মোদির 'বিকশিত ভারতে'র দাবি আদৌ সত্য? আসলে যেখানে দাঁড়িয়ে দেশের অর্থনীতি

Economy of India: এখন আম্বানিদের এই বিপুল বৈভবে বিকশিত ভারতের নাগরিক হিসাবে আমাদের গর্বিত করবে না কি ৬৭ লক্ষ শিশুর এই ক্ষুধা একজন দেশবাসী হিসাবে আমাকে লজ্জিত করবে তার উপর কিন্তু নির্ভর করবে আমাদের উন্নয়ন সম্পর্কিত ধারণা।

অমৃতকালের নতুন শ্লোগান 'বিকশিত ভারত'। অবশ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথায় বিশ্বাস রাখলে বলতে হয়, আজ যে ভারতের ছবি আমরা দেখছি তা ট্রেলার মাত্র। পুরো সিনেমা দেখতে হলে লোকসভা ভোটে আমাদের ফের জিতিয়ে আনতে হবে নরেন্দ্র মোদিকে। প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো, আমরা দেশ বলতে শুধু এক মানচিত্র বুঝি না। দেশ মানে যেমন তার নদী,জল,পর্বত, অরণ্য, সবুজ ফসল, তেমনি কোটি কোটি মানুষ, তাঁদের ভালো-মন্দ,আশা-নিরাশার গল্প। আর এই মানুষ বলতে আমরা সমাজের উপরতলার অকল্পনীয় স্বাচ্ছন্দ্য ও বৈভবে বাস করা মুষ্টিমেয় মানুষকে বুঝি না মোটেই, বুঝি রামা কৈবর্ত ও হাসেম শেখদের কথা,যাঁরা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট শ্রমজীবী জনতা।

এই উন্নয়নের ধারণাটাও আবার একমাত্রিক নয়। শ্রেণি বিভক্ত সমাজে তা হওয়ারও কথা নয়। উন্নয়ন বলতে একদল বোঝেন জিডিপি ও সেনসেক্সের উর্ধ্বগতি,ঝাঁ চকচকে রাস্তাঘাট,উড়ালপুল, বুলেট ট্রেন, শপিং মল,মাল্টিপ্লেক্সের সমারোহ। আবার আরেকদল মানুষ উন্নয়ন বলতে বোঝেন, খাদ্য,জামাকাপড়,মাথার উপর সামান্য আশ্রয়,চিকিৎসা ও শিক্ষার সুযোগ, সহনশীল উন্নয়ন। উন্নয়ন সংক্রান্ত এই দ্বিতীয় ভাবনাটা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি পায় মানব উন্নয়ন সূচকের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে একটা উদাহরণ দিয়ে আলোচনাটা শুরু করা যেতে পারে।সাম্প্রতিক সময়ে এ দেশের অন্যতম ধনকুবের মুকেশ আম্বানির পুত্রের একটি ' প্রিওয়েডিং ' অনুষ্ঠান হয়। মিডিয়ায় প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী, গুজরাটের জামনগরে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে পৃথিবীর সেরা ধনীরা উপস্থিত ছিলেন। পার্টিতে নীতা অম্বানি যে হীরক ও রত্ন খচিত শাড়িটা পরেছিলেন, তার দাম ছিল কয়েকশো কোটি টাকা। আম্বানি তনয় অনন্তের মহামূল্যবান হাতঘড়ি দেখে পৃথিবীর অন্যতম ধনকুবের মার্ক জুকেরবার্গ রীতিমতো চমকে যান। পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় গায়িকা রিহানা সেখানে আমন্ত্রিতদের গান শোনানোর দায়িত্বে ছিলেন। মেনুকার্ডে পদের সংখ্যা ছিল ২৫০০। পেজ থ্রি সাংবাদিকদের কল্যাণে আমরা জানতে পারি এক শক্তিশালী ভারতের কথা, যা এই বিকশিত ভারতের গৌরবময় উদাহরণ!

আরও পড়ুন: পাকিস্তান, বাংলাদেশের চেয়েও বেশি বেকার ভারতে! চাকরিগুলো কোথায় গেল মোদিজি?

এই একই সময় মিডিয়ায় আরেকটা খবর প্রকাশিত হয়েছিল যাতে বলা হয় ভারতের ৬৭ লক্ষ শিশু ( ৬-২৩ মাস বয়সী) 'জিরো ফুড' শ্রেণিভুক্ত। এই কথার অর্থ হল, ৬৭ লক্ষ শিশুর মায়ের দুধ ছাড়া তরল,অর্ধ তরল বা কঠিন কোনও খাবারই জোটে না। আর তার নেপথ্যে রয়েছে পরিবারের দারিদ্র। এই তালিকায় ভারতের স্থান তৃতীয়, গায়না ও মালি দেশের পরে। এখন আম্বানিদের এই বিপুল বৈভবে বিকশিত ভারতের নাগরিক হিসাবে আমাদের গর্বিত করবে না কি ৬৭ লক্ষ শিশুর এই ক্ষুধা একজন দেশবাসী হিসাবে আমাকে লজ্জিত করবে তার উপর কিন্তু নির্ভর করবে আমাদের উন্নয়ন সম্পর্কিত ধারণা।

নয়া উদারবাদ জমানার উন্নয়ন ভাবনায় জিডিপি এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মনে করা হয় জিডিপির উর্ধ্বগতি মানে কর্মসংস্থান, দারিদ্র দূরীকরণের নিশ্চয়তা। মোদ্দা হিসাবটা হল জিডিপি দ্রুত হারে বাড়লে, অর্থনীতি আড়ে বহরে বাড়বে যার ফলে উপকৃত হবে সব পক্ষই। এই তত্বের উপযোগিতা আলোচনা করার আগে প্রথমে একটু দেখে নেওয়া যেতে পারে যে ভারতের জিডিপি দ্রুত হারে বাড়ছে কি না! কেন্দ্রীয় সরকার ২৯ ফেব্রুয়ারি (২০২৪) ঘোষণা করে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (১ অক্টোবর -৩১ ডিসেম্বর) জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮.৪% যা অর্থনীতির সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ।একই সঙ্গে ন্যাশানাল স্ট্যাটিসটিকাল অফিসের অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে বলা হয় বর্তমান আর্থিক বর্ষে (২০২৪-২৫) জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৭.৬%। তর্ক বেঁধেছে এই পরিসংখ্যানের সত্যতা নিয়ে। প্রথম প্রশ্ন তুলেছেন একদা নরেন্দ্র মোদির আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মন্য। তিনি বলেছেন এই হিসাব করার সময় মুদ্রাস্ফীতির হার ধরা হয়েছে ১%-১.৫% অথচ প্রকৃত মুদ্রাস্ফীতির হার ৩%-৫%। তাই জিডিপির এই হিসাব তাঁর মতে রহস্যময়। এখন মুদ্রাস্ফীতির উর্ধ্বগতির সত্যতা নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই কারণ প্রতিদিন সকালে বাজার গিয়ে জিনিসপত্রের চড়া দাম আমরা অনুভব করি। দীর্ঘ সময় ধরে ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৯৫-১০৫ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। সরকারি হিসাবে একটি সাধারণ নিরামিষ থালির দাম গত ৫ বছরে গড়ে ২৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। অরবিন্দের দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি দেখিয়েছেন যে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ মোদি জমানায় দ্রুত কমছে। ২০২২ সালের প্রথম দশমাসে ভারতে মোট প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১.৬৩ লক্ষ কোটি যা ২০২৩ সালের প্রথম দশমাসে কমে হয়েছে ১.১২ লক্ষ কোটি। প্রাইভেট বিনিয়োগ মাত্র ৩%। ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের অবস্থা গত তিরিশ বছরে সবচেয়ে খারাপ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বেকারির হার মোদি জমানায় সর্বোচ্চ। এই অবস্থায় ৭.৫% জিডিপি বৃদ্ধির দাবির বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা স্বাভাবিক। একই সঙ্গে অর্থনীতিবিদরা প্রশ্ন তুলছেন, জিডিপি গণনার পদ্ধতি নিয়েও। সাধারণ মত হল এই নতুন ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে জিডিপি গণনা ২.৫% বেশি দেখায়। কথা উঠছে তাহলে কি আমাদের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৪.৫%!

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে ভারতীয় অর্থনীতির আয়তন সম্পর্কে যে সমস্ত কথাবার্তা বলা হচ্ছে তা কি ভুল? প্রথমে মনে রাখা দরকার যে আজ ভারত পৃথিবীর পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি এবং ২০২৮ সালের মধ্যে এই অর্থনীতির মোট মূল্য দাঁড়াবে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার— এটা তথ্যের দিক থেকে অস্বীকার করার প্রশ্ন নেই। কিন্তু একই সঙ্গে এ কথাটাও মনে রাখা দরকার, অর্থনীতির এই পরিমাণ দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করে না। জিডিপি (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) কথার অর্থ হল একটি নির্দিষ্ট সময় পর্বে (সাধারণত এক বছর) কোন দেশে পণ্য ও পরিষেবার মোট মূল্য। যদিও নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ২০১১ সালের জনগণনা হয়নি। তবুও মনে করা হয় আজকের দিনে দেশের জনসংখ্যা কম-বেশি ১৪০ কোটি। স্বাভাবিক ভাবেই এই বিপুল পরিমাণ মানুষের (সম্ভবত আমরা জনসংখ্যার বিচারে প্রথম) উৎপাদন ও পরিষেবা সৃষ্টির ক্ষমতা, একটা বৃহৎ বাজার দেশকে পৃথিবীর পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতিসম্পন্ন দেশের মর্যাদা দিতেই পারে,এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। আসল প্রশ্নটা লুকিয়ে আছে জিডিপি পার ক্যাপিটার পরিমাণে। পার ক্যাপিটা জিডিপি বলতে বোঝায় জিডিপির মোট মূল্যকে দেশের জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে যে সংখ্যাটা পাওয়া যায়। আইএমএফের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে পার ক্যাপিটা জিডিপির পরিমাণ মাত্র ২,৮৫০ মার্কিন ডলার। প্রথম বিশ্বের আয়তনে ছোট দেশগুলো যেমন লুক্সেমবার্গ, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ের পার ক্যাপিটা জিডিপি ১ লক্ষ মার্কিন ডলারের বেশি। পৃথিবীর তৃতীয় অর্থনীতি হয়ে ওঠার দৌঁড়ে সামিল ভারত পার ক্যাপিটা জিডিপির বিচারে পৃথিবীর মধ্যে ১৪৯ স্থান অধিকার করে। এর অর্থ ভারত আজও নেহাৎই এক গরীব তৃতীয় বিশ্বের দেশ ও এই পরিসংখ্যান দেশের তীব্র বৈষম্যের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে।

এই বৈষম্য কি পরিমাণে রয়েছে তার উপর এক অসাধারণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ল্যাবের পক্ষ থেকে " Income and Wealth inequality in India, 1922-2023/ Rise of Billionaires Raj " শিরোনামে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে : গত দশ বছরে ভারতের মোট সম্পদের ৪০% ধনীতম ১% মানুষের হাতে। সব থেকে ধনী দশ হাজার জনের গড় আয় বছরে ৪৮ কোটি টাকা ( মাসিক ৪ কোটি) যা গড়পড়তা ভারতীয়ের আয়ের ২ হাজার গুন বেশি। একেবারে উপরের ১% মানুষের আয় নিচের ৫০% ভারতীয়ের আয়ের ৭৫ গুণ। নিচের ৫০% ভারতীয়ের গড় আয় বছরে মাত্র ৭১ হাজার টাকা ( মাসিক ৫,৯১৭ টাকা)। # ব্রিটিশ জমানার থেকেও এখন ভারতে আর্থিক অসাম্য বেশি।২০১৪-১৫ থেকে ২০২২-২৩ সময় পর্বে এই অসাম্য রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছে।

এই বৈষম্য ন্যায্যতা পায় আরও নানান সূচকে। বিশ্ব মানব উন্নয়ন সূচকে পৃথিবীর ১৯২টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৩৪। দক্ষিণ এশিয়ার বিগ ব্রাদারের যেখানে এই অবস্থা, সেখানে শ্রীলঙ্কা,ভুটান ও বাংলাদেশের মতো দুর্বল দেশ রয়েছে যথাক্রমে ৭৮,১১৫ এবং ১১৯ স্থানে। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ২০২২ সালে ভারতের স্থান ছিল ১২১ টা দেশের মধ্যে ১০৭-এ, এবার আরও চার ধাপ নেমে আমরা দাঁড়িয়েছি তালিকার ১১১তম স্থানে। শ্রীলঙ্কা(৬০), নেপাল (৬৯), বাংলাদেশ (৮১), পাকিস্তান (১০২) আমাদের অনেক আগে। ক্ষুধার প্রজাতন্ত্রে তাই নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করতে বাধ্য হন যে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেবে ভারত সরকার।

 

 

আমরা যদি জিডিপির আলোচনায় আবার ফিরি তাহলে দেখতে পাব, ঋণ কীভাবে ভারতের অর্থনীতিকে ক্রমশ পঙ্গু করে দিচ্ছে। সংবাদমাধ্যম 'বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড' এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতকে সতর্ক করে আইএমএফ জানিয়েছে, ভারত সরকারের ঋণের পরিমাণ দেশের জিডিপি অর্থাৎ ৩.১৮ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমনটা যদি হয় তাহলে বিশ বাঁও জলে পড়তে হতে পারে ভারতকে। কারণ জলবায়ু পরিস্থিতি উন্নত করতে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত কারণে ভারতের এখন প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। আর তাই যদি সরকারের ঋণ জিডিপিকে ছাড়িয়ে যায়,তা হলে অর্থনীতি সংক্রান্ত ঝুঁকি বাড়তে পারে। আমরা কেউই গ্রীসের অভিজ্ঞতা বোধহয় ভুলিনি।

আরও পড়ুন: এবার সেনাও চলবে হিন্দুত্বের আদর্শে! সৈনিক স্কুল নিয়ে কী করতে চাইছে বিজেপি?

পরিবার পিছু ঋণের পরিমাণটাও অর্থনীতির কঙ্কালসার চেহারাটাই সামনে নিয়ে আসে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের হিসাব অনুসারে দেশের পরিবারপিছু ঋণের মোট পরিমাণ জিডিপির ৪০%। যে রিপোর্ট আসলে অত্যান্ত উদ্বেগজনক। এই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরেই মোদি সরকার দাবি করেছিল, মানুষ প্রচুর পরিমাণে গৃহঋণ (হোমলোন) নিচ্ছে বলে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। কিন্তু 'দি হিন্দু' প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, পারিবারিক ঋণের ৭২ শতাংশ গৃহঋণ নয়, সেগুলো মূলত পার্সোনাল লোন। পাশাপাশি যদি পরিবারের সঞ্চয়ের হিসাবটা রাখা যায় তাহলে দেখতে পাব, গত বছর পরিবারের সঞ্চয় জিডিপির ৫% কমেছে, যা গত পঞ্চাশ বছরে কখনও হয়নি।

'বিকশিত ভারতে'র যে ঢক্কানিনাদ কর্পোরেট মিডিয়া করছে, তা যে অন্তঃসারশূন্য তা এতক্ষণের আলোচনায় পরিষ্কার। ক্ষুধা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান -- সব মাপকাঠিতেই মোদিজির সরকার ব্যর্থ। আকাশছোঁয়া বৈষম্য, কয়েকটি কর্পোরেট গোষ্ঠীর পর্বতপ্রমাণ বৈভব আর আমজনতার দারিদ্রই আসলে নতুন ভারতের ছবি। জিডিপির গল্প দিয়ে এই ভারতের ছবিটা বদলানো যাবে না কখনও।

More Articles