দেশেবিদেশে কতটা রয়েছেন গান্ধি? ভোটের বাজারে আদৌ কতটা সত্যি বলেন মোদি?
Mahatma Gandhi: প্রধানমন্ত্রীর দাবি, গোটা বিশ্ব ঘুরে আসার পরেই তিনি উপলব্ধি করেছেন যে গান্ধীর কথা দুনিয়ার কাছে অজানাই রয়ে গিয়েছে। কতটা যুক্তিগ্রাহ্য তাঁর এই দাবি?
জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি। তাঁর ছবি, তাঁর মূর্তির রমরমা দেশ জুড়ে। ভারতীয় নোটে তাঁর ছবি। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, গান্ধিজির সম্মন্ধে তেমন কেউই কিছু নাকি জানত না। অন্তত আশির দশকে রিচার্ড অ্যাটেনবরোর 'গান্ধি' ছবিটি আসার আগে পর্যন্ত তো নয়ই। স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর কথায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
লোকসভা ভোট চলাকালীন বহু মিথ্যাভাষণই করেছেন নরেন্দ্র মোদি। কখনও চারশো পারের দাবি, তো কখনও সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করেছেন কড়াভাষায়। তবে লোকসভা ভোটের শেষ প্রান্তে এসে মোদি বলে বসলেন, গান্ধিজিকে নাকি তেমন কেউ চেনেই না। বুঝতে অসুবিধা হয় না, কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতেই গান্ধির কথা তুলছেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মোদি বলেন, “মহাত্মা গান্ধি এই পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানুষ। গত ৭৫ বছর আমাদের দায়িত্ব ছিল তাঁর কথা গোটা দুনিয়ার কাছে তুলে ধরা। কারণ গান্ধির বিষয়ে কেউ জানত না। কিন্তু ক্ষমা করবেন, প্রথমবার গান্ধিকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা শুরু হয় যখন ‘গান্ধি’ ছবিটা তৈরি হয়েছিল। আমরা দেশবাসী নিজেরা গান্ধির কথা প্রচার করিনি।” তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অর্ধেক মানুষ মার্টিন লুথার কিং বা নেলসন ম্যান্ডেলার নাম জানেন। মহাত্মা গান্ধি তাঁদের চেয়ে কোনও অংশে কম নন। তা সত্ত্বেও গোটা বিশ্বের কাছে তিনি অপরিচিত রয়ে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, গোটা বিশ্ব ঘুরে আসার পরেই তিনি উপলব্ধি করেছেন যে গান্ধীর কথা দুনিয়ার কাছে অজানাই রয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: “সিনেমা না হলে গান্ধিকে কেউ চিনত না”! মোদিকে কেন এর পরেও ছুড়ে ফেলবে না মানুষ?
স্বাভাবিক ভাবেই মোদির এই বক্তব্যের পর দেশ জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। মোদির বিরোধিতায় সরব হয়েছেন একের পর এক বিরোধী নেতা। এক্স হ্যান্ডলে পোস্টে রাহুল লিখেছেন, ‘‘মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে জানতে শুধুমাত্র ‘সম্পূর্ণ রাষ্ট্রবিজ্ঞান’-এর এক জন পড়ুয়াকে ছবিটি দেখতে হবে।’’ এই মন্তব্যের মাধ্যমে রাহুল বুধবার মোদীর স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের মন্তব্য, ‘‘মহাত্মা গান্ধীর উত্তরাধিকারকে কেউ যদি আঘাত করে থাকেন, তবে তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সরকারই বারাণসী, দিল্লি এবং আমদাবাদে গান্ধীবাদী প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করেছে।’’ তৃণমূলের দলীয় এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে মোদীকে ট্যাগ করে তাঁর সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘‘মহাত্মা গান্ধীকে কেউ চেনে না, এমন মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’’
কিন্তু মোদি যা বলছেন, তার কি আদৌ কোনও সারবত্তা আছে? বিশ্বের দরবারে মহাত্মা গান্ধিকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সত্যিই কি আজকের কংগ্রেস বা বিজেপি বা যে কোনও রাজনৈতিক দলেরই প্রয়োজন রয়েছে। নাকি গান্ধিজি নিজের আলোতেই ছড়িয়ে গিয়েছিলেন সমগ্র বিশ্বে। একসময় গান্ধিজির হাত ধরেই ভারতবর্ষে শুরু হয়েছিল জাতীয় কংগ্রেস দল। সেই দলে সে সময় ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, অ্যানি বেসান্তের মতো বহু উল্লেখযোগ্য নাম। স্বাধীনতা উত্তর পর্বে অবশ্য কংগ্রেস অনেক বেশি নেহরু এবং গান্ধি পরিবারের কংগ্রেস হয়ে গেল। সে বিতর্ক আলাদা। বহু মতবিরোধ সত্ত্বেও গান্ধি দলের সঙ্গে ছিলেন, এ কথাও সত্য। কিন্তু মহাত্মা গান্ধি, যিনি জাতির জনক হিসেবে পরিচিত, তাঁর বিস্তৃতি যে তার চেয়ে অনেক বেশি পরিধি জুড়ে, তা অস্বীকার করার জায়গা আদৌ আছে কি?
মোহনদাস করমচাঁদের জন্ম ১৮৬৯ সালে পোরবন্দরে। পোরবন্দর ও রাজকোটে ছাত্রজীবন কাটলেও ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার পর ব্যারিস্টারি পড়তে তিনি যান ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনে। তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় মোড় ছিল সম্ভবত দক্ষিণ আফ্রিকায় পা দেওয়া। আবদুল্লা অ্যান্ড সনসের আইনজীবী হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান তিনি। ভারতীয় এবং কৃষ্ণাঙ্গরা কী ভাবে প্রতিপদে পদে সেখানে বৈষম্যের শিকার হন, তা ভীষণ ভাবে অনুভব করেন গান্ধি। সেখান থেকেই রাজনীতি, অধিকারের লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন গান্ধিজি। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের ভোটাধিকার ছিল না। সেই অধিকার আদায়ে বিল উত্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে বিলের উদ্দেশ্য সিদ্ধ না হলেও আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়েছিল সেদেশের ভারতীয়দের মধ্যে। ১৮৯৪ সালে সেখানে নাটাল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন গান্ধিজি। রাজনৈতিক ভাবে সেখানকার মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করার চেষ্টা করেন। তার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় বহু সংগ্রাম হয়েছে গান্ধির নেতৃত্বে। আইন অমান্য থেকে সত্যাগ্রহ, গান্ধির আদর্শের স্ফুরণ ও বিকাশ কার্যত হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাতেই। সেখানকার মানুষের মধ্যে গেঁথে গিয়েছিল তাঁর আদর্শ সেই তখন থেকেই। ১৯১৫ সালে ভারতে ফিরে আসেন গান্ধি। ক্রমে ভারতীয় রাজনীতির সঙ্গে পরিচয় ঘটে তাঁর। ১৯১৮ সালের চম্পারণ বিক্ষোভ এবং খেদা সত্যাগ্রহের মাধ্যমে গান্ধির আদর্শ ছড়াতে থাকে ভারতেও। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পর ক্রমশ সহিংসতা বাড়তে শুরু করে দেশ জুড়ে। প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে পড়ে ভারতীয় বিপ্লবীরা। এই সময়ে আন্দোলনের মুখ হিসেবে উঠে আসেন গান্ধি। তাঁর স্বরাজ আন্দোলনের ধারা ছড়ায় দেশ জুড়ে। এর পর একে একে অসহোযোগী আন্দোলন, ভারতছাড়ো আন্দোলনের মতো একাধিক আদর্শ ও বিপ্লবের রাস্তা বাতলে গিয়েছেন গান্ধি। আফ্রিকায় থাকতেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। একাধিক ভাষায় সম্পাদনা করেছেন পত্রিকাও।
তাঁর নীতি ও আদর্শ কোনওদিনই ভারতের ঘেরাটোপে আটকে থাকেনি। আমেরিকার নাগরিক অধিকার আন্দোলন-এর অন্যতম নেতা মার্টিন লুথার কিং ও জেসম লওসন গান্ধির অহিংস নীতিকে গ্রহণ করেছিলেন তাঁদের রাজনৈতিক ভাবনায়। দক্ষিণ আফ্রিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা নেলসন মেন্ডেলাও গান্ধির দ্বারা বিপুল ভাবে প্রভাবিত হন। খান আবদুল গাফফার খান , স্টিভ বিকো থেকে শুরু করে মায়ানমারের নেত্রী অং সান সু চী, অনেকেই গান্ধির আদর্শে প্রভাবিত। গান্ধির জীবন ও শিক্ষা অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছে। এদের অনেকেই পরবর্তী সময়ে গান্ধিকে তাদের শিক্ষাগুরু হিসেবেও মেনেছেন। ফরাসি নাট্যকার রোম্যাঁ রোলার 'মহাত্মা গান্ধি' বইয়ের মাধ্যমে ইউরোপের কাছে তুলে ধরেন গান্ধিজিকে। এছাড়াও অসংখ্য বই রয়েছে গান্ধিজির উপরে, যা লিখেছেন বিদেশি লেখকেরা। তালিকায় রয়েছে ড্যানিশ লেখত এলেন হরপ, মার্কিন লেখত জর্জ ওরওয়েস, এডমাড জোনসের নাম। ১৯৩১ সালে পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে গান্ধির যে পত্রবিনিময় হয়েছিল, সেগুলি ইতিহাসের দলিল। ব্রিটিশ গায়ক জন লেনন বারবার বলেছেন গান্ধির কথা, তাঁর অহিংসা আদর্শের কথা। মার্কিন সাময়িক টাইম ম্যাগাজিনের একাধিক সংখ্যা রয়েছে গান্ধিজির উপরে। যা প্রকাশিত হয়েছে আশির দশকের বহু বহু আগেই।
ইন্টারনেটে সামান্য খুঁজলেই জানা যায়, ভারতের বাইরে অন্তত সত্তরটি দেশে গান্ধিজির মূর্তি রয়েছে। তার মধ্যে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টারে পার্লামেন্ট স্কোয়ারে গান্ধিমূর্তিটি বেশ বিখ্যাত। আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়ায় লেক শ্রাইনে রয়েছে গান্ধি বিশ্ব স্মৃতিসঙ্ঘ। যেখানে গান্ধির চিতাভস্ম সঞ্চয় করা রয়েছে। ইংল্যান্ডের টাভিস্টক স্কোয়ারে রয়েছে একটি সুবিশাল গান্ধিমূর্তি। ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহরে রয়েছে গান্ধিজির একটি মূর্তি, যেটি ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮৪ সালে সফরেপ সময় ড্যানিশ সরকারকে উপহার দিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পিটারম্যারিটজবার্গ শহরের চার্চ স্ট্রিটে রয়েছে গান্ধির একটি মূর্তি। এই শহরেই ১৮৮৩ সালে গান্ধিজিকে ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেলে দেন এক শ্বেতাঙ্গ। পরবর্তীকালে দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু মূর্তিটি উদ্বোধন করেন। আর্জেন্টিনাতেও রয়েছে গান্ধিজির একটি মূর্তি, যেটা কিনা ভারতের স্বাধীনতার পনেরোতম বার্ষিকিতে ভারত সরকার উপহার দিয়েছিল। যেটি তৈরি করেন রাম ভাঞ্জি সুতার নামে এক স্থপতি। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাতে গ্লেবে পার্কে রয়েছে গান্ধির একটি ব্রোঞ্জ মূর্তি। নীতি ছাড়া যে কোনও রাজনীতি হয় না, নৈতিকতা ছাড়া বাণিজ্য হয় না এবং মানবতা ছাড়া বিজ্ঞানের মূল্য নেই, সে কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় এই মূর্তিটি। না, এই তালিকা মোটেই ছোট নয়। উগান্ডার জিঙ্গা শহরে রয়েছে গান্ধির মেমোরিয়াল গার্ডেন। যেখান থেকে নীল নদে ভাসানো হয়েছিল মহাত্মা গান্ধির চিতাভস্মের অংশ। সেখানেই তৈরি করা হয়েছে গান্ধিজির স্মৃতিসৌধটি। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরে গার্ডেন অব পিসে রয়েছে তাঁর একটি তৈলচিত্র। সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভার আরিয়ানা পার্কে রয়েছে গান্ধির একটি মূর্তি। ভারত-সুইৎজারল্যান্ডের মধ্যে স্বাক্ষরিত ১৯৪৮ সালের অ্যামিটি চুক্তির ৬০তম বার্ষিকিতে সুইৎজারল্যান্ডকে সেটি উপহার দেয় ভারত। এ ছাড়াও বহু দেশের বিভিন্ন সংগ্রহশালায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক গান্ধির মূর্তি, গান্ধির উপর ছবি।
এ দেশের মোড়ে মোড়ে গান্ধির নামে রাস্তা, ভবন। কলকাতা, দিল্লি থেকে শুরু করে অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ছত্তীসগঢ়, গোয়া, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, সিকিম— প্রায় সমস্ত জায়গাতেই রয়েছে জাতির জনকের নামে রাস্তা। শুধু এ দেশ নয়, পরদেশেও কিন্তু রাস্তা নামাঙ্কিত হয়েছে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধির নামে। আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, ব্রাজিল থেকে শুরু করে কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, ফ্রান্স কিংবা জার্মানি। এই সব দেশেরই বিভিন্ন শহরে রয়েছে গান্ধির নামাঙ্কিত রাস্তা। কোথাও মহাত্মা গান্ধি পথ তো কোথাও অ্যাভিনিউ গান্ধি, কোথাও গান্ধি স্ট্রাসে তো কোথাও প্রসা মহাত্মা গান্ধি। এমনকী হাঙ্গেরি, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইতালি, জ্যামাইকা, জর্ডান, তুর্কি, কিংবা পোল্যান্ডের মতো দেশেও রয়েছে তাঁর নামে রাস্তা।
আরও পড়ুন:যুগে যুগে দেশের শত্রু নির্ভীক সাংবাদিকতাই?
অথচ মোদি বলছেন, গান্ধিকে চেনেন না দেশ বা বিদেশের কেউই। কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে এমন এক জায়গায় আঘাত করে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী, যা নিয়ে বরাবরই আপামরের আবেগ বড় বেশি। যে হিন্দুত্ববাদের মশাল গেরুয়া শিবির সবসময় জাগিয়ে রেখে ঘোরে, সেই হিন্দুত্ববাদের ধ্বজাধারীর হাতেই একসময় খুন হতে হয়েছিল গান্ধিজিকে। সেই হত্যাকারী নাথুরাম গডসের সমর্থনে একাধিক বার মুখ খুলেছেন একাধিক বিজেপি নেতানেত্রী। তা যেমন অতীতেও, তা বর্তমানেও। অথচ সেই গান্ধিকেই দেশের ১৮তম লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার ঠিক আগে অস্ত্র বানাতে চাইছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের দিকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে বারবার ণত্ব-ষত্ব জ্ঞান ভুলেছেন মোদি। তা কখনও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণাপোষণ করে, কখনও আবার গান্ধিজিকে নিয়ে আলটপকা কথা বলে। তিনি নিজেকে কখনও বলছেন ভগবান, তো কখনও বলে বসছেন অযোনীজাত! এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য কি কেবলমাত্র আলোচনায় থাকার জন্যেই। আদৌ কি ভোটের বাজারে কোনও লাভ হবে এসব ঠুনকো চর্চায়? ভোটবাক্স ভরবে মিথ্যা কথায়? ওঠে প্রশ্ন।