চাঁদের গায়ে একফোঁটা আশ্চর্য আলোর বিন্দু! সন্ধ্যার আকাশে এ কোন অবাক করা দৃশ্য?

Unusual Light Spot Close to Moon : তার ঠিক কাছেই… ওটা কীসের আলো? চাঁদের একেবারে গায়ে গায়ে যেন লেগে রয়েছে সেই একফোঁটা আলোর বিন্দু।

ঘাসের ডগায় লেগে থাকা ছোট্ট শিশিরবিন্দু দেখতে কার না ভালো লাগে! যেন প্রাণ জুড়িয়ে দেয় সেই দৃশ্য। শুক্রবারের সন্ধ্যায় এমনই দৃশ্য দেখে থমকে দাঁড়ালেন পথচলতি মানুষেরা। চোখ মাটিতে নয়, রয়েছে আকাশে। সুন্দর একফালি উজ্জ্বল চাঁদ উঠেছে সন্ধ্যায়। আর তার ঠিক কাছেই… ওটা কীসের আলো? চাঁদের একেবারে গায়ে গায়ে যেন লেগে রয়েছে সেই একফোঁটা আলোর বিন্দু। সব মিলিয়ে সুন্দর পরিবেশ। কিন্তু কী ওই বিন্দু? ভয়ংকর কিছু?

এদিকে রমজান মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ, শুক্রবারই রমজানের প্রথম সন্ধ্যা। আর সেখানেই এমন অপূর্ব এবং আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা। সূর্য অস্ত যেতে না যেতেই আকাশে দেখা গেল চাঁদ। তারপর যত সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল, ততই উজ্জ্বল হল ওই আশ্চর্য আলোর বিন্দু। এমন দৃশ্য দেখার সুযোগ কি ছাড়বে শহরবাসী? অফিস ফেরত মানুষেরা সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল বের করে ক্যামেরাবন্দী করে নিলেন সেই মুহূর্ত। আর যারা কাজ করছেন, তাঁরা চলে গেলেন কোনও ফাঁকা জায়গায়, বারান্দায় কিংবা ছাদে। এমন সুন্দর চান্দ্র মুহূর্ত যেন এক করে দিল শহরের প্রতিটি প্রান্তে থাকা মানুষকে।

আরও পড়ুন : বাংলার আকাশে অজানা আলো! অবশেষে সামনে এল আসল রহস্য

কিন্তু কী এই আদ্ভুত আলো? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। গবেষকরা জানিয়েছেন, আলোর ওই বিন্দুটি আর কিছু নয়, শুক্র গ্রহ। আদতে মহাজাগতিক একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল পৃথিবী। সৌরমণ্ডলে যে যার নিজের মতো কক্ষপথে ঘুরছে। এরকম ঘুরতে ঘুরতেই কখনও কখনও গ্রহ উপগ্রহরা এক সরলরেখায় চলে আসে। এখানেও ব্যাপারটি তেমনই হয়েছে। প্রদক্ষিণ করতে করতে চাঁদ আর শুক্র পরস্পরের কাছাকাছি চলে এসেছিল। কিছুক্ষণ একসঙ্গে থাকার পর একটু একটু করে দূরে সরে যায় তারা। ওই মুহূর্তটাই ছিল বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য।

বিরল কেন? মহাকাশ বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, সৌরমণ্ডলের প্রতিটি গ্রহ, উপগ্রহের কক্ষপথ আলাদা। তাদের আহ্নিক আর বার্ষিক গতিও আলাদা আলাদা। তাই কখন কোন গ্রহ কিংবা উপগ্রহ কার সঙ্গে এক সরলরেখায় চলে আসবে, তা বলা যায় না। সবটাই সময় আর গতির খেলা। হয়ত আরও কয়েক বছরও লাগতে পারে, কয়েকশো বছরও লেগে যেতে পারে। চাঁদ আর শুক্র এভাবে এতটা কাছাকাছি আবার কবে আসবে, জানা নেই। তাই এটি বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য তো বটেই। রমজানের শুরুর দিনেই এমন দৃশ্য থেকে শহরবাসীও খুশি। খালি চোখে মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকা, এটাও কি কম কথা নাকি!

More Articles