Exclusive : ডেলিভারি শ্রমিকদের নিয়ে কী ভাবছে কংগ্রেস? যা জানালেন কানহাইয়া কুমার

Kanhaiya Kumar Exclusive : গিগ শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে কংগ্রেস কী ভাবছে তা ইনস্ক্রিপ্টকে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন কানহাইয়া।

ভারতে জোম্যাটো, অ্যামাজন, উবর, ওলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অ্যাপ ভিত্তিক পরিষেবা বাড়ছে। গত কয়েক বছরে একমাত্র এই ক্ষেত্রেই নিয়োগ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এই শ্রমিকরা চুক্তিভিত্তিক। কর্মসংস্থান দেশে তলানিতে এসে ঠেকেছে। সেই অবস্থায় ভারতে ক্রমেই বেড়েছে গিগ অর্থনীতির দাপট, বেড়েছে ডেলিভারি শ্রমিক। অথচ এই শ্রমিকদের চাকরি না রয়েছে নিশ্চয়তা, না আছে পেনশন, না আছে প্রভিডেন্ড ফান্ড না আছে বীমা। কংগ্রেস যুব সম্প্রদায়ের চাকরির বিষয়টিকে জোর দিচ্ছে সবচেয়ে বেশি। ক্ষমতায় এলে ডেলিভারি শ্রমিকদের নিরাপত্তার দিকটি নিয়ে কী ভাবছে কংগ্রেস, তা স্পষ্ট করে জানালেন কানহাইয়া কুমার। মালদহে ইনস্ক্রিপ্টকে এক একান্ত কথোপকথনে কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া জানান, রাজস্থানে ক্ষমতায় থাকার সময় কংগ্রেসই গিগ শ্রমিক বা ডেলিভারি শ্রমিকদের নিয়ে আইন পাস করে।

ভারতের গিগ শ্রমিকরা তথাকথিত নিয়োগকর্তা-কর্মচারী- এই সম্পর্কের বাইরে পড়েন। কিন্তু এই শ্রমিকরাই বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে কারণ এই ক্ষেত্রটি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিডের পরে বেকারত্বের হার যত বেড়েছে ডেলিভারি কর্মীর সংখ্যাও বেড়েছে তত।

আরও পড়ুন- ‘ন্যায় যাত্রা’ নিয়ে মালদহে রাহুল, নিজের গড়ে কেন গড়হাজির ডালু?

ভারতের গিগ অর্থনীতির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন ঠিক কত শ্রমিক তার কোনও সরকারি পরিসংখ্যান নেই। তবে এই ডেলিভারি শ্রমিকদের সংখ্যা ১০ মিলিয়ন থেকে ১৫ মিলিয়নের মধ্যেই। নীতি আয়োগের অনুমান ২০৩০ সালের মধ্যে গিগ অর্থনীতিতে জুড়ে থাকা শ্রমিকদের সংখ্যা ২৩.৫ মিলিয়নেরও বেশি হতে পারে। অথচ এই শ্রমিকদের চাকরি অনিশ্চিত, চিকিৎসা ও দুর্ঘটনা সংক্রান্ত বীমা নেই। দাবি দাওয়া জানানোর জায়গাও নেই। শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি, শ্রম আইনের অধীনে সমস্ত সুবিধা পাওয়া, নির্দিষ্ট কাজের সময় এবং কাজের যোগ্য পরিবেশ সহ বিবিধ দাবি শ্রমিকদের মধ্যে থেকে আগেও উঠে এসেছে। এই গিগ শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে কংগ্রেস কী ভাবছে তা ইনস্ক্রিপ্টকে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন কানহাইয়া।

কানহাইয়া কুমার বলছেন, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার ছিল কিছুকাল আগেও। সেই প্রথম, দেশের কোনও রাজ্য সরকার গিগ শ্রমিকদের নিয়ে আইন পাস করেছিল। রাজস্থানে কংগ্রেসই প্রথম এমন কাজ করে। কানহাইয়া ইনস্ক্রিপ্টকে বলেন, "এই দেশের যুবকরা কংগ্রেসের সঙ্গে জুড়ুন আমরা চাই। কংগ্রেস সরকার রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে, মল্লিকার্জুন খাড়্গের নেতৃত্বে দেশের যুবকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য অবিচল হয়ে কাজ করবে। যারা শ্রমিক রয়েছেন, সে গিগ শ্রমিকই হন বা অসংগঠিত ক্ষেত্রের মজুর বা সংগঠিত শ্রমিক, পেনশন স্কিম থেকে শুরু করে সমস্ত কল্যাণমূলক কাজগুলি কংগ্রেস করবে। এটা কেবল প্রতিশ্রুতি নয়। আমাদের সরকার যেখানে এসেছে গিগ শ্রমিকদের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করেছি।" কানহাইয়া জানান, ভারত জোড়ো যাত্রা যখন শুরু হয়, সেই প্রথম দফার সময়েই গিগ শ্রমিকদের প্রতিনিধি দল রাহুল গান্ধির সঙ্গে এসে দেখা করেন। রাজস্থানে তখনই কংগ্রেস সরকার এই নিয়ে আইন পাস করে।

আরও পড়ুন- কংগ্রেস-তৃণমূল বন্ধুতার পথে কাঁটা অতিরিক্ত ‘বামপ্রীতি’! মালদহের সভা থেকে যা বললেন মমতা

একই কথা বলেন জয়রাম রমেশও। জয়রামের অভিযোগ, মোদি সরকার শ্রমিকদের দাবি দাওয়া শোনে না, মোদিজি হাজারও শ্রমিক সংগঠনগুলির কণ্ঠরোধ করছেন। জয়রাম রমেশ বলছেন, গিগ অর্থনীতির ফলে লক্ষ লক্ষ গিগ শ্রমিক পেয়েছে এই দেশ, অথচ এই শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীন।

ইনস্ক্রিপ্টের প্রশ্নের উত্তরে জয়রাম বলছেন, "রাহুল গান্ধি বলছেন পাঁচটি ন্যায়ের কথা। এই পাঁচটি ন্যায়ের লক্ষ্যেই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে হাঁটছেন রাহুল। এই পাঁচটি ন্যায় হলো- নারী ন্যায়, যুবা ন্যায়, কৃষক ন্যায়, শ্রমিক ন্যায়, অংশীদারিত্বের ন্যায়। আর শ্রমিকদের ন্যায়ের মধ্যে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গিগ ইকোনমির লক্ষ্য লক্ষ্য শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার বিধি বলবৎ করা"।

More Articles