নকশা ফাঁস! ড্রোন ব্যবহার করে জঙ্গি পাঠাতে চাইছে পাকিস্তান?

Pakistani Terrorist Trespassing in India : পাক জঙ্গি সংগঠন ড্রোন মারফত মানুষ নামাচ্ছে ভারতের মাটিতে। কীভাবে চলছে সেই অপারেশন? জেনে নিন।

M

যেন কোনও ক্রাইম থ্রিলারের রুদ্ধশ্বাস কাহিনি। ঘটনাপ্রবাহ জানলে শিউরে উঠবেন দেশবাসী। দেশে গোপনে কী পাচার করছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান? জানেন কি সেই রোমহর্ষক গল্প?
একাাধিকবার ড্রোন মারফত মাদক,অস্ত্রশস্ত্র পাকিস্তান থেকে ভারতে পাচারের অভিযোগ উঠছিল। এবার একেবারে খোদ মানুষ পাঠানোর অভিযোগ উঠল পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার বিরুদ্ধে।
যে বিশেষ ড্রোনটি এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা ৭০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারে। সম্প্রতি, ওই সংগঠনের ড্রোন ট্রায়াল ক্যাম্পের ভেতরের একটি ভিডিও জনসমক্ষে এসেছে। তার জেরেই জোর আলোড়ন উঠেছে দেশে। এমনকি একটি সংবাদসংস্থা দাবি করেছে ইতিমধ্যেই একজন জঙ্গিকে পঞ্জাবে পাঠানোও হয়েছে এই পদ্ধতিতে। পঞ্জাবে তার ওপর ন্যস্ত ছিল একটি বিশেষ দায়িত্বের ভার। নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করার কাজ ছিল তার।

কীভাবে ব্যবহার করা হবে এই ড্রোন:


নিউজ ১৮- সংবাদমাধ্যমের তরফে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে এই ড্রোন চলাচল বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
যে বিশেষ ড্রোন ৭০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারে, তার সাহায্যেই আকাশপথে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের পাঠানো হতে পারে ভারতে।
একবারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে এই ড্রোন।
ড্রোনটি ওই ব্যক্তিদের নামিয়ে দেবে ভারতের চৌহদ্দিতে কোনও জলাশয়ের ভেতর।
একইভাবে ভারতে পাঠানো হতে পারে, মাদক, চোরাই মাল,অস্ত্রসহ বিভিন্ন বিপজ্জনক বস্তু।
মুখ্যত, ভারতে অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে পঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের মাটিকেই বেছে নেওয়া হতে পারে ,আশঙ্কা প্রকাশ নিউজ-১৮ সূত্রে।
তবে, রাজস্থান এবং গুজরাটের সীমান্তেও সম্প্রতি ব্যবহার করা হচ্ছে এই ড্রোন। সড়কপথে আন্ত:রাজ্যে পাচার হচ্ছে মাদক,চোরাই মাল।
গোয়েন্দাদের দাবি, আইএসআই-এর মদত ছাড়া এই অত্যাধুনিক পদ্ধতি আয়ত্তে আনা অসম্ভব কোনও জঙ্গি সংগঠনের পক্ষে।

 

সম্ভাব্য বিপদ:


সীমান্ত রক্ষাকারী সেনা বাহিনীর হিসেব অনুযায়ী, গতবছর ২০২২ সালে পঞ্জাবের অন্তর্বর্তী এলাকায় ২৫৬ টি ড্রোন চলাফেরা চিহ্নিত করা গেছে। যার তার আগের বছর,অর্থাৎ ২০২১ সালে ছিল ৬৭। একবছরে এক ধাক্কায় কোন প্রয়োজনে বেড়ে গেল এত ড্রোন চলাচল? সন্দেহ সেখান থেকেই। জম্মু কাশ্মীরেও এই ড্রোন চলাচলের ঘটনা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে, লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক অভিযোগ জানিয়েছিলেন, অস্ত্র,মাদক চোরাচালানের মোট ২৮ টি ঘটনা হাতেনাতে ধরা পড়েছে পঞ্চাবে।

প্রশ্ন হল,পুলওয়ামার মতো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও নিরাপত্তা এত শিথিল কেন? সীমান্ত সুরক্ষা নীতি সত্তেও কোন ফাঁকে ভারতে ঢুকতে পারে এমন জঙ্গিবাহী ড্রোন? তাহলে কি পাকিস্তানকে চাপে রাখা বুলির সবটাই ঢক্কানিনাদ? নাকি সত্যিই অগ্রিম সতর্কতা বাঁচাবে এই দেশকে?

More Articles