ফুলন দেবীর খুনিই ভারতে আনেন পৃথ্বীরাজ চৌহানের অস্থি! জানেন, কে তিনি?
Phoolan Devi Killer Sher Singh Rana: দুপুর ১:৩০ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন ফুলন দেবী। বেরোতেই তাঁকে বন্দুকের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়ে গাড়ি করে পালিয়ে যান সেই যুবক।
চম্বল এবং সেখানকার ডাকাতদের কাহিনি আজ আর কারও অজানা নয়। চম্বল বললেই সবার আগে মনে পড়ে ফুলন দেবীর নাম। চম্বলের এক ও অদ্বিতীয় রানি! ফুলন প্রথমে চম্বলের ডাকসাইটে ডাকাত হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেন এবং পরবর্তীকালে লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হন। চম্বলের রুক্ষ-শুষ্ক পরিবেশ থেকে দিল্লির অশোকা রোডের বিলাসবহুল বাংলোতে পৌঁছে ফুলন হয়তো ভেবেছিলেন তাঁর জীবন বোধহয় এবার কুসুমাস্তীর্ণ হবে। কিন্তু তেমনটা হলো না। রাজনীতিতে আসার কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁকে তাঁর বাংলোর বাইরেই গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যার নেপথ্যে ছিল বহু বছর ধরে পুষে রাখা এক রাগ এবং প্রতিশোধস্পৃহা। সাংসদ হয়েও সেই ক্ষোভ থেকে বাঁচতে পারলেন না কেন ফুলন?
উত্তরপ্রদেশের জালোনের কাছে একটি ছোট্ট গ্রামে ১৯৬৩ সালের ১০ অগাস্ট জন্ম হয় ফুলন মাল্লার। জন্ম থেকেই দারিদ্র এবং সামাজিক বৈষম্যের মুখে পড়েছিলেন ফুলন। উত্তরপ্রদেশে 'মাল্লা' তথাকথিত নিচু জাতি হওয়ায় সমাজের উচ্চবর্গের শোষণ ছিল মাত্রাতিরিক্ত! ছোট থেকেই ফুলন নিজের মায়ের মুখে শুনতেন কীভাবে তাঁর নিজের কাকা তাঁদের ঠকিয়ে সব জমিজমা হাতিয়ে নিয়েছে। মায়ের মুখে সব শুনে আর থাকতে না পেরে দশ বছরের ফুলন কাকার বাড়ির সামনে গিয়ে ধরনা দেয়। কিন্তু তার কাকা তাঁকে মেরেধরে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং কয়েকদিনের মধ্যেই ফুলনের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। পরিবার এবং সমাজের চাপে মাত্র দশ বছরের একটি ছোট্ট মেয়ে বিয়ে করতে বাধ্য হয় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে। বিয়ের পর প্রতিনিয়ত যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণের শিকার হতে হয় ফুলনকে। বাধ্য হয়ে, থাকতে না পেরে সেখান থেকে পালিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসে ফুলন। একে দলিত, তায় মেয়ে! শ্বশুরের ঘর ছেড়ে চলে আসার এই ঘটনা একঘরে করে দেয় ফুলনকে।
আরও পড়ুন- অনুপ্রেরণা জন আব্রাহাম! ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক ডাকাতি হয়েছিল যেভাবে…
তবে সমাজ একঘরে করে দিলেও স্থানীয় ডাকাতদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় ছোট্ট ফুলনের। বন্ধুত্ব হয় বিক্রম মাল্লার সঙ্গে। কয়েক বছরের মধ্যেই বিক্রম ডাকাত দলের নেতা হয়ে যায়। ততদিনে অবশ্য ফুলন পুরোপুরিই ডাকাত দলে যোগ দিয়ে দিয়েছে। মূলত মাল্লা এবং গুজ্জর সমাজের মানুষরাই এই দলে যোগ দিত। চম্বলে ততদিনে বেশ কয়েকটি ডাকাত দল গজিয়ে উঠেছে। ফলত ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে 'গ্যাং ওয়ার' ছিল অবশ্যম্ভাবী। চম্বলের আরেকটি দল ছিল ঠাকুর গ্যাং। এই দলের নেতা ছিল শ্রীরাম ঠাকুর এবং লালা ঠাকুর। ঠাকুর গ্যাংয়ের বেশ কয়েকজনের কুনজর প্রথম থেকেই ছিল তরুণী ফুলনের উপর। মাল্লা এবং ঠাকুর- এই দুই দলের লড়াই ছিল চম্বলের রোজনামচা। এমনই এক লড়াইয়ে একদিন ঠাকুর গ্যাংয়ের হাতে নিহত হয় বিক্রম মাল্লা। এরপর একদিন অপহরণ করে নেওয়া হয় ফুলনকে। তিন সপ্তাহ ধরে লাগাতার ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। গ্রামে নগ্ন করে ঘোরানো পর্যন্ত হয় ফুলনকে। এরপর ঠাকুররা একদিন অর্ধমৃত অবস্থায় রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে চলে যায় ফুলনকে।
এতে ভেঙে পড়ার মেয়ে তো নয় ফুলন। ফুলন ওঠেন, জাগেন, প্রতিশোধ নেওয়ার পণ করে। ১৬ বছরের কিশোরী ফুলন মাল্লা হয়ে ওঠেন ফুলন দেবী। এই ঘটনার মোটামুটি দু'বছরের মধ্যেই নিজের দল তৈরি করে ফেলেন ফুলন। এই দল ছিল আগের চেয়েও অনেক বড় এবং অনেক বেশি শক্তিশালী। এরপর ১৯৮১ সালে বেহমই গ্রামে ফিরে আসেন ফুলন। এই গ্রামেই নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছিল তাঁকে। নিজের বিশাল ডাকাত বাহিনী নিয়ে ঠাকুরদের উপর হামলা চালান ফুলন দেবী। গ্রামের চৌমাথায় ঠাকুর গ্যাংয়ের ২২ জন ডাকাতকে দাঁড় করিয়ে তাঁদের বুকে গুলি মেরে ফেলেন ফুলন। ঠাকুর গ্যাংকে নির্মূল করে নিজের প্রতিশোধ পুরো করেন। এই ঘটনার পরেই গোটা দেশে আগুনের মতো ছড়িয়ে যায় ফুলন দেবীর নাম। উত্তরপ্রদেশে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উচ্চবর্গীয় ঠাকুররা বরাবরই প্রভাবশালী। এই ঘটনার পর রাজনৈতিক চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ভিপি সিং। একইসঙ্গে পুলিশও হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে ফুলনের বাহিনীকে। দলবল নিয়ে উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে পালিয়ে যান ফুলন।
১৯৮৩ সালে মধ্যপ্রদেশে নিজের গোটা গ্যাং-সহ আত্মসমর্পণ করেন ফুলন দেবী। ২২টি হত্যা এবং ৩০টি ডাকাতির অপরাধে মোট ১১ বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর। ১৯৯৪ সালে জেল থেকে বেরিয়ে উমেদ সিংয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ১৯৯৬ সালে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে মির্জাপুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে জিতে সংসদে পৌঁছন ফুলন। চম্বলের জঙ্গল থেকে তাঁর বাসস্থান হয় দিল্লির সাউথ ব্লকের ৪১ অশোকা রোডের বাংলো। ক্রমে চম্বল, ডাকাতি এবং বেহমই গ্রামের সেই গণহত্যা পিছনে থেকে যায়, নিজের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে এগিয়ে চলেন ফুলন দেবী। তবে ফুলনের প্রতিশোধের কাহিনি যেখানে শেষ হয়, সেখান থেকেই শুরু হয় আরেকজনের প্রতিশোধের গল্প।
ফুলন দেবীর জীবন যতটা বর্ণময়, মৃত্যুও ততটাই নাটকীয়। ২৫ জুলাই ২০০১, সকালবেলা নিজের অশোকা রোডের বাংলোতে ছিলেন ফুলন। সমাজের তরুণ যুবক-যুবতীদের নিয়ে তিনি একটি সংগঠন তৈরি করছিলেন। 'একলব্য সেনা' নামের এই সংগঠনটি মূলত সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেই যুক্ত ছিল। এই একলব্য সেনায় যোগ দিতে এক বছর পঁচিশের যুবক সেদিন আসেন বাংলোয়। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর তাঁকে নিজের হাতে রান্না করা ক্ষীর খাওয়ান ফুলন। ফুলনের সঙ্গে কথা বলে বাইরে নিজের মারুতি ৮০০ গাড়িতে গিয়ে সঠিক সময়ের অপেক্ষা করতে থাকেন সেই যুবক। গাড়িতে তাঁর সঙ্গী ছিলেন আরও দু'জন ব্যক্তি। দুপুর ১:৩০ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন ফুলন দেবী। বেরোতেই তাঁকে বন্দুকের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়ে গাড়ি করে পালিয়ে যান সেই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে ফুলন দেবীকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এই দুঃসাহসিক কাজ করে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিটি ছিলেন শের সিং রাণা। পালিয়ে গেলেও কয়েকদিনের মধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। ধরা পড়ে তিনি জানান, ১৯৮১ সালের সেই ঠাকুর হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছেন তিনি। ছোট থেকেই সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কাহিনি শুনতেন রাণা। ফলে সেই সময় থেকেই ফুলন দেবীর উপর রাগ ও ঘৃণা জমতে থাকে, যার পরিণাম এই হত্যা। গ্রেফতারের পরপরই মামলা শুরু হয়ে গেলেও বিচারপ্রক্রিয়া চলে বড়ই মন্থর গতিতে। ইতিমধ্যেই ঘটে এক ঘটনা। ২০০৪ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাণার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল হরিদ্বারের এক আদালতে। তিহার থেকে হরিদ্বার যেতে বেশ সময় লাগে। তাই ভোরবেলাই তাঁকে জেল থেকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল পুলিশের। সেদিন ভোর ছ'টা নাগাদ ওয়ারেন্ট দেখিয়ে রাণাকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যায় এক পুলিশ। কিন্তু সকাল সাতটা নাগাদই ভুল ভাঙে জেল কর্তৃপক্ষের। যথাসময়ে রাণাকে নিতে এসে পুলিশ জানতে পারে, প্রায় এক ঘণ্টা আগেই আরেকজন পুলিশ তাঁকে নিয়ে চলে গেছে। পুলিশের আর বুঝতে বাকি থাকে না যে, জেল থেকে ফেরার হয়েছেন শের সিং রাণা। আসলে রাণা মনে করতেন, তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ আছে পুলিশের কাছে। সুতরাং ফাঁসিই তাঁর শেষ পরিণতি। এই সাজা থেকে বাঁচতেই পালানোর পরিকল্পনা করেন তিনি।
এই ছদ্মবেশী পুলিশটির আসল নাম ছিল সন্দীপ সিং। সেই সময় প্রায় ছয় লক্ষ টাকা নিয়ে রাণাকে ফেরার হতে সাহায্য করেন সন্দীপ। কয়েকদিন পরেই অবশ্য পুলিশের জালে ধরা পড়ে যান সন্দীপ। জেরায় সন্দীপ জানান, দিল্লির কাশ্মীরি গেট থেকে গাজিয়াবাদের বাস ধরেছিলেন তাঁরা। গাজিয়াবাদে পৌঁছে সেখান থেকে মোরাদাবাদের বাস ধরেছিলেন রাণা। একদিন পরে নিজের গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল সন্দীপের, কিন্তু তার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। এরপর আগামী দু'বছর শের সিং রাণা একপ্রকার নিরুদ্দেশই ছিলেন। ২০০৬ সালে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসলে মোরাদাবাদ থেকে রাঁচি হয়ে কলকাতা পৌঁছন রাণা। কলকাতা থেকে ভুয়ো পাসপোর্ট বানিয়ে বাংলাদেশের খুলনায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি। কিন্তু নিয়মিত ভিসা রিনিউ করতে কলকাতায় আসতেই হতো তাঁকে। ২০০৬ সালে কলকাতায় ভিসা রিনিউ করতে এসে পুলিশের জালে ধরা পড়েন শের সিং রাণা।
আরও পড়ুন- পাথর ছোঁড়া হয়েছিল অটল বিহারীকে! দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই বীভৎস খুন…
পুলিশকে রাণা জানান, তিনি মোটেও নিজের জন্য ফেরার হননি; তিনি ফেরার হয়েছিলেন দেশের জন্য। দেশের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতেই জেল থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, জেলে থাকাকালীন তিনি জানতে পারেন, গজনিতে মহম্মদ ঘোরির সমাধির পাশেই রয়েছে পৃথ্বীরাজ চৌহানের সমাধি। বড় অনাদরে পড়ে রয়েছে সেটি। ঘোরির সমাধি দর্শন করতে এলে মানুষ পৃথ্বীরাজ চৌহানের সমাধির উপর জুতো খোলে। এমন কথা শুনে তিনি ঠিক করে নেন, পৃথ্বীরাজ চৌহানের অস্থি ভারতে ফিরিয়ে আনবেনই। সেই জন্য প্রথমে দিল্লি থেকে পালিয়ে কলকাতা, তারপর বাংলাদেশ থেকে কান্দাহার হয়ে গজনি পৌঁছান তিনি। গজনির একটি ছোট্ট গ্রামে সমাধি রয়েছে মহম্মদ ঘোরির। সেখানে মহম্মদ ঘোরির সমাধি মেরামত করার অছিলায় পৃথ্বীরাজ চৌহানের অস্থি নিয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন তিনি। এই 'সিক্রেট অপারেশন'টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ ক্যামেরায় বন্দি করেছিলেন রাণা। ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে ভারতে ফিরে উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ায় একটি মন্দির বানানোর উদ্যোগ নেন শের সিং রাণা। মন্দিরের শিলান্যাসের পর সেখানেই রেখে দেওয়া হয় পৃথ্বীরাজ চৌহানের অস্থি। অবশ্য, সেই মন্দির কিন্তু আজও তৈরি হয়নি।
২০০৬ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হয়ে জেল থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শের সিং রাণা। বলাই বাহুল্য, তাঁকে হারতে হয়। ২০১৪ সালে ফুলন দেবী হত্যাকাণ্ডে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত এবং তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। তবে ২০১৬ সালে জামিন পেয়ে যান তিনি। ফুলন দেবীকে হত্যা করে ঠাকুরদের হত্যার প্রতিশোধ এবং পৃথ্বীরাজ চৌহানের অস্থি ভারতে ফেরত আনার জন্য, উচ্চবর্গীয় হিন্দুদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন শের সিং রাণা। এরপর ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী প্রতাপ সিংয়ের কন্যা প্রতিমা সিংয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বর্তমানে নিজের রাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্রবাদী জনলোক পার্টির কার্যকলাপ নিয়ে ব্যস্ত রাণা। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও হেরে যান তিনি। সব ঠিক থাকলে, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন তিনি। অপরাধ জগত থেকে রাজনীতির জগতে এসে সফল হয়েছিলেন ফুলন দেবী। শের সিং রাণা জীবনও কি সেই খাতেই বইবে? না কি তাঁর জন্যও অপেক্ষা করে রয়েছে অন্য কারও প্রতিশোধ? উত্তর সময়ই দেবে।