আকারে মাউন্ট এভারেস্টের থেকেও বড়! মঙ্গল গ্রহের আগ্নেয়গিরিকে ঘিরে শোরগোল সারা বিশ্বে

Second tallest volcano on Mars : উচ্চতার পাশাপাশি আয়তনেও তাক লাগিয়েছে এই আগ্নেয়গিরি। যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাম্প্রতিক মঙ্গল গ্রহের ছবি ঘিরে...

প্রাণ অথবা জলের সন্ধান থাকুক অথবা নাই থাকুক, পৃথিবীর পর মঙ্গল গ্রহ নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ সর্বাধিক। সৌরমণ্ডলে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী গ্রহ এটিই। পৃথিবী ছাড়া সৌরজগতে মানুষের বসবাসের যোগ্য বলে একমাত্র এই গ্রহকে শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করে বিজ্ঞানীরা কোনও এক সময়ে সেখানে বসতি স্থাপনের স্বপ্নও দেখছেন৷ তবে সেই সময় আসন্ন না হলেও মঙ্গল গ্রহ নিয়ে বারবার বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। সম্প্রতি সেরকমই একটি বিশেষ তথ্যের সন্ধান দিল মার্স রোভার নামের বিশেষ এক বৈজ্ঞানিক সংস্থা।

Second tallest volcano on Mars is higher than Mount Everest

বিভৎস এক আগ্নেয়গিরির ছবি ধরা পড়েছে স্যাটেলাইট ক্যামেরায়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মাউন্ট এভারেস্টের থেকেও নাকি আকারে বড় এই আগ্নেয়গিরি। যদিও মঙ্গল গ্রহে আগ্নেয়গিরির সন্ধান মেলার ঘটনা এই প্রথম নয় এর আগেও স্যাটেলাইট ক্যামেরায় বহুবার ধরা পড়েছে একাধিক আগ্নেয়গিরির ছবি। এর মধ্যে একটি আকার আজকের পাওয়া ছবিটির থেকেও বৃহৎ বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা, অর্থাৎ সাম্প্রতিক আগ্নেয়গিরিটিকে মঙ্গল গ্রহের নিরিখে দ্বিতীয় বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে তবে এই আগ্নেয়গিরির উচ্চতা ও বিস্তার পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের থেকে অনেক বেশি।

আরও পড়ুন - ৪,০০০ বছরের ঐতিহ্যের শবযাত্রা! মহেঞ্জোদারোর বিখ্যাত মূর্তি যেভাবে বদলে গেল…

মঙ্গলে যে বহুকাল ধরেই যে প্রতিনিয়তই অগ্ন্যুৎপাত হত তা মাটি পরীক্ষা করেই জানতে পেরেছে নাসা। তবে বিশালাকায় এই আগ্নেয়গিরির সাম্প্রতিক সন্ধানে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বৈজ্ঞানিক মহলে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি প্রথম সন্ধান দিয়েছে এই আগ্নেয়গিরির। আগ্নেয়গিরিটির নাম Ascraeus Mons. উচ্চ পর্যায়ের ক্যামেরা দিয়ে লালগ্রহের এই ভলক্যানোর ছবিটি তুলতে পেরেছে ESA। প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করেছে এই আগ্নেয়গিরিটি। যদিও এর ঢাল খুব চওড়া নয়। মোটামুটি সাত ডিগ্রি কোণে ঢাল নেমেছে ওপর থেকে নিচে।

প্রসঙ্গত, গোটা মঙ্গল গ্রহের নিরিখের দ্বিতীয় বৃহত্তম হলেও মঙ্গলের থারসিস এলাকার উত্তরে যে তিনটি আগ্নেয়গিরি রয়েছে তার মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ। উচ্চতার পাশাপাশি আয়তনে ৪৮০ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে। পৃথিবীর রোমানিয়া যতটা বৃহৎ এই ভলক্যানোটিও ততটা এলাকা জুড়ে রয়েছে। যদিও এই বৃহৎ আকারের আগ্নেয়গিরিটি কিভাবে গঠিত হয়েছে সেই সম্পর্কে এখনো সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেনি ইউরিপিয়ান স্পেস এজেন্সি। তবে আগ্নেয়গিরি যখন তখন তা থেকে ছাই লাভা এবং উষ্ণ জল এর আকার গঠনে সহায়তা করবে এমনটাই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। উল্লেখ্য যে, বিগত ২০ বছর ধরে মঙ্গলগ্রহের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির পাঠানো মার্স এক্সপ্রেস। মঙ্গল গ্রহের মূল ভূখণ্ডে কি কি পরিবর্তন ঘটছে কোথায় কতটা ভূ প্রাকৃতিক বদল ঘটছে সমস্ত নজরে নজরে রাখছে এই যানটি। তারাই জানিয়েছে যে সাম্প্রতিক এই অতিকায় আগ্নেয়গিরিটি যে কেবল মঙ্গল গ্রহের বৃহৎ আগ্নেয়গিরির তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে তাই নয় সমগ্র সৌরজগতেও এটি উচ্চতার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম।

More Articles