হাজার বছর ধরে অত্যাচারিত, কেমন আছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরনার্থীরা?
২০১৭-র আগস্টে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ঢুকে পড়া প্রথমবার নয় কিন্তু। আরও পিছনের দিকে মানে সাতের দশকের শেষ থেকে মায়ানমারের নাগরিকত্বহীন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে বসবাস শুরু করেছেন
মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গারা যে মুহূর্তে নিজ দেশ ছেড়ে পৃথিবীজুড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে অন্তত ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে আশ্রিত। এত সংখ্যক রোহিঙ্গা যখন বিশ্বজুড়ে অবহেলিত ও অত্যাচারিত, সেই রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের ইতিহাস ও অভিবাসনের ভূগোল কৌতূহল বটে। বাংলাদেশেই বা সবথেকে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গার আগমন কী কারণে, এবং কেমন আছেন বাংলাদেশের রোহিঙ্গারা? এই প্রতিবেদনে তারই খোঁজ পাওয়া যাবে।
কীভাবে হলো রোহিঙ্গাদের আবির্ভাব
১৫০০ বছর আগে প্রথমবারের মতো বার্মার রাখাইন রাজ্যে গড়ে উঠেছিল অস্ট্রিক জাতির শাখা ও নৃগোষ্ঠীর বসতি। তারপর বাঙালি হিন্দু, ধর্মান্তরিত মুসলিম, পার্সিয়ান, তুর্কি, মোঘল, আরবীয় ও পাঠানরা বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এসে বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে এসব নৃগোষ্ঠীর সংকর জাতই রোহিঙ্গা নামে পরিচিত হয়।
দক্ষিণ এশিয়ান উপমহাদেশে রোহিঙ্গাদের আরকানি ভারতীয়ও বলা হয়। বেশিরভাগ রোহিঙ্গা ইসলাম ধর্ম-অনুসারী হলেও কিছু সংখ্যক হিন্দু ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গাও রয়েছে দুনিয়াতে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু আবেগে কাঁপছে বাংলাদেশ! কেন নাশকতার ভয় হাসিনার মনে?
কবে থেকে আর কতটা অত্যাচারিত রোহিঙ্গারা
জি.ই. হারভে-র 'হিস্ট্রি অফ বার্মা'-র তথ্য অনুযায়ী বর্মি রাজা আনা ইথ হান (১০৪৪-১০৭৭) সর্বপ্রথম রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন করেন এবং ১০৪৪ থেকে ১২৮৭ সময়কালে উত্তর আরকানকে সাময়িকভাবে সামন্তরাজ্যে পরিণত করা হয়েছিল। সেই যে শুরু, হাজার বছর পর এসে আজও নির্যাতিত রোহিঙ্গারা।
যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গাদের বসবাস মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে। ১৯৪৮ সালে মায়ানমার স্বাধীন হলে সেদেশের সংসদে ও সরকারি উচ্চ পদগুলোতে রোহিঙ্গারা প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে সামরিক বাহিনী মায়ানমার দখলের পর নিজ দেশেই বিদেশি হয়ে জীবন কাটাতে হয় রোহিঙ্গাদের । তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয় এবং দেশ থেকে উচ্ছেদের জন্য একের পর এক সামরিক অভিযান চালানো হয়। রোহিঙ্গাদের পরবর্তী প্রজন্ম রুখতে তাদের বিয়ে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় তখন।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আগমন কখন ও কীভাবে
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মায়ানমারের সামরিক বাহিনী সেদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের গণহত্যা করে নারকীয় ইতিহাস রচনা করেছিল। সবথেকে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গার বাংলাদেশে ট্র্যাজিক আগমন ঘটল সেদিন, যখন রোহিঙ্গারা সামরিক বাহিনীর হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে রাতারাতি পালিয়ে এসেছিলেন। একধাক্কায় প্রায় সাত থেকে আট লক্ষ রোহিঙ্গা সেসময় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
২০১৭-র আগস্টে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ঢুকে পড়া প্রথমবার নয় কিন্তু। আরও পিছনের দিকে মানে সাতের দশকের শেষ থেকে মায়ানমারের নাগরিকত্বহীন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে বসবাস শুরু করেছেন।
১৯৭৮ সালে নাগামান বা ড্রাগন রাজা নামের সামরিক অভিযানে ওই সময় প্রায় দুই লাখ নির্যাতিত রোহিঙ্গা মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তারপর ১৯৯১ ও ১৯৯২-এর ধর্মীয় দাঙ্গার স্বীকার হয়ে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা মুসলিমরা। এরপর ২০১২ ও ২০১৬ সালের সামরিক দাঙ্গায় ফের মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। গত তিন দশকে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গা মায়ানমার সরকারের সহিংস নির্যাতন থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে এসে পাড়ি জমিয়েছেন। বর্তমানে অন্তত ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রিত আছেন।
বাংলাদেশের কোথায় শরনার্থী হয়ে আছে রোহিঙ্গারা
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব রোহিঙ্গারা ছড়িয়েছিটিয়ে থাকলেও বেশিরভাগ শরনার্থী টেকনাফ ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্যাম্পেগুলোতে বাস করছেন। তবে অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা এখন ভাসানচরের নতুন রিফিউজি ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।
কক্সবাজারে ৬,৫০০ একর জায়গায় রোহিঙ্গাদের জন্য রিফিউজি ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। কক্সবাজার ও টেকনাফে অবস্থিত কুতুপালং ও নয়াপারা ক্যাম্প-সহ ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে সর্বমোট ১৪৬টি এনজিও শরনার্থীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে ৮০টি বিদেশি এনজিও এবং ৬৬টি দেশি এনজিও রয়েছে। এই এনজিওগুলো খাদ্য, আবাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সহ রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদাগুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
কিন্তু তারপরও প্রশ্ন থেকে যায় বাংলাদেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরনার্থী কতটা ভালো আছেন?
শেখ হাসিনার সরকার নির্যাতিত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মানবতার দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে সত্যি, তবে সতীর্থ রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতিশীলতা ক্রমশই কমে যাচ্ছে বাংলাদেশে। বাস্তবতা এটাই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের মূল স্রোতে আজ অবধি মিশতে পারেননি। ফলে রোহিঙ্গারা শরনার্থী হয়েই রয়ে গিয়েছেন। এমনকী, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের শরনার্থী হিসেবেও স্বীকৃতি দেয় না যদিও জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র হিসেবে রিফিউজি কার্ড দিয়ে থাকে। যার কারণে রোহিঙ্গারা ক্যাম্পগুলোর মধ্যে বেশ কঠিন জীবনযাপন করছেন।
রোহিঙ্গারা বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশে আছেন ঠিকই, কিন্তু বাংলাদেশের মেইনস্ট্রিম এডুকেশনে তাদের ঢোকার কোনও সুযোগ হয়ে উঠেনি। রোহিঙ্গাদের বাচ্চারা বাংলাদেশের স্কুল কলেজে পড়তে পারে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়। এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনাও রয়েছে রোহিঙ্গার ছেলেমেয়েরা পরিচয় গোপন করে ভুয়া পরিচয়পত্র বানিয়ে স্কুল-কলেজে ভর্তি হওয়ার পর যখন ধরা পড়েছেন, তখন তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই বিষয় নিয়ে জাতিসংঘের সংস্থা ও ডোনার এজেন্সিগুলো বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধও করেছে যাতে বাংলাদেশের স্কুল-কলেজগুলোতে রোহিঙ্গাদের বাচ্চাদেরকে সুযোগ দেয়া হয়, সেটা কিন্তু আজো সম্ভব হয়নি। রোহিঙ্গারা চাইলেই কিন্তু বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য দোকান পাট করতে পারেনা তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয় না।
প্রোজেক্ট ভাসানচর
বারবার চেষ্টা করেও মায়ানমার সরকারের চালাকিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে ব্যর্থ হয়ে যখন বাংলাদেশ সরকার বুঝতে পারে শরনার্থীদের এখনই ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে না, তখনই ভাসানচর দ্বীপে ১,৭০০ একর জায়গায় বেশ খরচ করে তৈরি করা হয় রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্যাম্প যেখানে আধুনিক সুযোগসুবিধা-সহ রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন করা হয় এবং প্রায় সাত হাজার রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয় সেখানে।
কিন্তু সেখানে উপার্জনের কোনও সুযোগ নেই, নেই চাষাবাদ ও মাছ ধরার তেমন কোনও সুযোগসুবিধা। ফলে ভাসানচর থেকে রোহিঙ্গারা পালানোর চেষ্টা করেছেন অনেকবার। এরকম ঘটনাও ঘটেছে, ভাসানচর থেকে নৌকো দিয়ে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের দিকে আসার চেষ্টা করতে গিয়ে নৌকাডুবি হয়ে মারা গিয়েছেন বা অনেকে নৌবাহিনীর হাতে ধরা পরেছেন আবার তাদের নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা ভাসানচরে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।
মকতুল হোসেন যার নাম সেই রোহিঙ্গাও পালিয়ে এসেছিলেন মায়ানমার থেকে এবং ছেলে-মেয়ে নাতি-নাতনি-সহ ১৭ জনের পরিবার নিয়ে ভাসানচরে রয়েছেন এবং আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে তার পরিবার হিমশিম খাচ্ছেন।
শুধু যে ভাসানচরের শরনার্থীরা এভাবে বাস করছেন তা নয়, কক্সবাজার ও টেকনাফের শরনার্থীরাও একরকম কষ্টের মধ্যেই জীবন কাটাচ্ছেন। অনেক রোহিঙ্গা পরিবার তো কষ্ট সহ্য করতে না পেরে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে অন্য এলাকায় পরিচয় গোপন করে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন।
বাংলাদেশে কি রোহিঙ্গারা তবে স্থায়ীভাবে থেকে যাচ্ছেন?
রোহিঙ্গাদের বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তারাও কিন্তু বাংলাদেশ ছেড়ে বেরিয়ে পরতে মরিয়া হয়ে আছেন। এরকম অনেকবার হয়েছে, বহু রোহিঙ্গা ছোট নৌকা নিয়ে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া বা থাইল্যান্ড-এর দিকে রওনা দিয়েছেন, মাঝপথে নৌকা বিকল হয়ে তাদের দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে সমুদ্রে ভেসে বেড়াতে হয়েছে। এরপরও রোহিঙ্গারা বেপরোয়াভাবে চাইছে রিফিউজি ক্যাম্পের মানবেতর জীবন থেকে বের হতে।
অবাক হওয়ার মতো হলেও সম্প্রতি বাংলাদেশি কিছু রোহিঙ্গা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে করে দিল্লি যাওয়ার পথে ধরা পরেছেন এবং ধরা পরার পর স্বীকারও করেছেন যে, তারা বাংলাদেশের রিফিউজি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছেন ভারতে। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে ভারতে ধরা পরার এমন ঘটনা গত দু' বছরে বেশ কয়েকবার ঘটেছে।
এসমস্ত ঘটনা থেকে প্রমাণিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের রিফিউজি ক্যাম্পগুলোতে একেবারেই থাকতে চাইছেন না। তারা যেভাবে পারছেন, উন্নত জীবনের আশায় বেরিয়ে পড়ছেন। আর বেরিয়ে পড়ার জন্য বহু রোহিঙ্গা নিজেদের নাম পরিচয় লুকিয়ে ভুয়া নামে বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্ট বানিয়ে সৌদি আরব, ওমান-সহ আরবের দেশগুলোতে পালিয়ে যাচ্ছেন ।
বাংলাদেশের এক শ্রেণির অসৎ কর্মচারীর সাহায্যে পয়সা খরচ করে ভুয়া পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট করছেন এই রোহিঙ্গারা। পরে যখন ভুয়া নামধারী রোহিঙ্গারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নানা অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়ে ধরা পড়ছেন, তখন ভুয়া নাম দিয়ে পাসপোর্ট করার বিষয়গুলো বাংলাদেশ সরকারের সামনে আসছে।
রোহিঙ্গারা জড়িয়ে পড়ছে ভয়াবহ অপরাধে
আবার যারা বাংলাদেশের শরনার্থী শিবিরগুলোতে থাকছে, তারাও দেশের ভেতরেই নানা ধরনের অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়ছে।
১৬ জুন ২০২২ কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তল্লাশি চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি অটোমেটিক অ্যাসল্ট রাইফেল সহ ৪৯১টি গুলি জব্দ করেছে (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) এপিবিএন-এর একটি দল । একই দিনে টেকনাফের নয়াপারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ৪টি দেশি বন্দুক ও ৪টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভিযানে থাকা এপিবিএন কর্মকর্তা কামরান পরে জানান, ‘‘ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এপিবিএন সদস্যদের লক্ষ্য করে রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়তে থাকে৷ আত্মরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে৷ এক পর্যায়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়৷ গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে রাইফেল ও বিপুল পরিমাণে গুলি পাওয়া যায়৷ গোলাগুলিতে জড়িত সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে৷”
এদিকে টেকনাফের নয়াপাড়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তল্লাশি দেওয়া এপিবিএন-এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘‘দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।”
''রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং অপরাধ দমনে এপিবিএনের বিশেষ অভিযানে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। ড্রোনের মাধ্যমেই নয়াপাড়া-নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় একদল ডাকাতের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়৷ এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়৷ পরে তল্লাশি চালিয়ে পাহাড়ে গুহায় লুকিয়ে রাখা বন্দুক ও গুলি পাওয়া যায়৷’’ আরও বলেন তিনি।
সাধারণভাবে উপার্জন করতে না পেরে রোহিঙ্গারা জীবনযাপনের জন্য অবৈধ পথ বেছে নিয়ে একের পর এক অকারেন্স-এ জড়িয়ে যাচ্ছে। হয়ে পড়ছে দিকনির্দেশনাহীন।
বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ঠিক কতটা ভালোভাবে রাখতে পেরেছে, এটা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, যখন অনেক ঘটনার প্রেক্ষিতে এটা প্রমাণিত যে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা ভালো নেই। কবে তারা মায়ানমারে ফিরে যাবেন জানেন না। আদৌ ফিরতে পারবেন কি না এখনও তা অনিশ্চিত।
শেখ হাসিনার সরকারের কতটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সুন্দর জীবন দিতে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও মূল কথা এটাই, সবথেকে বেশি রোহিঙ্গা শরনার্থীকে যে দেশ আশ্রয় দিয়েছে, সেই বাংলাদেশেও তারা মোটেই স্বস্তিতে নেই!