বিশ্বাসঘাতকতার সাত দশক! কেন বালুচিস্তান পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায়?
Balochistan: অশান্তির নেপথ্যে থাকা বালুচ লিবারেশন আর্মি এখন আর শুধু বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন নয়, লেখাপড়া শেখা তরুণ-তরুণীরা এতে জড়িয়েছে। কেন?
ভারত পাকিস্তান সংঘর্ষের আবহে বারবার উঠে আসছে বালুচিস্তান প্রসঙ্গ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একটা অংশ দাবি করছে, বালুচিস্তানের উপর থেকে পাকিস্তানের রাশ আলগা হয়ে গিয়েছে। বালুচ উপত্যকার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, অভ্যুত্থান সামলাতে ব্যর্থ হয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের থেকে নজর ঘোরাতেই কাশ্মীর হামলায় মদত দিয়েছে পাকিস্তান। সেনা-সরকারের উপর অতিষ্ঠ মানুষের সস্তা সহানুভূতি আদায়ে টার্গেট বানিয়েছে কাশ্মীরকে, এমন কথাও উঠে আসছে। কিন্তু পাকিস্তান কেন বালুচিস্তানকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? কেন বিদ্রোহের আগুনে পুড়ছে এই উপত্যকা, কী কী অভিযোগ ভূমিপুত্রদের? স্থানীয়রা বলছে, এর পিছনে রয়েছে হকের জন্যে লড়াই। রয়েছে লাগাতার অত্যাচার, গুম খুনের ইতিহাস, রয়েছে জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।
বালুচিস্তানের লড়াই শুরু হয় পাকিস্তান তৈরির অনেক আগে। ১৮৩৯ সালে কালাতের শাসক মেহরাব খানকে হত্যা করেছিল ব্রিটিশরা, এবং ১৮৪১ ও ১৮৫৪ সালে চুক্তির মাধ্যমে কালাতকে তাদের মিত্র বানানো হয়। ১৮৫৭ মহাবিদ্রোহের সময় মীর খোদাদাদ খান কালাত অঞ্চলের 'খান' নিযুক্ত হন। ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তাঁকে বারবার ষড়যন্ত্র ও বিদ্রোহের মুখোমুখি হতে হয়, এমনকী আক্রান্ত হয়ে পালাতেও হয়েছিল তাঁকে। পরে তিনি কালাতের সিংহাসন ফিরে পান। ততদিনে ব্রিটিশ অফিসার রবার্ট স্যান্ডেম্যান পাঠান উপজাতিদের সঙ্গে জিরগা ব্যবস্থার মাধ্যমে দলে টানার কাজ শুরু করেছেন। বুদ্ধিমান স্যান্ডেম্যান উপজাতি নেতাদের ক্ষমতা দিয়ে ব্রিটিশ রাজের প্রতি তাদের অনুগত করে তোলেন। অর্থাৎ বালুচিস্তানের ভিতরেই দ্বিজাতিতত্ত্ব, বলা ভালো, বহুজাতিতত্ত্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। কালাতের অবস্থা তখন দুর্বল, মারি, বুগতি, খেত্রানের মতো উপজাতিরা প্রায় স্বাধীন ছিল। আফগান যুদ্ধে স্যান্ডেম্যান ও খোদাদাদ একসঙ্গে ব্রিটিশদের সাহায্য করেন। যুদ্ধ শেষে স্যান্ডেম্যান পদোন্নতি না পেয়ে হতাশ হন এবং ইংল্যান্ডে ছুটিতে চলে যান। যাওয়ার আগে খোদাদাদকে তিনি চিঠি লিখেন, যেখানে তিনি তাদের বন্ধুত্বকে “এক বাদামের দুটো দানা”-র মতো বলে আখ্যা দেন।
আরও পড়ুন- বালুচিস্তানে দিশেহারা পাকিস্তান! বিশ্বের নজর ঘোরাতেই পহেলগাঁও হামলা?
১৯৪৭ সালের ১১ অগাস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল দেশিয় রাজ্য কালাত। ১২ অগাস্ট কালাতের শাসক মীর সুলেমান দাউদ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তাদের স্বাধীনতার মেয়াদ ছিল মাত্র সাত মাস। দেশভাগের পর ২২৭ দিন পর্যন্ত স্টেট অফ কালাত বা সার্বভৌম বালুচিস্তানের অস্তিত্ব ছিল। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহম্মদ আলি জিন্নাহ কালাতকে একপ্রকার বাহুবলে পাকিস্তানে যোগ দিতে বাধ্য করেন। বালুচ নেতারা এর বিরোধিতা করেছিলেন, সেই বিদ্রোহ সেনাবাহিনী পাঠিয়ে দমন করা হয়। কালাতের প্রধান চাপে পড়ে চুক্তি সই করেন। এই ঘটনা থেকেই বালুচদের মনে গভীর ক্ষোভ জন্মায়। এরপর ১৯৫০, ৬০ আর ৭০-এর দশকে একের পর এক বিদ্রোহের জন্ম হয়েছে বালুচিস্তানে। নওয়াব নওরোজ খান, আকবর বুগতির মতো নেতারা পাকিস্তানের শাসনের বিরুদ্ধে লড়েছেন। প্রতিটি বিদ্রোহই কঠোর হাতে দমন করা হয়েছে। বালুচিস্তানের ইতিহাস রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর এথনিক ক্লেনজিংয়ের, হাজার হাজার মানুষের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার।

জিন্নাহ, খান অফ কালাত এবং জিন্নাহর বোন ফাতিমা
১৯৫৪-এ পাকিস্তানের ‘ওয়ান ইউনিট’ নীতির বিরুদ্ধে কালাতের নওয়াব নওরোজ খান বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ক্রমে ১৯৫৮-এ গেরিলা যুদ্ধ শুরু হয় স্বাধীনতা আর এই নীতি বাতিলের দাবিতে। পাকিস্তান নওরোজকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আত্মসমর্পণ করায়, তার পাঁচ আত্মীয়কে ফাঁসি দেয়। বালুচ ইতিহাসে এ এক চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতা বলে চিহ্নিত অধ্যায়। ৬০-এর দশক জুড়ে বালুচিস্তানে জেলবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন হয়েছে। ১৯৭০ সালে বালুচিস্তান প্রদেশের স্বীকৃতি পেল। তবে অচিরেই জুলফিকার আলি ভুট্টো ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টির (এনএপি) নেতৃত্বাধীন বালুচিস্তান সরকার বরখাস্ত করেন। ভুট্টোর দাবি ছিল, এনএপি বিদেশি শক্তির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছে। মারি, মেঙ্গাল ও বুগতি উপজাতির যোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে অসম যুদ্ধে লিপ্ত হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ তাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছিল।
বালুচিস্তানের অবস্থান ভারত পাকিস্তানের মাঝে 'স্যান্ডউইচ'-এর মতো। একে ভূরাজনৈতিক দাবার বোর্ড বলা চলে। কেউ কেউ আফগানিস্তানের সঙ্গে তার নিয়তির তুলনা করে। তবে আফগানিস্তানের মতো আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবে চারদিকি অলঙ্ঘ্য পর্বত নেই সেখানে। বালুচিস্তান ভূখণ্ডটি শুধু পাক অবদমনের শিকারই নয়, বিভিন্ন দেশ এই ভূখণ্ডকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। ১৯৭০-এর দশকে আফগানিস্তান বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছিল পাকিস্তানকে দুর্বল করতে। আফগান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ দাউদ খানের নেতৃত্বাধীন বাহিনী বালুচিস্তানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দেয়।
দাউদ খান সোভিয়েতপন্থী ছিলেন, কান্দাহারে বালুচদের জন্য প্রশিক্ষণ শিবির ছিল বলে অনেকে দাবি করেন। পাকিস্তানের আশঙ্কা ছিল কমিউনিস্ট আফগানিস্তান বালুচ ও পশতুন মার্ক্সবাদী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উৎসাহ দেবে। পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ, বিশেষ করে ডুরান্ড লাইন নিয়ে ঝামেলা ছিল এই সমর্থনের প্রত্যক্ষ কারণ। আফগানিস্তান এই সীমান্তকে স্বীকৃতি দেয়নি। পশতুন ও বালুচ জাতিগোষ্ঠীর জন্য পশতুনিস্তান নামে একটি স্বাধীন অঞ্চলের দাবি তুলেছিল, যার মধ্যে পাকিস্তানের বালুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া অন্তর্ভুক্ত।
গত কয়েক দশকে, একটানা চলতে থাকা বালুচ বিদ্রোহ দমনে অক্ষম পাকিস্তান আঙুল তুলেছে ভারতের দিকেও কিন্তু কখনও যথাযথ প্রমাণ দিতে পারেনি। ইরান-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা কুলভূষণ যাদবকে অপহর করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। বালুচিস্তানের দখলদারি বজায় রাখতে পাকিস্তানের প্রধান সহায় চিন। চিনের স্বপ্ন চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর (সিপেক) প্রকল্প বাস্তবায়ন। সেই প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, অনুকূল নিরবচ্ছিন্ন পরিকাঠামো চিনকে কখনও দিতে পারেনি পাকিস্তান।
কেন পারেনি? কারণ বালুচিস্তান জুড়ে তীব্র অশান্তি চলেছে একটানা। অশান্তির নেপথ্যে থাকা বালুচ লিবারেশন আর্মি এখন আর শুধু বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন নয়, লেখাপড়া শেখা তরুণ-তরুণীরা এতে জড়িয়েছে। কারণ? বালুচরা মনে করে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে প্রথম থেকে। চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের বড় অংশই বালুচিস্তানের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। পশ্চিম চিনের কাশগড় থেকে শুরু হওয়া করিডর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে গিয়ে শেষ হয়েছে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের গদর বন্দরে। ওই বন্দরের মাধ্যমেই মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সমুদ্রপথে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে চায় চিন। ওই রাস্তা ব্যবহার করেই পাক-চিন জুটি বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে বলে ‘বালুচ ন্যাশনালিস্ট আর্মি’ (বিএনএ), ‘বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি’ (বিএলএ)-র মতো স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির অভিযোগ। গদর উপকূলের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতেও বাধা দেয় সেটলার চিনেরা, এমনটাই অভিযোগ। ‘বালুচিস্তানের গাঁধি’ নামে পরিচিত স্বাধীনতাপন্থী নেতা আবদুল কাদির বালুচ বছর কয়েক আগে দিল্লি এসে বলেন, তাঁরা চান ১৯৭১-এর মতোই বালুচিস্তানের পাশে দাঁড়াক।
শুধু লুঠপাঠ নয়, রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও। বালুচিস্তানে প্রায় ৭০০,০০০ হাজারা সম্প্রদায়ভুক্ত বাস করে, যাদের অধিকাংশই শিয়া মুসলিম। তারা কোয়েটায় বসবাস করে এবং ১৯৯০-এর দশক থেকে সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। আফগান যুদ্ধের সময় থেকেই পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সমর্থনে এই অঞ্চলে জেহাদি গোষ্ঠীগুলো শক্তিশালী হয়ে ওঠে। পরে ক্রমে তারা শিয়া, জিকরি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়ে এসছে। অত্যাচারিত প্রান্তিকরা পাকিস্তানের অংশ হিসেবে থাকতে চায় না। পাকিস্তানের প্রতি বিতৃষ্ণার আরেকটি কারণ অর্থনীতি। বালুচিস্তানের ৭১% মানুষ দারিদ্ররেখার নীচে রয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে চিন পাক করিডোরে তাদের উপার্জন বাড়বে না, জীবন বদলাবে না। বালুচিস্তানে গ্যাস, তামা, সোনা, কয়লা এবং তেলের মতো প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, যার মূল্য আনুমানিক ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু এই সম্পদের সুবিধা স্থানীয় বালুচদের কাছে পৌঁছয় না। শিক্ষার হারও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন- সন্ত্রাস নাকি স্বাধীনতার লড়াই? কেন বারবার রক্তাক্ত বালুচিস্তান?
এই বছর মার্চে বালুচ বাহিনী যাত্রীবোঝাই ট্রেন অপহরণ করে প্রায় ১০০ জনকে পণবন্দি করে স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ। খুন করা হয় অন্তত ২০ জনকে। তার কিছুদিন আগে কালাত জেলায় মানববোমার হামলায় পাক আধাসেনা ফ্রন্টিয়ার কোরের এক জওয়ান নিহত হন। গুরুতর আহত হন চার জন। ক্রমাগত এই হামলা চলছে বছরের পর বছর। এই বিচ্ছিন্নতার গুরুত্ব বোঝা যাবে এক পাক সাংসদের বক্তব্যে। সংসদে বালুচিস্তান নিয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দেন মৌলানা ফজল-উর-রহমান। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘শেহবাজ় শরিফ সরকার মনোভাব বদল না করলে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মতো ঘটনা আসন্ন। আর বালুচিস্তানের জেলাগুলি আলাদা হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেই তাতে শিলমোহর দেবে রাষ্ট্রপুঞ্জ। আর তখন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে পাকিস্তান।’’
ধীরে ধীরে বালুচিস্তানের আন্দোলন সর্বাত্মক হয়ে উঠেছে। বালুচিস্তানে মহিলাদেরও আত্মঘাতী হামলায় যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। তারা বলছে এটা তাদেরও হকের লড়াই। কারণ লিঙ্গ বৈষম্য এই এলাকায় সুতীব্র। এলাকার স্কুল-হাসপাতাল ভেঙে পড়ছে। ঘরে ভাত নেই। সবচেয়ে বড় উদ্বেগ, গত কয়েক বছরে অন্তত ৫,০০০ বালুচ সংগ্রামী গুম হয়েছে। জাতীয়তাবাদী, রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, ছাত্র এবং এমনকী সাধারণ গুম ও হত্যার অভিযোগ রয়েছ পাক সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে। ফ্রন্টিয়ার কোর (এফসি), গোয়েন্দা সংস্থা এবং কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বলে অভিযোগ। এইচআরসিবি-র মতে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪টি গুমের মধ্যে ১০২টির ক্ষেত্রে বাড়িতে সাধারণ পোশাকে এসে পিকআপ ট্রাক ব্যবহার করে মানুষ তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা রয়েছে। বছরের পর বছর ঘরের মানুষ ঘরে ফেরার অপেক্ষায় আছে বালুচ পরিবারগুলি। ২০২৫ সালে গুম ও হত্যার ঘটনা বেড়েছে। মার্চ মাসে ১৫১টি গুম এবং ৮০টি হত্যা রেকর্ড করা হয়েছে। কালাত, কোয়েটা এবং গদরে সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটেছে। বালুচদের স্বপ্ন স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে ওঠা।
পাকিস্তন বারবার বোঝাতে চায় বালুচিস্তানে যা হয়েছে তা আসলে ভারতের ষড়যন্ত্র। কিন্তু এই অভিযোগগুলি আসলে বাস্তব থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা। ১৯৪৮-এর প্রতারণা বালুচদের মনে গভীর ক্ষত তৈরি করে। বালুচরা ইচ্ছের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অংশ হয়েছিল। আর আজ চিনকে কাছে টানতে পাক সরকারের তৎপরতা, সেনাবাহিনীর অত্যাচার বালুচদের আরও ক্ষুব্ধ করেছে। তাদের বিদ্রোহ সর্বাত্মক হয়ে উঠেছে। যেখানে ছাত্র, মহিলা, সব পক্ষের সবাই জড়িয়েছে। পাকিস্তানের হাতে দুটো পথ—আরও কঠোর হওয়া (তাতে বিদ্রোহ থামবে না)। নয়তো সংলাপে আসা, কিন্তু তার জন্য দীর্ঘ নিপীড়নের দায় স্বীকার করতে হবে। ভুলের দায় কখনও পাকিস্তান স্বীকার করে?