মোদির কথা শুনতে চাইছে না মানুষ! কেন সোশ্যাল মিডিয়াতে হু হু করে কমছে মোদির 'ভিউ'?

PM Modi Social Media Popularity: দু’-চার বছর আগেও মোদির কোনও ভিডিও বা সাক্ষাৎকার দেখতে ইউটিউবে হত্যে দিতেন লক্ষ লক্ষ মানুষ কিন্তু বর্তমানে মোদির কথা শোনার সেই আকর্ষণ কমেছে।

‘ধর্মের বেশে মোহ যারে এসে ধরে,
অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।’

রাজনীতিতে উত্তরণের অর্থই হলো ব্যক্তিগত পরিসর ছাড়িয়ে সর্বজনীন জীবনে প্রবেশ করা। সেখানে ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দ বা মতামতের তেমন গুরুত্ব থাকে না। দেশের এবং দশের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি পা ফেলতে হয়। শুধু ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নয়, পদের গরিমা ধরে রাখার দায়ও কাঁধে এসে বর্তায়। কিন্তু অন্যের দেখানো পথে কখনওই হাঁটেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী এগিয়েছেন তিনি, ১৪০ কোটির রাষ্ট্রপ্রধান নিযুক্ত হওয়ার পরও সেই ধারাই বজায় রেখেছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি এবং সর্বোপরি সংবিধানকে এড়িয়ে সংখ্যালঘু বিদ্বেষী মন্তব্য করতে পারেন তিনি, খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বিশেষ জাতিকে কটাক্ষ করতে পারেন, আবার গঙ্গাবক্ষে দাঁড়িয়ে কখনও হিন্দু-মুসলিম করেননি বলে দাবিও করতে পারেন মোদি।

গত ১০ বছরে বারংবার এমন পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করলেও, এযাবৎ ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই মোদি চলতি লোকসভা নির্বাচনেও একই রীতি বজায় রেখেছেন বলে মত সমালোচকদের একাংশের। কিন্তু নিজেকে পরমাত্মার দূত ঘোষণা করে, পরমুহূর্তেই বিরোধীরা কী বলবেন, সেই নিয়ে ভাবিত হতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তাই তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার প্রস্তুতি নিলেও, কোথাও না কোথাও তাঁর মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিতে শুরু করেছে বলে মত সমালোচকদের কারও কারও। বিপুল জনসমর্থনের মধ্যেও সমাজের একটি বড় অংশের মধ্যে তাঁকে নিয়ে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তা আঁচ করতে পেরে মোদি নিজেই নিজের মন্তব্যের সাফাই দিচ্ছেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

আরও পড়ুন- মোদির হাতেই ভারতের রাশ নাকি ক্ষমতায় এবার অন্য কেউ! কী বলছে প্রশান্ত কিশোরের অঙ্কের খাতা?

এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নামার অনেক আগে থেকেই মোদি এবং বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের মুখে ৪০০ পারের কথা শোনা গিয়েছে বার বার। কিন্তু সাতদফায় ভোটগ্রহণ যত এগিয়েছে, স্লোগানের সেই সুর চড়া থেকে ক্রমশ নরম হয়েছ, তা সামান্য হলেও মোদির জনপ্রিয়তায় ভাঙন ধরারই লক্ষণ বলে মনে করছেন অনেকেই। বিরোধী শিবিরের কেউ নন, বরং মোদির একদা স্নেহধন্য, একদা মোদির হয়ে নির্বাচনী কৌশল রচনাকারী প্রশান্ত কিশোরই জানিয়েছেন, মোদি অদ্বিতীয়ম, এই ধারণা থেকে সরে আসতে শুরু করেছেন অনেকেই। টেলিভিশনের বাইরে, সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষ করে ইউটিউবে মোদি-ভক্তি কমেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রশান্তর দাবি, দু’-চার বছর আগেও মোদির কোনও ভিডিও বা সাক্ষাৎকার দেখতে ইউটিউবে হত্যে দিতেন লক্ষ লক্ষ মানুষ কিন্তু বর্তমানে মোদির কথা শোনার সেই আকর্ষণ কমেছে।

এ প্রসঙ্গে বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার, যিনি মোদির অনুরাগী হিসেবে পরিচিত, তাঁর নেওয়া সাক্ষাৎকার, পুলওয়ামা হামলা এবং বালাকোট অভিযান নিয়ে মোদির বিশেষ সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করেছেন প্রশান্ত। তাঁর দাবি, ইউটিউবে মোদির ওই সাক্ষাৎকারগুলি দেখতে যত লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন, আজকাল সেই তাগিদ এবং ভিড় চোখে পড়ে না। মানুষের মধ্যে মোদিকে নিয়ে থাকা আবেগ এবং আগ্রহ যে কমছে, এটা তারই প্রতিফলন বলে মত প্রশান্তের। তাঁর কথায়, “ওঁর (মোদি) অবমূল্যায়ন শুরু হয়েছে। হিন্দুত্ববাদী নেতা থেকে রাষ্ট্রনেতা হিসেবে গত ১৫ বছরে অতি যত্নে নিজের যে ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছিলেন তা টাল খেয়েছে।” মোদি নিজেও এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল বলে দাবি প্রশান্তর।

তৃতীয় দফায় মোদির জয় নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই বলে যদিও মত প্রশান্তর। তবে তাঁর দাবি, মোদি সরকারকে নিয়ে ইতিমধ্যেই দ্বিমত তৈরি হয়েছে দেশে। গ্রামীণ অর্থনীতি যেখানে দাঁড়িয়ে, সামাজিক অসাম্য এবং বেকারত্ব যেখানে দিন দিন বেড়ে চলেছে, মোদি সরকারের প্রতি আস্থা হারাতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। দেশে ৬০ কোটির দৈনিক আয় আজও ১০০ টাকা। ফলে দেশ বিরোধীশূন্য হবে না কখনওই। শুধু তাই নয়, তৃতীয় দফায় সরকার গড়লেও, মোদি আগের মতোই পরাক্রমশালী থাকবেন না বলেও মত প্রশান্তর।

মোদির জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে কতটা কমেছে, সেই নিয়ে প্রশান্ত যদিও নির্দিষ্ট কোনও পরিসংখ্যান তুলে ধরেননি। তবে ইউটিউবে মোদির আগের সাক্ষাৎকারের দর্শকসংখ্যার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করলেই পরিষ্কার ধারণা মেলে-

আরও পড়ুন- আপনার-আমার টাকায় ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ বিজ্ঞাপন! ভোটের প্রচারে কত কোটি খরচ জানেন?

আগের হিসেব

• ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল গীতিকার প্রসূন জোশী এবং প্রধানমন্ত্রীর আলাপচারিতা একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়। ওই সাক্ষাৎকারে মোদিকে ‘ফকির’ বলে উল্লেখ করেছিলেন প্রসূন। এবছর ২৭ মে পর্যন্ত ইউটিউবে ওই সাক্ষাৎকারটি দেখেছেন ৮০ লক্ষ ১৬ হাজার জন।

• ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল মোদির একান্ত সাক্ষাৎকার নেন অক্ষয়। ছাড়িয়ে না চুষে, মোদি আম কীভাবে খেতে পছন্দ করেন, তা মোদির কাছে জানতে চান অক্ষয়। ওই সাক্ষাৎকার সামনে আসতেই মিমে ছেয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। বিজেপির ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকারটি দেখে ৭৮ লক্ষ মানুষ।

• ২০১৯ সালের ১১ মে আরেকটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে মোদির একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও আপলোড করা হয়। সেখানে পুলওয়ামা হামলা এবং বালাকোট অভিযান নিয়ে মুখ খোলেন মোদি। জানান, অভিযানের দিন আকাশ মেঘলা ছিল। রেডারে ভারতীয় বায়ুসেনাকে পাকিস্তান ধরতে পারবে না বুঝে, তিনিই ওই অভিযানের পরামর্শ দেন। মোদির এই মন্তব্য নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। দিন কয়েক আগে পর্যন্ত রেডার প্রযুক্তি সম্পর্কে মোদির জ্ঞান নিয়ে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। এখনও পর্যন্ত ওই সাক্ষাৎকারটি দেখেছেন ৭ লক্ষ ৭২ হাজার ৫২৯ জন।

• ২০২০ সালের ২৩ অগাস্ট নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ময়ূরের সঙ্গে নিজের একটি ভিডিও আপলোড করেন মোদি, যার দর্শকসংখ্যা ১ কোটি ৩০ লক্ষ।

এখনকার হিসেব

• গত ৬ মে একটি বেসরকারি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেন মোদি। বারাণসী নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মোদি জানান, মা গঙ্গা, অর্থাৎ গঙ্গানদী তাঁকে পুত্রস্বরূপ দত্তক নিয়েছেন বলে বিশ্বাস তাঁর। এখনও পর্যন্ত ভিডিওটি ৫৪ হাজার ৮২৪ জন দেখেছেন।

• গত ১০ মে ‘দেশের সর্বাধিক মানুষের দেখা সাক্ষাৎকার’ শীর্ষক একটি ভিডিওর কিছু অংশ ইউটিউবে পোস্ট করা হয় একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফে। প্রখ্যাত সাংবাদিকের সঙ্গে মোদির ওই সাক্ষাৎকার দেখেছেন ৮৫ হাজার ২৪৫ জন।

• লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন সম্প্রতি, গত ১৪ মে বারাণসীতে দাঁড়িয়ে মোদি দাবি করেন, তিনি মায়ের পেট থেকে জন্মাননি, হয়তো পরমাত্মাই তাঁকে পাঠিয়েছেন মহৎ কাজের জন্য। হিন্দু-মুসলিম বিভেদ করেন না বলেও দাবি করেন তিনি ওই সাক্ষাৎকারে। ওই সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে এখনও পর্যন্ত ভিডিওটি দেখেছেন ৪৭ হাজার ৫২৫ জন।

• গত ২৬ মে বিরোধীদের নিশানা করে মোদি দাবি করেন যে, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের বিরুদ্ধে ছিল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি। তাই প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান বয়কট করে তারা। ভিডিওটি মোদির ইউটিউব চ্যানেলে ৩ হাজার ১২ জন দেখেছেন।

গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও জনসংযোগে বরাবর সোশ্যাল মিডিয়াকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন তিনি। রাজনৈতিক দলের পুরোদস্তুর পৃথক আইটি সেলও মোদি এবং বিজেপিরই আমদানি। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দেশ জুড়ে মোদির নামে ঝড় তুলতে সোশ্যাল মিডিয়াকে যথেষ্ট ব্যবহার করেছিল বিজেপি। এমনকী, বিরোধী দলগুলিকে দমিয়ে রাখতে, শুধু নিজেদের প্রচার করতে ফেসবুকের মতো সংস্থার সঙ্গে বিজেপির বোঝাপড়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে কিন্তু সেই সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভিডিও প্ল্যাটফর্মে এই মুহূর্তে মোদিকে নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ কমতে দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- নারী-পুরুষের মিলনে জন্মাননি! খোদ ঈশ্বর প্রেরিত দূত মোদি! প্রধানমন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করেন?

সেই নিরিখে রাহুল এবং তাঁর দল কংগ্রেস এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও প্ল্যাটফর্মে বেশ ভালো জায়গায় রয়েছে-

আগের হিসেব

• ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর সাংবাদিক বৈঠক করে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেন রাহুল। সেই সংক্রান্ত নথিপত্রও তুলে ধরেন। রাহুলের ইউটিউব চ্যানেলে সেই ভিডিওটি দেখেন মাত্র ১১ হাজার ৪৭২ জন।

• ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি সংসদে রাফাল দুর্নীতি নিয়ে সরব হন তদানীন্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল। তদন্তের দাবি জানান। তাঁর সেই ভাষণের ভিডিওর দর্শকসংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৯৭৮।

• ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাহুল। লকডাউনের সিদ্ধান্ত, নমুনা পরীক্ষায় ঢিলেমি, রাজ্যকে পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য না দেওয়া, সরকারি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সেই ভিডিও দেখেন ৩৩ হাজার ১০৭ জন।

• ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর সাংবাদিক বৈঠক করে কৃষক আন্দোলন চলাকালীন যে ৭০০ কৃষকের মৃ্ত্যু হয়, তাঁদের নামের তালিকা তুলে ধরেন রাহুল। তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে কেন্দ্রে‌র কাছে দাবি তোলেন। কেন সরকারের কাছে করোনায় মৃতদের তালিকা নেই, কেন মৃত কৃষকদের তালিকা নেই প্রশ্ন তোলেন রাহুল। সেই ভিডিও দেখেন ১০ হাজার ৫০৩ জন।

এখনকার হিসেব

• ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণ দেন রাহুল। ২০২১ সালে ৩ কোটি যুবক-যুবতী চাকরি হারিয়েছেন, গত ৫০ বছরে বেকারত্ব সর্বোচ্চে গিয়ে ঠেকেছে, দেশের অর্থনীতিতে গৌতম আদানি এবং মুকেশ আম্বানির মতো পুঁজিপতিদের আধিপত্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সেই ভিডিও দেখেন ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫৮৬ জন।

• ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুতে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ চলাকালীন স্থানীয় দোকানদার, মানুষজনের সঙ্গে বসে চা খান রাহুল। তাঁদের সমস্যার কথা জানতে চান। সেই ভিডিওর দর্শকসংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮৩৮।

• ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সংসদে মোদি-আদানি সংযোগ নিয়ে সরব হন রাহুল। দেশের বন্দর, বিমানবন্দরগুলি বেআইনিভাবে আদানির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেই ভাষণ দেখেন ৩৩ লক্ষ ৯২ হাজার ৮০৩ জন।

• এবারে মা সনিয়া গান্ধির পুরনো কেন্দ্র রায়বরেলি থেকে প্রার্থী হয়েছেন রাহুল। গত ১৫ মে সেখানে একটি সেলুনে গিয়ে দাড়ি ছাঁটেন রাহুল। মূল্যবৃদ্ধি, রোজগার নিয়ে কথা বলেন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে। ওই ভিডিও-র দর্শকসংখ্যা ৪৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪৪২।

এর আগের দুই নির্বাচনে রাহুল এবং কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল কিন্তু এবার কোনও কসুর রাখা হয়নি। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’, সংসদে জ্বালাময়ী ভাষণের দৌলতে মানুষের কাছে রাহুলের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে আগের তুলনায়। আদানি-আম্বানির সঙ্গে মোদির বন্ধুতা হোক বা অগ্নিবীর প্রকল্প, বেকারত্ব হোক বা মুদ্রাস্ফীতি, চাঁছাছোলা ভাষায় লাগাতার মোদিকে আক্রমণ করে চলেছেন রাহুল। সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই সব ভিডিও পোস্ট করা থেকে মোদি এবং বিজেপিকে নিয়ে টিপ্পনি, রাহুল নিজে বেশ সক্রিয়। এর সুফলও হাতেনাতে পাচ্ছেন রাহুল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় রাহুলের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও পোস্ট হলে মাত্র কয়েক হাজার মানুষই তা দেখতেন। বর্তমানে সেই সংখ্যা কয়েক লক্ষে পৌঁছে গিয়েছে। রাজনীতি এবং সেই সংক্রান্ত খবর পেতে আজও অধিকাংশ মানুষ টেলিভিশনের উপর নির্ভরশীল। টেলিভিশনে মোদির তুলনায় খুবই কম দেখা যায় রাহুলকে। কিন্তু অনলাইন মাধ্যমে তাঁকে দেখতে আগ্রহী দর্শকের সংখ্যায় বেশ ফারাক চোখে পড়ছে, যা উঠে এসেছে প্রশান্তের মুখেও।

More Articles