আরজি কর: ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহে গাফিলতি? কতটা ক্ষতি করতে পারে তদন্তের?

RG Kar Case: ফরেন্সিক নিয়ম বলছে, মৃত ব্যক্তির ও সন্দেহভাজনদের দেহ থেকে সংগ্রহ করা তরল রক্তের নমুনা চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতে অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হয়, আরজি করের ক্ষেত্রে তা করা হয়েছিল কি আদৌ?

আরজি কর কান্ডের এক মাস এক দিন পূর্ণ! এখনও অধরা সুবিচার। আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে এখনও আন্দোলন চলছেই। তার মধ্যেই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল ওই মামলার দ্বিতীয় শুনানি। এই মামলা সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে অসন্তোষ জানিয়েছে সিবিআই। গত ৯ই অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার রুমে সকাল সাড়ে ৯ টার সময়ে যখন নির্যাতিতার অর্ধনগ্ন দেহ পাওয়া যায়। তাঁর নিম্নাঙ্গের পোশাক খোলা ছিল। সারা শরীর জুড়ে নানান জায়গায় ছিল আঘাতের দাগ। চোখ থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। ক্রাইম সিন থেকে শারীরিক নমুনা সংগ্রহ করে রাজ্য তা পরীক্ষার জন্যে পাঠায় সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির কলকাতা শাখায়,তেমনটাই জানিয়েছে সিবিআই। পরে সেই সমস্ত নমুনা এইমস ও অন্যান্য জায়গায় পাঠাতে চায় সিবিআই। আর তখনই উঠে আসে একগুচ্ছ প্রশ্ন।

ফরেন্সিক দল ক্রাইম সিন বা প্লেস অফ অকারেন্সে একমাত্র তখনই যেতে পারে, যখন এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অথচ আরজি কর কান্ডে এফআইআর-এর যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে, সেই অনুযায়ী ফরেন্সিক দল এফআইআর-এর আগেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, ফরেন্সিক দল আসার আগে থেকেই ক্রাইম সিনে একাধিক মানুষের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। ফলে উদ্ধার করা নমুনায় মূল অপরাধীরা ছাড়াও আরও অনেকের শারীরিক নমুনা এসে মিশেছে। তাতে বিকৃত হয়েছে তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নমুনা। দেহের নমুনা সংগ্রহের জন্যে নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি রয়েছে। রয়েছে সেগুলিকে যথাযথ ভাবে সংগ্রহ করার নিয়মও। নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণের সম্পূর্ণ ধাপটি নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনেই করতে হয়। ফরেন্সিক বিভাগের প্রশিক্ষণ ও অনুমতিপ্রাপ্ত লোক ছাড়া সেই কাজ অন্য কেউ করতে পারে না।

আরজি কর কান্ডে ক্রাইম সিন থেকে সেদিন নমুনা কারা সংগ্রহ করেছিল তা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির। তিনি জানাচ্ছেন, ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অর্থাৎ বাড়ির ফ্রিজের তাপমাত্রায় নমুনা সংরক্ষণ করাই নিয়ম। কিন্তু আর জি করের ঘটনায় ওই তাপমাত্রায় শারীরিক নমুনা সংরক্ষণ করা হয়নি বলেই অভিযোগ। সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি, ডিরেক্টরেট অফ ফরেন্সিক সায়েন্স সার্ভিসেসের জারি করা নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নমুনা সংরক্ষণের কথা। সেই নির্দেশিকায় এ-ও উল্লেখ রয়েছে, ফ্রিজ না থাকলে শারীরিক নমুনা বরফ ভরা থার্মোকলের বাক্সে সংগ্রহ করার কথা। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।

আরও পড়ুন: আরজি কর ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদ কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহিলা ভোট কমিয়ে দেবে?

নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় শরীরের নমুনা সংগ্রহ না করলে নমুনাগুলি পচতে শুরু করে। তাতে নমুনার সঙ্গে নষ্ট হয়ে যায় অপরাধের প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ। ‘ক্রাইম সিন’ বা ‘প্লেস অফ অকারেন্স’ থেকে সংগ্রহ করা শারীরিক নমুনা উপযুক্ত সংরক্ষণের পর কোনও রকম ঢিলেমি না করে যত দ্রুত সম্ভব ল্যাবরটরিতে পরীক্ষার জন্যে পাঠানো প্রয়োজন।

৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে যে শারীরিক নমুনা সংরক্ষণ করতে হবে, তা তো ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানেনই। যদি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা শারীরিক নমুনা সংগ্রহ করেন, তাহলে এই তাপমাত্রায় সেগুলি সংরক্ষণ করা হল না কেন? যেহেতু ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নমুনা সংরক্ষণ করা হয়নি, তাহলে সেগুলি কোন তাপমাত্রায়, কী ভাবেই বা রাখা ছিল? নমুনা সংরক্ষণের পাশাপাশি যে প্রশ্ন থাকছে, তা হ’ল সঠিক পদ্ধতিতে আদৌ নমুনা সংগ্রহ করা হয়ছিল কি-না?

অপরাধের পরবর্তী পাঁচ ঘন্টা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ একটি সময়। এই সময় দেহের নানান রকম নমুনা সংগ্রহ করার মতো অত্যাবশ্যক কিছু ধাপ থাকে। কিন্তু কী হবে যদি নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ ঠিক পদ্ধতিতে না হয়? কোনও অপরাধ চাপা দেওয়া সম্ভব যদি না নমুনা ঠিক মতো সংরক্ষণ করা হয়?

যে কোনো ফরেন্সিক তদন্তে রক্ত এবং লালারসের মতো শারীরিক নমুনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিএনএ থেকে শুরু করে, নানা রকম রাসায়নিক, ওষুধ, ড্রাগস বা অ্যালকোহল শরীরে থেকে থাকলে তা জানা যায় রক্ত ও লালারস থেকে। তবে ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে নিহতের শরীরা থাকা বীর্য ও ভ্যাজাইনাল ফ্লুইডের নমুনাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরণের অপরাধে বীর্যের নমুনা থেকে সংগ্রহ করা ডিএনএ-র গঠন দেখে ধর্ষককে চিহ্নিত করা সম্ভব। প্রতিটি মানুষের ডিএনএ-তে যে নাইট্রোজেন বেসগুলি থাকে, তাদের অনুক্রম প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন এবং অনন্য, যদি না তাঁরা সদৃশ্য যমজ হ’ন।

জীবন্ত মানুষের শরীর থেকে সদ্য সংগ্রহ করা টিস্যু, ডিএনএ, আরএনএ এবং বেশ কিছু সক্রিয় প্রোটিন অ্যামবিয়েন্ট বা রুম টেম্পারেচারে অল্প সময়ের জন্যে সংরক্ষণ করা যায়। সংগ্রহ করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের উপর প্রয়োগ করা হয় নির্দিষ্ট কিছু রাসায়নিক, যাদের বলে ‘ফিক্সেটিভ’। এই রাসায়নিক প্রয়োগ করলে সামান্য কিছু সময়ের জন্যে এই স্যাম্পেলগুলির কোনো জৈবরাসায়নিক পরিবর্তন ঘটবে না,
এমনকী রেফ্রিজারেটারের বাইরে রাখা সত্ত্বেও।

এ ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপুর্ণ বিষয় আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রথমত, আদর্শ তাপমাত্রা বা অপটিমাম রুম টেম্পারেচার বললে কিন্তু আমাদের কলকাতার ঘরের ভেতরের তাপমাত্রাকে ধরলে চলবে না। ‘অপটিমাম রুম টেম্পারেচার’ বললে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বোঝায়। স্পষ্টতই, অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘরের তাপমাত্রায় নমুনা সংরক্ষণের প্রশ্নই ওঠে না। দ্বিতীয়ত,জীবন্ত মানুষের শরীর থেকে সংগ্রহ করা টিস্যুই একমাত্র নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্যে রেফ্রিজারেটারের বাইরে রাখা যায়। এ ক্ষেত্রে নিগৃহীতার শরীর থেকে যদি টিস্যু সংগ্রহ করা হয়ে থাকে, তিনি ততক্ষণে মৃত। শুধু তাই নয়, তাঁর মৃত্যুর পর বারো ঘন্টা অতিক্রান্ত।

ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ই অগাস্ট কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর দিন অর্থাৎ ১০ই অগাস্ট শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রশ্ন থাকছে, পরীক্ষার আগে পর্যন্ত বীর্যের নমুনা কি ফ্রিজের বাইরেই রাখা ছিল? তাই যদি হয়, তাহলে সেই নমুনাগুলি ২৭ থেকে ৩৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেই থাকার সম্ভাবনা বেশি। যে তাপমাত্রায় আক্ষরিক অর্থেই নমুনাগুলির পচন শুরু হবে কয়েক ঘন্টা পরেই। এমনকী কিছু গুরুত্বপূর্ণ জৈব-মৌল নষ্টও হয়ে যেতে পারে।

অন্যান্য শারীরিক নমুনার মতোই নিগৃহীতার দেহের বাইরে বা ভিতর থেকে ধর্ষকের (বা ধর্ষকদের) বীর্যের নমুনা সংগ্রহ করার পর তা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত। ফ্রিজের বাইরে এই ধরণের নমুনা রাখলে, ব্যাকটিরিয়া-সহ নানা রকম অনুজীবের সংক্রমণ ঘটতে পারে এবং বীর্যের নমুনা ধীরে ধীরে পচতে আরম্ভ করে। যার ফলে সেই নমুনা আর ফরেন্সিক তদন্তের জন্য ব্যবহার করা যায় না।

এমনিতেও তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরোলেই শুক্রাণু তার গমনক্ষমতা হারায়। ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ছলে শুক্রাণুগুলি সম্পূর্ণ ভাবেই নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে, ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় শুক্রাণুর গমনক্ষমতা লোপ পেলেও, কোষগুলি বেঁচে থাকে। শুক্রাণু যদি ফ্রিজের বাইরে (৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) নিতান্তই রাখতে হয়, সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা কোনও ভাবেই ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হবে না, যা কলকাতার সাধারণ তাপমাত্রা নয়। আর যদি বা রাখা হয়ও, সেক্ষেত্রেও তা কোনও মতেই বারো ঘন্টার বেশি রাখা চলে না।

স্পার্ম স্টেইন বা বীর্যের দাগ লাগা কোনও কাপড় ভালো করে শুকিয়ে সংরক্ষণ করলে পচন আটকানো যায়। ফরেন্সিক তদন্তের কাজেও লাগানো যায় সেই স্যাম্পেল। তবে মেঝেতে পড়ে থাকার বীর্যের নমুনার ক্ষেত্রে গজ প্যাড বা সোয়্যাবে নমুনা সংগ্রহ করে, সেটিকে শুকিয়ে একটি পাত্রের মধ্যে রেখে রেফ্রিজারেটারে সংরক্ষণ করা উচিত। নেতান্তই রেফ্রিজারেটার না থাকলে, সেই নমুনা এমন কোনও স্টোরেজ রুমে রাখতে হবে যেখানে উচ্চ তাপমাত্রা, সূর্যের আলো বা জলীয় বাষ্প কোনওটাই— পৌঁছবে না।

বীর্যে উপস্থিত ডিএনএ অ্যানালিসিস করে ধর্ষকের বয়স অনুমান করাও সম্ভব। বয়স বাড়ার সঙ্গে বীর্যের ডিএনএ-তে মিথাইলেশনের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। তবে বয়স ছাড়াও নিয়মিত ধূমপান, মদ্যপান, মাদক সেবন এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্যে বাড়তে পারে মিথাইলেশনের সংখ্যা। ডিএনএ-এর কাজ নিয়ন্ত্রণের জন্যে ডিএনএ-এর কিছু নির্দিষ্ট যায়গায় মিথাইল গ্রুপ গিয়ে আটকে যায়। ডিএনএ-এর যে অংশে মিথাইল গ্রুপের পরিমাণ বেশি, সাধারণ ভাবে সেই অংশের জিনের কাজ ব্যহত হয়।

জীবন্ত মানুষের শরীর থেকে সদ্য সংগ্রহ করা বায়োফ্লুইড বা জৈবনিক রস সংগ্রহ করার পর তা যদি কিছুক্ষণের মধ্যেই পরীক্ষা করা হয়, সে ক্ষেত্রে সেই নমুনা রেফ্রিজারেটারের ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখাই নিয়ম। আর জি কর কান্ডের ক্ষেত্রে মৃতার বায়োফ্লুইড সংগ্রহ করা হয়ে থাকলে, তা কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে রেফ্রিজারেট করা হয়নি বলেই অভিযোগ। এখানে উল্লেখ্য, বায়োফ্লুইডের নমুনা যদি সংগ্রহের কিছুক্ষণের মধ্যে পরীক্ষা না-করা হয়, তাহলে কিন্তু আরও কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে -২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অর্থাৎ ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্রাই আদর্শ। স্যালাইভা স্যাম্পেল খুব যত্নের সঙ্গে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংগ্রহ করা দরকার। তা না হলে স্যালাইভাতে উপস্থিত পদার্থগুলো তাপমাত্রার সামান্য ওঠানামাতে নষ্ট হতে পারে। যা পরবর্তীতে তদন্তে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের ‘অপরাজিতা’ বিলে কেন আপত্তি বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের?

ফরেন্সিক নিয়ম বলছে, মৃত ব্যক্তির ও সন্দেহভাজনদের দেহ থেকে সংগ্রহ করা তরল রক্তের নমুনা চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতে অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। তরল রক্ত সংরক্ষণের সময় 'এডিটিএ' প্রয়োগ করা হয় নমুনায়। রক্তের নমুনা পোস্ট-মর্টেম ও অ্যান্টি-মর্টেম রিপোর্টের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া মৃত ব্যক্তি এবং সন্দেহভাজনদের শরীরে কোনও অবাঞ্ছিত পদার্থ, অ্যালকোহল, ড্রাগ বা কোনো ওষুধের উপস্থিতি এবং তাদের মাত্রা জানার জন্যে ব্লাড রিপোর্টও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সঠিক তাপমাত্রায় সেই রক্ত সংরক্ষণ না করলে ধীরে ধীরে রক্তে জৈবরাসায়নিক পরিবর্তন আসে। অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায় যথাযথ ভাবে সংরক্ষণের অভাবে। মুশকিল হয়ে যায় রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ করাও। অপরাধী চিহ্নিত করার জন্যে রক্তের গ্রুপ কিন্তু একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণের অভাবে রক্তে উপস্থিত গুরুত্বপূর্ণ রসায়নিক বা জৈব পদার্থ – যা হয়তো অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং তদন্তে নয়া মোড় পর্যন্ত আনতে পারে – সেগুলি একপ্রকার ধামাচাপা পড়ে যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে আরজি করের মতো এত স্পর্শকাতর একটি ঘটনায় কেন নমুনা ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ হল না? তার পেছনেও কি রয়েছে কোনও ষড়যন্ত্র? প্রশ্নগুলো কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

More Articles