সাত সকালে বিধ্বংসী আগুন পার্কস্ট্রিটে, ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫ ইঞ্জিন

Park Street Fire: পার্ক সেন্টারের উপরের তলে একটি নাইটক্লাব এবং রেস্তরাঁ রয়েছে। রয়েছে আরও বেশ কিছু দোকানপাট। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আগুন লাগে ওই রেস্তরাঁ থেকেই।

ফের বিধ্বংসী আগুন পার্ক স্ট্রিটে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আগুন লাগে পার্ক স্ট্রিট ও ক্যামাক স্ট্রিটের সংযোগস্থলে অ্যালেনপার্কের উল্টোদিকে পার্ক সেন্টার নামে একটি বহুতলে। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। দমকল কর্মী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিশ আধিকারিকরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজে হাত দেয়।

পার্ক সেন্টারের উপরের তলে একটি নাইটক্লাব এবং রেস্তরাঁ রয়েছে। রয়েছে আরও বেশ কিছু দোকানপাট। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আগুন লাগে ওই রেস্তরাঁ থেকেই। আগুন লাগার খবর ছড়াতেই এলাকা ফাঁকা করার কাজ শুরু হয়ে যায়। ওই বহুতলের আশপাশে একাধিক অফিস রয়েছে। প্রথমেই ওই বহুতলে থাকা অফিসের কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদে। যে রেস্তরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জল ও ফোম ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে দমকল কর্মীরা।

আরও পড়ুন: আগুনের গোলা হয়ে উঠল চলন্ত বিমান! যেভাবে বাঁচলেন যাত্রীরা

সূত্রের খবর, রেস্তরাঁর ভিতরে নানা দাহ্য পদার্থ ছিল। ছিল গ্যাস সিলিন্ডারও। পাশাপাশি ওই রেস্তরাঁর ছাদের আবরণও ছিল অ্য়াসবেস্টসের। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তা ছড়িয়ে পড়েছিল দ্রুত অ্যাসবেসটসের ছাদে। যদিও সিলিন্ডার ফাটার আগেই তা দ্রুত সরিয়ে নেন দমকলকর্মীরা। ওই সিলিন্ডার ফাটলে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারত বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকার যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে পুলিশ। আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে তাতে রেস্তরাঁর অস্থায়ী ছাদ ভেঙে পড়ে। রেস্তরাঁর ভিতরে আটকে ছিলেন যাঁরা তাঁদেরও উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। দমকল সূত্রের খবর, ভিতরে তিন-চার জন আটকে ছিলেন। তাঁদের আগেই বের করে আনা হয় ভিতর থেকে। তার পর পুরোদমে শুরু হয় আগুন নেভানোর চেষ্টা।

আরও পড়ুন: হাতে মাত্র পাঁচ বছর, দাউদাউ আগুনে ফুটবে বিশ্ব! ভয়াবহ ইঙ্গিত সমীক্ষায়

এদিকে আতঙ্কে আশপাশের বহুতল থেকে বাসিন্দারা কোনওরকমে এক কাপড়ে নিচে নেমে আসেন। সকলের চোখে মুখে প্রবল আতঙ্ক। দমকল সূত্রে খবর, ৮ টি ইঞ্জিনের বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও পুরোপুরি পরিস্থিতি আয়ত্তে নয়। চলছে কাজ। কী থেকে এই অগ্নিকাণ্ড তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও আঁচ করা যাচ্ছে না। তবে মনে করা হচ্ছে ভালোই ক্ষয়ক্ষতি হতে চলেছে এই অগ্নিকাণ্ড থেকে।

More Articles