Discard Article
Do you really want to discard the article ?
Submit Article
Once you submit, the story will be produced to our
editor for review
৩২ হাজার ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ছে চিন! কারণ জানলে চোখ উঠবে কপালে...
China's Biggest Hole: উত্তর-পশ্চিম রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের কোলা সুপারদীপ বোরহোল হচ্ছে পৃথিবীর গভীরতম গর্ত।
গর্ত খোঁড়া হচ্ছে চিনে। যে সে গর্ত নয়, যেমন তেমন সুড়ঙ্গও না। চিনের বিজ্ঞানীরা নেমেছেন এই গর্ত খোঁড়ার কাজে। গর্তেই দৈর্ঘ্যই বলে দেবে, বিষয়টা হেলাফেলার নয় মোটেও। পৃথিবীর গভীরে ১০,০০০ মিটার (৩২,৮০৮ ফুট) গর্ত খনন শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা, যা এই দেশের সবচেয়ে গভীরতম খননকার্য হতে চলেছে। কেন এত লম্বা সুড়ঙ্গ খোদাইয়ের কাজ? এত গভীরে গর্ত খুঁড়ে যাওয়া হবেটাই বা কোথায়?
শিলার ১০টি স্তরের মধ্য দিয়ে গর্ত খনন করে, বিজ্ঞানীরা আসলে ক্রিটেসিয়াস যুগের শিলার কাছে পৌঁছনোর আশা করছেন। এই স্তরটি বিজ্ঞানের ভাষায় ক্রিটেসিয়াস সিস্টেম নামে পরিচিত, আর এই শিলার বয়স ১৪৫ মিলিয়ন বছর। ব্লুমবার্গর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই গর্ত খোঁড়ার প্রকল্পটি খনিজ সম্পদ শনাক্ত করার পাশাপাশি ভূমিকম্প এবং অগ্ন্যুৎপাতের মতো পরিবেশগত ঝুঁকি বুঝতে ও তার মূল্যায়নেও সাহায্য করতে পারে।
গর্তটি যে ভয়ানক গভীর তা নিয়ে নতুন করে বলার নেই কিছুই। তবে বাড়াবাড়ি রকমের গভীর হলেও এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম মানবসৃষ্ট গর্ত- তা বলা যাবে না। মানুষের সৃষ্টি করা গভীরতম গর্তটি রয়েছে রাশিয়ায়। উত্তর-পশ্চিম রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের কোলা সুপারডিপ বোরহোল হচ্ছে পৃথিবীর গভীরতম গর্ত। প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ১৯৭০ সালের ২৪ মে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরেও কাজ চলেছে। গর্তের গভীরতম শাখাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১,০৩৪ মিটার (৩৬,২০১ ফুট) নীচ অবধি প্রসারিত।
আরও পড়ুন- কাশ্মীর থেকে রাশিয়া অবধি সুড়ঙ্গ! যে সাতটি গুহার রহস্যভেদ হয়নি আজও…
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, পৃথিবীর নীচের গভীর শিলাগুলি তাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশিই আর্দ্র। বোরহোলটি খুঁজে পাওয়ার আগে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন যে, জল বোধহয় এত গভীরে অবস্থিত পাথরে প্রবেশ করবে না। তাঁরা মহাদেশের গ্রানাইটের নীচে ব্যাসাল্ট পাথরের একটি স্তর খুঁজে পাওয়ার আশাও করেছিল, কারণ এটিই সামুদ্রিক ভূত্বকের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল। পরিবর্তে, বিজ্ঞানীরা দেখেন আগ্নেয় গ্রানাইটের নীচে রূপান্তরিত গ্রানাইট রয়েছে। যেহেতু মহাদেশীয় ভূত্বক গ্রানাইটের তৈরি, এটিই ছিল প্লেট টেকটনিকসের বড় প্রমাণ। প্লেট টেকটনিক তত্ত্বটি তখন সবে দানা বাঁধতে শুরু করেছে, সেই সময়ই ওই বোরহোল খনন শুরু।
পৃথিবীর গভীর অবধি খনন করা এত সহজ নয়। ১৯৬০-এর দশকে আমেরিকার একটি দল সমুদ্রতলের নীচে ১৮৩ মিটার (৬০০ ফুট) গভীরে পৌঁছেছিল। অব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক সমস্যার কারণে প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়। তবে, তাঁরা দেখেন সামুদ্রিক ভূত্বকের উপরের ১৩ মিটার অবধি ব্যাসাল্ট শিলাই রয়েছে। আসলে, এভাবে ড্রিলিং করা বেশ সমস্যার। পৃথিবীর ভূত্বক সততই পরিবর্তনশীল। গড়ে এই ভূত্বক প্রায় ৩০ কিলোমিটার পুরু। যদিও পর্বতশ্রেণির নীচে তা ১০০ কিলোমিটারও হয়ে যেতে পারে। পৃথিবীর আস্তরণ ভেদ করে আরও আরও গভীরে যাওয়া তাই এত সোজা নয়। তবু, চিনের এই গভীরতম গর্ত যদি ক্রিটেসিয়াস যুগের শিলার কাছে পৌঁছে দেয় বিজ্ঞানী ও গবেষকদের, তা নির্দ্বিধায় এক বড় অগ্রগতি বিজ্ঞানের।
কলকাতার তলপেট মস্তানির একাল সেকাল
ধোঁয়াটে ক্রিক রো-র ঝলমলে জলসা! কলকাতা কাঁপাত মস্তান ভানু বোসের কালীপুজো
"Awsome! Author inscript will view your appreciation"
Applause with Google Applause with Facebook Continue with General LoginYour purchase could not be completed
We received error when attempting to authorize your payment from razar pay. But don't worry our team will be in touch with you shortly
Congratulations!
You have unlocked “৩২ হাজার ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ছে চিন! কারণ জানলে চোখ উঠবে কপালে...” just now. Read it anytime in next 30 days