মিডিয়ার স্বাধীনতা দমনকারী শাসকদের জনতা ক্ষমা করেনি

Constitution of India: নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা রক্ষাই মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষার প্রাক শর্ত।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বলতে বোঝায়, যে কোনও অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ থেকে স্বাধীনতা। যে হস্তক্ষেপ সংবাদের বিষয়বস্তু নির্বাচন এবং সার্কুলেশন বা সম্প্রচারে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে থাকে। প্রেস বা মিডিয়াই গণতন্ত্রে ‘ফোর্থ এস্টেট’। আইনসভা, শাসন বিভাগ এবং বিচার বিভাগের মতো রাষ্ট্রের অন্য তিনটি এস্টেট বা অঙ্গের মতোই তা গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়ার মূল লক্ষ্য, সুস্থ জনমত তৈরি করা — যা আইনের শাসন, গণতন্ত্র এবং স্বাধীন সমাজকে রক্ষা এবং শক্তিশালী করতে পারে।

ব্যবহারিক বিচারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার তিনটি প্রধান দিক; যেমন:

ক) যে কোনও প্রয়োজনীয় সূত্র থেকে সংবাদ এবং তথ্য সংগ্রহের স্বাধীনতা

খ) সংগৃহীত সংবাদ এবং তথ্য বাছাই বা নির্বাচনের স্বাধীনতা

গ) সংবাদ এবং তথ্য প্রচারের স্বাধীনতা

এই তিনটি স্বাধীনতা অবিভাজ্য এবং সেকারণেই পরস্পর নির্ভরশীল।

ভারতীয় সংবিধানে সংবাদমাধ্যম বা মিডিয়ার স্বাধীনতা কতটা সুরক্ষিত, এমন প্রশ্ন প্রায়ই ওঠে। প্রথম (১৯৫২-৫৪) এবং দ্বিতীয় (১৯৭৮-৮২) প্রেস কমিশনও মিডিয়ার স্বাধীনতার রক্ষাকবচ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। শুধু সংবিধান নয়, প্রেসের স্বাধীনতার প্রশ্নে আইনি ব্যবস্থাগুলিও আলোচনায় এসেছে বারবার। প্রতিনিয়তই তা নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে।

বিশেষত গত এক দশকে মোদি জমানায়, ‘হিন্দুরাষ্ট্র’-র হুমকির মুখে মিডিয়ার স্বাধীনতার প্রশ্নটি এবং তার সাংবিধানিক রক্ষাকবচের প্রশ্নটি আরও বেশি আলোচনায় এসেছে। নাগরিক অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত সংগঠনগুলিসহ রাজনৈতিক সামাজিক পরিসরে বিষয়টি এখন আরও বেশি চর্চিত। মোদি জমানায় ভারতীয় মিডিয়ার স্বাধীনতার বেহাল দশা নিয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলিও সরব।

ভারতীয় সংবিধানে মিডিয়ার স্বাধীনতার প্রশ্নটি, আপাতভাবে সরাসরি উল্লিখিত হয়নি। অনেকে এক্ষেত্রে আমেরিকার সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, প্রেসের স্বাধীনতার বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানে অনুল্লেখিত। যদিও অনেকের মতো আমারও মতে, বিষয়টি এমনভাবে দেখা অনুচিত।

আরও পড়ুন- ভারতের সংবিধানটা হাতে লিখেছিলেন, প্রেমবিহারী নারায়ণকে মনে রাখিনি আমরা

আমাদের সংবিধানের ১৯(১)(ক) অনুচ্ছেদে নাগরিকদের বাক স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত। ১৯৫০ সালে রমেশ থাপার বনাম মাদ্রাজ রাজ্যের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ব্যাখ্যা দেয়, সংবিধানের বয়ানে প্রেসের স্বাধীনতার কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই, কারণ এটি ইতিমধ্যেই নাগরিকদের (শুধুমাত্র নাগরিকদের) বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপকতর রক্ষাকবচের অন্তর্ভুক্ত। যার অর্থ, প্রেসের স্বাধীনতা আসলে ১৯(১)(ক) অনুচ্ছেদেরই ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশ’ (‘এশেনসিয়াল পার্ট’)। তাই পৃথকভাবে প্রেসের কথা উল্লেখ না করলেও প্রেসের স্বাধীনতার সাংবিধানিক রক্ষাকবচ এদেশে স্বীকৃত।

আমেরিকার সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর সঙ্গে ভারতীয় সংবিধানের ব্যবস্থার প্রেসের স্বাধীনতার কোনও মৌলিক পার্থক্য নেই। মার্কিন সংবিধানে যেমন বলা হয়েছে, মার্কিন কংগ্রেস (আইনসভা) নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা ও প্রেসের স্বাধীনতা সংকোচনকারী কোনও আইন পাশ করবে না। অর্থাৎ মার্কিন সংবিধানে প্রেসের স্বাধীনতার প্রসঙ্গটি সরাসরি উল্লেখিত হলেও, বাস্তবে প্রেসের স্বাধীনতাকে নাগরিক স্বাধীনতার উপরে স্থান দেওয়া হয়নি।

লক্ষ্যণীয়, সুপ্রিম কোর্ট প্রেসের স্বাধীনতাকে ১৯(১)(ক) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত নাগরিকদের বাক স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের ‘অংশ’ বলেছে। উল্টোটা বলেনি। অর্থাৎ বলেনি যে, নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা প্রেসের স্বাধীনতার ‘এশেনসিয়াল পার্ট’।

দু'টির মধ্যে কি কোনও পার্থক্য রয়েছে? নিশ্চয়ই রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ব্যাখ্যার মর্মার্থ এটাই যে, নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা রক্ষাই মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষার প্রাক শর্ত। অর্থাৎ, গণতন্ত্রে মূল বিষয় নাগরিকের মৌলিক অধিকার— বাকস্বাধীনতা যার অন্যতম ভিত্তি। নাগরিক অধিকার/ স্বাধীনতা থাকলে তবে বাকিদের স্বাধীনতা থাকবে।

আরও একটু ভাবলে আমরা বুঝতে পারি, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ আসলে এও বোঝাতে চেয়েছে যে, নাগরিক অধিকার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালনই মিডিয়ার স্বাধীনতার মৌলিক চরিতার্থতা। মিডিয়ার স্বাধীনতার লক্ষ্য শুধুমাত্র তার নিজের স্বাধীনতা নয়। মিডিয়ার স্বাধীনতার স্বীকৃতি গণতন্ত্রে অপরিহার্য— কারণ তা নাগরিকের বাকস্বাধীনতা রক্ষার কাজে আসে। তাই স্বাধীন মিডিয়া নাগরিকের মৌলিক অধিকার। মিডিয়ার স্বাধীনতা আধুনিক সমাজে স্বীকৃত আসলে নাগরিক স্বাধীনতার সাপেক্ষে।

মানবাধিকার

মিডিয়ার স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতার একটি মৌলিক অংশ— ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গৃহীত মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ১৯  নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:

‘‘প্রত্যেকেরই মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে; এই অধিকারের মধ্যে রয়েছে কোনও হস্তক্ষেপ ছাড়াই মতামত পোষণের স্বাধীনতা এবং যে কোনও মিডিয়ার মাধ্যমে এবং সীমান্ত নির্বিশেষে তথ্য ও ধারণা সন্ধান করা, গ্রহণ করা এবং প্রদান করার স্বাধীনতা।’’

এই ঘোষণাপত্র অনুযায়ী প্রেসের স্বাধীনতার বিষয় বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করে। বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিশ্বজুড়ে যেকোনও সাংবিধানিক বিধানে স্পষ্ট। ভারত মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের প্রথম দিকের অন্যতম স্বাক্ষরকারী। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রে যে ভারতীয় গণপরিষদ সংবিধানের সৃষ্টিকর্তাদের উপরও প্রভাব ফেলছিল তা খুব স্পষ্ট।

মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের নয়

লক্ষ্যণীয়, সংবিধান কথিত সব মৌলিক অধিকারই আসলে নাগরিকদের অধিকার। কোনও অ-নাগরিকের নয়। অ-নাগরিক মানে শুধু বিদেশি বা উদ্বাস্তু নয়, মিডিয়া সংস্থাও (কোম্পানিও) কোনও সাংবিধানিক রক্ষাকবচ ভোগ করে না। সংবাদপত্রের সম্পাদকের কোনও মৌলিক অধিকার নেই পদাধিকার বলে। যা অধিকার সবই নাগরিকতার সূত্রে। অন্য কোনও সূত্রে নয়।

আইন

ভারতের সংবিধান কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির সরকারকে প্রেস/মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব করতে বা মিডিয়ার স্বাধীন ভূমিকা লঙ্ঘন করতে পারে এমন কোনও আইন প্রণয়নের অনুমতি দেয় না।

নির্দিষ্ট কিছু তথ্য প্রদানের নিয়ম পালন ছাড়া কোনও ভারতীয় নাগরিককে সংবাদপত্র বা মিডিয়া প্রতিষ্ঠান চালু করার জন্য কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের পূর্বানুমতি বা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।

প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ভারতীয় মুদ্রণ মাধ্যম এবং সংবাদ সংস্থাগুলির জন্য বিধিবদ্ধ আধা-বিচারিক সংস্থা (quasi judicial) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। যার ঘোষিত লক্ষ্য, 'প্রেসের স্বাধীনতার সুরক্ষা'।

বাস্তব কারণেই প্রেস কাউন্সিলকে এখন বদলে মিডিয়া কাউন্সিল হিসেবে গড়ে তোলার দাবি উঠেছে। মিডিয়া কাউন্সিলের আওতায় শুধু মুদ্রণ মাধ্যম বা সংবাদ সংস্থা নয়, সব ধরনের বেসরকারি মিডিয়াকে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি উঠেছে। সাংবাদিকরাও এই দাবিতে সামিল।

ভারতে স্বাধীন বিচারবিভাগ সবসময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে, একথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। যখনই কোনও সরকার মিডিয়ার স্বাধীনতাকে খর্ব করতে চেয়েছে তখনই আদালত, বিশেষত সুপ্রিম কোর্ট সক্রিয় হয়েছে মিডিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে। সাম্প্রতিককালে সিডিশন বা রাষ্ট্রদ্রোহিতা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি আইনের ৬৬ এ অনুচ্ছেদ বাতিল করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। মিডিয়ার ভূমিকা বিচারের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ও উদারবাদী মানদণ্ডকে স্বীকৃতি দিয়েছে ভারতের বিচার ব্যবস্থা।

এছাড়া মুক্ত গণমাধ্যমের পক্ষে এবং গণমাধ্যমের স্বায়ত্তশাসনকে ক্ষুণ্ণ করার ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ও আলোকিত জনমত রয়েছে। কোনও সাংবিধানিক ও আইনি শাসন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিতে পারে না যদি না এটি নাগরিকদের সমর্থনপুষ্ট হয়। মিডিয়ার স্বাধীনতা দমনকারী শাসকদের ভারতীয় জনগণ কখনও ক্ষমা করেনি।

বেসরকারি মালিকানা

একটি মুক্ত গণমাধ্যম ঐতিহ্যগতভাবে সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত বলে মনে করা হয়। যেহেতু মিডিয়ার সরকারি মালিকানা শাসিত জনগণের পক্ষে শাসকের ভূমিকার উপর প্রেসের নজরদারির মৌলিক ভূমিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সৌভাগ্যবশত, ভারতে কোনও বড় সংবাদ সংস্থা সরকার বা তার কোনও সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয় না। তা সরকারি অর্থপুষ্টও নয়। বেসরকারি মিডিয়াই স্বাধীন মিডিয়া হিসেবে সাধারণ্যে স্বীকৃত।

ভারতীয় সম্প্রচার মাধ্যম দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি মালিকানাধীন ছিল। অবশেষে ১৯৯৭ সালে, আকাশবাণী এবং দূরদর্শন উভয়কেই স্বায়ত্তশাসিত প্রসারভারতী কর্পোরেশনের অধীনে আনা হয়। ১৯৯০-র দশকে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলিকে এদেশে সম্প্রচারের সরকারি অনুমতি দেওয়া হয়।

বর্তমানে বাস্তব হচ্ছে, বিদ্যমান আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার সাধারণ নিয়মেই অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো মিডিয়ার বাজারেও মালিকানার কেন্দ্রীভবন ঘটছে দ্রুত হারে। পুঁজির মালিকদের সঙ্গে শাসকের ক্রমপ্রসারিত বহুমাত্রিক গাঁটছড়া বৃহৎ পুঁজিনির্ভর মিডিয়ার সরকার-পন্থী ভূমিকাকে কখনও কখনও যেন স্বতঃসিদ্ধ করে তুলছে। বাজারের নিয়মে পুঁজিও দামি ক্রেতাদের স্বার্থরক্ষায় অতি-আগ্রহী। কম দামি ক্রেতা/উপভোক্তারাও ক্রমশ মিডিয়া পরিসরে উপেক্ষিত হয়ে পড়ছে। কী হবে ‘পলিটিক্স অফ এক্সক্লুশন’-এর মুখে তার রক্ষাকবচ?

আরও পড়ুন- যোগী বলছেন রাষ্ট্রীয় ধর্ম সনাতন, আদৌ কোনো রাষ্ট্রধর্ম আছে? কী বলছে সংবিধান?

মোদি জমানা

মোদি জমানায় তথ্য, জ্ঞাপন ও মিডিয়ার পরিসরে রাষ্ট্রীয় ও কর্পোরেট নিয়ন্ত্রণ এদেশে প্রায় সর্বাত্মক। তথ্য, জ্ঞাপন ও মিডিয়ার জগতে প্রযুক্তিগত আধুনিকতার বিস্ময়কর অগ্রগতি নাগরিকের জ্ঞাপন-সক্ষমতা বৃদ্ধির আপাত সম্ভাবনা তৈরি করলেও বাস্তব পরিস্থিতি বিপরীত। কাঠামোগত বদল বাস্তবে মিডিয়া পরিসরে বিপজ্জনকভাবে সংকুচিত করছে নাগরিক সক্রিয়তা। রাষ্ট্র ও কর্পোরেট স্বার্থের বহুকৌণিক যৌথ আধিপত্যের জাঁতাকলে পড়ে নাগরিক-সক্ষমতার মৌলিক প্রশ্নটি বিপন্ন।

মোদি জমানার চাপিয়ে দেওয়া ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট, ২০২৩; প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ পিরিওডিকালস অ্যাক্ট, ২০২৩ , ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি (গাইডলাইনস ফর ইন্টামিডিয়ারিজ অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিকস কোড) রুলস ২০২১ প্রভৃতি বিধিগুলি প্রত্যাহারের জন্য দেশব্যাপী তীব্র জনমত গড়ে তুলতে হবে। স্বাধীন মিডিয়াকে রক্ষা করতে হবে, রক্ষা করতে হবে সিটিজেন জার্নালিস্টদেরও।

প্রযুক্তিগত অগ্রগতি তথ্য সংগ্রহের, তথ্য বিনিময়ের, তথ্য সংরক্ষণের ও তথ্য প্রক্রিয়াকরণের সুযোগ যতই বাড়াক, মূল বিবেচ্য, মিডিয়ার সপক্ষে নাগরিকের সক্ষম ও সক্রিয় ভূমিকা। গণতান্ত্রিক সমাজে তা একটি মৌলিক প্রশ্ন। সংবিধানের গণতান্ত্রিক উপাদানগুলির সুরক্ষা তাই কোনও এককালীন নির্বাচনী প্রশ্ন নয়।

More Articles