দুটো লুঙ্গি আর হাফহাতা পাঞ্জাবির শর্তে লিখতেন চিত্রনাট্য, বিধায়ক ভট্টাচার্যকে ভুলেছে বাঙালি

Bidhayak Bhattacharya: বিধায়কবাবু স্ক্রিপ্ট শোনাতে আসছেন মানে বিরাট ব্যাপার। সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। এর পিছনে ভাগ্নেটিকে যে কতদিন ধরে লেগে থাকতে হয়েছে, তা মোক্ষম জানতেন পুলক।

সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। এই একটা বিশ্বযুদ্ধ গেল। তার পিছে পিছে আরেকটা এসে গিয়েছে। শরীরেও নানা অসুখ! ঘন ঘন ছুটছেন মংপুতে। সব মিলিয়ে গোধূলি লগন। আর কিছুদিনের মাথায় সূর্যাস্ত। সে সময় তাঁর কাছে খবর এল, পশুপতিনাথ বাবু এসেছেন। দর্শনপ্রার্থী। ডাক্তার পশুপতিনাথ ভট্টাচার্য। ডাকলেন ও ঘরে। সঙ্গে এক ছোকরাকে নিয়ে ঢুকলেন ডাক্তারবাবু। কুশল বিনিময়ের পর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, "একে তো চিনলাম না।" প্রচুর সুখ্যাতি করলেন ডাক্তার। বোঝাই গেল ছেলেটির গুণগ্রাহী হয়ে উঠেছেন কিছুদিনেই।"এর ব্যাপারেই আপনার কাছে আসা। ছেলেটি নতুন নাটক লিখছে। চমৎকার লেখে। নাম বগলাচরণ ভট্টাচার্য। আপনি একটা নতুন নাম দিন না বগলাকে…"। এই অনুরোধ এড়াতে পারলেন না রবীন্দ্রনাথ। আর ঘটনাচক্রে সেই নামই টিকে গেল। পেশাদার মঞ্চে পা পড়তে না পড়তেই বগলাচরণ ভট্টাচার্য হয়ে উঠলেন বিধায়ক। বিধায়ক ভট্টাচার্য। বহুদিন পরে যে নামের আগে 'মধু সংলাপি' বিশেষণটুকু যিনি নিজের ক্ষমতায় অর্জন করবেন।

জিয়াগঞ্জের যজমানি পুরুতের ছেলে হয়ে অভিনয় জগত বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত খুব একটা সহজ ছিল না। পদে পদে বাধা দিয়েছেন বাবা। কিন্তু আটকাতে পারেননি। প্রথম প্রথম লুকিয়ে মহিলার চরিত্রে অভিনয় করতেন। পরে চলে এলেন কলকাতায়। এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসে উঠলেন। ১৯২৮ নাগাদ মৃণালিনীর সঙ্গে বিয়েও হয়ে গেল। মৃণালিনীর বড়দা আশুতোষ ভট্টাচার্য্যের আগ্রহেই ফের টালা স্কুল। সেখান থেকে ম্যাট্রিক পাশ। ভবিষ্যতের 'মধু সংলাপি'র মেজাজ তখন মোটেও মধুর ছিল না। অল্প বয়স। রক্ত গরম। একবার কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন যুগান্তরের অফিসে। বিধায়কবাবুর হাতের লেখাটি ছিল বড়ই চমৎকার। সেই লেখা দেখেই যুগান্তর বাংলা দৈনিকের মালিক সুকোমল কান্তি ঘোষ ওই পত্রিকায় চাকরি দিলেন বন্ধু বগলাকে (তখনও বিধায়ক হননি)। সে অফিসে কাজ শুরু করলেন। কয়েকদিন পরেই অফিসে একটা চাপা গুঞ্জন কানে এল। এদিক ওদিক নানান ফিসফাস। কী, না মালিক চেম্বারে এলে সমস্ত কর্মচারীই উঠে দাঁড়ান। কিন্তু বগলাবাবুর কোনও হেলদোল নেই। এতসব আন্দাজ করতে পারেননি বগলা। সুকোমল বন্ধুমানুষ। তাঁর সামনে আবার উঠে দাঁড়াতে যাবেন কেন! বেগতিক দেখে সুকোমল ঘোষ আড়ালে ডেকে বন্ধুকে বললেন, "আমি যখন ঘরে ঢুকব, বাইরে থেকে গলা খাঁকারি দেব, তুই উঠে দাঁড়াবি।" সে কথা শুনে বগলার রাগ দেখে কে! এক কথায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে বেরিয়ে চলে এলেন। আরেক দোস্ত তুষারকান্তি ঘোষ বুঝিয়ে বললেন, "তুই যে চাকরিটা ছাড়লি, খাবি কী? এদিকে তো বিয়ে করে বসে আছিস!" জবাব দিয়েছিলেন, "কপালে যা আছে, তাই হবে।" হেসে ফেলেছিলেন তুষারবাবু। তাঁরই চেষ্টায় শিশিরকুমার ইনস্টিটিউটে ইস্যুয়িং অফিসারের চাকরি জুটে গেল।

আরও পড়ুন- ক্ষমা চাইতে হয়েছিল খোদ সুচিত্রা সেনকে! স্বর্ণযুগের অবিশ্বাস্য যে ঘটনা ছিল আড়ালেই

আর ঠিক এইখান থেকেই 'বিধায়ক' হয়ে ওঠার শুরু। ইনস্টিটিউটের রাশি রাশি বই পড়ে লেখালেখির দিকে ঝোঁক। ধীরে ধীরে ভারতবর্ষ, প্রবাসী, গল্পলহরী—নামিদামি পত্রিকায় সে সব লেখা ছাপা হতে শুরু করল। এরপরে পেশাদার মঞ্চে প্রথমে নাট্যকার, পরে অভিনেতা। সিনেমার চিত্রনাট্য লিখতেন চমৎকার। অদ্ভুত একটা শর্ত ছিল। টাকা পয়সা যা দেবেন, দেবেন, কিন্তু সঙ্গে দুটো লুঙ্গি আর হাফ হাতা ছিটের পাঞ্জাবি দিতে হবে। গোটা ছবির জগতে লুঙ্গির শর্তে বোধহয় আর কেউ কাজ করেননি। কিন্তু বিধায়কবাবুর ওইটেই প্রধান শর্ত। সব প্রযোজকই তাই দিতেন, মায় উত্তমকুমারও। আর কী খেয়ালে ফুলস্কেপ কাগজে লিখতেন না। লিখতেন স্কুলের ছোট ছোট খাতায় নম্বর দিয়ে।

কিন্তু ওঁকে দিয়ে লিখিয়ে নিতে হত। সমানে তাড়া না দিলে চিত্রনাট্য পাওয়ার খুব একটা আশা ভরসা ছিল না। 'অসমাপ্ত' ছবির প্রযোজনা করেছিলেন পুলক বন্দ্যোরই পাড়ার বন্ধু মুণ্ডি আর বিনু ভাই। সেবার চিত্রনাট্য পাওয়ার জন্য রীতিমতো পুলকদের পাড়ায় নজরবন্দি করে রাখতে হয়েছিল বিধায়ক ভটচাজকে। লিখতে লিখতেও বিপত্তি। হঠাৎ 'আসছি' বলে এই যে হাওয়া হয়ে গেলেন, একেবারে ঘণ্টা দু' ঘণ্টা কোনও পাত্তা নেই। ফিরে হয়তো বললেন, "তোদের সালকিয়ার হরগঞ্জবাজারে যা ছিপ আর বঁড়শি পাওয়া যায়—শেয়ালদাতেও তেমনটি পাওয়া যায় না।" অথবা "সালকিয়ার চৌরাস্তার ওই পানের দোকানটায় নিজে না দাঁড়িয়ে থেকে পান সাজালে ঠিক জমে না।" এদিকে স্ক্রিপ্টের দেখা নেই। আর বিধায়কবাবুর চিত্রনাট্য খুব পছন্দ করতেন উত্তম কুমার আর তরুণ কুমার দু'জনেই।

'অবাক পৃথিবী' ছবি হবে। চিত্রনাট্য শোনার মিটিং। তা উত্তম বুড়ো অর্থাৎ তরুণকে বললেন, "আমি তো পকেটমার। আমার জন্য পকেটমারের 'জয়গান' দিয়ে মামাকে একটা গান লিখতে বল।" বুড়ো সঙ্গে সঙ্গে সায় দিলেন। তা সে কথায় পরের দিনই গান নিয়ে হাজির মামা। "সূর্পনখার নাক কাটা যায়/ উই কাটে বই চমৎকার/ খদ্দেরকে জ্যান্ত ধরে গলা কাটে দোকানদার/ আমরা কাটি পকেট ভাই/ কাঁচি নিয়েই আমরা বাঁচি, কাঁচিই মোদের ঠাকুর তাই।" কিন্তু গান তো লেখা হল। ফাইনাল চিত্রনাট্যে দেখা গেল গানের কোনও সিচুয়েশনই পাওয়া যাচ্ছে না। মন ভালো নেই। বিরস বদনে বসে আছেন। এমন সময় বিধায়কবাবুর নজর পড়ল পুলকের ওপর। এক মুহূর্তে বুঝে ফেললেন ব্যাপারটা। বললেন, "গানটা মনে আছে তোর?" পকেটেই ছিল। পড়ে শোনালেন। শুনে খুব খুশি ভদ্রলোক। "দারুণ লিখেছিস, হিট করবে গানটা। আমি সিচুয়েশন পেয়ে গেছি।" তারপরের ঘটনা আপনার আমার জানা। বাচ্চাদের নিয়ে উত্তমের লিপে হেমন্তের কণ্ঠে সে গান অমর হয়ে রয়েছে।

আর একবার সেই আলস্যের অভ্যেসেই আরেকটা ঘটনা ঘটিয়ে ছিলেন। সেদিন গৌরী সকাল সকাল ফোন করলেন পুলকবাবুকে। "মামা, এক্ষুনি ভবানীপুরে চলে এসো। ও (উত্তম) বলল— বিধায়কদা ভ্রান্তিবিলাসের স্ক্রিপ্ট শোনাতে আসছেন। তুমি গানের সিচুয়েশনগুলো শুনে নেবে। শ্যামলদাও আসছেন। গান নিয়ে আলোচনা হবে। আর দুপুরে এখানে ইলিশ মাছ আর খিচুড়ি খেয়ে যাবে।" বিধায়কবাবু স্ক্রিপ্ট শোনাতে আসছেন মানে বিরাট ব্যাপার। সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। এর পিছনে ভাগ্নেটিকে যে কতদিন ধরে লেগে থাকতে হয়েছে, তা মোক্ষম জানতেন পুলক। বিধায়কবাবুর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল ঢের আগেই। পুলক বন্দ্যোরই একটি গীতিনাট্যে সভাপতি হয়ে এসেছিলেন। পুলকবাবু প্রণাম করলে বলেছিলেন, "তোর নাম আমি শুনেছি। তোর গান তো কাজে গান তো কাজে লাগাবই, তোর নামটাও কাজে লাগাব।" সত্যিই লাগিয়েছিলেন। আপনাদের মনে আছে কিনা জানিনা, মুর্শিদাবাদের ঢুলি সম্প্রদায়কে নিয়ে তাঁর লেখা উপন্যাস 'ঢুলি' যখন সিনেমা হল, তখন সেখানে একটি প্রধান চরিত্রের নাম ছিল পুলক।

আরও পড়ুন- রেস্তোরাঁর বিলে জন্ম নিল লতার প্রথম পুজোর গান! আশ্চর্য সেই ইতিহাস

তা 'ভ্রান্তিবিলাস' যখন তৈরি হবে, সে সময় বিধায়কবাবু শেয়ালদা স্টেশনের কাছে একটা হোটেলে রয়েছেন। কিছুদিনের চুক্তি। চিত্রনাট্য লেখার জন্যেই আর কী। উত্তমের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর চিত্রনাট্য লেখানো গিয়েছে। কাজেই পুলকবাবু তড়িঘড়ি ছুটলেন উত্তমের বাড়ি। যথাসময়ে গাড়ি পাঠানো হলো। বিধায়কবাবু এলেন। এক রাউন্ড চা খেয়ে সামনে এক প্লেট পান নিয়ে আরাম করে বসলেন ঘরের এক কোণে। উত্তম হাঁ হাঁ করে উঠলেন, "ও কী? ওখানে বসলেন কেন? আলো কম। পড়তে অসুবিধে হবে যে।" এক ধমকে তাঁকে থামালেন বিধায়কবাবু, "তুই থাম। আমার চোখ তোর থেকে পাওয়ারফুল।" ব্যাপারটা বোঝা গেল না। এমনিতেই খেয়ালি মানুষ। অগত্যা উত্তম আর ঘাঁটালেন না। চোখের ওপর একটার পর একটা খাতা তুলে ধরে পড়ে গেলেন। চিত্রনাট্য শোনা হল। পরিচালক মানু সেন থেকে শুরু করে যাঁরা ছিলেন, সবাই সাধু সাধু করে উঠলেন। গানের সিচুয়েশনও বুঝিয়ে দিলেন পুলককে।

চিত্রনাট্য শোনার পর উত্তম ওঁর ড্রাইভার ন্যাপাকে বললেন বিধায়কবাবুকে ছেড়ে আসার জন্য। পুলক বন্দ্যো জানালেন ওদিকেই যাবেন। ন্যাপাকে পাঠাবার কী দরকার! তিনি নিজের গাড়িতেই নামিয়ে দেবেন ক্ষণ। হোটেলে ওঁকে ছেড়ে পুলক বন্দ্যো বেরোতে যাবেন, গাড়ি থেকে নামতে নামতেই বিধায়কবাবু বললেন, "পুলক, ওপরে আমার ঘরে আয়। তোকে আরেকটা ছবির গানের সিচুয়েশন দেব।" বাব্বাহ্! এ যে মেঘ না চাইতেই…! অত্যন্ত খুশি হয়ে পুলক তাঁর ঘরে গেলেন। "একটু বোস। আমি ধুতিটা ছেড়ে লুঙ্গি পরে আসি।" পুলককে বসিয়ে অন্য ঘরে চলে গেলেন বিধায়কবাবু। একা বসে আছেন। ইতিউতি দেখেন। হঠাৎ নজরে এল সামনের টেবিলেই 'ভ্রান্তিবিলাস'-এর চিত্রনাট্যের খাতাগুলো রাখা। সঙ্গে আরও ক'টা কাগজপত্র। হাওয়ার একটা ঝাপটে কাকতালীয় ভাবেই দু' একটা খাতা মাটিতে পড়ে গেল। এদিক ওদিক কাগজ উড়ছে। কয়েকটা খাতা পড়ে গিয়ে খুলেও গিয়েছে। তুলতে গিয়ে চমকে উঠলেন পুলকবাবু। এ কী! খাতা তো পুরো সাদা। মাত্র দু' তিনটে খাতায় কী সব লেখা রয়েছে, বাকি প্রত্যেকটা খাতাই ফাঁকা। এইবারে উত্তমের ঘরে এক কোণে গিয়ে বসার ব্যাপারটা খোলসা হল। খাতা ধরে ভোম্বল হয়ে বসে আছেন, এমন সময় লুঙ্গি পরে বিধায়কবাবু এসে ঢুকলেন। ঢুকেই বুঝলেন, হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। কিন্তু পাত্তা দিলেন না। খুব স্বাভাবিক ভাবে বললেন, "সমস্ত স্ক্রিপ্টটা তো মগজে রেকর্ড করা আছে। তোদের শোনালাম। তোদের মতামত পেলাম। বাকি খাতাগুলোতে ওসবগুলো লিখতে বড়জোর সময় লাগবে দুদিন।"

পুলক বন্দ্যো হতবাক। কোনও মতে জিজ্ঞেস করলেন, "সাদা খাতা দেখে কী করে সিকোয়েন্স সিন— এত নিখুঁতভাবে পরপর বলে গেলেন? এগুলো মনে থাকবে?" এমনকী গানের সিচুয়েশন পর্যন্ত বিশদে বুঝিয়েছেন। মামুলি ব্যাপার না গোটাটা স্মৃতি থেকে বলা। উত্তরে নাকি বলেছিলেন, "উত্তমের স্মৃতিশক্তি দারুণ। একপাতা সংলাপ— দু'বার শুনেই মুখস্থ বলে দিতে পারে। ওর কাছে শুনে নিস—যা বলেছি একটুও অদল-বদল হবে না। মন দিয়ে শোন, অন্য যে ছবিটার গানের সিচুয়েশন দিতে তোকে ডেকে আনলাম—"! আবার সেই খাতা। এবার উঁকি দিয়ে দেখে নিলেন পুলক। নাহ্! এতে লেখা রয়েছে ঠিকঠাকই। সেই বিকেলের নরমে হোটেলঘরে নতুন সঙ্গীতের আবহ বইতে লাগল। 'মধু সংলাপি' খেতাব তাঁর হাওয়ায় জোটেনি। 'ভ্রান্তিবিলাসে'র সেই স্যাঁকরাকে মনে আছে? তিনিই বগলাচরণ ভটচাজ ওরফে বিধায়কবাবু। উত্তম এবং ভানুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করে গেছেন। সারাজীবনই। শম্ভু মিত্র তৃপ্তি মিত্রের বিখ্যাত নাট 'তাহার নামটি রঞ্জনা'র রচয়িতা। বাংলা নাট্যচিন্তায় তাঁর যে কী অপরিসীম গুরুত্ব! অথচ তাঁর জীবন নিয়েও তেমন চর্চা করেনি বাঙালি। ভুলে গিয়েছে অবহেলায়। এই সেদিন রামকৃষ্ণবাবুর দৌলতে তাঁর জীবনী প্রকাশ পেয়েছে সৃষ্টিসুখ থেকে। রামকৃষ্ণবাবু বইটির নাম রেখেছেন 'নাট্যে উপেক্ষিত'। অত্যন্ত সঠিক নাম। শুধু নাটকে নয়, সামগ্রিক বাঙালি সাংস্কৃতিক জগতে রেখে যাওয়া অবদানের কতটুকুই বা স্বীকৃত বিধায়ক ভটচাজের? জিয়াগঞ্জ থেকে কলকাতা, অনেকখানি পথ! কেউই তাঁকে সেইভাবে মনে রাখেননি! অথচ বেনামে তাঁর কতশত নাটক এখনও মঞ্চে বেঁচে আছে। এই হয়। সৃষ্টিরা যেখানে আত্মনির্ভর, হাতখালি স্রষ্টা আড়ালে থেকে তাদের জীবনের আনন্দে একটু মুচকি হাসেন বৈকি!

 

তথ্যঋণ—

নাট্যে উপেক্ষিত, সৃষ্টিসুখ

আনন্দবাজার পত্রিকা

কথায় কথায় যে রাত হয়ে যায়

More Articles