আবার বাড়ল রেপো রেট, মধ্যবিত্তের পকেট খসিয়ে সত্যিই লাভ হবে ভারতীয় অর্থনীতির?

Repo Rate: রেপো রেট বৃদ্ধির প্রভাব কি সত্যিই পড়ছে ভারতীয় অর্থনীতির ওপর, না কি শুধুই চাপ বাড়ছে ঋণ-গ্রহীতাদের পকেটে?

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো রেপো রেট বৃদ্ধি করল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়ে নতুন রেপো রেট হলো ৫.৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের পঞ্চম মুদ্রানীতি পর্যালোচনায় টানা চতুর্থবারের মতো বৃদ্ধি করা হলো রেপো রেট। এর আগে যদিও অগাস্ট মাসে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করা হয়েছিল রেপো রেট। সেই সময় সুদের হার ৪.৯০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ৫.৪০ শতাংশ। আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মাত্র দু'-মাসের মাথায়। ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এই মুহূর্তে সুদের হার দাঁড়াল ৫.৯০ শতাংশের দোরগোড়ায়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে বারংবার দাবি করা হচ্ছে, ভারতীয় অর্থনীতির উন্নয়নকল্পেই বারবার রেপো রেট বৃদ্ধি করছে আরবিআই। কিন্তু সত্যিই কি এই সিদ্ধান্তের ফলে উপকৃত হচ্ছেন ১৩৫ কোটি ভারতীয়? এই রেপো রেট বৃদ্ধির প্রভাব কি সত্যিই পড়ছে ভারতীয় অর্থনীতির ওপর, না কি শুধুই চাপ বাড়ছে ঋণ-গ্রহীতাদের পকেটে?

সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২০২২-'২৩ আর্থিক বছরে রেপো রেট বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৯ শতাংশ, যা সাধারণের থেকে কিন্তু অনেকটাই বেশি। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার বৃদ্ধির পর ভারতীয় বিনিয়োগকারী এবং বাজার-বিশ্লেষকরা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন, পুনরায় রেপো রেট বৃদ্ধি করতে পারে আরবিআই। আর সেই আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-র মনিটরি কমিটির বৈঠকে গভর্নর শক্তিকান্ত দাস রেপো রেট বৃদ্ধির ঘোষণা করে দিলেন। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনীতির উন্নতির বিষয়টি মাথায় রেখে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিশ্বের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নীতিকেই অনুসরণ করেছে। মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় এই নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সুদের হার বৃদ্ধি করেছিল মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি ঋণের হার ১৯০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছে আরবিআই। গত তিন বছরের মধ্যে এই বৃদ্ধির পরিমাণ সর্বোচ্চ।

অগাস্ট মাসের মুদ্রাস্ফীতির তথ্য সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছিল রেপো রেট বৃদ্ধির জল্পনা। উপভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI অগাস্ট মাসে বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে গিয়েছিল ৭ শতাংশে। মে মাসের শুরুতেই সিপিআই ডাটা মুদ্রাস্ফীতি কম হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সাধারণত দ্বিমাসিক মুদ্রানীতি প্রণয়নের সময় খুচরো মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনা করে থাকে। সেই একইভাবে মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ইউএস-ফেড ইতিমধ্যেই টানা তৃতীয়বারের মতো সুদের হার বৃদ্ধি করে দিয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদের হার বৃদ্ধি করেছিল। তাই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্ত ছিল কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।

আরও পড়ুন: যেভাবে ব্যাঙ্ক বদলে দিতে পারে দেশের ভাগ্য! নোবেলজয়ী ত্রয়ীর এই ম্যাজিকে তাকিয়ে বিশ্ব

সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রেপো রেট বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ওপরে। রেপো রেট বৃদ্ধির ফলে প্রত্যেকটি ব্যাঙ্ক ঋণের ওপরে তাদের সুদের হার বৃদ্ধি করবে। এর ফলে যারা ব্যাঙ্ক অথবা অন্যান্য আর্থিক সংস্থা থেকে গৃহঋণ বা গাড়ির ঋণ গ্রহণ করতে চলেছেন, তাঁদের ওপর পড়বে অতিরিক্ত ঋণের বোঝা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-র রেপো রেট বৃদ্ধির ঘোষণার পর এখন দেশের অন্যান্য সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ক শীঘ্রই ফিক্সড ডিপোজিট গ্রাহকদের সুদের হার বৃদ্ধি করার ঘোষণা করতে পারে। সাধারণ মানুষের উপকার হলেও, সুদের হার যে একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে- সেরকম বলা যায় না। পাশাপাশি, রেপো রেট বৃদ্ধির ফলে ব্যক্তিগত এবং শিক্ষাঋণ-গ্রহীতারা হবেন ক্ষতিগ্রস্ত। এর ফলে এখন থেকে ঋণ নিতে হলে বেশি সুদ দিতে হবে এবং দিতে হবে ঋণের বেশি কিস্তি।

হোম লোনে বাড়ছে ইএমআই
সমস্ত ব্যাঙ্ক এবং নন ব্যাঙ্কিং ফাইনান্সিয়াল সংস্থাগুলি সুদের হার বৃদ্ধির জন্য একটি বেঞ্চমার্ক হিসেবে রেপো রেট ব্যবহার করে থাকে। ফলে যখনই রেপো রেট বৃদ্ধি পায়, তখনই ঋণের সুদের হার একই সঙ্গে বৃদ্ধি পায়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-র এই নতুন ঘোষণা সামনে আসার পরেই রীতিমতো মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের। গাড়ি এবং বাড়ির ঋণে এবার থেকে বেশি টাকা গুনতে হবে সাধারণ মধ্যবিত্ত ভারতীয়কে। ধরা যাক, এই মুহূর্তে একজন ব্যক্তি নিজের বাড়ির জন্য ৫০ লক্ষ টাকা হোম লোন নিয়েছেন। ঋণ শোধের সময়কাল ২০ বছর। বর্তমানে গৃহঋণের সুদের হার যদি ৮.০৫ শতাংশ হয়, তাহলে বর্তমান রেপো রেট বৃদ্ধির পরে এখন তা বেড়ে দাঁড়াবে ৮.৫৫ শতাংশে। এর ফলে ঋণের মেয়াদ দুই বছর তিন মাস বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। গ্রাহককে সুদ দিতে হবে অতিরিক্ত ১১ লক্ষ টাকা। ইএমআই-এর পরিমাণ একইরকম থাকলেও এই একই জিনিস হবে।

তবে গৃহঋণের ক্ষেত্রে একটা বিকল্প আপনি পাচ্ছেন। ইএমআই খানিকটা বৃদ্ধি করে ঋণের মেয়াদ আপনি অপরিবর্তিত রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতি মাসে বেশি টাকা গুনতে হবে। ধরা যাক, অন্য একজন ব্যক্তি ২০ বছরের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা গৃহঋণ নিয়েছেন একটি ব্যাঙ্ক থেকে। আগে ঋণের ওপর সুদের হার ছিল ৮.০৫ শতাংশ। এর ফলে হোম লোনের ইএমআই বেড়ে ৪৪,১৩৬ টাকা হয়ে যাবে। যদি আপনি ঋণ শোধের পরিমাণ অপরিবর্তিত রাখতে চান, তাহলে আপনাকে প্রতি মাসে ইএমআই-এর ওপরে অতিরিক্ত ১,৪৩৭ টাকা করে দিতে হবে।

আসলে রেপো রেট বৃদ্ধি করার অর্থ হলো, যে ব্যাঙ্ক থেকে আপনি ঋণ গ্রহণ করছেন, সেই সমস্ত ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ব্যয়বহুল হারে ঋণ পাবে। যাতে ব্যাঙ্কের কোনও ক্ষতি না হয়, সেকথা মাথায় রেখে একই সময়ে এই ব্যাঙ্কগুলি তাদের অতিরিক্ত ঋণের বোঝা সরাসরি চাপিয়ে দেয় গ্রাহকদের কাঁধে। এর ফলে সাধারণ মানুষের কাছে ঋণ নেওয়া অনেকটাই ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, যদি আপনি নতুন ঋণ গ্রহণ করতে চান, তাহলেও একই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় ইএমআই। পাশাপাশি, যে-সমস্ত হোম লোন বা গাড়ির লোন আগে থেকে চলছে তার ইএমআই একই সঙ্গে বৃদ্ধি পায়।

অটো লোন-ও ব্যয়বহুল
যদি এখন কেউ লোন নিয়ে গাড়ি কেনার কথা চিন্তা করে থাকেন, তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকুন, আপনাকে বেশি টাকা খরচ করতে হবে। অন্যদিকে, যে সমস্ত ব্যক্তির অটো লোন চলছে, তাঁদেরও অতিরিক্ত ইএমআই দিতে হবে। ধরা যাক, কেউ পাঁচ বছরের মেয়াদে ৫ লক্ষ টাকার গাড়ির লোন গ্রহণ করেছেন। এই মুহূর্তে গাড়ির লোনের ওপরে সুদের হার ৯.৫ শতাংশ। এই সুদের হার অনুযায়ী গাড়ির ঋণের ওপরে ধার্য ইএমআই হলো ১০,৫০১ টাকা। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই ঘোষণার পরে এখন সুদের হার ১০% এবং একই সঙ্গে ইএমআই-এর পরিমাণও হচ্ছে বেশি। বর্তমান হিসেব অনুযায়ী, এই গাড়ির লোনের ওপর ইএমআই বৃদ্ধি পেয়ে হবে ১০,৬২৪ টাকা। অর্থাৎ, ঋণের বর্তমান মাসিক কিস্তি ১২৩ টাকা করে বৃদ্ধি পাবে।

কারা হবেন লাভবান?
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই নতুন ঘোষণার পর সবাই যে ক্ষতির মুখোমুখি হবেন, সেরকম কিন্তু নয়। অনেকেই এমন আছেন, যাঁরা হতে চলেছেন লাভবান। যাঁরা সাধারণত ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট বা বিভিন্ন ধরনের মেয়াদি আমানত করতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই ঘোষণা অত্যন্ত লাভজনক প্রমাণিত হতে চলেছে। যখনই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তার রেপো রেট বৃদ্ধি করে, তখনই সমস্ত ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিটের ওপর সুদের হার কিছুটা পরিমাণ বৃদ্ধি করে। অবশ্য, যতটা রেপো রেট বৃদ্ধি পেয়েছে, ঠিক একই পরিমাণ সুদের হার যে ফিক্সড ডিপোজিটের ওপর বৃদ্ধি পাবে, সেরকম আশা করাও ভুল। তবে হ্যাঁ, যাঁরা বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কে মোটা টাকার ফিক্সড ডিপোজিট এবং মেয়াদি আমানত করে রেখেছেন, তাঁরা নিঃসন্দেহে একটা ভালো পরিমাণ লাভ পেতে চলেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-র এই ঘোষণার পর।

জিডিপি ও মুদ্রানীতির ওপর প্রভাব
রেপো রেট বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের পকেটে চাপ বৃদ্ধি পেলেও, ভারতের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির নিরিখে এই বিষয়টি নিঃসন্দেহে ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটা পরিস্থিতি, যখন সারা বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার বৃদ্ধি করছিল, সেই সময় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাতে রেপো রেট বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প রাস্তা ছিল না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলছেন, জিডিপি এবং ভারতীয় মুদ্রানীতির ওপরে এই নতুন সিদ্ধান্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ২০২৩ অর্থবর্ষে ৭ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির অনুমান করছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া প্রতি ত্রৈমাসিকের জন্য তাদের অনুমানের কথা জানিয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। ২০২২-'২৩-এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইতিমধ্যেই ৬.৩ শতাংশ বৃদ্ধির হার দেখা গিয়েছে। এই বিষয়টি ভারতীয় অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত ইতিবাচক।

অন্যদিকে লিকুইডিটির অবস্থান বেশ ভালো। এই আর্থিক বছরের দ্বিতীয়ার্ধ অর্থাৎ ডিসেম্বর '২২ ও মার্চ '২৩ ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মনিটর এবং লিকুইডিটির অবস্থানে উন্নতি হচ্ছে লাগাতার। গ্রামীণ চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উন্নতি হচ্ছে বিনিয়োগের পরিস্থিতির। বহু মানুষ ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ গ্রহণ করতে চাইছেন। আন্তর্জাতিক বাজার এবং বিশ্বের মুদ্রায় ডলারের দামের প্রভাব পড়ছে। ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য মুদ্রার থেকে রূপি-র অবস্থান এই মুহূর্তে বেশ ভালো। এই কারণে, ভারতীয় অর্থনীতি যে আগামী ছয় মাসের মধ্যে অগ্রগতি লাভ করবে, সেটা বলা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় মুদ্রার অস্থিরতার ওপর নজর রাখতে শুরু করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।

এই মুহূর্তে ভারতের কাছে ৫৩,৭৫০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অবশিষ্ট রয়েছে। ফরেক্স রিজার্ভ অগাস্ট ২০২০ থেকে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এলেও, মার্কিন বন্ড এবং ডলারের বৃদ্ধির কারণে এফএক্স রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে। গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলছেন, স্থায়ী আমানত সুদ এবং প্রান্তিক স্থায়ী সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। এই মুহূর্তে স্থায়ী আমানতে সুদের হার ৫.৬৫ শতাংশ এবং প্রান্তিক স্থায়ী আমানতের ক্ষেত্রে সুদের হার ৬.১৫ শতাংশ।

শক্তিকান্ত দাসের এরকম মন্তব্যের পর দেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে জিডিপি এবং মুদ্রানীতির সঙ্গে পাল্লা দিতে রেপো রেট আরও বৃদ্ধি করতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। মনে করা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর মাসে আরও ৪০ বা ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হবে রেপো রেট। তবে নব্য প্রকাশিত আরও একটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে ভারতীয় অর্থনীতি রয়েছে অনেকটাই নিম্নমুখী। এরপরে শুধুমাত্র রেপো রেট বৃদ্ধি করে ভারতীয় অর্থনীতির কতটা উন্নয়ন হবে, সেটা এখনই কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লাগাতার রেপো রেট বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত যে মধ্যবিত্তদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ ফেলছে, সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

More Articles