দৈব না দুর্বিপাক! টাইটানিকের অতল রহস্যে হারাল টাইটানও

Titan submersible: টাইটানিকের রহস্যভেদ করতে পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে অতল সমুদ্রে রওনা হয়েছিল সাবমার্সিবেল টাইটান। কিন্তু শেষপর্যন্ত ফেরা হল না তার।

কোথাও বসে ছেনি চালিয়ে চলেছেন সৃষ্টিকর্তা। কথায় বলে, 'Man Proposes, God Disposes'। একশো বছর ধরে যে জিনিস মানুষ গড়ে, একনিমেষে বালির ঘরের মতো মাটিতে মিশে যায় তা প্রকৃতির একটি খেয়ালে। আসলে মানুষ যে বিশ্বাস, যে ধর্মের কাছেই নতজানু হোক না কেন, প্রকৃতি নামক সর্বশক্তিমানকে অস্বীকার করার জায়গা তার নেই। প্রায় সমস্ত ধর্মবিশ্বাসের মধ্যেই রয়ে গেছে সেই প্রকৃতিচেতনার বীজ। ইতিহাস সাক্ষী, যুগ যুগ ধরে শেষ কথা বলেছে সেই প্রকৃতিই। তাই যে অঘটন ঘটার নয়, তা-ও ঘটে। সমস্ত ধরনের ঔদ্ধত্য, প্রযুক্তি বা উন্নাসিকতার জবার রাখা তারই কাছে। সমস্ত বিজ্ঞান, সমস্ত বাস্তবতার উপরে কথা বলার ক্ষমতা যদি মহাবিশ্বে কারওর থেকে থাকে, তবে তা প্রকৃতির। বিজ্ঞান মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে এক অপরিসীম শক্তিভাণ্ডার। যার সাহায্যে দিনদিন সে হয়ে উঠেছে আরও উদ্ধত, অদমনীয়। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বানিয়ে ফেলেছে একের পর এক তাক লাগানো জিনিস। হয়ে উঠেছে ত্রিভুবনজয়ী। স্থলে-জলে-অন্তরীক্ষে তার অবাধ যাতায়াত। কিন্তু তার পরেও কিছু রহস্য থাকে, যুক্তিবুদ্ধি বা বিজ্ঞানের কাছে যার উত্তর নেই। তবু অভিযান চালায় মানুষ। বারবার হেরে যায়। চলতে থাকে এক অসম লড়াই। যার শেষে দাঁড়িয়ে থাকে ডুবে যাওয়া রেক,জাহাজের খণ্ডাংশ, অসংখ্য মৃত মানুষের হাহাকার। শেষ তবু শেষ নয়। তবু ঘুরে দাঁড়ায় মানুষ। আবার রণসাজে সেজে পুরনো ইতিহাস খুঁড়ে রহস্যভেদ করতে ছোটে সে। আবার প্রকৃতির কাছে গো-হারা হারে।

শুনে মনেই হতে পারে এসব দর্শন কিংবা গল্পকথা। কিন্তু সত্যি কি তাই! প্রায় ১১১ বছর আগে হিমশৈলের ধাক্কায় ১,৫০০ জন যাত্রীসহ ডুবে গিয়েছিল জাহাজ টাইটানিক। অথচ কোনও ভাবেই কিন্তু ডোবার কথা ছিল না তার। কিন্তু ভবিতব্য কে খণ্ডাবে! সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে আজও চর্চার শেষ নেই। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ছবি তৈরি করেছিলেন হলি-পরিচালক জেমস ক্যামেরন। সেই ছবি সর্বকালের সফলতম সিনেমাগুলির একটি। প্রায় ১১টি বিভাগে অস্কারও জিতেছিল সেই ছবি। টাইটানিকের এই বিপর্যয় নিয়ে থিওরি-অ্যান্টি থিওরির শেষ নেই। শেষ নেই রহস্যেরও। জন্মলগ্ন থেকেই বোধহয় বিপর্যয়ের অভিসম্পাত কপালে লিখে এনেছিল টাইটানিক। আরএমএস টাইটানিক জাহাজটির নাম রাখা হয়েছিল গ্রীক দেবতা টাইটানের নামের অনুপ্রেরণায়। গ্রীক পুরাণ অনুযায়ী, টাইটানের নাম জড়িত সৃষ্টি এবং ধ্বংসের সঙ্গে। অতল সমুদ্রের সমস্ত বিপর্যয় রুখে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল যে টাইটানিকের, প্রকৃতির খেয়ালে ডুবে গেল সেই জাহাজ। কীভাবে এই বিপর্যয়, কেন এই বিপর্যয় তার অনেকটা জানা, আর বেশিরভাগটাই অজানা। আর তার চেয়েও রহস্যজনক, সেই ঘটনার প্রায় ১১১ বছর পরে টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়ে একটি আস্ত ডুবোজাহাজের ডুবে যাওয়া। কাকতালীয় বলুন কিংবা আশ্চর্য সমাপতন, সেই সাবমেরিনের নামও টাইটান। গ্রীক পুরাণ অনুযায়ী, যে নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে 'ধ্বংস' শব্দটি। টাইটানিকের রহস্যভেদ করতে পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে অতল সমুদ্রে রওনা হয়েছিল সাবমার্সিবেল টাইটান। ডুব দিয়েছিল সে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের সন্ধানে। ব্যপারটি নিয়ে সাবধান করেছিলেন 'টাইটানিক' ছবির পরিচালক ক্যামেরন। শেষমেশ তার ভবিষ্যদ্বাণীই ফলে গেল হাতেনাতে।

আরও পড়ুন: আশ্চর্য মিল! টাইটানিকে মৃত দম্পতির বংশধরই নিখোঁজ ডুবোজাহাজ টাইটানের চালকের স্ত্রী!

টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখানোর জন্য একটি বিশেষ অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরের ব্যবস্থা করে মার্কিন পর্যটন সংস্থা ওশানগেট। যার খরচ জনপ্রতি আড়াই লক্ষ ডলারেরও বেশি। ভারতীয় মুদ্রায় হিসেব করলে দাঁড়াবে ২ কোটি টাকারও কিছু বেশি। স্বাভাবিক ভাবেই এই যাত্রায় অংশ নেওয়া পাঁচ অভিযাত্রীই ছিলেন কোটিপতি। ছিলেন ওশানগেট সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ স্বয়ং। এ ছাড়াও ছিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং। যিনি এর আগেও একাধিক রোমাঞ্চকর অভিযানে সামিল হয়েছেন। ছিলেন এনগ্রো কর্পোরেশন নামে পাকিস্তানের অন্যতম একটি বড় সংস্থার ভাইস চেয়ারপার্সন শাহজাদা দাউদ ও তাঁর ছেলে সুলেমান। আর ছিলেন আরএমএস টাইটানিক ইনক সংস্থার গবেষক পল হেনরি নাগেরোলেট। টাইটানিক ধ্বংসাবশেষের একটি অংশের মালিকানাও রয়েছে তাঁর কাছে। তিনি নিজে একজন ডুবুরি ও মাইন সুইপার। টাইটানিক ডুবে যাওযার পর প্রথমবার পুনরুদ্ধার অভিযানে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক এবং মেক্সিকো উপসাগরে একাধিক অভিযান ও ডাইভ সফলভাবে সেরে এসেছে ওশানগেট সংস্থাটি। ফলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি টাইটানের এই অভিযান নিয়েও তেমন সংশয়ের জায়গা ছিল না। ঠিক যেমন ছিল না একশো বছর আগে টাইটানিকের সাফল্য নিয়ে। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই গত ১৮ জুন যাত্রা শুরু করে সাবমার্সিবেল টাইটান। সাবমেরিন এবং সাবমার্সিবেল, দু'টিকেই এক কথায় ডুবোজাহাজ বলা যায়। তবে ছোট্ট একটা পার্থক্য রয়েছে এই দুটি যানের। সাবমেরিন একা একা সমুদ্রে যাত্রা করতে পারে। সাবমার্সিবেলকে একটি জাহাজের সাহায্যে মাঝসমুদ্রে নামিয়ে আসা হয়। সেই নিয়ম মেনেই টাইটানকে ছেড়ে আসা হয়েছিল সমুদ্রের অতলে, যেখানে একশো বছর ধরে ঘুমিয়ে রয়েছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ।

সমুদ্রে নামার ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মধ্যেই সমস্ত রেডিও সংযোগ হারায় সাবমার্সিবলটি। বহু চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি সেটির সঙ্গে। খবর দেওয়া হয় মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীকে। ডুবোজাহাজটিতে মজুত ছিল ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন। চারদিন ধরে চলে বিস্তর খোঁজাখুঁজি। অবশেষে বৃহস্পতিবার জানা গেল, টাইটানিক ধ্বংসাবশেষ থেকে ১,৬০০ ফুট দূরে মিলেছে টাইটান ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষ। মারা গিয়েছেন সমস্ত যাত্রী। একে দুর্দৈব বলবেন না দুর্ঘটনা, বলা মুশকিল। ইতিমধ্যেই তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক কারণ। অত্যাধুনিক এই টাইটান ডুবোজাহাজের একাধিক দুর্বলতা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। টাইটানের কার্বন ফাইবার নির্মাণে ত্রুটির অভিযোগ করেছেন অনেকে। কেউ বা দুষেছেন কোনও রকম ব্যাকআপ বা এসক্যাপ পড না-থাকা, জিপিএস ঠিকঠাক কাজ না-করার মতো একাধিক কারণকে। কী কী করলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত, তা নিয়েও চলছে চর্চা। মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ভিতরের দিকে নাকি একেবারে দুমড়েমুচ়ড়ে গিয়েছে টাইটান। যাত্রীদের দেহ আদৌ উদ্ধার করা যাবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।

এমন দুর্ঘটনা কিন্তু প্রথম নয়। আসলে সমুদ্রের অতলে যে কী বিপদ ঘাপটি মেরে রয়েছে, বিজ্ঞান বা প্রযুক্তির সমস্ত সহায়তা সত্ত্বেও তা কখনও কখনও বোঝা হয়ে ওঠে না। সেখানে শেষ কথা বলে প্রকৃতিই। কখনও খারাপ আবহাওয়া তো কখনও যান্ত্রিক বা মানবিক ভুলের রূপ ধরে আসে বিপদ। আমেরিকার ইতিহাসে ভয়ঙ্করতম নৌ-দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯১৫ সালের ২৪ জুলাই। শিকাগো নদীতে ডুবে গিয়েছিল এসএস ইস্টল্যান্ড নামে একটি জাহাজ। ওয়েস্টার্ন ইলেকট্রিক নামে একটি সংস্থার পিকনিকের জন্য ওই জাহাজটি ভাড়া করা হয়। প্রায় ২,৫০০ জন যাত্রী ছিলেন জাহাজটিতে। ৮০০ জনেরও বেশি মারা যান দুর্ঘটনায়। ১৯৪৮ সালে চিনা গৃহযুদ্ধের সময় ডুবে যায় এসএস কিয়ানগা নামে শরণার্থীবোঝাই একটি জাহাজ। সরকারি ভাবে ২,১৫০ জনের যাত্রীতালিকা মিললেও মনে করা হয় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল জাহাজটি। ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় প্রায় ৪ হাজার মানুষের। ১৮৮৫ সালে এসএস সুলতানা নামে একটি নৌকোয় বিস্ফোরণ হয় মিসিসিপি নদীর উপরে। মারা যান ১,৮০০ মানুষ। ১৯১৫ সালের মাথায় যাত্রা শুরু করার ১৮ মিনিটের মাথায় ডুবে যায় আরএমএস লুসিটানিয়া নামে একটি জাহাজ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ঘটনা সেটা। অস্ত্রবোঝাই অনুমান করে জাহাজটির উপরে হামলা চালিয়েছিল একটি জার্মান ইউ-বোট। ১২৮ জন মার্কিন-সহ মোট ১,১৯৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয় ওই দুর্ঘটনায়। ১৯১৪ সালে উত্তর আমেরিকার সেন্ট লরেন্স নদীর উপর ডুবে যায় আরএম এমপ্রেস নামে আয়ারল্যান্ডের একটি জাহাজ। ১,৪৭৭ জন যাত্রীর মধ্যে ১,০১২ জন যাত্রীই মারা গিয়েছিলেন সেই বার।

ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন দুর্ঘটনার নজিরও কম নেই। ১৯৬৩ সালে আটলান্টিক সমুদ্রের কেপ কড উপদ্বীপে ডিপ-ডাইভিং টেস্টের সময়ে ডুবে যায় ইউএসএস থ্রেসার নামে একটি ডুবোজাহাজ। সলিলসমাধি হয় ১২৯ জন যাত্রীর। ২০০০ সালের ব্যারেন্টস সমুদ্রে ডুবে যায় রুশ একটি নিউক্লিয়ার সাবমেরিন কে-১৪১ কার্সক। মারা যান ১১৮ জন যাত্রী। ২০১৯ সালে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে লোশারিক নামে রুশ একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত ডিপওয়াটার রিসার্চ সাবমেরিন। মারা যান ১৪ জন। ২০১৭ সালে আর্জেন্টিনার একটি ডিজেল-ইলেকট্রিক ডুবোজাহাজ ৪৪ জন যাত্রী-সহ হারিয়ে গিয়েছিল। তার এক বছর পরে জলের প্রায় ৯০০ মিটার গভীর থেকে উদ্ধার হয় সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ।

আরও পড়ুন: যাত্রীদের দেহের ছিটেফোঁটাও মেলেনি! অত্যাধুনিক ডুবোজাহাজ হারিয়ে গেল কীভাবে?

এমন মুঠো মুঠো নৌ-দুর্ঘটনার কথা ছড়িয়ে রয়েছে গোটা পৃথিবীর ইতিহাসে। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা বোধহয় এই টাইটান বিপর্যয়। না, মৃতের সংখ্যা বা দুর্ঘটনার ভয়াবহতার জন্য নয়। বরং তার ট্র্যাজেডির জন্য। টাইটানিক শব্দটার সঙ্গে যেভাবে বিপদ শব্দটা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছে এতদিনে, তা নজিরবিহীন। প্রযুক্তি, সাবধানতা সব থাকা সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত অদৃষ্ট বা দৈবের কাছে এসে থামতে হয়েছিল টাইটানিককে। নতিস্বীকার করতে হয়েছিল প্রকৃতির কাছে। একই দশা হল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া ডুবোজাহাজ টাইটানেরও। এর দায় প্রকৃতি ছাড়া আর কাকেই বা দেওয়া যায়।

আমাদের গোটা পৃথিবী জুড়ে এমন প্রাকৃতিক রহস্য কম নেই। উত্তর আটলান্টিক সাগরের উপরে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল যেমন। গত একশো বছরে বারামুডা ট্রায়াঙ্গেলে হারিয়ে গিয়েছে অসংখ্য জাহাজ ও বিমান। কেউ মনে করেছেন, ওই এলাকার সমুদ্রের ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র। কেউ বা মনে করেছেন, এর পিছনে রয়েছে ভিনগ্রহীদের হাত। যে কারণে এই এলাকাটিকে 'ডেভিলস ট্রায়েঙ্গেল'-ও বলে থাকেন অনেকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, এর নেপথ্যে রয়েছে ওই এলাকার আবহাওয়া। ফ্লোরিডা, বারমুডা ও পুয়ের্তোরিকোর মাঝের এই অংশের সমুদ্রের জলস্তর বারবার ওঠানামা করে। যার ফলে নাবিক বা বিমানচালকের ক্ষেত্রে দিকনির্ণয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। ভৌতিক বা অতিপ্রাকৃত ঘটনার চিহ্ন না-থাকলেও বারমুডা ট্রায়েঙ্গেল যে সত্যিই কেন মৃত্যুকূপ, তা আজও অমীমাংসিত এক রহস্য। তেমনই বোধহয় টাইটানিককে ঘিরে এই ধারাবাহিক দুর্ঘটনা। এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। কোনওদিন হয়তো সামনেও আসবে আসল সত্য! বিজ্ঞানে ভর করে হয়তো একদিন আসমুদ্রহিমাচল জয়ও করে ফেলবে মানুষ। তবে প্রকৃতির আস্তিনে বোধহয় তখনও লুকানো থাকবে একটি গোপন দান। যা মানুষের সমস্ত খেলা পাল্টে দেবে এক নিমেষে।

More Articles