বিজেপি আর সংঘ 'এক দেশ এক নির্বাচন'-এর নামে আসলে কী করতে চাইছে?
One Nation, One Election : এক দেশ এক নির্বাচনে গেলে, মাঝপথে সরকার যদি পড়ে যায় স্বাভাবিকভাবে রাষ্ট্রপতি শাসনের কথাই উঠবে।
নরেন্দ্র মোদি কোনও কাজই হঠাৎ করে করেন না। এটা ঠিক যে, আমাদের কাছে ঘোষণাগুলি হঠাৎ করে সামনে আসে। কিন্তু নিজের মতো করে পরিকল্পনা করে এবং এই সিদ্ধান্তে তাঁর সুদূরপ্রসারী কী লাভ হতে পারে তার চিন্তাভাবনা করেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে পরে প্রমাণিত হতে পারে। সে অন্য কথা। যেভাবে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোট ঘোঁট বাঁধাচ্ছে, এটা তিনি নিশ্চয়ই মেনে নিতে পারছিলেন না। এই কলামেই আমি লিখেছিলাম, বিরোধী জোটের নাম 'ইন্ডিয়া' রেখে অনেকদিন বাদে বিরোধীরা জাতীয় রাজনীতিতে নিজে থেকে আলেখ্য তৈরি করা শুরু করেছে, যেখানে শাসক বিজেপি দলকে প্রতিক্রিয়া জানাতে হচ্ছে। ইন্ডিয়া নামটিকে নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
কিন্তু প্রতিক্রিয়া জানাতে নরেন্দ্র মোদি স্বচ্ছন্দ নন। তিনিই সবসময় আলেখ্য তৈরি করতে চান। আর সেই আলেখ্যর উপরে যেন অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা বা বিশেষজ্ঞরা প্রতিক্রিয়া জানাতে বা আলোচনা করতে বাধ্য হন। এটিই তাঁর স্টাইল। ইন্ডিয়া জোটের বেঙ্গালুরু বৈঠকের সময় পাল্টা এনডিএ জোটের নবজন্ম দিয়ে একটা পাল্টা আলেখ্য তৈরির চেষ্টা করেছিল বিজেপি। সেটা তেমন জনপ্রিয় হয়নি। সব আলোচনার বিষয়বস্তু ইন্ডিয়াই ছিল।
এবার মোদি পাল্টা দুটো চাল চেলেছেন। এক হলো, ইন্ডিয়া জোটের মুম্বই বৈঠকের প্রথম দিন দেশের সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি ঘোষণা করেছেন ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসবে। দুই, সারা দেশে একসঙ্গে লোকসভা ও সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন করার ব্যাপারে একটি কমিটির ঘোষণা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সারা সন্ধে জুড়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশন কেন ডাকা হলো, তা নিয়ে জল্পনা চলেছে সংবাদমাধ্যমে। আর শুক্রবার সারা সন্ধে জুড়ে সংবাদমাধ্যমে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নিয়ে জোরদার আলোচনা হয়েছে। ইন্ডিয়া জোট নিয়ে আলোচনা পিছনের সারিতে চলে গেছে।
ঠিক এটাই চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর পার্ষদরা। গোটা দেশের সংবাদমাধ্যম বা রাজনীতিকরা এই লেখাটি শেষ হওয়া পর্যন্ত ধরতেই পারছেন না কেন সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হলো। সেখানে ঠিক কী হবে কেউ বুঝতে পারছেন না। কেউ কেউ হতাশ হয়ে বলছেন, এই অধিবেশনে ঠিক কী হবে তা ভগবান বা জ্যোতিষীরা বলতে পারবেন।
আরও পড়ুন- এক দেশ, এক নির্বাচন! সারা দেশে একসঙ্গে নির্বাচন কেন চাইছে বিজেপি?
আসলে বলতে পারবেন একজনই — নরেন্দ্র মোদি। আর সেটা জানবেন তাঁর ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত দু'এক জন। হয়তো সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীও জানেন না ঠিক কী হবে এই অধিবেশনে। জল্পনা অনেক। নরেন্দ্র মোদি এই অধিবেশনে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল আনতে পারেন বা এক দেশ এক নির্বাচনের বিল এনে দেশের সাধারণ নির্বাচন এগিয়ে আনতে পারেন বা মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করতে পারেন। মায় জি২০ সম্মেলনের ও চন্দ্রযান অভিযানের জন্য প্রশংসাসূচক প্রস্তাব আনতে পারেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতিশ কুমরাসহ অনেক রাজনৈতিক নেতারা ভাবছেন, নরেন্দ্র মোদি দেশের সাধারণ নির্বাচন এবছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই করে ফেলতে চাইছেন। মনে হয় না, নরেন্দ্র মোদি তেমনটি করবেন। জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হওয়ার কথা। তিনি মন্দিরের উদ্বোধনের পুরো ফায়দা নির্বাচনে নিতে চাইবেন। সরকারের পুরো মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কখনও (২০০২-এর গুজরাত দাঙ্গার পরের নির্বাচন বাদ দিলে) মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়েননি। ইন্ডিয়া জোট দানা বাঁধছে ঠিকই, কিন্তু এমন কোনও চ্যালেঞ্জ তারা নরেন্দ্র মোদির দিকে ছুঁড়ে দেননি যে প্রধানমন্ত্রী বিপাকে পড়েছেন। এমনকী আদানির কোম্পানিতে বিনিয়োগ নিয়ে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও তা নিয়ে রাহুল গান্ধীর লাগাতার আক্রমণও তেমন দাগ কাটেনি। সুতরাং তিনি সব ছেড়ে নির্বাচন এগিয়ে আনবেন বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় না।
কিন্তু এক দেশ এক নির্বাচন — নরেন্দ্র মোদিদের অনেকদিনের পরিকল্পনা। এ নিয়ে হঠাৎ করে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি হয়নি। ১৯৮৩ ও ১৯৯৯ সালেও এই পরিকল্পনা নিয়ে আইন কমিশন রিপোর্ট দিয়েছিল। হালে ২০১৯ নাগাদও আইন কমিশনের রিপোর্ট সামনে আসে। এক দেশ এক নির্বাচনের পক্ষেই জোরদার সওয়াল হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টেও বিভিন্ন সময়ে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর খোদ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারেও এর উল্লেখ রয়েছে। একসঙ্গে দেশের সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ও দেশের লোকসভার নির্বাচন করানোর পক্ষে ও বিপক্ষে অনেক মতামত রয়েছে।
একসঙ্গে নির্বাচন হলে খরচ কমবে (যদিও এখন যা ইভিএম লাগে তার তিনগুণ ইভিএম লাগবে), সরকারি আধিকারিক ও কর্মচারীদের সারা বছর ধরে নির্বাচনের কাজ করতে হবে না, পাঁচ বছরে একবারই তা করতে হবে, নির্বাচনী আচরণবিধির জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বার বার বন্ধ করতে হবে না, সারা দেশে সুস্থিতি আসবে — এই পরিকল্পনার সপক্ষে এরকমই বহু যুক্তি রয়েছে।
অন্যদিকে বিপক্ষে যুক্তি হলো, যদি কোনও রাজ্য সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদের আগেই পড়ে যায় তাহলে কী হবে? কারণ ১৯৫৯ পর্যন্ত দেশের সব রাজ্যের নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচন একইসঙ্গে হয়েছে। ১৯৬০-এর দশক থেকেই যত সমস্যা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার অনেক রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছে। কোথাও সরকার মাঝ পথেই বিধানসভার আস্থা হারিয়েছে বা রাজ্যপালেরা সমস্যা তৈরি করেছে রাজ্য সরকারের জন্য।
এক দেশ এক নির্বাচন চালু করতে হলে দেশের সংবিধানের কয়েকটি ধারা বদল করতে হবে। আর সেটা করতে গেলে লোকসভা ও রাজ্যসভায় দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন চাই। সঙ্গে দেশের অন্তত অর্ধেক রাজ্য বিধানসভাগুলির সংখ্য়াগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন থাকতে হবে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের হাতে রাজ্যসভাতে বা রাজ্য বিধানসভাগুলির মধ্যে সেই সংখ্যা নেই।
কাজেই সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আগে হাতে আর দু'সপ্তাহ। তার মধ্যে রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে তার রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিয়ে দেবে এটা হতে পারে না। আর সরকার চাইলে আইন কমিশনের সুপারিশকে হাতিয়ার করেই বিল আনতে পারে। তার জন্য এই কমিটির দরকার নেই। আইন কমিশন অবশ্য সুপারিশ করেছে যে, সব রাজ্য চায় তারা লোকসভার সঙ্গে বিধানসভার নির্বাচন করতে পারে। এইভাবে ধাপে ধাপে সব বিধানসভার নির্বাচন সর্বসম্মতিক্রমে এক সঙ্গে হতে পারে।
এখন যাই হোক না কেন, সংঘ পরিবার ও বিজেপি সারা দেশে একদিন না একদিন একসঙ্গে নির্বাচন করাবেই। এটাই তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এক সঙ্গে নির্বাচন হলে কী সুবিধা ও কী অসুবিধা হবে তা গৌণ বিষয়। মূল বিষয়ে আলোচনা খুব একটা বেশি হচ্ছে না।
বিজেপি বা সংঘ পরিবার কেন একসঙ্গে নির্বাচন করাতে চায়, তা অনেক গভীরে গিয়ে বুঝতে হবে। অখণ্ড ভারতের যে ছবি সংঘ পরিবার আঁকতে চায়, তাতে এই পদক্ষেপ জরুরি। আর এটি বৃহৎ পরিকল্পনার একটি অংশ মাত্র। বহু ভাষা, বহু জাতি, বহু বর্ণ, বহু ধর্মের ভারতকে একটি ফ্রেমে বেঁধে ফেলতে চায় সংঘ পরিবার। যার পরিচয় তাঁদের 'ভারতীয়ত্ব' ও হিন্দুত্বের শিকলে বাঁধা থাকবে।
এতদিন ধরে আমরা ভারতীয় সংবিধানের সূত্রে একসঙ্গে বাঁধা আছি। সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বহুত্ববাদকে সংবিধান স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত একটি যুক্তরাষ্ট্র। কিছু ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রয়েছে। কিছু ক্ষমতা রাজ্য সরকারগুলির হাতে রয়েছে। কিছু ক্ষমতা দু'টি প্রতিষ্ঠানের হাতে রয়েছে। এ সবই সংবিধানের ঠিক করে দেওয়া ব্যবস্থা। বিবিধের মাঝে মিলনের মন্ত্র রয়েছে সেখানে।
ভারতের এই বহুত্ববাদকে একত্ববাদের শিকলে বেঁধে ফেলার প্রকল্প রূপায়ণ করা সহজ কাজ নয়। কিন্তু বিজেপি ও সংঘ পরিবার এই কাজে লেগে রয়েছে অনেকদিন ধরে। এর সপক্ষে তাঁদের অনেক যুক্তি রয়েছে ঠিকই। কিন্তু কাজটি করা যে কঠিন তা তাঁরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরি করতে গিয়ে তাঁরা দেখতে পেয়েছেন কীভাবে দেশের আদিবাসী সমাজের প্রতিরোধ সামনে আসছে বা আসতে পারে। কাজেই শুধুই মুসলমান সম্প্রদায়কে সবক শেখাতে গিয়ে একটি আইন করে ফেললে যে বিপদে পড়তে হবে, তা তাঁরা বুঝতে পেরেছেন। তাই এখন অন্য উপায় খুঁজতে হচ্ছে তাঁদের।
একই ভাবে এক দেশ এক নির্বাচন এই বৃহৎ প্রকল্পের অংশ বিশেষ। কিন্তু দেশকে এক করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোই ভেঙে পড়বে না তো? প্রতিবাদের মাত্রা বেড়ে যাবে না তো? সারা দেশে আঞ্চলিক দলগুলি কিন্তু তৈরিই হয়েছিল কংগ্রেসের একক ক্ষমতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে এবং আঞ্চলিক আশা-আকাঙ্খার ধ্বজা উড়িয়ে। বিজেপি পুরো ব্যবস্থাকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। ভারতের রাজ্যগুলির বিভিন্নতাকে একক ইউনিটে ধরতে গেলে সমস্যা তো হবেই। প্রতিবাদের ধরন কেমন হবে, তা এখনই বোঝা যাবে না।
আরও পড়ুন- এনডিএ বনাম ইন্ডিয়া, দেশের নামে বিজেপির আসন টলাতে পারবে কি বিরোধী মহাজোট?
কিন্তু ওই যে, বিজেপি লেগে রয়েছে এই প্রকল্প রূপায়ণে! বিরোধী দলগুলি যেসব রাজ্যে সরকার চালাচ্ছে সেখানে রাজ্যপালদের মাধ্যমে নানারকম ঝামেলা তৈরি করেই হোক বা জিএসটি চালু করে বা জম্মু কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করে বা জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে হোক বা কেন্দ্রীয় স্তরে সমবায় মন্ত্রক তৈরি করে — এগুলি বৃহৎ প্রকল্পেরই ছোট ছোট ধাপ। এগুলির সপক্ষেও বিজেপি নেতাদের নিজস্ব যুক্তি রয়েছে। তার কিছু তো ঠিকই। এই যুক্তির বেড়াজালে আটকে রেখেই অখণ্ড ভারতের দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে দেশের শাসক দল।
এই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হতে চাইছেন বা কোনও রাজ্য জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণ করতে চাইছে না, পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব রাজ্য সঙ্গীত ঠিক করা নিয়ে আলোচনা চলছে, দিল্লি সরকারের আমলাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওলের সঙ্গে কেন্দ্রের মতবিরোধ চলছে, ডিএমকের সঙ্গে তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের মতানৈক্য চরমে পৌঁছেছে — এই সবই ক্ষোভের বারুদ। একে দেশ-বিরোধী বলে দাগিয়ে দিলেই বিক্ষোভকে প্রশমন করা যায় না।
এক দেশ এক নির্বাচনে গেলে, মাঝপথে সরকার যদি পড়ে যায় স্বাভাবিকভাবে রাষ্ট্রপতি শাসনের কথাই উঠবে। তার মানে রাজ্যগুলির শাসনের ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হবে। আমেরিকায় যেভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় ও একই সঙ্গে বিভিন্ন যুক্তরাজ্যের নির্বাচন হয় সেভাবেই প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনও হবে। ২০১৪ থেকে সেরকমই হয়ে আসছে এ দেশে। মোট কথা এই ব্যবস্থায় পুরো দেশের শাসনক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের জায়গায় কেন্দ্রীভূত হবে।
রাজ্যের বিষয়গুলির থেকে জাতীয় ইস্যুগুলিই বেশি প্রাধান্য পাবে। একটি সমীক্ষা দেখাচ্ছে একসঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রের নির্বাচন হলে প্রায় ৭৭ শতাংশ মানুষ একটি দলকেই দুই জায়গায় ভোট দেয়। আর আলাদা হলে সেই শতাংশের হিসেব অনেকটাই কমে যায়। এভাবে রাজ্যগুলির উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে বাড়বে।
এর থেকে বরং 'এক দল এক বিধায়ক' লাগু করুক সরকার। এই নিয়মকে জোরদার করুক। নির্বাচিত হওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে যাতে কেউ দলবদল করতে না পারে, সেই আইনটিকে আরও শক্তিশালী করুক সরকার। তাতে তাঁদের রাজনৈতিক ক্ষতি হলেও, দেশের জনগণের অনেক আশীর্বাদ পাবেন সরকারের নেতারা।