দু’হাজার বছরের পুরনো হলঘরে সাদা মোজাইক! ইতালির এই ইতিহাস জানলে অবাক হবেন আপনিও

Archaeologicsl survey of Italy : মাটির নিচে আস্ত একটা হলঘর, বিষয়টা শুনতে অবাক লাগলেও সত্যিই। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছিল ইতালির পসিলিপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে এই খনন অভিযান।

দেওয়ালের কারুকাজ অথবা মেঝের নকশা দেখেই আঁচ করা যায় প্রাচীনত্বের। একশ দুশো বছরের নয়, আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগের ইতিহাস সামনে এসেছে সম্প্রতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিলেছে সেই হদিশ। ইতালির প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল খুঁজে পেয়েছেন ২০০০ বছরের পুরনো একটি হল ঘর। নেপলসের ওরিয়েন্টাল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বিশাল এই হলটি আবিষ্কার করেছেন ইতিমধ্যেই। জানা গিয়েছে, ইতালির ভেডিও পোলিওনের সমুদ্রতীরবর্তী একটি বাড়িতে অবস্থিত ছিল এই প্রাচীন হলটি। এই বাড়িতে খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতাব্দীতে বসবাস করতেন রোমান নাইট। আর এই হলটিই ছিল সমস্ত অনুষ্ঠান এবং সভার একমাত্র জায়গা।

মাটির নিচে আস্ত একটা হলঘর, বিষয়টা শুনতে অবাক লাগলেও সত্যিই। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছিল ইতালির পসিলিপনে বিশ্ববিদ্যালয়ে খনন অভিযান। যার নেতৃত্বে ছিলেন মার্কো গিগলিও নামে এক ব্যক্তি। এখনও পর্যন্ত এই অভিযানের সর্বশেষ আবিষ্কার হল এই হলটিই। গবেষণায় জানা গিয়েছে, আজ থেকে ২০০০ বছর আগে এই পুরনো ইম্পেরিয়াল ভিলায় বসবাস করতেন রোমান সম্রাট অগাস্টাস। খ্রিস্টপূর্বাব্দ ৩১ থেকে ১৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ছিল তাঁর রাজত্বকাল। তিনিই ছিলেন প্রথম রোমান সম্রাট। ছোট থেকেই কাকা জুলিয়াস সিজারই ছিলেন তাঁর অভিবাবক, তাঁর কাছেই বেড়ে উঠেছেন অগাস্টাস। জুলিয়াস সিজারের মৃত্যুর পর প্রজাতন্ত্র থেকে সাম্রাজ্যে রূপান্তরতিত হয় তবে অঞ্চল, নেতৃত্ব দেন অগাস্টাস।

আরও পড়ুন - পৃথিবীর সবচেয়ে দামি কন্ডোম! দাম শুনলে রাতের ঘুম উড়ে যাবে আপনার, কী বিশেষত্ব এর?

ইতালি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক পোস্ট অনুসারে, “পসিলিপোতে একটি পাহাড়ের উপর অবস্থান করছে এই ভিলাটি। ভিলার স্প্রিংসের নীচেই ছিল ২০০০ বছর পুরনো হলঘর। রিপাবলিকান যুগের শেষের দিকে বা খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে এটিই ছিল সেখানকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের একমাত্র মিলনস্থল। সেইসব অনুষ্ঠানে সম্রাট অগাস্টাসও অংশগ্রহণ করতেন।”

নিউইয়র্ক পোস্ট অনুসারে, প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলেছেন যে হলটি কালো এবং সাদা মোজাইক দিয়ে তৈরি একটি কার্পেট দিয়ে সজ্জিত ছিল। যদিও স্ট্র্যাটিগ্রাফিক ডেটিং এখনও অনুপস্থিত, তবে শৈলীর উপর ভিত্তি করে, হলটি যে রিপাবলিকান যুগের, সেই বিষয়ে ধারণা করা যায়। এখানেই শেষ নয়, গবেষকদের কেউ কেউ বলেছেন যে এই ভিলার ওপরে নাকি একটি স্নাগ্র ছিল, আর ছিল ছাতে ওঠার সিঁড়ি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও নাকি এই হলঘরটি ব্যবহার করা হয়েছে। রয়েছে গ্রীক-শৈলীর নিদর্শন। একটি থিয়েটার থাকতে পারে বলেও কেউ কেউ মনে করেন। তবে নয়া এই আবিষ্কার ঘিরে এখনও জল্পনা কাটেনি। গবেষকরা এখনও পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০০০ বছর আগেকার ইতিহাস ঘেঁটে আরও অনেক সত্যি উদঘাটন বাকি।

More Articles