মোদি জামানায় তুঙ্গে ধর্মের বিদ্বেষ! যেভাবে বেড়েছে হাড়হিম করা অপরাধ

Crimes in Modi Govt: বিজেপি শাসিত রাজ্যে দাঙ্গা তো হয়ই, খোদ প্রশাসনই ধর্মীয় সংঘাতগুলিকে উস্কেও দেয়। চোখের সামনে রয়েছে, মণিপুর এবং হরিয়ানার নুহ'র ঘটনা।

গত ২৪ নভেম্বর সকাল থেকে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের শাহি জামা মসজিদ। মসজিদের সমীক্ষা ঘিরেই বিতর্কের শুরু। সম্প্রতি সম্ভলের একটি আদালতে বিষ্ণু শঙ্কর জৈন-সহ ৬ জন মসজিদটি নিয়ে মামলা করেছিলেন। রবিবার সমীক্ষা শুরু হলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সেইদিন তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। সোমবার আরও দু'জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ দাবি করেছে, তারা গুলি চালায়নি। সাংবাদিক রবীশ কুমার তাঁর ভিডিওতে প্রশ্ন তুলেছেন, পুলিশ যদি গুলি না চালায় তাহলে ৫ জন ব্যক্তির মৃত্যু হলোই বা কী করে? সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব দাবি করেছেন, "সম্প্রতি উপনির্বাচনে বিজেপি যে ভোট কারচুপি করেছে, তার থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।" ভারতে এমন ধর্মীয় সংঘাত নতুন নয়। সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ভাষণ এবং ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে সংগঠিত অপরাধের ঘটনাগুলি দেখা যাক।

নরেন্দ্র মোদি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৪ সালের স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছিলেন, "আমরা ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে হিংসা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু আর কত দিন? এতে কার লাভ হচ্ছে? যথেষ্ট লড়াই হয়েছে, যথেষ্ট প্রাণ গিয়েছে। যদি পিছনে ঘুরে দেখেন বুঝতে পারবেন, কেউ কিছু পায়নি। এমনকী এই সংঘর্ষে দেশভাগ পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। আমি আবেদন করছি যে দেশের অগ্রগতির স্বার্থে, অন্তত ১০ বছর হিংসা থেকে দূরে থাকুন।" কিন্তু অভিযোগ, মোদি সরকার নিজেই এ কথা মানেনি। অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ধর্মীয় সংঘাত আরও বেড়েছে।

পরিসংখ্যান যা বলছে

২০১৪ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু সংসদে জানিয়েছিলেন, ২০১৪ সালের মে-জুন মাসে ১১৩টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। তাতে ১৫জন নিহত এবং ৩১৮ জন আহত হয়েছেন। ২০২২-এর ৩০ মার্চ সংসদে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতে ৩৪০০টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হিংসার ঘটনাটি রাজধানী দিল্লিতে ঘটেছিল। সেই হিংসায় নিহত হয়েছিলেন ৫৩ জন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন মুসলিম।

আরও পড়ুন- মোদি-মন্ত্রিসভার সিলমোহর, ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু করতে কেন এত মরিয়া বিজেপি সরকার?

২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার পরও বিজেপি দাবি করে গিয়েছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে 'দাঙ্গা' হয় না। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেন, ২০১৭ সালে তিনি লখনউয়ের ক্ষমতা পাওয়ার পর রাজ্য 'দাঙ্গা মুক্ত'। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে দাঙ্গা তো হয়ই, খোদ প্রশাসনই ধর্মীয় সংঘাতগুলিকে উস্কেও দেয়। চোখের সামনে রয়েছে, মণিপুর এবং হরিয়ানার নুহ'র ঘটনা। অভিযোগ, মণিপুরের হিংসা থামাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ দেখা যায়নি। মহারাষ্ট্রে ২০২০-র বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি জোট সরকার ক্ষমতা পেতেই রাজ্যটিতে সাম্প্রদায়িক হিংসা বেড়ে যায় বলে অভিযোগ। কিছু দিনের মধ্যেই কোলহাপুর, সাম্ভাজিনগর, জলগাঁও, আকোলা, আহমেদনগরে সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু হয়েছিল। এনসিআরবি এবং ডেটা ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইন্ডিয়া টুডে) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ধর্মের বিদ্বেষজনিত কারণে ঘৃণা ভাষণ এবং অপরাধের ঘটনা ঘটেছে ৩২৩টি, ২০১৫ সালে ৩৭৮টি, ২০১৬ সালে ৪৪৭টি, ২০১৭ সালে ৯৩৪টি, ২০১৮ সালে ১০৭৬টি, ২০১৯ সালে ১০৫৫টি, ২০২০ সালে ১৮০৪টি। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রেকর্ড অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০২১ সালেই ৫৩০২টি দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাও রয়েছে। বলে রাখা ভালো, এর পরের বছরেই দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন ছিল।

ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরো ঘৃণা ভাষণ জনিত অপরাধের তথ্য সংগ্রহ বন্ধ করেছে

অভিযোগ, এই সব তথ্য সামনে আসার পরও সরকার তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি। বরং ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লোকসভায় বলেছিলেন, এনসিআরবি ঘৃণা ভাষণ জনিত অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করা বন্ধ করেছে। কারণ হিসেবে তিনি যুক্তি দেন, এই সংক্রান্ত তথ্য 'নির্ভরযোগ্য নয়'। তিনি দাবি করেছিলেন, গণপিটুনিতে হত্যা, ঘৃণা ভাষণ এগুলি নাকি যথাযথ সংজ্ঞায়িত করা নেই। তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতের ফৌজদারি আইন বিধিতে 'ঘৃণামূলক অপরাধ'-কে উপযুক্ত সংজ্ঞায়িত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ভাষণ এবং ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে সংঘঠিত অপরাধ

২০১৫ সালে, বজরং দলের বিবেক প্রেমী নামে এক সমর্থক তাঁর দলবল নিয়ে এক মুসলিম ব্যক্তিকে মারধর করে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনা তারাই ভিডিও করে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিল। উত্তরপ্রদেশে তখন অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সরকার। জাতীয় সুরক্ষা আইনে বজরং দলের ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয় কিন্তু দেখা যায়, কিছু মাস পরই কেন্দ্র সরকার কঠোর আইন ধারা থেকে মুক্তি দিয়ে দিয়েছে তাকে। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অভিযুক্ত সেই যুবককে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হয়েছিল। স্লোগান উঠেছিল- 'দেখো দেখো কৌন আয়া, হিন্দুওকা শের আয়া।'

২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি দিল্লির জামিয়া মিলিয়া মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মহাত্মা গান্ধির মৃত্যুদিনে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দেশে সেই সময় নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও চলছিল। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া এবং জেএনইউ এই প্রতিবাদে সামনের সারিতে থেকেছে। জামিয়া থেকে বেশ কিছুটা দূরে পথ আটকাতে পুলিশ তো ছিলই। সে দিক থেকেই হঠাৎ রাম গোপাল নামে এক তরুণ পিস্তল হাতে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে আসে। জামিয়া, জেএনইউ-তে আজাদির স্লোগান তোলে পড়ুয়ারা। জানা যায়, রাম গোপাল 'নে মুক্তি নে' বলতে বলতে গুলি ছুড়ছিল। সে দিন এক পড়ুয়ার গুলিও লাগে। রাম গোপাল জেলে। মারাত্মক অভিযোগ ওঠে যে, এই হিংসা নাকি মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের মস্তিষ্ক প্রসূত। ওই যুবক এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই মন্ত্রীই 'গোলি মারো সালোঁ কো'-র মতো স্লোগান শুরু করেছিলেন বলেও জানা যায়।

আরও পড়ুন- রাহুল গান্ধিরাই রাষ্ট্রের নতুন ‘শহুরে নকশাল’? কেন নয়া তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চান মোদি-শাহরা?

২০২১-এর ডিসেম্বরে হরিদ্বারের এক সাধু সমাবেশ থেকে সংখ্যালঘু নিধনের ডাক দেন। সমাজমাধ্যমে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছিল তবুও উত্তরাখণ্ড সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেই অভিযোগ।

২০২২-এর মে মাসে মধ্যপ্রদেশ থেকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, এক যুবক থাপ্পড় মারছে এক প্রৌঢ়কে এবং সমানে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে 'ক্যায়া নাম হ্যায় তেরা, মহম্মদ! আধার কার্ড নিকাল, নিকাল আধার কার্ড।' শেষে তিনি মারা যান। তাঁর নাম ভাঁওরাললাল জৈন ছিল, এ কথা আগেই জানা গেলে হয়তো এই পরিণতি হতো না।

২০২৩-এর ৩১ জুলাই জয়পুর-মুম্বই সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসে, মহারাষ্ট্রের পালঘর রেল স্টেশন এলাকায় রেলরক্ষী বাহিনীর এক কনস্টেবল চেতন সিং ঠান্ডা মাথায় চলন্ত ট্রেনে ৪জনকে গুলি করে। নিহতদের মধ্যে ৩ জন ছিলেন যাত্রী এবং একজন পুলিশকর্মী। ৩ যাত্রীই ছিলেন মুসলিম। প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, রেলরক্ষী একটি মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, "তোমাদের পাকিস্তান থেকে পাঠানো হয়। পাকিস্তানে সব খবর পাচার হয়ে যাচ্ছে। যদি হিন্দুস্থানে থাকতে চাও মোদি আর যোগীর কথা মেনে চলতে হবে।"

২০২৩ সালে হরিয়ানার নূহ-তে জুনায়েদ ও নাসির নামে দুই মুসলিম যুবককে তাঁদের গাড়িতেই জীবন্ত পুড়িয়ে মারেন মনু মানসের। কিছুদিন পর, ৩১ জুলাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রায় মনু মানসের যোগ দেবেন জানাজানি হতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। সংঘর্ষে দু'জন নিহত ও আরও বেশ কিছুজন আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনার পর আবার গুরগাঁওতে একটি মসজিদ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ওই হিংসায় মসজিদের ইমাম নিহত হন।

বাড়িতে গো-মাংস রেখেছিলেন বলে মহম্মদ আখলাকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। ভারতে এমন ঘটনাও ঘটেছে যে চাষের জন্য গরু কিনে ফিরছিলেন, রাস্তাতেই তাঁকে সংখ্যালঘু সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হতে হয়। কখনও আবার গরু ব্যবসায়ীকে ছেলেধরা বলে মেরে দেওয়া হচ্ছে। ঈদের সময় ট্রেনে মুসলিমদের সাজানো জনরোষের শিকার হতে হয়। ঘৃণা ভাষণ, জাতিগত হিংসার, পিটিয়ে মারার হাড় হিম করা একের পর এক ঘটনা ঘটলেও সরকার নির্বিকার।

সম্প্রতি ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নিজে মুসলিমদের 'ঘুসপেটিয়া' বলেছেন। এবার লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে টানা মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রেখেছিলেন মোদি। সিএএ-তেও শুধুমাত্র মুসলিমদের কথাই উল্লেখ নেই।

আরও পড়ুন- কেন দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনতে বদ্ধপরিকর মোদি সরকার? নেপথ্যে কোন পরিকল্পনা?

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রধান মাথা কল্যাণ সিং পদ্মবিভূষণ সম্মান পেয়েছেন

উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত কল্যাণ সিং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রধান মাথাদের মধ্যে একজন। ২০২৩ সালে মোদি সরকার কল্যাণ সিংকে পদ্মবিভূষণ সম্মান দিয়েছে। ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসকে কেন্দ্র করে দেশের নানা প্রান্তে যে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে গিয়েছিল তা সবারই জানা। করসেবকদের মধ্যে স্লোগান উঠেছিল, 'এক ধাক্কা ঔর দো, বাবরি মসজিদ তোড় দো।' অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন  'এক ধাক্কা ঔর দো'-র মতো স্লোগান ভারতের ইতিহাসে কখনও বাস্তবায়িত হয়নি। তখন লখনউয়ের ক্ষমতা কল্যাণ সিং-এর হাতে। তিনি গর্ভযাত্রায় কলকাতা এসে বলেছিলেন, "আগার কন্ট্রাকটর কো দিয়া যাতা তো ছহ মাহিনা লাগ যাতা। হামারে করসেবক নে ছহ ঘণ্টা মে ধাঁচা গিরা দিয়া।"

উল্লেখ্য, জামা মসজিদের মামলাকারীদের দাবি, ১৯২৯ সালে মোগল সম্রাট বাবর হরিহর মন্দির ভেঙে সেখানে জামা মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। ১৯ নভেম্বর অন্যপক্ষের সঙ্গে কথা হওয়ার আগেই  আদালত থেকে সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই দিন থেকেই উত্তেজনার শুরু। রবিবার সকালেই সমীক্ষকেরা পৌঁছে যান মসজিদে। সমীক্ষকদের দেখে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান ওঠে। বিক্ষোভ জানাতে মুসলিমদের পক্ষ থেকে প্রায় ২,০০০ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সমীক্ষার কাজ শুরু হতে আরও উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি।  প্রশ্ন উঠছে, এত তাড়াতাড়ি কেন সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হলো? কেন অন্যপক্ষের সঙ্গে কথা হওয়ার আগেই  আদালত থেকে সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হলো? কেন ওই চত্বরে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান আটকানো গেল না?

প্রতিটি ঘটনাই হাড় হিম করা। কখনও গণপিটুনি, কখনও সংখ্যালঘু হত্যা, কখনও ঘৃণা ভাষণ, কখনও সরাসরি সংখ্যালঘু নিকেশ করতে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া! বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের সরকার প্রায় সব কিছুতেই নীরব। এই সব ঘটনা ঘটার পরও কোনও সাজা না দেওয়ায় সমস্যা আরও ভয়াবহ হয়েছে। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনায় মোদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনও অনুশোচনা, নিন্দা সমালোচনাও দেখা যায় না। প্রশ্ন উঠছে, ঘৃণা ভাষণ কি ভারতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়ে গেল? এটাই শেষে গৃহযুদ্ধে পরিণত হবে না তো?

More Articles