পৃথিবীর দ্রুততম ডুবন্ত শহর, প্রাণে বাঁচতে আস্ত রাজধানী অন্যত্র তুলে নিয়ে যাচ্ছে এই দেশ!

Indonesia Jakarta Sinking: দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম রাজধানী জাকার্তাকে গ্রাস করতে চলেছে সমুদ্র। ২০৫০ সালের মধ্যে।

"The Earth we abuse and living things we kill will, in the end, take their revenge, for in exploiting their presence we are diminishing our future."

রাজধানী বদল হওয়া নতুন কোনও বিষয় নয়। মানব ইতিহাসে অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে একটি দেশের রাজধানী পরিবর্তন হচ্ছে। সেই তালিকায় যেমন আমাদের দেশ ভারত রয়েছে, তেমনই রয়েছে মায়ানমার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ব্রাজিল, কাজাকিস্থান, তানজানিয়া এবং আইভরি কোস্টের মতো দেশ। মিশরেরও পরিকল্পনা রয়েছে রাজধানী স্থানান্তর করার। কিন্তু এখন যে দেশের রাজধানী স্থানান্তর হওয়ার কথা আসতে চলেছে, তাকে এই তালিকায় রাখলেও, এই পংক্তিতে হয়তো রাখা যাবে না। কারণ একটাই। উপরে উল্লিখিত কোনও দেশই প্রকৃতির রোষ থেকে বাঁচতে এই কাজ করতে বাধ্য হয়নি যেভাবে বাধ্য হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। আগামী এক দশকের মধ্যে জাভা দ্বীপের জাকার্তা ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীর তকমা খোয়াতে চলেছে এবং সেই মুকুট উঠতে চলেছে প্রাকৃতিক সম্পদ, ঘন জঙ্গলে ভরা এবং ভৌগোলিকভাবে অনেক সুরক্ষিত বোর্নেয়ো দ্বীপের কালিমান্তান প্রদেশের মাথায়। নতুন রাজধানীর নাম হতে চলেছে নিউসেনটারা। হ্যাঁ, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম রাজধানী জাকার্তাকে গ্রাস করতে চলেছে সমুদ্র। ২০৫০ সালের মধ্যে। সেই কারণেই ইন্দোনেশিয়ার শাসকরা সূচনা করছেন সেই নতুন যুগের, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের জীবনকে চিরকালের জন্য পাল্টে দিতে চলেছে।

নিউসেনটারা নিয়ে আলোচনা শুরু করার আগে জাকার্তার কাহিনি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তবে জাকার্তার বিষয়টি একটু জটিল। হ্যাঁ, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি হওয়া এক বিরাট বড় কারণ বটেই কিন্তু পৃথিবীর আরও অনেক শহরই আছে যারা সমুদ্রতটে অবস্থিত এবং তারা এই একই পরিণতি হওয়াকে আগামী কয়েক দশকের জন্য ঠেকাতে পেরেছে। তাহলে জাকার্তা কেন পারছে না?

জাকার্তা এই মুহূর্তে পৃথিবীর দ্রুততম ডুবন্ত শহর। প্রতি বছর শহরের কমপক্ষে ২৫ সেন্টিমিটার জলের তলায় চলে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই বড়সড় কোনও পরিবর্তন না হলে ২০৫০ সালের মধ্যে শহরের বেশিরভাগ অংশ জলের তলায় চলে যেতে চলেছে। সবথেকে বড় সমস্যার জায়গা হলো, এই শহর প্রচুর পরিমাণে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন করছে। শহরের ৬০ শতাংশ মানুষ এই ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু তিন কোটি মানুষের এই শহরে যখন দু' কোটি মানুষ মাটি থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি লিটার জল তুলে নেন, তখন তার পরিবেশগত প্রভাব যে কতটা ভয়াবহ হয় তা বলাই বাহুল্য। এই ভাবে জল তুলতে থাকার কারণে মাটি বসে যাচ্ছে, রোজ একটু একটু করে। কিন্তু শহরের মানুষ এইভাবে ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভরশীল কেন? এর কারণ খুঁজতে গেলে একটু ইতিহাসের পাতা উল্টাতে হবে।

আরও পড়ুন- অল ইজ নট ওয়েল ইন লাদাখ! ১৮০০০ ফুট উচ্চতায়, -৪০ ডিগ্রিতে কেন অনশনে বসছেন ওয়াংচুক?

১৬০০ শতকে ইন্দোনেশিয়ায় উপনিবেশ স্থাপন করে ডাচরা এবং বসতি, কার্যালয় গড়ে তোলে জাকার্তায়। তাদের উপনিবেশের নাম রাখে বাটাভিয়া। ডাচরা ভেবেছিল, তাদের দেশ নেদারল্যান্ডসের মতো করেই এখানে পরিবহণ এবং নিকাশিব্যবস্থা গড়ে তুলবে, বলা যেতে পারে একেবারে তাদের রাজধানী আমস্টারডামের ধাঁচে। সেই মতো একের পর এক খাল খনন করতে থাকে তারা। তবে শুধুমাত্র নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন তাদের লক্ষ্য ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল আদি বাসিন্দাদের আলাদা করা যাতে তাদের শাসন এবং শোষণ করতে সুবিধা হয়। সামাজিকভাবে 'পিছিয়ে' পড়া মানুষদের আলাদা করে রেখে নিশ্চিত করা যাতে তাদের বাসস্থানের ধারে কাছেও আদি বাসিন্দারা আসতে না পারে। ঠিক যেমন ব্যবস্থা করেছিল ব্রিটিশরা। শহর কলকাতার পুরনো মানচিত্রেই তা দেখা যায়। কিন্তু জাকার্তাকে আমস্টারডামের ছোট সংস্করণে পরিণত করার সময় ডাচ শাসকরা মাথায় রাখেননি যে ইন্দোনেশিয়া ক্রান্তীয় গ্রীষ্মপ্রধান এক দেশ। স্বাভাবিকভাবেই খালগুলি কাজ করেনি। অনিয়মিত জলের প্রবাহ খালগুলিকে অবরুদ্ধ করে দেয়। ক্রমশ জমতে থাকা জল জন্ম দিতে থাকে একের পর এক ভয়াবহ রোগের।

এই পরিস্থিতিতে ইউরোপিয়রা তাদের যাবতীয় কার্যালয়, বাসস্থান সব কিছু আরও দক্ষিণে নিয়ে যায় এবং নিজেদের পানীয় জলের ব্যবস্থা করে নেয় পাইপলাইনের মাধ্যমে। কিন্তু বাকি শহরের কপালে সেই ব্যবস্থার ছিটেফোঁটাও জোটেনি। আদি বাসিন্দাদের জন্য পড়ে থাকে ভূগর্ভস্থ জল। এই ব্যবস্থা চলতে থাকে ১৯৪৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার পরেও।

গত দশক থেকেই জাভা দ্বীপ তথা জাকার্তার আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়তে থাকে বেশ দ্রুত গতিতে। এমনিতেই নতুন শতাব্দীর গোড়াতেই এই শহর পৃথিবীর অন্যতম ঘন জনবসতিপূর্ণ শহরের তকমা পেয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরে গত কয়েক বছরে জনবসতির চাপ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে শহরের জনসংখ্যা তিন কোটিরও বেশি। শহর জুড়ে শুধু কংক্রিটের, আকাশ ছোঁয়া বিশাল সমস্ত অট্টালিকার জঙ্গল। এই কংক্রিটের জঙ্গলের বেশিরভাগটাই বেআইনি ভাবে ভূগর্ভস্থ জল তুলে নিচ্ছে। একেই তিন কোটি মানুষ, এত অট্টালিকার ওজন, তার উপর মাটির তলা থেকে এই হারে জল বের করে নিয়ে বিপদ বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি।

তাছাড়া আর্থিক বৃদ্ধির সুবিধা নিতে এত মানুষের উপস্থিতি বাড়িয়েছে যানবাহনের সমস্যাও। সমস্যাটি এতটাই গুরুতর যে মাত্র ২৫ মাইল পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা। আর দূষণের মাত্রা এতটাই বেশি যে বছরে ১৭২ দিন বাতাসের গুণমান থাকে অতি বিপজ্জনক পর্যায়ে। সেইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের চোখ রাঙানি আছেই। একটু বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হলেই বন্যায় আক্রান্ত হয় শহর, বিশেষ করে সমুদ্র পার্শ্ববর্তী এলাকায় যারা থাকেন তাদের ভোগান্তি চরম। কিছু বছর আগে জলের তলায় চলে যাওয়া ঠেকাতে সমুদ্রতীর বরাবর বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে পাঁচিল দিয়ে ঘেরার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু বলাই বাহুল্য, সেই চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে।

আরও পড়ুন- মহাকাশে ঘুরছে ‘দ্বিতীয় পৃথিবী’, হদিশ মিলেছে জলেরও, মিলতে পারে নতুন প্রাণের সন্ধান?

জাকার্তার এই পরিণতির আরও একটি কারণ হল ইন্দোনেশিয়ার আর্থিক বৈষম্য। ইন্দোনেশিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জ। ১৭,০০০ এরও বেশি দ্বীপ রয়েছে এই দেশে কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষই থাকেন জাভা দ্বীপে, জাকার্তার কাছাকাছি। বাকি দ্বীপগুলি ভীষণভাবে অবহেলিত। অথচ ভৌগোলিকভাবে জাকার্তা মোটেই একটি দেশের রাজধানী হওয়ার আদর্শ নয়। জাকার্তা একেবারেই দেশের কেন্দ্রে অবস্থিত নয়, সেই সঙ্গে Ring of Fire বা আগ্নেয়গিরির বলয় প্রায় ঘিরে রেখেছে এই অঞ্চলকে। যথেষ্ট ভূমিকম্প এবং সুনামি প্রবণ এলাকা। এই অঞ্চলে প্রতি বছরেই একাধিক ঘুর্ণিঝড়ের জন্ম হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের জলস্তরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই জাকার্তা যত দিন যাচ্ছে তত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এই সমস্ত কারণ পর্যালোচনা করে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো ওয়াইডোডো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে জাকার্তা থেকে রাজধানী সরিয়ে নিয়ে যাবেন।

শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন রাজধানীর নাম নিউসেনটারা। এটি বোর্নেয় দ্বীপের কালিমান্তান প্রদেশের একটি অঞ্চল, বলা যায় একেবারেই প্রাকৃতিক সম্পদে এবং সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ একটি স্থান। এখানে পৃথিবীর সবথেকে পুরনো রেইনফরেস্টের অবস্থান যা ইন্দোনেশিয়া তথা এই পুরো দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়ার ফুসফুস। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, বোর্নেয় কিন্তু শুধুমাত্র ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ নয়। এখানে মালয়েশিয়া এবং ব্রুনেইয়েরও মালিকানা রয়েছে। তবে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম এই দ্বীপে সবথেকে বেশি অংশ আছে ইন্দোনেশিয়ারই দখলে। ইন্দোনেশিয়ার শাসকদের এই দ্বীপে চোখ পড়ার সবথেকে বড় কারণ হল, এটি একেবারে দেশের কেন্দ্রে অবস্থিত। এখানে আগ্নেয়গিরির চোখ রাঙানি নেই, সুনামির আশঙ্কা খুবই কম এবং এই দ্বীপ জাভা ও আরও বাকি দ্বীপগুলি দ্বারা সুরক্ষিত। প্রশাসনের দাবি, দেশের বৈষম্য দূর করার জন্য এবং অত্যাধুনিক, পরিবেশ বান্ধব রাজধানী তৈরি করার জন্য এই দ্বীপের পূর্ব উপকূলকেই তারা আদর্শ মনে করছেন।

এই প্রকল্পের খরচ হতে চলেছে ৩৩ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালেই কাজ অনেকটা শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু মহামারীর কারণে তা পিছিয়ে যায়। এই নতুন শহরটির আয়তন হতে চলেছে প্রায় ২৫০০ বর্গকিলোমিটার, যা নিউইয়র্কের থেকেও বড়। জোকো ওয়াইডোডোর দাবি, প্রকৃতির মাঝে ডিজিটাল, অত্যাধুনিক এই শহর একেবারে বদলে দিতে চলেছে ইন্দোনেশিয়াকে। এই শহরের বেশিরভাগটাই থাকবে সবুজে ঘেরা এবং এটিতে ব্যক্তিগত মালিকানার যানবাহনের জায়গায় থাকবে গণপরিবহনের গুরুত্ব। এখানে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থাকবেনা, সম্পূর্ণভাবে থাকবে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার।

ইতিমধ্যেই ৫৬,১৮০ হেক্টর অঞ্চলে রাষ্ট্রপতি ভবন, পার্লামেন্ট এবং অন্যান্য সরকারি ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। সরকারের লক্ষ্য, ২০২৪ সালের মধ্যে অন্তত আট হাজার সরকারি কর্মচারীদের এখানে পুনর্বাসন করা। ২০৪৫ সালের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করা এবং এই শহরকে অন্তত ৭০ লক্ষ মানুষের বাসস্থান যোগ্য করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। কিন্তু সব কিছু কি এতটাই পরিকল্পনামাফিক হবে বলে আশা করা যায়? নাহ।

প্রথমেই বলা দরকার, অন্তত কুড়ি হাজার আদিবাসী গৃহহীন হতে চলেছেন এবং তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কোনও আশাই নেই। দ্বিতীয়ত, ইতিহাস সাক্ষী, এই ধরনের প্রকল্পের শুরুতে যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তা পালন করার খুব বেশি চেষ্টা করা হয় না। রেইনফরেস্টের কোর বা সুরক্ষিত অঞ্চলে কাজ করা হবে না প্রতিশ্রুতি দিলেও তা যে মানা হবে না তা এখন থেকেই পরিস্কার। ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলটি তীব্রভাবে বননিধনের শিকার। রাজধানীকে সরিয়ে আনার পাশাপাশি পরিবেশ ধ্বংস এবং দূষণকেও নিয়ে আসা হচ্ছে না তো? প্রশ্ন থাকছেই। যতই হোক, সত্তর লক্ষ মানুষের সংখ্যা একদিন কোটি ছাড়াবে এবং জঙ্গল যে সুরক্ষিত থাকবে তার কোনও আশা রাখা যাচ্ছেনা। আশা রাখা যাচ্ছে না এই জঙ্গলের বাসিন্দা বিভিন্ন বিপন্ন প্রাণীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও। ওরাংওটাং থেকে শুরু করে গন্ডারের মতো কয়েকশো বিপন্ন প্রাণী এই জঙ্গলের উপর নির্ভরশীল। তাদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই বললেই চলে। সুতরাং পরিবেশ নিয়ে তীব্র আশঙ্কা থাকছে এবং বারবার মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, বোর্নেয়র রেইনফরেস্ট দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ফুসফুস এবং পৃথিবীর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গলগুলির একটা। পরিবেশবিদ এবং বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, সরকার জঙ্গলকে রক্ষা করেই নতুন পরিবেশবান্ধব রাজধানী গড়বে।

ওদিকে জাকার্তার কী হবে? ৪০ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে সেখানে। গড়ুড়ের আকারে দ্বীপ তৈরি করা হবে, যা বাসস্থান হবে কুড়ি লক্ষ মানুষের এবং রক্ষা করবে জাকার্তাকে। গোটা পৃথিবী এই মুহূর্তে তাকিয়ে ইন্দোনেশিয়ার দিকে। প্রকৃতির রোষের প্রথম বলি হতে চলেছে এক শহর। তাকে তারা কীভাবে বাঁচায়, বোর্নেয়র প্রকৃতিকে কতটা রক্ষা করে একটি নতুন রাজধানী তৈরি হয় তা দেখবে বিশ্ব। ফলাফল যাই হোক, আগামী দিনের পৃথিবীর জন্যে বিরাট শিক্ষা হতে চলেছে পুরো প্রক্রিয়াটি, কারণ অচিরেই পুরো পৃথিবীকেই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার এই প্রাণপণ লড়াইতে নামতে হবে।

More Articles