ঐন্দ্রিলাহীন ১৩ দিন, কেমন আছেন সব্যসাচী চৌধুরী?

Aindrila Sabyasachi: ইনস্ক্রিপ্ট যোগাযোগ করেছিল তাঁর কাছের বন্ধু, সহকর্মী এবং টলিউডের অন্যতম পরিচিত অভিনেতা সৌরভ দাসের সঙ্গে।কেমন আছেন সব্যসাচী?

"বন্ধু তুমি কেমন আছ, আমায় ছেড়ে ফের, তোমার জন্য কাব্য লিখি বেদনা তার জের!"

বন্ধু নেই বহুদিন। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে সময়। সর্বক্ষণের সঙ্গী হারিয়ে গিয়েছেন চিরতরে। বদলে গিয়েছে সমাজ। নেটমাধ্যমের উত্তেজনা থেমেছে। ফ্ল্যাশলাইট আর ব্রেকিং নিউজের শোরগোল থেমেছে ফের। কিন্তু কেমন আছেন সব্যসাচী? ঐন্দ্রিলার অভিন্ন-হৃদয় বন্ধু, প্রেমিক, কাছের মানুষ সব্যসাচী। যে ছেলেটির কর্তব্যবোধ এবং দায়বদ্ধতা চমকে দিয়েছিল বাংলাকে। যাঁর প্রেমিক সত্তার সঙ্গে থাকার নিদর্শন ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল এই বিচ্ছেদের জগতেও, যাঁর প্রত্যেক দিনের লড়াই, আলোচনায় তুফান তুলেছিল বারবার। কেমন আছেন সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর মাত্র ১৩ দিন কাটার পরে প্রেমিক সব্যসাচীর মানসিক অবস্থা স্বাভাবিকভাবে ঠিক যেমন থাকার কথা, তাইই রয়েছে। কিন্তু শারীরিকভাবে? এক ফিনিক্স পাখির বিদায়ের পর কি একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি?

অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী নন, ইনস্ক্রিপ্ট যোগাযোগ করেছিল তাঁর কাছের বন্ধু, সহকর্মী এবং টলিউডের অন্যতম পরিচিত অভিনেতা সৌরভ দাসের সঙ্গে।কেমন আছেন সব্যসাচী? এই প্রশ্নের জবাবে সৌরভ ইনস্ক্রিপ্টকে বললেন, "ভালো আছে সব্যসাচী। মানে, শারীরিকভাবে ভালো আছে। কিন্তু মানসিকভাবে কেমন আছে, এই প্রশ্নের উত্তর নেই। এমনি সবমিলিয়ে ঠিক আছে।'' ফের কি কাজে ফিরছেন অভিনেতা? সৌরভের উত্তর, "ফিরবে অবশ্যই। খুব শীঘ্রই। ফিরতেই হবে।'' সৌরভ এবং সব্যসাচী, দুই বন্ধু। তাঁরা সল্টলেকে একটি রেস্তোরাঁও খুলেছেন সম্প্রতি। সেখানে প্রায় দিনই, সময় পেলেই উপস্থিত হতেন সৌরভ এবং সব্যসাচী। 'হোদলসে'র খবর? মন্টু পাইলটের জবাব, ''সব ঠিকই আছে। চলছে। একটু সামলে উঠে সেখানেও যাবে সব্যসাচী।"

ভালো আছেন। শারীরিকভাবে ঠিকই আছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। সেটাই স্বাভাবিক, এমনই বলছেন অনেকেই। কিন্তু মানসিকভাবে! যে বিচ্ছেদ, যে বেদনার আভাস জুটেছে কয়েকদিন আগেই। যে ভয়ঙ্কর লড়াই লড়তে শুরু করছিলেন মাত্র এক মাস আগে। সেই সব আবহের অন্দরে মনের দিক থেকে কি এখনই ঠিক থাকা যায়! সেটাই হয়েছে তাঁরও। ফিরবেন, স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফের ঝড় তুলবেন তিনি। কিন্তু ভুলে থাকা? মনোবিদরা বলছেন, সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা এক দৃষ্টান্ত। কিন্তু এ উদাহরণ সমাজে ভুরি ভুরি রয়েছে। প্রিয় সঙ্গীকে জড়িয়ে থাকার পরেও এক সঙ্গে লড়াই, সমস্ত ক্ষেত্রের সংযোগের পরেও এভাবে হঠাৎ একজনের মৃত্যুর শোক ভয়াবহ। কেউ সেটা সামলে উঠতে পারেন। কেউ হিমশিম খান। কিন্তু তাঁর জন্য বাঁচতেই হবে, স্মৃতি রক্ষার তাগিদে ফিরে আসেন প্রায় সকলেই। সব্যসাচী পারবেন। লড়াই কাটিয়ে নয়া জীবন নিয়ে বাঁচতে চেষ্টা করবেন হয়তো তিনিও। কিন্তু একটু সময় এক্ষেত্রে লাগেই!

আরও পড়ুন- বাঙালির নিজস্ব প্রেমের ‘আইকন’! ঐন্দ্রিলা সব্যসাচীর প্রেম কেন হার মানাবে সিনেমাকেও

সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার ঘটনায় কেউ কেউ আর এক তারকা জুটির কথা বলছেন। সিদ্ধার্থ শুক্লা এবং শেহনাজ গিল। তাঁদের প্রেমকাহিনি এবং প্রেমিকের অকাল মৃত্যুও নাড়িয়ে দিয়েছিল দেশ। তবে সেই লড়াই এতটা কঠিন ছিল না, যা বারবার লড়েছেন সব্যসাচী। শেহনাজ গিল ফিরেছেন। খানিকটা কাটিয়ে উঠেছেন শোক। সিদ্ধার্থ হারানোর বেদনা বহন করেই এগিয়ে যাচ্ছেন ফের। আর সব্যসাচী? অনেকেই বলছেন, ঐন্দ্রিলার জন্য ফিরতেই হবে তাঁকে। ফের নতুন জীবনের স্বাদ নিয়েই বাঁচতে হবে ঐন্দ্রিলাকে ঘিরেই। তাই তিনি যে আবার ফিরবেনই, একথাও বলছেন সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার ভক্তকুল।

গত ১ নভেম্বর থেকে হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে যে লড়াই শুরু হয়েছিল অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার, তা শেষ হয় ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে। শত চেষ্টার পরেও শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। এই লড়াইয়ের সঙ্গে শুধুই অভিনেত্রীর বাবা, মা, দিদি নন, সর্বত্র ছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী। যাঁর সান্নিধ্য ছাড়া ২০১৮ থেকে একদণ্ডও থাকতে পারতেন না 'ঝুমুর' খ্যাত অভিনেত্রী। এই ধারাবাহিক থেকেই আলাপ সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলার। একসঙ্গে অভিনয় থেকে শুরু করে ঐন্দ্রিলার দ্বিতীয়বার ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পরের চিকিৎসা-পর্ব। সব ক্ষেত্রেই ঐন্দ্রিলার পাশে থেকেছেন সব্যসাচী। বহরমপুরের মেয়ের পরমবন্ধু হয়ে উঠেছেন বেলুড়ের এই ছেলে। প্রত্যেক মুহূর্তে তৈরি করেছেন দৃষ্টান্ত, ভালো থাকার নজির, লড়াইয়ের পথ। কিন্তু শেষে খানিকটা হেরেছেন, তিনিও প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে ফেলেছেন অকালেই। পারেননি।

কিন্তু স্মৃতি! আজ সেই স্মৃতিকে সম্বল করেই এগিয়ে যেতে চান সব্যসাচীও, বলছেন তাঁর বন্ধুরা। লায়লা ও মজনু, শাহাজান-মমতাজ অথবা ওথেলো-ডেসদিমোনার মতো হয়তো নয়, কিন্তু সব্যসাচী আর ঐন্দ্রিলার প্রেমের শিরায় শিরায় লুকিয়ে ছিল এক অন্য অনুভূতির দৃষ্টান্ত, যা  ব্যতিক্রমও। আর সেই ব্যতিক্রমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সব্যসাচী নিজেও। কিন্তু কে তিনি?

সব্যসাচী চৌধুরী

হাওড়ার বেলুড় মঠ এলাকার বনেদি পরিবারের সন্তান সব্যসাচী। বরাবর প্রতিপত্তিশালী চৌধুরীদের পুত্র পড়াশোনায় ছিলেন মেধাবী। বিদেশে উচ্চশিক্ষা। ইংল্যান্ডের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড ব্রুক্স থেকে ডার্ক ট্যুরিজমে স্নাতকোত্তর। পড়া শেষ করে ইংল্যান্ডেই প্রশিক্ষণ। কাজ শুরু। কিন্তু কে শোনে কার কথা! জীবনকে প্রতিষ্ঠানের বাইরে নতুন করে দেখার তাগিদে, কিছুদিন ইংল্যান্ডে অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফিরলেন দেশে। বারণ করলেন পরিবারের অনেকেই। কিন্তু সব্যসাচী চলে এলেন নিজের দেশে।

অভিনয়ে হাতেখড়ি

থিয়েটারের সংক্ষিপ্ত-পর্ব কাটিয়ে বরাবর মৌলিক প্রতিভার বশে, সব্যসাচী পা দিলেন অভিনয় জগতে। 'এসো মা লক্ষ্মী' ধারাবাহিকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বের চরিত্রে অভিনয় দিয়ে শুরু হল পুরোদমে কাজ। সেইভাবে আর কেরিয়ারের জন্য পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। কেরিয়ারগ্রাফে তখন তীব্র লড়াই চললেও স্বপ্নের মায়াজালে সব্যসাচী ছিলেন বিভোর। এল একের পর এই সুযোগ। 'অগ্নিজল' ধারাবাহিকে অভিনয়। বড় সুযোগ পেলেন 'ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ' ধারাবাহিকে। সেখানে যুধিষ্ঠির চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয় হলেন সব্যসাচী। এরপর ২০১৭ সাল নাগাদ 'ঝুমুর' ধারাবাহিক, যা সব্যসাচীর জীবনে আগমন ঘটাল প্রেমিক সত্তার। বরাবর ঈশ্বর সংক্রান্ত ধারাবাহিকের অভিনয়-খোলস ছাড়িয়ে সব্যসাচী হয়ে উঠলেন অনন্য। অনবদ্য। সঙ্গে তখন নবীন অভিনেত্রী, বন্ধু ঐন্দ্রিলা। এরপর 'ওম নমঃ শিবায়' ধারাবাহিকে বিষ্ণুর চরিত্র। 'জড়োয়ার ঝুমকো'য় অর্ণবের ভূমিকায় অভিনয় করতে করতেই এল বড় সুযোগ। 'সাত ভাই চম্পা'য় পেলেন রাজা নক্ষত্রজ্যোতির চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব। তারপর সব্যসাচীর অভিনয় জীবনে ঝড় আনল 'মহাপীঠ তারাপীঠ' ধারাবাহিক। দীর্ঘদিন চলা এই পর্বে বামাক্ষ্যাপার চরিত্রে দাগ কাটলেন সব্যসাচী। হাওড়ার মেধাবী ছেলেটির অভিনয় মেধা দেখল রাজ্য। ঘরে ঘরে আলোচিত হল বামার নাম। ঈশ্বর, ভক্তি আর বামাচরণ চক্রবর্তীর ভূমিকায় অনবদ্য অভিনয় তাক লাগাল বারবার। অতি জনপ্রিয় হলেন সব্যসাচী চৌধুরী। তারপর একাধিক ওয়েব সিরিজ, বিজ্ঞাপন, শর্ট ফিল্মে অভিনয় ইন্ডাস্ট্রিতে কদর বাড়িয়েছে তাঁরও। সম্প্রতি বন্ধু ঐন্দ্রিলার সঙ্গেই 'ভাগাড়' ওয়েব সিরিজে তাঁর অভিনয় নজর কাড়ে ফের।

প্রেমিক সব্যসাচী

২০১৭ সালে বহরমপুর থেকে আসা ২০ বছরের নবীন অভিনেত্রী যে মেয়েটির হাত ধরেছিলেন তিনি। যে 'ঝুমুর' ধারাবাহিকে হওয়া পরিচয়ে প্রেমের গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন সব্যসাচী। প্রেমিকা ঐন্দ্রিলার জীবন বদলে দেওয়ার কারিগর হিসেবে বারবার উঠে এসেছে তাঁর নাম, যে সব্যসাচী কয়েক দিন আগে পর্যন্ত রাতের পর রাত জেগেছেন হাসপাতালের করিডরে, কারণ সেই ঐন্দ্রিলা। এই সব্যসাচীকেই দেখা গিয়েছিল ঐন্দ্রিলা দ্বিতীয়বার ক্যান্সার আক্রান্ত হলে তাঁর সঙ্গে থাকতে। যে কর্তব্য তিনি তাঁর দায়বদ্ধতা থেকে করেছেন! সাধারণভাবে এই প্রশ্ন উঠলেও আসলে প্রেমিক সব্যসাচীর এই ভূমিকা নাড়িয়ে দিয়েছিল বিচ্ছেদ-মিলনের দোলাচলে দুলতে থাকা বিশ্বকে।

আরও পড়ুন- ঐন্দ্রিলার ‘মিরাকল’ যেভাবে মিলিয়ে দিল তারাপীঠের বামাক্ষ‍্যাপা ও প্রেমিক সব‍্যসাচীকে

ঠিক কী করেছিলেন তিনি? অনেকেই বলেন, প্রেমিক হিসেবে, প্রেমের জন্য, সম্পর্কের জন্য, প্রিয় মানুষের জন্য যা যা প্রয়োজন, বিনা স্বার্থে যেটুকু করা প্রয়োজন সকলের, তার চেয়ে অনেক বেশি করেছেন তিনি! কেন? ঐন্দ্রিলার ভেঙে পড়ার মুহূর্তে ভরসা জুগিয়েছেন, পাশে থেকেছেন সব্যসাচী। যা প্রিয় মানুষের জন্য সর্বাধিক দরকার শুধু নয়, কাছের মানুষের বিপদের সময় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনও। আর সেই মৌলিক চিত্রই দেখেছে এই দেশ। নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন তাঁরা। যা তাঁদের কাছে ব্যক্তিগত, অতি সাধারণ, তাইই যেন দূরত্বের পৃথিবীতে হয়ে উঠেছে বিরল। সব্যসাচীময় হয়েছেন ঐন্দ্রিলা। আর জীবনের 'বিগবস' ঐন্দ্রিলা জড়িয়েছেন সব্যসাচীকে।

'ভিন্ন' সব্যসাচী

'দৃষ্টি একই থাকে, দৃষ্টিকোণ বদলায় বারবার।' মৌলিক অভিনেতা সব্যসাচীর লেখক-সত্তার প্রথম নিদর্শনের ভূমিকায় উঠে এসেছিল এই বাক্যই। ২০২২-এর ২৮ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বার্তা প্রকাশনের তরফে প্রকাশ পায় তাঁর লেখা প্রথম বই 'দলছুটের কলম'। সব্যসাচী বলেছিলেন, ''বরাবর ফেসবুকে লিখতাম। নিজের কথা বলতাম। অনেকেই বলতেন বই হিসেবে প্রকাশের। অবশেষে ইচ্ছাপূরণ। বই বেরলো।'' যে বই লেখার রসদ ছিলেন প্রেমিকা ঐন্দ্রিলাও। যিনি বই পড়তে খুব একটা ভালো না বাসলেও সব্যসাচীর বই লেখার তাগিদ, উপকরণে তাঁর ভূমিকা ছিল সর্বাধিক। এই বই মূলত, বিভিন্ন সময়ের অনুভূতির কথার সমষ্টি। 'বামাক্ষ্যাপা'র টেলিভিশনপর্ব শেষ হতেই বই লেখার কাজ শেষ করেন সব্যসাচী। বইমেলায় প্রকাশিত তাঁর প্রথম বই। যা সমাদৃত হয় পাঠক মহলে।

Bhagar scene

রেস্তোরাঁ এবং সব্যসাচী

চলতি বছরেই বন্ধু, জনপ্রিয় অভিনেতা 'মন্টু পাইলটে'র সঙ্গে হাত মেলান 'বামা'। সৌরভ দাসের সঙ্গে মিলে সল্টলেকের সেক্টর ১-এ চালু করেন একটি রেস্তোরাঁ। 'হোদোলস্' নামের ওই রেস্তোরাঁর মাধ্যমে সব্যসাচী শুরু করেন নতুন কাজ। গত ৩১ অক্টোবর, নিজের জন্মদিনে যে প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে শুনেছিলেন 'বেঁচে থাকার কারণ তিনি', সেই ঐন্দ্রিলা আজ আর নেই। ১ নভেম্বর থেকে নতুন লড়াই লড়ে শারীরিকভাবে হেরে গিয়েছেন তিনি। যে প্রেমিকার জন্য একদিন নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে, ধারাবাহিকের মায়া ত্যাগ করে দিনরাত পড়ে থাকতেন সব্যসাচী, আজ ফের তাঁর জন্যই রাতের পর রাত জাগছেন তিনি। কিন্তু তিনি আর নেই!

প্রিয় মানুষের জন্য হয়তো এটাই করণীয়! হয়তো সব্যসাচীর মায়ার জালে বন্দি ঐন্দ্রিলার এইটুকুই প্রাপ্য ছিল! কিন্তু সকলেই কি পারেন? সকলেই কি প্রিয়জনের জন্য এভাবে ত্যাগের মুখোমুখি হয়েও মাঝ সমুদ্রের হাবুডুবু খাওয়া নৌকাকে বারবার পাড়ে ফেরানোর চেষ্টায় ব্রতী হন? এবার হয়তো পারেননি। কিন্তু সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা পর্বে এই প্রশ্নই ওঠে নিরন্তর, যা বলে যায় এক ইতিহাস আর ভালোবাসার কথকতা।

More Articles