রহস্যময় ট্যাটু থেকে যৌনতা, কেচ্ছা থেকে বিয়ে! সবসময়ই বর্ণময় বিরাট-জীবন
Virat Kohli: অনেকেই বলেন, মাঠের আগ্রাসী মনোভাব আর ব্যক্তিগত জীবনে মাটির কাছাকাছি থাকা বিরাটের জীবন নিয়ে তৈরি হবে ইতিহাস।
মাত্র ৭ বছরের ছোট্ট ছেলেটা বাড়ির সামনেই ব্যাটে-বলে তাক লাগাত রোজ। কে শোনে কার কথা! আইনজীবী বাবা, ব্যবসায়ী হতে চাওয়া দাদাকে ছাড়িয়ে তাকে আর পায় কে! অবশেষে ইচ্ছাপূরণ। ছোট্ট ছেলেটার দুরন্তপনা থেকে রক্ষা পেতে মাত্র ১০ বছর বয়সে নতুন জীবনের পথে রওনা দিল সে। তারপরও আর ফিরতে হয়নি। তার এগিয়ে যাওয়াতেই ঘটেছে একের এক ইতিহাস। বসেছে বিরাট বিরাট মাইলস্টোন! তিনি বিরাট কোহলি। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে এক অন্যতম নাম। যিনি অচিরেই হয়ে উঠেছেন ভারতের ক্রিকেট-দুনিয়ার রান-মেশিন! হয়ে উঠেছেন কোটি কোটি আবেগের প্রতিধ্বনি! তাঁর স্পর্শে বিরচিত হয়েছে একের পর ইতিহাস। ক্রিকেটের-বিশ্বে গ্রথিত হয়েছে বিরাট-কথা! আজ তাঁর জন্মদিন। ৩৩ বছর পার করে ৩৪ বছরে পদার্পণের দিন।
আর সেই নতুন করে ফিরে আসার প্রতিভূ বিরাট কোহলিকে নিয়ে অজানা সব তথ্য জানা যাক। ব্যক্তিগত জীবন থেকে সমাজসেবা, প্রেম, কেচ্ছা, সেক্স, লড়াই, বেদনা... সবই রইল আপনাদের জন্য।
বিরাট-গাথার সূচনাপর্ব
৫ নভেম্বর, ১৯৮৮ সাল। দিল্লির এক পাঞ্জাবি পরিবারের জন্ম নিলেন বিরাট কোহলি। মা সরোজ কোহলি এবং বাবা প্রেম কোহলির ঘর আলো করে ছোট সন্তান হিসেবে এলেন বিরাট। দাদা বিকাশ, বোন ভাবনা কোহলি। বিরাটের বাবা আইনজীবি ছিলেন। অপরাধ সামলানো দুঁদে আইনজীবি প্রেম বরাবর চাইতেন তাঁর একটি ছেলে অন্তত আইন পেশায় আসুক। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি তাঁর। বিকাশের ইচ্ছা ব্যবসা। আর বিরাটের খেলা। এর মধ্যেই উত্তমনগর। বিশাল ভারতী পাবলিক স্কুলে শুরু হলো বিরাটের পড়াশোনা।
আরও পড়ুন: বাবার মৃত্যু থেকে অধিনায়কত্ব বিতর্ক, সব পেরিয়ে যেভাবে প্রত্যাবর্তন বিরাটের
কিন্তু খেলে কি আর বড় হওয়া যায়! সবাই যদি সচিন তেন্ডুলকর হতেন, তবে তো হয়েই যেত! ঠিক এমনই ঘটল বিরাটের ঘরেও। পড়াশুনায় মনোযোগী হলেও ছোট্ট বিরাটের নজর থাকত মাঠের দিকে। ঘিঞ্জি পরিবেশ আর খেলার মাঠের অভাবেও মা সরোজের আদরে খেলাপাগল হতে সময় লাগেনি তাঁর।
ক্রিকেটে বিরাট-অভিষেক
সবেমাত্র ১০ বছর বয়স তখন। ছোট্ট বিরাটের ইচ্ছাপূরণের সঙ্গী হলেন ক্রিকেটের প্রথম মাস্টারমশাই রাজকুমার শর্মা। ১৯৯৮ সালে পশ্চিম দিল্লির ক্রিকেট আকাডেমিতে শুরু হল বিরাট-প্রশিক্ষণ। কড়া মাস্টারের তত্ত্বাবধানে চলল তাঁর প্রথম খেলা শেখা। এদিকে সুমিত ডোগরা আকাডেমি, বসুন্ধরা এনক্লেভে চলল খেলাও।
প্রতিযোগিতায় বিরাট-উত্থান
২০০২ সাল। বিরাট দিল্লির অনূর্ধ্ব ১৫ দলের হয়ে খেললেন 'পলি উমরিগর' ট্রফির ম্যাচ। এরপর ২০০৩-০৪ সাল নাগাদ দিল্লির জন্য অনুর্ধ্ব ১৭ দলে সুযোগ। খেললেন 'বিজয় মার্চেন্ট ট্রফি'র জন্য। ২০০৬ সালে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে দিল্লির হয়ে খেলা জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল বিরাটের। রঞ্জি খেলতে খেলতে এই বছরেই বিরাটের পা পড়ল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। সুযোগ পেলেন অনূর্ধ্ব উনিশ দলে। একের পর এক সাফল্য তখন কড়া নাড়ছে বিরাটের দরজায়। ২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব উনিশ দলের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে জিতে নিলেন বিশ্বকাপ। এই বছরেই একদিনের দলে সুযোগ। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে গেলেন বিরাট। ২০১১ সালের জুন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে অভিষেক হয় বিরাটের।
তারপরের ইতিহাস আমরা সকলেই জানি। সাধারণ বিরাট থেকে দেশের অধিনায়ক বিরাট। একের পর এক রেকর্ড, সেই স্বর্ণালী সময়ের রেশ এখনও অভিভূত করছে তাঁর গুণমুগ্ধদের।
কিন্তু যে তথ্য আমরা জানি না, সেই অজানা বিরাট নিয়ে রইল কয়েকটি কথকতা।
'সেক্সিয়েস্ট বিরাট'
তাবড় তাবড় তারকাদের পিছনে ফেলে বিশ্বের সেরা ১০ জন অসাধারণ পুরুষের তালিকায় আসেন বিরাট কোহলি। যাঁর পোশাক পরিধান, আলোচনায় আসে বারবার। পোশাকেও প্রভাবশালী হন বিরাট। এমনকী মহিলামহল তো বটেই, বিশ্বের সেরা আকর্ষণীয় পুরুষ হিসেবেও এখনও প্রথম দিকে নাম রয়েছে বিরাটের।
ভারতের 'বিরাট' প্রভাবশালী
সেরা ভারতীয় তারকা হিসেবে ফোর্বসের বিচারের প্রথম সারিতে আসেন বিরাট কোহলি। ২০১৭ সালে এই তালিকায় পিছনে ফেলে দেন অনেককেই।
চিকু-র নেপথ্যে 'বিরাট' ইতিহাস
বিরাট কোহলির ডাক নাম 'চিকু' (Chikoo)। একটি ম্যাচে তৎকালীন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) মুখে প্রথম প্রকাশ্যে শোনা যায় এই নাম। এই নামের কারণে রয়েছে বিরাট কারণ। জানা যায়, ছোট থেকে বড় গাল আর বড় কান ছিল বিরাটের। তাই, কার্টুন চরিত্র চম্পক অর্থাৎ ইঁদুরের সঙ্গে সাদৃশ্য লক্ষ্য করে তাঁর নাম হয় চিকু। রঞ্জি খেলার সময় তাঁর কোচ অজিত চৌধুরী এই নাম দেন বলে জানা যায়।
মারাত্মক 'বিরাট'
আজ পর্যন্ত জীবনে ফিরে আসার লড়াই চললেও নবীন বিরাটের একটি কাজ ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল ভারতের ক্রিকেট মহলকে। ২০০৬ সাল। সবেমাত্র রঞ্জি খেলছেন বিরাট। হঠাৎ পক্ষাঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর বাবার। সেই শোক কাটিয়ে মাত্র একদিন পরেই কর্ণাটকের বিরুদ্ধে খেলতে নামেন তিনি। করেন ৯০ রান। এরপরই আরও নজর কাড়েন বিরাট। শুরু হয় নতুন যুগের।
চোট-আঘাতে 'বিরাট' উত্থান
বিরাট কোহলির উত্থানের নেপথ্যে রয়েছে চোট আঘাতের ইতিহাসও।একাধিক ক্রিকেটারের চোট এবং সেই ক্রিকেটারের পরিবর্ত হিসেবে প্রথমের দিকে একাধিক ম্যাচে খেলতে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি। যেমন, ২০০৮ এর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের সিরিজে বিরাটের জায়গা পাওয়া আকস্মিক ছিল। ওপেনার সচিন তেন্ডুলকর এবং বীরেন্দ্র শেওয়াগের চোট পাওয়ার ফলে জায়গা পান বিরাট। তখন তিনি নবীন। সবেমাত্র নাম করছেন অনূর্ধ্ব উনিশ দলে খেলে। আবার ২০০৯ এ শিখর ধাওয়ানের চোট জায়গা করে দেয় বিরাটকে। একটা সময় গৌতম গম্ভীরের আঘাতও সুযোগ দেয় বিরাটকে।
'বিরাট প্রেমিক'
জানা যায়, অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার (Anushka Sharma) সঙ্গে পরিচয়ের আগে বিরাট কোহলি জড়িয়ে যান একাধিক মহিলার সঙ্গে। সুদর্শন বিরাটের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন আরও ৪ জন সুন্দরী! প্রথম সঞ্জনা গলরানির সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়ান বিরাট। তারপর তাঁর জীবনে আসেন তামান্না ভাটিয়া। সেই সম্পর্ক কাটে কিছুদিনের মধ্যেই। এরপর ব্রাজিলের মডেল ইজাবেল লেইটের সঙ্গে প্রেম শুরু করেন বিরাট! সেটাও টেকেনি। বিরাট এবার ডেট শুরু করেন 'মিস ইন্ডিয়া' সারা জেনি ডায়াসের সঙ্গে। শোনা যায়, সেই সম্পর্কের পতনের পর বিরাট থিতু হন অনুষ্কায় এসে!
'প্রথম প্রেম'
বিরাটের মনের টান নাকি ছিল আর এক অভিনেত্রীর প্রতি। যদিও সেটা মনে মনেই। বিরাট কোহলি পছন্দ করতেন করিশমা কাপুরকে!
বিরিয়ানিপ্রেমী বিরাট
২০১৮ সালের আগে পর্যন্ত অত্যধিক কসরত এবং খেলার কারণে ফিট থাকার তাগিদ থাকলেও বিরাট কোহলির সর্বাধিক পছন্দের খাবার ছিল মটন বিরিয়ানি। কলকাতার বিরিয়ানিও মিস করতেন না চিকু। ভালোবাসেন ক্ষীর খেতেও।
নিরামিষাশী বিরাট
জানেন কি, মাত্র ২৮ বছর বয়সে এসে এবং অনুষ্কাকে বিয়ে করার এক বছরের মধ্যেই আমিষ ছাড়েন বিরাট। এতদিন মাছ, মাংস খেলেও ২০১৮ সাল থেকে মাংস, মাছ আর খান না কোহলি। ভারতের তৎকালীন ক্রিকেট অধিনায়কের শারীরিক চোট এবং ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়তে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেন বিরাট।
ট্যাটু-র 'বিরাট' রহস্য
তাঁর শরীরের চারটি ট্যাটু নিয়েও রয়েছে একাধিক কাহিনি। শোনা যায়, ধ্যানমুদ্রায় কৈলাশে বসে শিব। এই নকশার ট্যাটুর সঙ্গে রয়েছে তাঁর প্রয়াত বাবা এবং মায়ের নাম। এছাড়া তাঁর শরীরে আদিবাসীদের জীবনী প্রতীকের ট্যাটুও দেখা যায়। এর সঙ্গেই সোনার ড্রাগনের ছবিও রয়েছে তাঁর শরীরে।
কুসংস্কারে 'বিরাট' অংশ
কবজিতে কালো ব্যান্ড পরলে ভালো খেলবেন, এই বিশ্বাসে কালো রঙের ব্যান্ড রাখেন হাতে। ডান হাতে কালো সুতো বা কারের ব্যবহার করতে দেখা যায় তাঁকে। এমনকি যে গ্লাভস পরে ভালো রান করেছেন, সেই একই নকশার গ্লাভস পরে মাঠে নামতেও নাকি দেখা যায় বিরাটকে।
অন্য খেলায় 'বিরাট' দান
আইএসএল (ISL) এর এফসি গোয়ার (FC Goa) সহ-মালিক হিসেবে দেখা যায় বিরাটকে। আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার টেনিস লিগে ইউএই (UAE Royals) রয়ালসের জন্য বিনিয়োগ করেন বিরাট। প্রো কুস্তি লিগে বেঙ্গালুরু যোদ্ধা দলের হয়েও খরচ করেন বিরাট কোহলি।
'বিরাট' ব্যবসায়ী
শেয়ারে 'ইউনিভার্সাল স্পোর্টস বিজ' নামের এক ফ্যাশন ব্র্যান্ড। পরে মিন্ত্রা, শপার্স স্টপের সঙ্গে গাঁটছড়া। লন্ডনের 'স্পোর্টস কনভো'র সঙ্গে যোগ দেন বিরাট। রেস্তোরাঁও খোলেন তিনি।
আইপিএলে মৌলিক কোহলি
খুব কম সংখ্যক ক্রিকেটারের মতোই তিনিও সেই ক্রিকেটার, যাঁকে আইপিএল নিলামে উঠতে হয়নি। প্রথম থেকে একটি দলের হয়ে খেলেছেন বিরাট।
দ্রুততম বিরাট
এখনও একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম ১০টি শতরানের রেকর্ড রয়েছে তাঁর দখলেই।
শতরানে 'বিরাট' অধিনায়ক
বিরাট কোহলিই প্রথম ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক, যিনি টেস্ট ক্রিকেটে পরপর তিনটি শতরান করেন।
'রান-মেশিন বিরাট'
তিনিই প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে দ্রুততম ৮, ৯, ১০ এবং ১১ হাজার রানের রেকর্ড গড়েন একদিনের ক্রিকেটে। যা ভারতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম।
প্রথম ম্যাচেই 'বিরাট' বাজিমাত
কোহলি প্রথম ক্রিকেটার যিনি জীবনের প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেমেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান করেন ২০১১ সালে।
বে-আইনি বলে 'বিরাট' উইকেট
জানা যায়, বিরাট প্রথম ক্রিকেটার যিনি ক্রিকেটের ভাষায় বেআইনি বলে উইকেট নেন! ওয়াইড বলে উইকেট পান তিনি। ২০১১ সালের একটি টি২০ ম্যাচে কেভিন পিটারসেন আউট হন তাঁর এই বলে।
সিরিজ-সেরায় 'বিরাট' রেকর্ড
তিনিই প্রথম ক্রিকেটার যিনি দু'বার টি২০ বিশ্বকাপ সিরিজের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন।
'বিরাট' ব্র্যান্ড-ভ্যালু
২০২১ এর ডিএনএ রিপোর্ট অনুযায়ী, বিরাট কোহলির ব্র্যান্ড ভ্যালু ২৩৭.৭ মিলিয়ন ডলার।
'বিরাট' জনপ্রিয়তা
খেলার জগতে রজার ফেডেরার এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, লিওনেল মেসির পর তিনিই সর্বাধিক জনপ্রিয় বলে ধরা হয়।
সমাজসেবক বিরাট
২০১৩ সাল থেকে তাঁর সংস্থা দুঃস্থ অসহায় বাচ্চাদের জন্য পড়াশুনা এবং খেলার ভার নিয়েছে। প্রতিবছর একাধিক শিশুকে সাহায্য করেন বিরাট।
বিরাট-অধিনায়কত্ব
শুধু একদিনের ক্রিকেটে নয়, টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তিনি জিতেছেন ৩৭টি টেস্ট। যা ভারতের ক্রিকেট-দুনিয়ায় রেকর্ড।
বিরাট-বিবাহে অভিনবত্ব
ইতালির ফ্লোরেন্সে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করেন বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মা। যা ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড।
গাঙ্গুলি-বিরোধী বিরাট
শোনা যায়, বরাবর নাকি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে পছন্দ করেন না বিরাট কোহলি! অনেকেই বলেন, রবি শাস্ত্রীর প্রিয় পাত্র হওয়ার দরুন ভালো করে ভাব জমেনি সৌরভ এবং বিরাটের। আর তার প্রভাব নাকি তাঁর কেরিয়ারে পড়ে। বিসিসিআইয়ের (BCCI) প্রাক্তন সভাপতির অঙ্গুলিহেলনে নাকি অধিনায়কত্ব ছাড়তে হয় বিরাটকে। জল্পনা শুরু হয় এই বিষয়েও।
লড়াকু বিরাট
চোট আঘাত আর তীব্র চাপের মিশেলে বিধ্বস্ত অধিনায়ক বিরাটের শেষের দিন ঘনিয়ে এলেও ফের ফিরেছেন তিনি। মেয়ে ভামিকা আর মা, স্ত্রী-র সান্নিধ্যের আবার লড়াইয়ে বিরাট কোহলি। একের পর এক ভালো পারফরম্যান্স প্রশংসায় ভরিয়ে তুলছে তাঁকে।
আসলে তীব্র ইচ্ছাশক্তি আর অদম্য জেদের মিলিত প্রকাশ হলেন বিরাট। অনেকেই বলেন, মাঠের আগ্রাসী মনোভাব আর ব্যক্তিগত জীবনে মাটির কাছাকাছি থাকা বিরাটের জীবন নিয়ে তৈরি হবে ইতিহাস। কোহলির শুরুর কথকতা একদিন মহাভারত সৃষ্টি করবে এমন বিশ্বাসের দোলাচলেই রোজ বাড়ছে কথকথা। একের পর কৃতিত্বে বিরাট হচ্ছেন অভিনব, অনবদ্য, অসাধারণ! যেন ৩২ বছরের সব পুরনোকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে বিরাট বারবার বলে উঠছেন 'আমিই সেরা, আমিই দেখাব ক্রিকেটের বিরাট-পথ!' বলছেন অনেকেই।