দুদিনের ছুটিতে জল-জঙ্গল-পাহাড় একসঙ্গে! নতুন বছরে ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে

Short Trip 2023 : পাহাড়, নদী, জঙ্গল সবকিছুই নিয়েই ঋষি খোলা

শহুরে ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ছুটি পেলে চলে যান প্রকৃতির কোলে। আর যদি সেখানে পাহাড়, নদী, জঙ্গল সবকিছুই থাকে, তাহলে তো আর কথাই নেই। ঋষি খোলা এমনই এক মনোরম জায়গা। সিকিমের সীমান্তে পশ্চিমবঙ্গেরই এক ছোট্ট গ্রাম। কালিম্পং থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরে। গ্রামের পাশ দিয়ে পাহাড়ি নদী বয়ে চলেছে। নদীর ধারে বসে দীর্ঘ সময় ধরে উপভোগ করতে পারবেন প্রকৃতির আদিম সৌন্দর্য। রাতের তারাখচিত আকাশ দেখতে দেখতে প্যাঁচার ডাক শুনতে পাবেন। সকালে ঘুম ভাঙবে পাখিদের কলতানে। এখানকার অপরূপ নদীটির নাম ‘ঋষি’। আর স্থানীয় ভাষায় ‘খোলা’ মানে ‘নদী। এভাবেই গ্রামের নামকরণ।

২০০০ ফুট উঁচুতে ঋষি খোলার প্রকৃতি শান্ত এবং গম্ভীর। বিশালতার মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার অনুভূতি হয় এখানে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছোটাছুটির দরকার নেই। স্থির হয়ে প্রকৃতির স্পর্শ লাভ করাটাই এখানকার পাওনা। নদীতে নামার মজা নিতে ভুলবেন না যেন। স্নানও করতে পারেন ইচ্ছে করলে। স্বচ্ছ জলে কত রকমের মাছ খেলা করছে। পাখিরা এসে তুলে নিচ্ছে মাছ। এইসব দৃশ্য মুগ্ধ হয়ে দেখার মতো। আগে যখন ভারতের সঙ্গে তিব্বতের বাণিজ্য চলত, এই জায়গাটা পড়ত রেশমপথের মধ্যেই।

আরও পড়ুন - বিষাক্ত হ্রদ, ভুতুড়ে বাংলো, উন্মুক্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা! দার্জিলিং নয়, এবার শীতে পাড়ি দিন এই পাহাড়ে

গ্রামের চারপাশে রয়েছে ঘন সবুজ জঙ্গল আর বিশাল বিশাল পাহাড়। চাইলে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো যায়, নেওয়া যেতে পারে পর্বতারোহণের মজাও। কত রকমের পাখির আগাগোনা – গুনে শেষ করা যাবে না। সিঁদুরে মৌটুসি, হিমালয়ের বুলবুলি, সবুজ ম্যাগপাই – কতই না তাদের জাত। যাঁরা পাখি ভালোবাসেন, তাঁদের কাছে জায়গাটা স্বর্গরাজ্য। এপ্রিল এবং মে মাসে সবথেকে বেশি পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটে। নদীর ধারে তাবু ফেলে পাখির ডাক শুনতে শুনতে কেটে যাবে দিন। নির্মল বাতাসে সতেজ হয়ে উঠবে শরীর এবং মন। ফটোগ্রাফারদেরও দারুণ পছন্দ হবে ঋষি খোলা।

কীভাবে যাবেন
পেডং হয়ে সিকিমে যাওয়ার পথে ঋষি খোলা পড়ে। ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি গিয়ে তারপর গাড়ি ভাড়া করে কালিম্পং পৌঁছতে হবে। সেখান থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরে ঋষি খোলা। নিউ মাল জংশন স্টেশন থেকে ট্যাক্সি অথবা জিপে করে গরুবাথান, ড্যামডিং, পেডং ছাড়িয়ে ঋষি খোলা পৌঁছনো যায়।

কোথায় থাকবেন
ঋষি খোলায় বেশ কিছু সুন্দর রিসর্ট, ফার্ম হাউস, হোটেল রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি হল – প্রকৃতি রিভার রিট্রিট, ঋষি রিভার রিসর্ট। রয়েছে ক্যাম্পের থাকার সুবিধাও। তাই এমন জায়গায় কটাদিন কাটিয়ে কাজে ফিরলে যান্ত্রিক জীবনে সাময়িক একটা বদল আসবে নিশ্চিত।

More Articles