আজই প্রথম নয়, এর আগেও রহস্যময় আলো দেখেছে কলকাতার আকাশ

Kolkata Mysterious Lights: এই সবের মধ্যেই উস্কে যাচ্ছে আজ থেকে প্রায় ৬৮০০ বছর আগের স্মৃতি। ধূমকেতুর একবার পরিক্রমণ করার সময়কাল নাকি এতটাই।

রাজনীতি, কূটনীতি অথবা বিশ্বকাপের জোরদার জল্পনা নয়, আচমকা আকাশে মিলল অন্য হদিশ। আজ সন্ধের শুরুতে খোদ কলকাতার আকাশে অচেনা আলো চোখে পড়তেই শুরু হয়ে যায় জল্পনা। কীসের আলো? কীভাবে এল? এসব নিয়ে নেট মাধ্যম উত্তাল। আকাশে দেখা এ যেন এক রহস্যময় আলোকচ্ছটা। যেন কেউ টর্চ জ্বালিয়ে আলোর ফোকাস ফেলেছেন আকাশে।

জল্পনার জট ক্রমশ আরও পাকিয়েছে। সঠিক নিষ্পত্তির আশায় ক্রমাগত পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। সংবাদিক মহল কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে স্মৃতির ধুলো ঝেড়ে আগের ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে তুলনা টানায়। আজকের এই অজানা আলো নিয়ে সামনে এসেছে একাধিক বয়ান। কেউ বলছে এটি অজানা কোনও বস্তু, কেউ বলেছেন মহাকাশযানের অংশ, নিখাদ উল্কাপাত বলেও মনে করেছেন কেউ কেউ, কেউ আবার তুলনা টেনেছেন খোদ হ্যালির ধূমকেতুর সঙ্গে।

এই সবের মধ্যেই উস্কে যাচ্ছে আজ থেকে প্রায় ৬৮০০ বছর আগের স্মৃতি। ধূমকেতুর একবার পরিক্রমণ করার সময়কাল নাকি এতটাই। বছর দুই আগেই ধূমকেতুর সামনে আসার খবর শিরোনামে এসেছিল। তখনই বলা হয়েছিল এ ঘটনাটি ঘটার পর আবারও পরবর্তী ধূমকেতুটি আসতে সময় লেগে যাবে ওই ৬৮০০ বছরই। তখন খালি চোখে কিছুই দেখা যায়নি, কেউ কেউ দূরবীন দিয়ে খানিকটা আঁচ করেছিলেন। ফলে আজ যখন এরকম একটা রহস্যময় অজানা আলোর খোঁজ মিলল তখন সেই জল্পনায় আরও ঘৃতাহুতি পড়ল।

এমন আলো আগেও দেখেছে তিলোত্তমার আকাশ। এর আগে ১৯৮৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতার আশেপাশের আকাশে দেখা গিয়েছিল হ্যালির ধূমকেতু। তারপর ১৯৯৬ সালে টেলিস্কোপের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা হদিশ পেয়েছিলেন ‘হায়াকাতু’র। তার ঠিক পরের বছর আবারও রহস্য ঘনিয়েছিল শহরের আকাশে। ১৯৯৭ সালে আর প্রয়োজন পড়েনি টেলিস্কোপের। সেবার খালি চোখে দেখা গিয়েছিল ‘হেলবপ’ ধূমকেতু। কিন্তু তখনই বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন এই ঘটনার পুনরায় সাক্ষী হতে অপেক্ষা করতে হতে পারে ৬৮০০ বছর। কিন্তু তার এত আগেই এমন অতিথির আকস্মিক দর্শনে হতবাক হয়ে গিয়েছে গোটা বিজ্ঞান মহল। তবে কি পৃথিবীর প্রতি অমোঘ টানই এত কম সময়ের মধ্যেই আবার ফিরিয়ে আনল রহস্যময় এই আলোকে। উত্তর খুঁজছে গোটা দুনিয়া।

More Articles