নিয়েও।

অর্থাৎ সার্থক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে প্রাধান্য দিয়ে তৃণমূলের দুই দশকে মুখ, চরিত্রের (রাজনৈতিক) পরিবর্তন হয়েছে বারবার। যেখানে দেবাংশু ভট্টাচার্যের আবহে অনেকটা পিছিয়েছেন অন্য কোনও নেতারা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে ইতিহাস। দলীয় অস্তিত্বের ভিন্নতা আর এখানেই তৃণমূলের শ্রেণী-বিভাজনে ডাক পড়েছে ইতিহাস, ডাক পড়েছে জল্পনা আর বিতর্কেরও।

More Articles