৩৪ শতাংশ হারে ডিএ অন্তত ১ কোটি ১৫ লক্ষকে, হাতে পাবেন ঠিক কত টাকা!
বাংলা নববর্ষের আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন করে খুশির খবর নিয়ে এল মোদি সরকার। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আবারো কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করার ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ দফতরের তরফ থেকে। এই ঘোষণা হতেই খুশির জোয়ারে ভাসছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। বাংলা নববর্ষের আগে এরকম একটি উপহার পেতে কে না চায়। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের দরুন হওয়া লকডাউনের কারণে কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিশাল ধস নেমেছিল। করোনার কারণে সকলের আর্থিক অবস্থাই ক্ষতিগ্রস্ত। এই অবস্থায় যদি এমন খবর উপহারের থেকে এটা কম কিছু নয়। তবে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে গভীর আলোচনা করার আগে, এই মহার্ঘ ভাতা কী এবং কী ভাবে তা বৃদ্ধি হয় সেই নিয়ে একটু জানা দরকার, বোঝা জরুরি, কারা ঠিক কত টাকা হাতে পাবেন।
মহার্ঘ ভাতা বা ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স
মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য যে ভাতা দেওয়া হয় সেটাই হলো মহার্ঘ ভাতা। দেশের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতনের সঙ্গে কিছু পরিমাণ টাকা যোগ করা হয়। এই অতিরিক্ত টাকাটিকেই বলা হয় মহার্ঘ ভাতা বা ইংরেজিতে ডিয়ারনেস অ্যালাউয়েন্স। তবে এই মহার্ঘ ভাতা আজকের বিষয় কিন্তু নয়। এর আগেও মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই এই মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রথা চলে আসছে। তবে সেই সময় এই মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হতো মূলত খাদ্যের উপরে। তারপর স্বাধীনতার আগের বছর থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য এই বর্ধিত ভাতার ঘোষণা করা হয় তৎকালীন সরকারের তরফ থেকে।
প্রতি বছর মূলত দুই বার করে এই বর্ধিত ভাতা দেওয়া হয়। প্রথমটি জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত, এবং পরেরটি হলো জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসের জন্য। তবে শুধুমাত্র চাকুরীজীবী সরকারি কর্মচারী না, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরাও নিয়মিতভাবে মহার্ঘভাতা পেয়ে থাকেন। তবে তাদের ক্ষেত্রে সেটি ডিএ না বরং ধরা হয় ডিআর। তবে জানিয়ে রাখি, কেন্দ্রে আর রাজ্য সরকারের মহার্ঘভাতা কিন্তু আলাদা। লিখিত তেমন কোনো নিয়ম নেই, তবে বলা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের ধার্য করা মহার্ঘ ভাতা অনুযায়ী রাজ্য সরকার মহার্ঘ ভাতা জারি করে।
পে কমিশনের পরিবর্তন
সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো এবং মহার্ঘভাতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে সংস্থাটি মূলত কাজ করে, তা হলো পে কমিশন। এই পে-কমিশনের জন্ম কিন্তু স্বাধীন ভারতে নয়, ইংরেজ আমলেই এই পে কমিশনের জন্ম হয়েছিল। ১৯৪৬ সালে তদানীন্তন সরকারের অধীনে ভারতের প্রথম পে কমিশন গঠন করা হয়। তারপর ১৯৪৭ সালের মে মাসে প্রথমবার সেই কমিশন তাদের সুপারিশ জমা দেয়। সেই সুপারিশে লেখা হয়, সরকারি কর্মচারীদের কত শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের বেতন কাঠামো কিভাবে নির্ধারিত হবে তা সম্পূর্ণরূপে নির্ধারণ করবে এই পে কমিশন। সাধারণত প্রতি ১০ কিংবা ১২ বছর অন্তর এই পে-কমিশন গঠন করা হয়। এখনো পর্যন্ত ভারতে ৭টি পে-কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং সপ্তমটি এই মুহূর্তে ক্রিয়াশীল।
এই সপ্তম পে কমিশনেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত যে পে কমিশন গঠিত হয়েছিল তাদের সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা পৌঁছে গিয়েছিল প্রায় ১০০ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ বেতনের প্রায় ১৩৫ শতাংশ ছিল এই মহার্ঘ ভাতা। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সপ্তম পে-কমিশন গঠন করা হয়। এই পে কমিশন গঠন করার পরেই মহার্ঘ ভাতা নামিয়ে দেওয়া হয় শূন্য শতাংশে। ২০১৮ সালে এই মহার্ঘ্য পৌছায় ৮ শতাংশের গন্ডিতে। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে এই মহার্ঘভাতা হয় ১২ শতাংশ। সেই বছরই দ্বিতীয় ভাগে এই মহার্ঘভাতা করে দেওয়া হয় ১৭ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চ মাসে কেন্দ্রের তরফে এই মহার্ঘ ভাতা ২১ শতাংশে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তারপরেই শুরু হয় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সেই সময় ভারতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এমনিতেই দেশজুড়ে লকডাউন চলছিল। তার মধ্যে আবার রাজস্ব আয় কমতে শুরু করেছে। তাই অর্থ সংস্থানের জন্য এপ্রিল মাসে নির্দেশিকা জারি করে মহার্ঘ ভাতা বন্ধ করার ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২১ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকে। সেই সময় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। বিরোধীদলের নেতা মন্ত্রীরা সরকারকে একেবারে তুলোধোনা করেন তাদের এই সিদ্ধান্তের জন্য। যদিও, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির পরে ভারত সরকারের তরফ থেকে রীতিমতো কল্পতরু রূপ গ্রহণ করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য।
এক লাফে মহার্ঘভাতা পৌঁছল ৩৪ শতাংশে
লক্ষ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য নববর্ষের আগেই সুখবর নিয়ে এলো নরেন্দ্র মোদি সরকার। সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে পেতে চলেছেন বর্জিত মহার্ঘভাতার সুবিধা। সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য তাদের বেতনে এতটা পরিমাণ মহার্ঘভাতা যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও এর আগেও মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির খবর শোনা গিয়েছিল। আগে মনে করা হচ্ছিল হোলির আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই উপহার দেওয়া হবে। যেহেতু ঘোষণাটি কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে তাই বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে চলেছে বলে জানানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা এই মুহূর্তে যে বেতন পান তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে, কারণ জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি সঙ্গে মার্চের মহার্ঘ ভাতা এক সাথেই পাবেন তারা।
কিন্তু অনেকের মাথায় প্রশ্ন উঠবে, সপ্তম পে-কমিশন গঠনের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা ৩৪ শতাংশে পৌঁছে গেল কিকরে? কেন এতটা দ্রুত বৃদ্ধি পেল মহার্ঘ ভাতা? আসলে বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকার বছরে দুবার মহার্ঘ ভাতা সংশোধন করে থাকে। প্রথমটি জানুয়ারি মাসে এবং পরেরটি জুলাই মাসে। এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ২৮ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩১ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছিল। আর এবারে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি পেলো আরো ৩ শতাংশ। সরকার যদি মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে প্রায় এক কোটির বেশি মানুষ এর সরাসরি সুবিধা পেতে চলেছেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সংখ্যা ৫০ লোকের কিছুটা বেশি যেখানে ৬৫ লক্ষ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কর্মচারী পেনশন পাচ্ছেন। যদি সরাসরি ভাবে মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি পায় তাহলে, ১.১৫ কোটি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন।
মহার্ঘ ভাতা হচ্ছে ৩৪ শতাংশ
যদি সবকিছু প্রত্যাশিতভাবে হয় তাহলে কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির পর এটি পৌঁছোবে সরাসরি ৩৪ শতাংশের গন্ডিতে। চলতি বছরের পয়লা জানুয়ারি থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। অর্থাৎ কর্মচারীরা মার্চ মাসের বেতনের বকেয়াসহ জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের মহার্ঘ ভাতা পেতে চলেছেন খুব শীঘ্রই। একাধিক মিডিয়ায় রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, এবার কেন্দ্রীয় সরকার নববর্ষের আগেই দুমাসের মহার্ঘ ভাতা এবং বেতন একসাথেই পাঠাবে। এপ্রিল মাসের মধ্যেই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই টাকা প্রবেশ করতে পারে।
কত টাকা পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা?
সর্বশেষ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির পরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন, যা তাদের বেতন একসাথে অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। মনে করা যাক কোন সরকারি কর্মচারীর বেতন ১৮,০০০ থেকে ৫৬,৯০০ টাকার মধ্যে। এই অবস্থায় যে কর্মীর বেতন ১৮,০০০ টাকা তিনি এতদিন পর্যন্ত ৩১ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পেতেন এবং তার মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ ছিল ৫,৫৮০ টাকা। অন্যদিকে, মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির পর তার এই ভাতার পরিমাণ দাঁড়াবে ৬,১২০ টাকা, অর্থাৎ আগের থেকে ৫৪০ টাকা বেশি।
অপরদিকে যে কর্মীর বেতন ৫৬,৯০০ টাকা, তার ক্ষেত্রে প্রতি মাসে মহার্ঘভাতা হয়ে দাঁড়াবে ১৯,৩৪৬ টাকা। এই মহার্ঘভাতা আগের ৩১ শতাংশ হারে ছিল ১৭,৬৩৯ টাকা। অর্থাৎ, এই কর্মচারীর মহার্ঘভাতা একধাপে বাড়লো ১৭০৭ টাকা। বার্ষিক ভিত্তিতে যদি হিসাব কষে দেখা যায় তাহলে এই মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ ২০,৪৮৪ টাকা। এছাড়াও সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মার্চ মাসের বেতনের সঙ্গে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের মহার্ঘভাতা একসাথে মিলিয়ে দেওয়া হবে সেই কর্মচারীকে। সুতরাং যে কর্মচারী ৫৬,৯০০ টাকা বেতন পান তিনি বকেয়া হিসেবে ৩৮,৬৯২ টাকা পেয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি যদি ন্যূনতম বেতনের উপরে মহার্ঘভাতা হিসাব করা হয় তবে বকেয়া হিসেবে সেই কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে ১০৮০ টাকা পাঠাবে কেন্দ্রীয় সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারীদের কথা কে ভাববে?
কেন্দ্রীয় সরকার কর্মচারীদের জন্য ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু পিছিয়ে গেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সেই তথ্য সামনে নেই এবারে রাজ্য সরকারের আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইট করে শুভেন্দু বুঝিয়ে দিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতনের কতটা তফাৎ রয়েছে এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কেন বঞ্চিত। এছাড়াও বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যের হিসাবও একই সাথে টেনে এনেছেন শুভেন্দু অধিকারী। দেখিয়েছেন উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের মত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মহার্ঘভাতা কতটা বেশি, এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার কী ভাবে নিজেরই কর্মচারীদের সমস্যার মধ্যে ফেলে রেখেছে।
৩১ শতাংশ কম মহার্ঘ ভাতা পাবেন রাজ্যের কর্মচারীরা
এই প্রথম নয় রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে এর আগেও একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। আর এবার সেই বিতর্কে নতুন করে ইন্ধন জোগাচ্ছে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ঘোষণা করেছিল, যদি বিজেপি এবার ক্ষমতায় আসে তাহলে রাজ্যে সপ্তম পে-কমিশন কার্যকর করবে তারা। কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল বিজেপির তরফ থেকে। বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এবারে আবার মহার্ঘভাতার ইস্যুকে সামনে রেখে সরকারি কর্মীদের সমর্থন পেতে চাইছে বিজেপি। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার মধ্যে ৩১ শতাংশ তফাৎ রয়েছে। এই বিষয়টিকে ইস্যু করতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের ফলে ৪৭ লক্ষ ৬৮ হাজার কর্মী এবং ৬৮ লক্ষ ৬৩ হাজার পেনশনভোগী উপকৃত হতে চলেছেন। কেন্দ্রীয় তুলনায় রাজ্য সরকারের কর্মীরা ৩১ শতাংশ কম মহার্ঘভাতা পেয়ে থাকেন। তাদের মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ মাত্র ৩ শতাংশ। শুভেন্দু জানাচ্ছেন, যে রাজ্যে সরকারি কর্মচারীদের মাসিক আয় সব থেকে কম অর্থাৎ মাত্র ১৭ হাজার টাকা, তাদের ক্ষেত্রে এই রাজ্যের কর্মীদের বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৬৩ হাজার ৫৮০ টাকা। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে রাজ্য সরকার, এমনটাই কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় মহার্ঘ ভাতা বাড়ালেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে প্রাপ্তির ফারাক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার সেটাই কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কটাক্ষ করে লিখলেন, নামেই এগিয়েছে বাংলা।