এপ্রিলের শুরু থেকেই বদলে যাচ্ছে নিয়ম, হলমার্ক সোনা কেনার সময় যে বিষয়টি খেয়াল রাখতেই হবে

New hallmarking of gold : সোনার এই হলমার্কিং নিয়মগুলি বদলে যেতে চলেছে এপ্রিল মাসের এক তারিখ থেকে। এবার থেকে কীভাবে চিনবেন খাঁটি সোনা?

রোজ সকালে খবরের কাগজ হাতে পেয়েই সোনার দামের দিকে নজর দেয় বাঙালি। সোনা কেনা বা বেচা নিয়ে এখনও বাঙালিদের তথা ভারতীয়দের মধ্যে বেশ কিছু নিয়ম প্রযোজ্য আছে। তবে সোনা যেহেতু খুবই মূল্যবান ধাতু তাই সংস্কারের উর্ধ্বে বড় হয়ে দাঁড়ায় আসল নকলের হিসেবটাই। লোকমুখে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায় যে স্যাকরা মাত্রই চোর, সোনা মেরেই নাকি ধনী তাঁরা! একটা সময় আমাদের দেশে সোনার গয়না তৈরির সময় ব্যবহার করা হতো পানের কাজ। পরবর্তীতে আসে কেডিএম পদ্ধতি। অবশেষে এই ধাতুটির যখন আরও বেশি দামী হয়ে উঠতে থাকল তখন তার সঠিক যাচাই পদ্ধতির জন্য এল হলমার্ক পদ্ধতি। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে ভারতে প্রথম চালু হয় এই হলমার্ক সোনার গহনা তৈরি। বর্তমানে সারা দেশে মোট ৩৩৯টি জেলায় অন্তত একটি করে অ্যাসেইং হলমার্ক সেন্টার রয়েছে।

সোনায় হলমার্কিং হল একটি স্ট্যাম্প যাতে ভোক্তারা যে সোনার গহনা এবং নিদর্শনগুলি কিনছেন তার বিশুদ্ধতা জানতে পারবেন৷ এক কথায় হলমার্ক বলতে খাঁটি সোনাই বোঝেন আমআদমি। অর্থাৎ, হলমার্ক আছে? শুধু এটুকু দেখেই চোখ বুঝে ভরসা করেন ক্রেতারা। কিন্তু জানেন কি এই হলমার্ক পদ্ধতিটির কিছু বিশেষ নিয়মাবলী আছে? কেনার সময় খেয়াল রাখেন সেইসব নিয়ম? শুধু তাই নয়, আগামী অর্থ বর্ষ থেকে অর্থাৎ এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে বিদলেও যাচ্ছে পুরনো হলমার্কের নিয়ম। সুতরাং, না জেনে কিনতে গেলেই বেজায় ঠকে যেতেন আপনি!

আরও পড়ুন - Gold Investment || জমানো টাকায় সোনা কিনছেন? বিনিয়োগ নাকি বড় ভুল হচ্ছে…

ভারতে বিভিন্ন জাতির মধ্যেই সোনার গহনা পরার চল রয়েছে। বাঙালি বিয়ে থেকে শুরু করে উপনয়ন, অন্নপ্রাশন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে আজও সোনাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। অনেক ভারতীয়দের কাছে সোনা একটি জনপ্রিয় বিনিয়োগ, ব্যাংকে রাখা টাকার সুদ দিন দিন কমলেও সোনার দাম উর্দ্ধমুখী। ফলে সোনায় বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে অনেকেই। তাছাড়া হলমার্ক পদ্ধতি আসার আগে কেন সোনা বিক্রি করতে গেলে বেশ কিছু পরিমাণ সোনা বাদ যেত, তাতে লস হতো ঠিকই, তবে হলমার্ক এসে সেই ধারণা বদলে দেয়। হলমার্ক রয়েছে এমন সোনা বিক্রি করতে গেলে এখন পুরো সোনার দাঁড়ায় মেলে, ফলে এক্ষেত্রে বিনিয়োগ অনেকটাই লাভের মুখ দেখায়।

সোনার এই হলমার্কিং নিয়মগুলি বদলে যেতে চলেছে এপ্রিল মাসের এক তারিখ থেকে। TOI Wallet Talks-এর এই সপ্তাহের পর্বে, নিধি খারে, ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব এবং কেন্দ্রীয় ভোক্তা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের প্রধান কমিশনার সোনার জন্য নতুন বাধ্যতামূলক হলমার্কিং নিয়মগুলি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাতেই সামনে এসেছে, এপ্রিল ১, ২০২৩ -এর পর থেকে সমস্ত স্বর্ণের গহনা এবং শিল্পকর্মের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে একটি ছয় সংখ্যার আলফানিউমেরিক HUID বা হলমার্ক ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন বহন করতে হবে। এই সংখ্যাটি গ্রাহকদের স্বর্ণের গহনা পুনরায় বিক্রির সময় সমান সুবিধা পেতে এবং বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করতে সহায়তা করবে। এতদিন পর্যন্ত এই হলমার্কের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো চারটি সংখ্যা। এবার থেকে তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে ছয় সংখ্যার পিন। আপনি সহজেই ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের BIS কেয়ার অ্যাপের সাহায্য এই ছয় সংখ্যার হলমার্ক আইডি, সোনার বিশুদ্ধতা সনাক্ত করতে এবং পরীক্ষা করতে পারবেন।

More Articles