মাঠে দর্শক নেই, চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা, মুখ পোড়াচ্ছে টিম জয় শাহ
ICC World Cup 2023: এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে সঠিক হাইপটাই তৈরি করতে পারেনি বিসিসিআই এবং আইসিসি। আর এর পিছনে মূল কারণই ছিল বিসিসিআইয়ের অতি আইপিএল নির্ভরতা।
ভারতের মাটিতে শুরু হয়ে গেছে ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ। ওপেনিং ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড। তবে প্রথম থেকেই এই বিশ্বকাপ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশ্বকাপের উদ্বোধন নিয়েও কম জল ঘোলা হয়নি। কোনওরকম জাঁকজমক ছাড়াই শুরু হয়েছে এবারের বিশ্বকাপ। বিভিন্ন সূত্র মারফত প্রথমে জানা গিয়েছিল এই অনুষ্ঠানে অরিজিৎ সিং, শ্রেয়া ঘোষাল থেকে শুরু করে আশা ভোঁসলের মতো শিল্পীরা থাকবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হল সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ওপেনিং ম্যাচে গ্যালারি ভরানোর কম চেষ্টা করেনি বিসিসিআই এবং আইসিসি। তবে সব চেষ্টাই বিফলে গিয়েছে। আমেদাবাদের শূন্যতাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বিসিসিআইয়ের এই ব্যর্থতা। প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহবাগঅবশ্য বলেছেন, ৫০ ওভারের ক্রিকেটের প্রতি নাকি আগ্রহ হারিয়েছেন দর্শকরা। কিন্তু সত্যিই কি তাই?
ভারতের সবথেকে বড় স্টেডিয়াম, আমেদাবাদের মোতেরা বা নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বকাপের ওপেনিং ম্যাচ। এই ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছে গতবারের বিজয়ী ইংল্যান্ড এবং রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড। কিন্তু, গ্যালারি ছিল একেবারে ফাঁকা। বলতে গেলে একেবারে যেন মাছি তাড়ানোর অবস্থা। কিন্তু এরকম হল কেন? মাঠ যাতে গমগম করে তার জন্য ৩০ থেকে ৪০ হাজার টিকিট আমেদাবাদের মহিলাদের মধ্যে বিনামূল্যেও বিলি করা হয়েছিল। শুধুমাত্র বিনামূল্যে টিকিটই নয়, তাঁদের জন্য বিনামূল্যে জলখাবারের ব্যবস্থাও করেছিল বিসিসিআই। আশা ছিল ৩০ থেকে ৪০ হাজার মহিলা একসঙ্গে উপস্থিত হয়ে গ্যালারি ভরাবেন। তবে সব আশাই মাটি হয়েছে। রীতিমতো ধূধূ করেছে গ্যালারি। বেঁচে যাওয়া টিকিট বিনামূল্যে বিলি করেও গ্যালারি ভরাতে পারেনি বিসিসিআই। তবে কি ৫০ ওভারের লম্বা ফরম্যাটে আগ্রহ কমেছে দর্শকদের? ভারত এমনিতেই ক্রিকেটমনস্ক দেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতে যে ধরনের উন্মাদনা দেখা যায়, ওডিআই বিশ্বকাপ নিয়ে সেই ছবি দেখা যাচ্ছে না। তবে দর্শকদের দোষ না দিয়ে, আগে বিসিসিআইয়ের ভুলগুলো নিয়ে চর্চা করাটা বরং বেশি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বিতর্কের বিশ্বকাপ! যে সব কাণ্ড আজও ভোলেনি কেউ
সত্যি কথা বলতে গেলে, এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে সঠিক হাইপটাই তৈরি করতে পারেনি বিসিসিআই এবং আইসিসি। আর এর পিছনে মূল কারণই ছিল বিসিসিআইয়ের অতি আইপিএল নির্ভরতা। এই আইপিএল নির্ভরতার কারণেই কিন্তু বিসিসিআই ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করতে দেরি করেছিল। বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে মোটামুটি এক বছর আগে সমস্ত সময়সূচি প্রকাশ করে দেওয়া হয়। সাধারণত যারা অন্যান্য দেশ থেকে ম্যাচ দেখতে আসেন, তারা মোটামুটি তিন মাস আগে থেকে টিকিট বুক করা শুরু করেন। ফ্লাইটের টিকিট থেকে শুরু করে অনেক পরিকল্পনাই সেরে রাখতে হয়। কিন্তু বিসিসিআই এইবারে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করতে অনেকটাই দেরি করে ফেলেছিল। বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র এক মাস আগে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত সূচি সামনে আসে। গত জুন মাসের শেষের দিকে টুর্নামেন্টের সময়সূচী সামনে আসে। তবুও সেটাও ফাইনাল নয়। এরপরে আরও একবার সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়। এর ফলে যারা অন্যান্য দেশ থেকে খেলা দেখতে আসার কথা ভাবছিলেন, তাদের উৎসাহে ভাটা পড়ে যায়।
উপরন্তু, ভারতের ভিসা পেতেও সমস্যা হয় অনেকের। ভিসার সমস্যা থাকার কারণে অনেকেই বিশ্বকাপ দেখতে আসার প্ল্যান বাতিল করে দেন। এমনকী, প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের দর্শকরাও ভিসা সমস্যায় পড়েন। শুধু সমর্থকই নয়, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমও এখনো ভিসার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে ভারতীয় ওয়েবসাইটে প্রবেশের অনুমতি নেই পাকিস্তানের। ফলে ভিসার জন্য আবেদনে শুরু হয়েছে সমস্যা। এমনকী কীভাবে দেশের খেলা দেখবে পাকিস্তানিরা, সেই নিয়েও দ্বন্দ্বে রয়েছে তাঁরা। এক পাকিস্তানি সাংবাদিক ভিপিএন ব্যবহার করে ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদনকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারতীয় দূতাবাস। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেসময় সংবাদ সম্মেলনও করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। তবে সে সমস্যা পরবর্তীকালে কিছুটা মেটে বলে জানা গিয়েছে।
পরবর্তী সমস্যা হয় টিকিট নিয়ে। এমনিতেই ভারতে জনসংখ্যা অনেক বেশি। ফলে টিকিট নিয়ে কিছু সমস্যা হবে সেটা বলাই বাহুল্য। শুধুমাত্র ভারতীয়রা নন অন্যান্য দেশের সমর্থকেরাও নিজের দলের খেলার সময় টিকিট কাটতে চাইছেন। কিন্তু, এই ভিসা এবং ফ্লাইটের সমস্যার কারণে প্রথম কয়েকটি ম্যাচের টিকিট একেবারেই বিক্রি হয়নি। এই সমস্যার বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ জানিয়েছিলেন, টুর্নামেন্টের সময়সূচির ক্ষেত্রে এইবারে যা দেরি হয়েছে, তার প্রাথমিক কারণ ছিল টুর্নামেন্টের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পরিবহণ এবং সম্প্রচার নিয়ে সমস্যা। এছাড়াও আরো প্রয়োজনীয় বিষয়কে মাথায় রেখে টুর্নামেন্টের সময়সূচী প্রকাশ করতে দেরি করেছিল জয় শাহ।
কিন্তু সময়সূচি প্রকাশ করা যেখানে এক বছর আগে প্রয়োজন, এখানে মাত্র একমাস আগে সময় সূচি প্রকাশ! শুধুমাত্র কি ভারতীয় দর্শকরাই খেলা দেখতে আসবেন? বিশ্বকাপে কি শুধুমাত্র ভারত একাই খেলবে? এই বিষয়টা একেবারেই মাথায় রাখেনি বিসিসিআই। ভারতের ম্যাচের টিকিট বিক্রি হয়েছে, কিন্তু অন্যান্য দেশের ম্যাচে টিকিটের বিক্রি ছিল অনেকটাই কম। ফলে এই বিষয়টা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে বিসিসিআই।
যে কোনও একটি বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে ম্যাসকট এবং থিম সং একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। ২০১১ বিশ্বকাপেও স্বাগতিক দেশ ছিল ভারত। বাংলাদেশ সাথে থাকলেও, অধিকাংশ ম্যাচ হয়েছিল ভারতেই। সেই কারণে ভারতের তরফ থেকেই ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের অফিশিয়াল থিম সং তৈরি করা হয়। সেবছর ভারতীয় সংগীত পরিচালকত্রয়ী শঙ্কর-এহসান-লয় তৈরি করেন 'দে ঘুমাকে'। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সারা ভারতে সাড়া ফেলে দেয় এই গানটি। এই গানটির সুরেই বাংলাতেও তৈরি হয় "মার ঘুরিয়ে"। এই একটি গান ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের উন্মাদনা চরমে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে থিম সং এর উপরে কোন কাজই করেনি বিসিসিআই। বিশ্বকাপ শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে যে থিম সং তারা রিলিজ করেছিল, তার সঙ্গে ২০১১ সালের দে ঘুমাকের কোন তুলনাই হয় না। বরং বলতে গেলে, এবছরের থিম সং ছিল বিগত তিনটি ক্রিকেট বিশ্বকাপের থিম সং-এর থেকেও খারাপ। ফলে থিম সংয়ের যেভাবে আলোড়ন ফেলে দেওয়ার কথা ছিল, সেটা একেবারেই হয়নি।
বিতর্ক এখানেই শেষ নয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়েও এবারের বিশ্বকাপে মুখ পুড়েছে ভারতের। ৪ অক্টোবর নির্ধারিত সূচি অনুসারেই এই বিশেষ ক্রীড়া ইভেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও সেই অনুষ্ঠান নিয়ে ঘটা করে নিজেদের পরিকল্পনা জানিয়েছিল। বলিউড তারকা এবং জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পীদের উপস্থিতিতে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় ছিল গোটা বিশ্ব। কথা ছিল, আশা ভোঁসলে, রণবীর সিং, তামান্না ভাটিয়া, শ্রেয়া ঘোষাল, শঙ্কর মহাদেবন এবং অরিজিৎ সিং দের নিয়ে একেবারে ধুমধাম করে অনুষ্ঠান হবে। ২০১১ সালে শেষবার বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে যুগ্মভাবে আয়োজনের দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশের হাতে। সেবার গ্র্যান্ড ওপেনিং সেরেমনি হয়েছিল ঢাকায়। তবে, সেরকম অনুষ্ঠান কেন করা গেল না সেই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এমনিতেই এবারের বিশ্বকাপে আয়োজনে জয় শাহের বোর্ড একাধিক ক্ষেত্রে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। সূচি বদলাতে হয়েছে একাধিকবার। মোহালীর মতো আইকনিক মাঠে বিশ্বকাপের কোন ম্যাচ ফেলা হয়নি। হায়দ্রাবাদে পাকিস্তান খেলেছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। আমেদাবাদ একের পর এক ভালো ভালো ম্যাচ প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারই মধ্যে এবার সমর্থকদের কাছে নতুন করে ক্রুদ্ধ হওয়ার কারণ হয়ে উঠলো এই ইভেন্ট। এই নিয়ে অবশ্য একটা সাফাই দিয়েছে বিসিসিআই। তবে তাতে খুব একটা চিঁড়ে ভেজেনি। বিসিসিআই জানিয়েছে, শুধুমাত্র সময়ের স্বল্পতার জন্যই নাকি পুরো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আসল ঘটনা হলো, এরকম কোনও অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাই করা হয়নি। এত তাড়াহুড়ো করে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়েছে যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে পুরোটাই বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।
ক্রিকেট মহলের ব্যাখ্যা, প্রথম ম্যাচের একদিন আগে রাত্রিবেলা মহাসমারোহে ওপেনিং সেরিমনি করা যেত প্রত্যেক দলের ক্যাপ্টেনদের নিয়ে। কিন্তু শেষমেষ, বুধবার কেবলমাত্র নমো নমো করে "ক্যাপ্টেন্স ডে" আয়োজন করে দায়সারা হয়। ১২ বছর পর ভারত বিশ্বকাপ আয়োজন করছে, তাও আবার পুরোটা এককভাবে। এরকম অবস্থায় এত ম্যাড়মেড়ে অনুষ্ঠান কি ক্রিকেট সমর্থকদের প্রাপ্য ছিল?
তবে এই সবকিছুকে দূরে সরিয়ে রাখলেও একটা বিষয় নিয়ে প্রথম ম্যাচ থেকেই ছিল হতাশা। সেটা হল আউটফিল্ড। ভারতের ক্রিকেট মাঠের আউটফিল্ড দেখে বোঝাই যাচ্ছে না, তা বিশ্বকাপের না অন্য কোনও পাতি ম্যাচের। বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে দৃষ্টিকটুভাবে বারবার নজরে পড়ল ধর্মশালার আউট ফিল্ড। বোলারের রানাপের সময় আউটফিল্ড থেকে উড়তে থাকল ধুলোবালি। ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাউন্ডারির সামনে পড়ে গিয়ে রীতিমতো কাদা মাখামাখি অবস্থা হয়ে গেল আফগানিস্তানের তারকা বোলার মুজিব উর রহমানের। ডাইভ দিতে গিয়ে ঘাসে পা আটকে যায় মুজিবের। সেই সময় একটা বড় বিপদ ঘটতেই পারতো। ভারতের আউটফিল্ড যেন সেই সময় বিশ্ব ক্রিকেটের কাছে একটা হাসির খোরাক হয়ে উঠেছিল। যেন কোন বিশ্বকাপের আসর নয়, পাড়ার ক্রিকেট ম্যাচের আউট ফিল্ড তৈরি করে ফেলেছে বিসিসিআই।
যদিও আইসিসির পিচ পরামর্শদাতা অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন এর আগেও ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়ে হিমাচলের ক্রিকেট কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। তিনি প্রকাশ্যেই নিজের অসন্তুষ্টি জানিয়েছিলেন সেই সময়। বিশ্বকাপ শুরুর আগে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বকাপের মাঠগুলো পরিবর্তন করতে যখন তিনি ভারতে আসেন, তখনই তার চোখে পড়েছিল ধর্মশালার আউটফিল্ডের এই সমস্যা। রিপোর্টে দেখা যায়, নতুন তৈরি করা ধর্মশালার এই আউটফিল্ডের অধিকাংশ জায়গায় চতুর্থ পর্যায়ের ছত্রাক সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে আউটফিল্ডের ঘাস। এমতাবস্থায় এই রিপোর্ট দেখে ধর্মশালার ম্যাচগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই সময় দেশের সেরা আউটফিল্ড তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন হিমাচল প্রদেশের ক্রিকেট কর্তারা। কিন্তু সেরকমটা মোটেও হয়নি। তার চেয়ে বরং বেশি দেখা গেল কাদা এবং ধুলো।
আরও পড়ুন: ঘরের মাটিতে শুরু ১৩তম ক্রিকেট বিশ্বকাপ! ফিরে দেখা ২২ গজের যুদ্ধের ইতিহাস
অর্থাৎ দেখতে গেলে, এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই নানান সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছে বিসিসিআই। কোনও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রাখা হয়নি এবারের বিশ্বকাপে। কেন রাখা হয়নি সেই নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনও সঠিক কারণ জানায়নি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। বিশ্বকাপের শিডিউল থেকে শুরু করে টিকিট রিলিজ করার তারিখ সবকিছুই যেন করা হয়েছে একেবারে শেষ মুহূর্তে। ভিসা সমস্যার কারণে বাংলাদেশ থেকেই অনেকে খেলা দেখতে আসতে পারেননি ভারতে। স্বাগতিক দেশ হয়েও ভারত ম্যাচ খেলেছে টুর্নামেন্টের চতুর্থ দিন, যেখানে প্রত্যেক বিশ্বকাপে স্বাগতিক দেশ সাধারণত প্রথম ম্যাচটি খেলে। আউটফিল্ড থেকে শুরু করে বসার আসন সবকিছুর মানই অত্যন্ত নিম্ন। সব মিলিয়ে অনেক গোঁজামিল আর জোড়াতালি দিয়ে শুরু হয়েছে এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ফলে দেশের মাটিতে বৈশ্বিক আসর নিয়ে ভারতের এরকম উদাসীনতার উদাহরণ বিসিসিআই তথা জয় শাহের জন্য মোটেও খুব একটা সুখকর নয়।