২৯২টিরও বেশি আসনে জিতছে জোট 'ইন্ডিয়া'! কীসের ভিত্তিতে বলছেন খাড়্গে?

INDIA Bloc Exit Poll: গত ১ জুন মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাড়িতে বৈঠকে বসেছিল জোট ইন্ডিয়া। যেখানে আমন্ত্রিত ছিল সবক'টি শরিক দলই। সেখানেই এই লোকসভা ভোট নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখায় খাড়্গেকে।

সাত দফার ভোট শেষ। মানুষ তাঁর রায় জানিয়ে দিয়েছেন। সেই রায়ঘোষণা আগামী ৪ জুন তথা মঙ্গলবার। গোড়া থেকেই গেরুয়া শিবির দাবি করে এসেছে, এবার চারশো পার করে এনডিএ জোট। অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাই বলছে চারশো না হলেও তিনশো আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে চলছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একযোগে বিজেপি বিরোধিতা করতে জোট বেধেছিল দেশের একগুচ্ছ অবিজেপি দল। যার মধ্যে অন্যতম ছিল কংগ্রেস। সাত দফা লোকসভা ভোটের পর কোথায় দাঁড়িয়ে ইন্ডিয়া জোট? কী বলছেন সেই জোটের প্রধানমন্ত্রীর মুখ মল্লিকার্জুন খাড়্গে?

কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়্গেকেই সর্বসম্মত ভাবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ করার কথা মেনে নিয়েছিল ইন্ডিয়া জোট। সেই মল্লিকার্জুন খড়্গে অবশ্য ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ আশাবাদী। শনিবার সাত দফা ভোট শেষ হওয়ার পরেই খাড়্গে বলছেন, ২৯৫-এরও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে জোট ইন্ডিয়া। খাড়্গে জানান, তাঁদের ক্ষেত্রসমীক্ষা অনুযায়ী নয়, মানুষ তাঁদের জানিয়েছেন, এবার বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে ইন্ডিয়া জোটই।

আরও পড়ুন: ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির বাহুবলী পুরুষ নয়, সকলকে সঙ্গে নিয়ে থাকা নেতা চাই

১ জুন মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাড়িতে বৈঠকে বসেছিল জোট ইন্ডিয়া। যেখানে আমন্ত্রিত ছিল সবক'টি শরিক দলই। সেখানেই খাড়্গেকে এই লোকসভা ভোট নিয়ে আত্মবিশ্বাসী দেখায়। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান,দেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে ইতিমধ্যেই সময় চেয়েছে জোট ইন্ডিয়া। ভোট গণনার ধাপগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য রবিবারই তাঁরা আলোচনায় বসতে চলেছে।

 

ভোট পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার জন্য শনিবার বৈঠকে বসেছিল জোট ইন্ডিয়া। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, তাঁর দলের ক্রমী রাম গোপাল যাদব, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পঞ্জাবের মুখ্য়মন্ত্রী ভগবন্ত মান, আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ, রাঘব চড্ডা, আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা— সকলেই উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। সিপিআইএমের তরফে সীতারাম ইয়েচুরি ও CPI(ML)-এর পক্ষ থেকে দীপঙ্কর ভট্টাচার্যও হাজির ছিলেন বৈঠকে। তবে যাননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। রাজ্যের একাধিক কেন্দ্রে ভোট থাকায় আমন্ত্রণ এড়ান তিনি। একই সঙ্গে ওই দিনই ভোটাধিকার প্রয়োগ করার ছিল তাঁর। সে কারণেও দিল্লিতে গিয়ে ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই। বৈঠকে ছিলেন না তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন ও পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতিও। ডিএমকে-র তরফে অবশ্য বৈঠকে যোগ দেন টিআর বালু।

আরও পড়ুন: ২০১৪-র সেই বিষবৃক্ষই আজ স্বৈরাচারের মহীরুহ

৪ তারিখের পরে ইন্ডিয়া জোটের কী কী পদক্ষেপ হতে চলেছে, সূত্রের খবর, সে নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। ওই দিনই ভাগ্য নির্ধারিত হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ দেশের মোট ৯০৪ জন প্রার্থীরা। খাড়্গে যা বলছেন, তা কি সত্যিই ঘটতে চলেছে। তবে কি ভুল বলছে দেশের অধিকাংশ এক্সিট পোল? সেই উত্তর মিলবে অবশ্য আগামী ৪ তারিখেই।

More Articles