মারকুটে, অদম্য! বয়সকে পায়ের পাতায় খেলিয়েছেন পেপে
Pepe: ছেলেবেলা থেকেই তিন নম্বর জার্সি পরে খেলতেন। ওই তিন নম্বর জার্সি প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিত। মাঠের ভিতরে কখনও হারতে চান না পেপে।
সমু পকেট থেকে ভাঁজ করা একটা চিঠি বার করে জহরকে দিল। জহর চিঠিটায় চোখ বোলালেন। অল্প কথায় অনুরোধ করেছেন খেলার জন্য। শেষে লেখা, “যদি অনুগ্রহ করে অধমের গ্রামে আসেন তা হলে কৃতার্থ বোধ করব। আপনার দৃষ্টান্ত আমাদের মতো বুড়োদের প্রেরণা জোগাবে।”
চিঠি পড়ে জহর হাসলেন। মুখ তুলে দেওয়ালে টাঙানো তিন—চারটে ছবির একটির দিকে তাকালেন। গাওস্কর, কপিলদেবের সঙ্গে সি কে নাইডুর ছবি। তাঁর দৃষ্টি অনুসরণ করে সমুও ছবিটির দিকে তাকিয়ে আছে দেখে জহর বললেন,“উনিই সি কে। এই ছবিটা ওঁর শেষ রনজি ট্রফি সিজনে তোলা। তখন উনি হোলকার ছেড়ে উত্তরপ্রদেশের ক্যাপ্টেন। রাজস্থানের সঙ্গে খেলায় এক ইনিংস ব্যাট করে চুরাশি রান করেন। কোনও বোলার ওঁকে আউট করতে পারেনি, রান আউট হন। আর বোলার কারা ছিলেন জানো? … রামচাঁদ, ভিনু মানকাদ, দুরানি, সবাই টেস্ট খেলেছেন। … সি কে-র বয়সে তখন একষট্টি পেরিয়ে গেছে।” জহরের চোখ জ্বল জ্বল করে উঠল ছবিটার দিকে তাকিয়ে।” ভাবতে পারো, একষট্টি বছর—! আমি আর কী খেললুম। একমাস পর বোম্বাইয়ের এগেনস্টে করেন বাইশ আর বাহান্ন, এটাই ওঁর শেষ ম্যাচ।”
“কত সালের কথা?”
“ফিফটিসেভেন। … খেলব বললে নিশ্চয়ই খেলা যায়। মনের জোর আর ইচ্ছে, শরীর ঠিক রাখা … ডিসিপ্লিনড লাইফ।”
‘আপনি কতদিন খেলতে চান?”
“একষট্টি বছর তো বটেই।”
আরও পড়ুন: পেলের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সেই গোল! বড়ে মিঞার পায়ের জাদু অমলিন আজও
মতি নন্দীর 'বুড়ো ঘোড়া' গল্পের ক্রিকেটার জহর ৬১ বছর পর্যন্ত খেলতে চায়। কারণ তার হিরো সিকে নাইডু ওই বয়স পর্যন্ত খেলেছিলেন। পর্তুগিজ ডিফেন্ডার পেপে গল্পের জহরের মতো ক্রিকেটার নন। তিনি ফুটবলার। পর্তুগাল রক্ষণের স্তম্ভ।
রক্তমাংসের পেপে কত বছর পর্যন্ত খেলবেন জানা নেই! তবে ইউরোর ময়দানে ইতিমধ্যেই রেকর্ড গড়ে বসে রয়েছেন তিনি। ইউরো কাপের সব থেকে বৃদ্ধ ফুটবলারের নাম পেপে। ভেঙে দিয়েছেন গ্যাবোর কিরালির সব থেকে বেশি বয়সে ইউরো কাপ খেলার রেকর্ডও। হাঙ্গেরির গোলরক্ষক ইউরো কাপ খেলেছিলেন ৪০ বছর ৮৬ দিন বয়সে। পেপে ৪১ বছর ১১৩ দিন বয়সে চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে নেমে ভাঙলেন সেই রেকর্ড। ইউরোয় যতগুলো দেশ খেলছে, তার অন্তত এক তৃতীয়াংশ দেশের বয়সও পেপের চেয়ে কম! কেরিয়ারের সায়াহ্নে পৌঁছেও তিনি রোনাল্ডোর দলের রক্ষণের অকূলের কূল, অগতির গতি, অনাথের নাথ।
রোনাল্ডো এখনও খরস্রোতা নদীর মতো বহমান। পেপেও তাই। অথচ সিআর সেভেন প্রচারের সব আলো শুষে নেন। তিনি পেনাল্টি নষ্ট করলেও শিরোনামে, আবার মাঠের মধ্যে কাঁদলেও চর্চায়। কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে টাইব্রেকারে হেরে পর্তুগালের ইউরো-সফর এবারের মতো শেষ। পরের ইউরোয় প্রাক্তনের দলে রোনাল্ডো। তাঁকে নিয়ে চলছে জল্পনা। জাতীয় দলের হয়েও কি শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন সিআর সেভেন? প্রশ্ন পেপেকে ঘিরেও। একবার তিনি বলেছিলেন, “ক্রিশ্চিয়ানো অবসর নিলে আমিও অবসর নেব।” ইউরো থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে রোনাল্ডো সান্ত্বনা দিচ্ছেন পেপেকে, এই দৃশ্য ভাইরাল।
'বুড়ো' পেপে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিজেকে উজাড় করে দেন। প্রতিপক্ষে রয়েছেন এমবাপের মতো ভয়ঙ্কর তারকা। তবুও অদম্য পেপে। বিপদের গন্ধ পেলেই মাটি ফুঁড়ে যেন বের হচ্ছেন। ফ্রান্সের আক্রমণ নষ্ট করে শূন্যে ঘুসি ছুড়ছেন। বলতে চাইলেন, “তোমরা আমাকে হারাতে পারবে না।” পেপে লড়ে যান ১২০ মিনিট। ফরাসি তরুণ ফুটবলারদের পা থেকে বল কেড়ে নেন। আক্রমণ তৈরি করেন। পৌঁছে যান ফাঁকা জায়গায়। কর্নারের সময়ে ফ্রান্সের পেনাল্টি বক্সে উঠে গিয়ে হেড করার চেষ্টা করেন। রোনাল্ডোর মতো এটাই তাঁর শেষ ইউরো। বয়সে অনেক ছোট পর্তুগিজ ডিফেন্ডারদের মাঠে নেতৃত্ব দিয়ে গেলেন পেপে। পর্তুগিজ তারকাকে দেখে মতি নন্দীর 'স্টপার' গল্পের কমল গুহর কথা মনে পড়তে বাধ্য। হাঁপাতে থাকা স্বপনকে বকুনি দিয়ে কমল বলেছিল, “তোর থেকে আমার ডবল বয়েস। আমি পারছি, তুই পারবি না কেন?” ফরাসি আক্রমণের ঢেউ নিরন্তর পর্তুগালের রক্ষণে আছড়ে পড়ার সময়ে পেপে কি ঠিক এভাবেই সতীর্থ ডিফেন্ডারদের বকুনি দিয়েছিলেন? রোনাল্ডো হেরে গিয়েও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। কালি খরচ হয় তাঁকে নিয়ে।
পেপে পড়ে থাকেন অন্ধকারে। তাঁর ভাবমূর্তি মোটেও ভালো নয়। পেপে মানেই পাগলামি। কল্পকাহিনির ডক্টর জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইডের মতোই তিনি। মাঠের ভিতরে মিস্টার হাইড। জঘন্য ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন। নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে আসে তাঁর উপরে। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ার কলঙ্ক রয়েছে তাঁর দীর্ঘ ফুটবল-জীবনে। কটাক্ষ ধেয়ে আসে তাঁর দিকে। এ সব দেখে শুনে 'সাগিনা মাহাতো'র দিলীপকুমারের মতো তিনি বলতেই পারেন, 'এই তো জীবন কালীদা।'
মাঠের বাইরে সেই তিনিই আবার হাসিখুশি৷ মা অন্তঃপ্রাণ। স্মৃতির সরণি ধরে হাঁটা লাগিয়ে এক ভিডিওয় পেপেকে বলতে শোনা যায়, “আনটিল আই কেম টু পর্তুগাল, অ্যাট ১৭, আই স্লেপ্ট বিসাইড মাই মাদার।” এহেন ডিফেন্ডার রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে খেলেছেন ১০ বছর। জিতে নিয়েছেন একাধিক লা লিগা ট্রফি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব। পেপেকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “যে ছেলে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত মা অন্তঃপ্রাণ, মা ছাড়া থাকতে পারে না, মায়ের পাশে ঘুমোয়, সেই ছেলে এতগুলো ট্রফি জিতল কী করে!”
পেপে আদৌ পর্তুগিজ নন। আসলে তিনি ব্রাজিলীয়। তাঁর বাবা চেয়েছিলেন ছেলে বড় হয়ে বিজ্ঞানী হবে। বন্ধুকে বলেওছিলেন, “মাই বয় ইজ গোয়িং টু বিকাম আ সায়েনটিস্ট।” বিখ্যাত জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোহানেস কেপলার ও নোবেল জয় ফরাসি পদার্থবিদ চার্লস লুইস আলফোনসে লাভেরানের নাম অনুসারে ছেলের নাম রাখা হয়েছিল কেপলার লাভেরান দে লিমা ফেরেইরা। বাবার আশাপূরণ হয়নি। ফুটবলমাঠই তাঁর যৌবনের উপবন আর বার্ধক্যের বারাণসী। ফুটবলবিশ্বে তিনি পেপে নামেই পরিচিত।
ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বের শহর মাসেইওতে জন্ম পেপের। ব্রাজিলের এই প্রান্তের মানুষজন পরিশ্রমী হন। এক সাক্ষাৎকারে পেপেকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষজন পরিশ্রমী। আমি নিজেও তাই।” কথিত আছে, একবার পেপেকে দশটা পাস খেলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ২০টা পাস খেলে বসেন।
ছেলেবেলা থেকেই কড়া ট্যাকল করতেন পেপে। জেতার খিদে সেই ছোটবেলা থেকেই শাখাপ্রশাখা বিস্তার করেছিল তাঁর মনে। কোরিন্থিয়ান্স-এএল যুব দলের হয়ে খেলার সময়ে পেপে নজর কাড়তে শুরু করেন। সেই সঙ্গে বিতর্কেও জড়ান। সেই কোন ছেলেবেলা থেকেই বিতর্ক তাঁর পিছু নিয়েছে। বড় বয়সেও তা তাঁর সঙ্গ ছাড়েনি। পেপের বাবা বলেছিলেন, “সাও পাওলো কাপের খেলায় কোরিন্থিয়ান্স-এএল ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল। সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল কোরিন্থিয়ান্স। আমরা সমতা ফেরানোর পরে বিপক্ষের গোলকিপার বল হাতে নিয়ে সময় নষ্ট করছিল। পেপে গোলকিপারের হাত থেকে বল কেড়ে নিতে উঠে যায়। তখন আরেকজন এসে পেপেকে ধাক্কা মারে। পড়ে যায় পেপে। উঠে দাঁড়িয়ে সেই ছেলেটাকে এক ঘুসি মেরে বসে পেপে।” ওই ঘটনার ফলাফল হয়েছিল মারাত্মক। ব্রাজিল প্রেসের এক ক্ষমতাশালী ব্যক্তি পেপের কেরিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। তখন পেপের বয়স আর কত হবে! ১৩-১৪। এই বয়সেই খেলা ছেড়ে দিতে চেয়েছিল ছোট্ট পেপে। ফুটবল ছেড়ে ট্যাক্সি চালক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর বাবা স্মৃতিচারণ করে বলেছিলেন, “আমার একটা গাড়ি ছিল। সেই সময়ে পেপেকে বলেছিলাম, এই গাড়িটা বিক্রি করে দিয়ে তোমার জন্য ট্যাক্সি কিনব। তুমি সেটা চালাবে।”
কিন্তু ভাগ্যদেবী তাঁর জন্য অন্য চিত্রনাট্য লিখে রেখেছিলেন। পর্তুগালের ক্লাব মারতিমোর প্রেসিডেন্ট কোরিন্থিয়ান্স এএল-এর কয়েকজন ফুটবলারকে দলে নেওয়ার জন্য ব্রাজিলে এসেছিলেন। সেই সময়ে টুর্নামেন্ট চলছিল। সেখানেই পেপেকে দেখে পছন্দ করেন মারতিমোর প্রেসিডেন্ট। এদিকে খেলা চলাকালীন এক অভিজ্ঞ ফুটবলারের কড়া ট্যাকলে পা ভাঙে পেপের। পর্তুগালে যাওয়াই হয়তো হত না তাঁর। কিন্তু মারতিমোর প্রেসিডেন্ট তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
২০০৭ সালে পর্তুগালের হয়ে অভিষেক পেপের। ততদিনে পোর্তোতে খেলে তিনি হয়ে উঠেছেন রক্ষণে আস্থার নাম। ছেলেবেলা থেকেই তিন নম্বর জার্সি পরে খেলতেন। ওই তিন নম্বর জার্সি প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিত। মাঠের ভিতরে কখনও হারতে চান না পেপে। যে কোনও মুল্যে জিততে চান। মাঠে হয়ে ওঠেন আগ্রাসী। বেরিয়ে পড়ে তাঁর উগ্রমূর্তি।
২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির টমাস মুলারকে অর্থহীন ঢুঁসো মারার বড় মুল্য চোকাতে হয় তাঁকে। লাল কার্ড দেখানো হয় পেপেকে। বিপন্ন হয় পর্তুগাল। জার্মানির কাছে হজম করতে হয় চার-চারটি গোল। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছিল। পর্তুগিজ কোচ হোসে মোরিনহো বলেছিলেন, “পেপে মোটেও পর্তুগিজ নয়। আমার মনে হয়, এটা ওর উপরে আরও চাপ বাড়ায়।”
মুলারের সঙ্গে পেপের আচরণে মোটেও বিস্মিত হয়নি ফুটবলদুনিয়া। এর আগেও মাঠে মেজাজ হারিয়ে শাস্তি পেয়েছেন।
২০০৯ সালে লা লিগায় গেতাফে ম্যাচে বক্সের মধ্যে ধাক্কা মেরে কাসকুয়েরোকে ফেলে দিয়েছিলেন। রেফারি পেনাল্টি দেন। ক্ষিপ্ত পেপে ফের ছুটে গিয়ে মাটিতে পড়ে থাকা কাসকুয়েরোকে এলোপাথাড়ি লাথি মারতে থাকেন, চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকিয়ে তাঁর মাথা গুঁজে দেন মাটিতে। বাকিরা ছুটে এসে তাঁকে সরাতে গেলে এ বার কাসকুয়েরোর গোড়ালিও মাড়িয়ে দেন। সেই ঘটনায় দশ ম্যাচ সাসপেন্ড হয়েছিলেন।
২০১১-য় বার্সেলোনার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে দানি আলভেজকে বুটের স্টাড দিয়ে মেরেছিলেন। লেভান্তের জাভি তোরেসও তাঁর সন্ত্রাসের শিকার। এমনকী এক বার্সা-রিয়াল যুদ্ধে হাত মাড়িয়ে দেন লিওনেল মেসিরও!
২০১১ সালের ডিসেম্বরে সেভিয়ার বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখার ১১ বছর পরে ফের লাল কার্ড দেখেন পেপে। তখন অবশ্য পর্তুগিজ তারকা ঠিকানা বদলে ফেলেছেন। স্পেনের রিয়াল হয়ে, তুরস্কের বেসিকতাস ঘুরে পেপের পিঠে তখন পোর্তোর জার্সি। পোর্তো-স্পোর্টিং ম্যাচে তিনি লাল কার্ড দেখায় সবাই খুব একটা হতবাক হননি। কিন্তু এগারো বছর পরে লাল কার্ড পাওয়ার খবরে অনেকেই বিস্মিত হয়ে যান।
আরও পড়ুন: এক ম্যাচে ৪৪ টা পেনাল্টি! ফুটবলের ইতিহাসে কুখ্যাত হয়ে আছে যে ম্যাচ…
এমনই যাঁর বদনাম, তাঁর সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল ব্রাজিল। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ব্রাজিল সাত গোল হজম করে। শোকে মূহ্যমান হয় পেলের দেশ। পেপের বাবাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “পেপে ডিফেন্সে থাকলে ব্রাজিল ম্যাচ জিতে যেত একথা বলছি না। তবে সাত গোল হজম করতে হত না।”
পেপে একজন যোদ্ধা। লড়াই, লড়াই আর লড়াই, এটাই তাঁর নিজস্ব টিপছাপ। স্টপার গল্পের নায়ক কমল বলতেন, “শিক্ষায় যদি ফাঁকি না থাকে, তা হলে যে স্কিল মানুষ পরিশ্রম করে অর্জন করে তা কখনও সে হারায় না, বয়স বাড়লেও।”
পেপেও ঘাম ঝরিয়ে সেই দক্ষতা অর্জন করেছেন। তারই বিচ্ছুরণ দেখা গেল ইউরোর ময়দানে। এই ৪১ বছর বয়সেও পর্তুগিজ সৈনিক দেখিয়ে দিলেন বয়স কেবল একটা সংখ্যা মাত্র।