আতঙ্ক ফিরছে আবার! নতুন ভ্যারিয়েন্টের মাধ্যমে ফের দ্রুত ছড়াচ্ছে কোভিড?

New Covid Subvariant: XEC-নামক এই সদ্য আবিষ্কৃত Covid-19 সাবভ্যারিয়েন্ট বিশ্বব্যাপী নতুন করে স্বাস্থ্য উদ্বেগ বাড়িয়ে ফেলছে।

কোভিড মরে যায়নি। রূপ বদলাচ্ছে ক্রমেই। আশঙ্কার বিষয়, সম্প্রতি, ইউরোপ জুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কোভিড। তবে এই কোভিড আর আগের কোভিডের ফারাক রয়েছে। এই কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। XEC-নামক এই সদ্য আবিষ্কৃত Covid-19 সাবভ্যারিয়েন্ট বিশ্বব্যাপী নতুন করে স্বাস্থ্য উদ্বেগ বাড়িয়ে ফেলছে। কোভিডের এই নয়া XEC সাবভ্যারিয়েন্ট প্রথম জার্মানিতে আবিষ্কৃত হয়েছিল, কিন্তু নেদারল্যান্ডস এবং পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য অংশ থেকে এই নয়া সাবভ্যারিয়েন্টে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।

চিকিত্সক এবং বিজ্ঞানীরা XEC নিয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছেন। আশঙ্কা রয়েছে, এই নতুন সাবভ্যারিয়েন্টটি আরও শক্তিশালী। এই মুহূর্তে যে সাবভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে ক্ষতিকারক ও প্রভাবশালী, অর্থাৎ KP.3.1.1 সাবভ্যারিয়েন্টকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে XEC। এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই সাবভ্যারিয়েন্টটি সবচেয়ে ছড়িয়ে পড়ছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার চিকিত্সক মহলের মতে, XEC সবেমাত্র যাত্রা শুরু করছে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়তে এবং ঘরে ঘরে মানুষকে আক্রান্ত করতে আরও কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। যদিও XEC ইতিমধ্যেই নিজের দাপট বুঝিয়েই ফেলেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরার আগে মানুষের এবং বিজ্ঞানীদের হাতে এখনও কয়েক মাস সময় আছে।

লস এঞ্জেলেস টাইমস বলছে, XEC মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়লেও এর প্রকোপ কম। এটিকে পৃথকভাবে ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর ভ্যারিয়েন্ট ট্র্যাকার ওয়েবসাইটে ট্র্যাক করা হচ্ছে না। এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রতিটি মুহূর্ত নজরে রাখার জন্য দুই-সপ্তাহের সময়কালে সারা দেশে ১% এর বেশি সংক্রমণ প্রয়োজন।

নতুন সাবভ্যারিয়েন্টের আকারে কোভিড ফিরবে এমন আশঙ্কা ছিলই। মে মাসে এই নতুন ঢেউটি শুরু হয়। এই মুহূর্তে তাই চিকিৎসকরা XEC-এর মতো নতুন সাবভ্যারিয়েন্টের থেকে নিজেদের বাঁচানোর কথাতেই জোর দিচ্ছেন। টিকা এবং বুস্টার ডোজ নেওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। ভ্যাকসিন সম্পূর্ণরূপে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে না ঠিকই তবে তারা রোগের লক্ষণ, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং মৃত্যুর তীব্রতা কমাতে পারে। ভিড়ে বা কম বায়ুচলাচলের স্থানে মাস্ক পরার কথা বলছেন তারা। অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান এবং জল দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস ফেরাতে বলছেন চিকিৎসকরা। যদি সাবান এবং জল পাওয়া না যায় তবে ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল আছে এমন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। সংক্রামিত কারও সংস্পর্শে এসে থাকলে নিজেকে আলাদা রেখে পরীক্ষা করানোর উপরেও জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

More Articles